তৈমূরকে বাদ দেয়া হলে হবে বিএনপির কলঙ্কজনক অধ্যায়!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সেই ১৯৯৮ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওইদিন নিহত হয়েছিলেন তারই পাশেই দাড়িয়ে থাকা যুবদল কর্মী ইব্রাহীম। ১/১১ এর সময় তারেক জিয়ার মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। নেয়া হয় রিমান্ডে। রিমান্ডে নিয়ে তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে দেয়া হয় কয়েক হাজার বোল্ডের বাতির নিচে তার মাথা। তবুও স্বাক্ষী দেয়ার কথা মেনে নেয়নি। জেল খেটেছিলেন ২৬ মাস। বিএনপি ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজপথে বুক উচিয়ে পুলিশের লাঠির সামনে গুলির সামনে যিনি ছিলেন তিনি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। পুলিশের লাঠির আঘাত পেঠে সহেছিলেন তিনি। গলা চেপে পুলিশ তকে টেনে হেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। জেল খেটেছেন। কিন্তু যেখানে একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকারকে ঘোষণা করা উচিত সেখানে আরো দুজন রাজপথের আন্দোলন বিমুখী নেতাকে মনোনয়ন চিঠি দেয়াটাও তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীদের জন্য অপমানজনক। যেখানে ওই দুই মনোনিত নেতাকে কখনও কারাগারে যেতে হয়নি। পুলিশের মার খেতে হয়নি। গুলি খেতে হয়নি।

এমনকি বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরেও তার মুক্তির দাবিতে শ্লোগানই ধরতে হয়নি আজকে তারাও তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে মনোনিত হন। এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে তৈমূর আলম খন্দকারকে বাদ দিয়ে ওই দুই জনের কাউকে চূড়ান্ত মনোনিত করার। নেতাকর্মীরা এসব কথা বলে দাবি করেছেন, যদি তৈমূর আলমকে বাদ দেয়া হয় তাহলে এখানে বিএনপিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হবে। নেতাকর্মীদের প্রমানিত হয়ে যাবে ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি মুল্যায়ন করে না। আর ওই দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনিত করা হলে সেখাানেও অর্থের লেনদেনের গন্ধ পাওয়া যাবে। তৈমূর আলম খন্দকারের ত্যাগ ও ভুমিকার সঙ্গে যাদের দূরত্ব আকাশ পাতাল সেখানে তৈমূর আলম খন্দকারের বিকল্প প্রার্থী দেয়ারই কোন উচিত নয়। এখন তাকে মাইনাসের চেষ্টাও চলছে। এসব বলেই নেতাকর্মীরা এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নেতাকর্মীদের দাবি- নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের একজমাত্র ঝান্ডা ধরার যোগ্য হিসেবে নেতাকর্মীরা বলছেন তৈমূর আলম খন্দকারকেই। এ আসনে জয় নিশ্চিত করতে তৈমূর আলমই একমাত্র ভরসা। নেতাকর্মীরা এও বলছেন- কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত এ আসনে তিনজনকে মনোনয়নের চিঠি দিয়ে রাখলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় একমাত্র একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর খন্দকারই থাকছেন। কিন্তু কোন কারনে এর ব্যতয় ঘটলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি হবে। কারন এত ত্যাগের বিনিময়ে যদি তৈমূর বঞ্চিত হন তাহলে ভবিষৎে রাজপথে আর কেউ থাকবেন না।

নেতাকর্মীরা বলছেন- দলের প্রতি তৈমূর আলমের কমিটমেন্ট রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৈমূর আলম খন্দকার। সেই তৈমূর আলমকে দিয়ে এখন রূপগঞ্জের আসনটি উদ্ধার করতে হবে। নতুবা এখানে দুই ব্যবসায়ী নেতার মধ্যে কারো হাতে ধানের শীষ তুলে দিলে সেটার ওজন নেয়ার মত অবস্থান রূপগঞ্জে তাদের নেই। আর তৈমূর আলম খন্দকার আমজনতার নেতা। কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া হলেন ব্যবসায়ী। যারা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা জোড় গলায় একটি শ্লোগান দিয়েছেন কিনা সেটা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা বলেন- সাধারণ মানুষের নেতা তৈমূর আলমকে ২৪ ঘন্টা যে কোন সময় যে কোন নেতাকর্মী সমর্থক ফোন করলে নিজ হাতে রিসিভ করে কথা বলেন তিনি। হাটে ঘাটে মাঠে রাস্তায় বসেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে খাওয়া ধাওয়া করতে পারেন। এখানে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৈমূর আলম খন্দকার এগিয়ে। অন্যদিকে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়া মুলত নিজেরা দলের কমিটি ও কমিটির পদ পদবীতে নিজেদের চাটুকার শ্রেণির নিস্ক্রিয় কর্মীদের পদে বসিয়ে নেতা বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তৃ নির্বাচনী মাঠে তারা অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। এদিকে আবার গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর শহর কেন্দ্রীক একটি কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভুইয়া। কাজী মনিরকে দু’একটি কর্মসূচিতে দেখা গেলেও তাকে ছাড়াই বাকী কর্মসূচিগুলো পালন করেছে জেলা বিএনপি। রূপগঞ্জে কাজী মনিরের পক্ষে নেতাকর্মীরা থাকলেও দিপু ভুইয়ার এমপি নির্বাচন করার মত অবস্থান নেই।

অন্যদিকে তৈমূর সম্পর্কে নেতাকর্মীরা বলছেন- বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিজ জিম্মায় রূপগঞ্জের কয়েকশ মানুষকে বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়ে তিনি জেল খেটেছেন ২৬ মাস। সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। যে কারনে রূপগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকার হাটা শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সমাবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়। তৈমূর এখনও দাবি করেন আবারো কোন দায়িত্ব পেলে কয়েক হাজার মানুষকে তিনি চাকুরী দিবেন।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন একমাত্র তিনিই। ২০১১ সালের ৬ জুন তিনি শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আতিয়ার রহমানের লাঠির মার পিঠে নিয়েছেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে থেকে তাকে অপমানজনকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময়কার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামালউদ্দীন তৈমূর আলম খন্দকারের গলা চেপে ধরেন। তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরে টেনেহেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তৈমুর আলমের জিব্বাহ বের হয়ে আসলেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। ওসি কামাল উদ্দীনকে এএসপি পদে পদোন্নতি করা হয়েছে। তৈমূর আলম খন্দকার পুলিশি নির্যাতন, হামলা মারধর ও কারাভোগ করলেও রহস্যজনক কারনে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়াকে জেল খাটতে হয়নি এবং রাজপথে পুুলিশের মার খেতে হয়নি।

রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার একজন আমজনতার নেতা, মেহনতি, খেটে খাওয়া, দিন মজুরের নেতা।।তিনি পারবেন একমাত্র এ আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না এমন নেতাকে মানুষ ভোট দিবে না। যারা মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূৗ দিয়ে হাত মুছেন এমন নেতাকে সাধারণ মানুষ ভোট দিবে না।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- তৈমূর আলমের কাছে খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালকসহ সাধারণ মানুষের গুরুত্ব বেশি। তিনি রিক্সা চালক ভ্যান চালকদের নেতা ছিলেন। ছিলেন কাজের ভুয়াদের সহযোগীতায়। রয়েছেন বধির সংস্থার চেয়ারম্যান। কয়েক যুগ ধরে অন্ধ প্রতিবন্ধিদের জন্য কাজ করে আসছেন। লুঙ্গি পড়া খেটে মানুষকেও তৈমূর আলম খন্দকার তার গাড়িতে ডেকে তুলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ কিংবা রূপগঞ্জের কোন সাধারণ মানুষকে দেখলেও গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে তুলে নেন। কারো সাথে একবার কথা হলে কয়েক বছর পর দেখলেও তৈমূর নাম সহ চিনতে পারেন। গভীর রাতে ফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ করেন নিজে। এসব নিয়ে অনেক নেতা নাক ছিটকালেও তৈমূর কর্ণপাত করেন না।

রূপগঞ্জের খাদুন গ্রাামবাসীর পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা যখন মানুষের কৃষি জম দখলে নিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছিল তখন আন্দোলনে নামেন তৈমূর আলম। আর কেউ ছিল না। গ্রামবাসীর পক্ষে মামলার পরিচালনা সহ আন্দোলন করার দায়ে তিনি মামলার আসামীও হয়েছিলেন। তুবও ভুমিদস্যুদের সাথে কোন আপোষ করেননি। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বিচার বিশ্লেষন করে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়ার চেয়ে তৈমূর আলমকে এগিয়ে রাখছেন। এর ব্যতয় ঘটলে এ আসনটি বিএনপিকে হারানোর সম্ভাবনা।

বিএনপিকে পরাজিত করতে চায় গিয়াস! নো টেনশনে শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

যে দল বিএনপি নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন আগে আওয়ামীলীগ থেকে ডেকে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছিল সেই দলটির প্রতীকে ধানের শীষকে পরাজিত করতে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। সেই দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এমপি হয়ে নারায়ণগঞ্জে ছটা ঘুরিয়েছিলেন গিয়াসউদ্দীন। এখন সেই বিএনপি ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। যে কারনে নেতাকর্মীদের কাছে আবারো তার দল পল্টিবাজের ইতিহাস সামনে চলে আসে। কখনও জাতীয়পার্টি থেকে আওয়ামীলীগ, আবার আওয়ামীলীগ থেকে জাতীয়পার্টি ঘুরে এসে বিএনপিতে। এখন সেই বিএনপির প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে নির্বাচনে ঠায় দাড়িয়ে আছেন গিয়াস। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের বাহিরে ভোট দিবে না বলে নেতাকর্মীদের দাবি।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার নির্বাচন কমিশন গিয়াসউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হলে নির্বাচনে লড়াই করার কথা জানান। ফলে বিএনপিতে এখানে বিদ্রোহী থাকায় শামীম ওসমানের বেশ সুবিধার হচ্ছে। এছাড়াও এখানে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পত্র দাখিল করে পরবর্তীতে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ। এখানে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিএনপির ভোট ভাগ হবে এতে শামীম ওসমানের জন্য সুবিধার হবে।

সূত্রমতে, এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন গত ২ ডিসেম্বর বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

একই দিন রিটার্নিং অফিসার এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচনে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন। এ আসনে বিএনপির দুই মনোনিত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহআলম ও মামুন মাহামুদের মধ্যে একজনকে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি বিএনপি।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন একেএম শামীম ওসমান। এর আগের নির্বাচনে যখন শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন ছিল ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের চাচী চলচিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী এখানে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম।

এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা হাসনাত ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য কামাল উদ্দীন মৃধা। কিন্তু এখানে শামীম ওসমানকে এককভাবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা জোর দিয়েই বলেছেন, আমি নির্বাচনে থাকছি এটাই সত্য।’ তিনি ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়াকে দেয়া হলেও তার মনোনয়ন বাতিল করে শামীম ওসমানকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগ থেকে আসা গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করে আসা গিয়াসউদ্দীন শামীম ওসমানকেই পরাজিত করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান এই গিয়াসের ভয়েই। গিয়াসউদ্দীন ৯ম সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি।

এখানে ৯ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তিনিও কল্যাল পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিএনপিতে এসে মনোনয়ন পেলেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দীন ও শাহআলম দুজনের কেউই গত দশ বছরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। শাহআলমের নেতাকর্মীরা দাবি করেন শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার এবং গিয়াসের নেতাকর্মীরা দাবি করেন গিয়াস যখন এমপি ছিলেন তখন যা কামিয়েছেন তার সিংহভাগ হাওয়া ভবনে পাঠিয়েছিলেন। যে কারনে এইদুজনের কেউই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না। একটি মানববন্ধনেও ছিলেন না এই দুই নেতা।

তবে মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ একাধিকবার রাজপথে পুলিশের লাঠিপোটার শিকার হয়েছিলেন। বেশকবার তিনি মাসের পর মাস কারাভোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দিতে যান। এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও পারভেজ আহমেদ।

গত নির্বাচনের আগে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে বেশ প্রচারণায় ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান। মতিন প্রধান ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। সেন্টু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেননি। তিনি এখন শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, শামীম ওসমান উন্নয়ন করে জনগণের পীর হয়ে গেছেন।’ এ নির্বাচনেও সেন্টু মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

এ আসনে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা। তিনি মনোনয়ন দাখিল করলেও তার মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং অফিসার। তবে তিনি আপিল করেছেন। এখনও আপিলে তিনি সিদ্ধান্ত পাননি। তবে তিনিও নির্বাচনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন: আনোয়ার হোসেন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, ডিসি এসপিও নারী, সরকারি উচ্চপদস্থ স্থানে নারীরা আসন নিয়েছেন। তাই তারা কোন অংশে পুরুষদের চেয়ে কম নয়। তাই আজ নারীদের সম্মান করা উচিত। কিন্তু এক শ্রেণির লোক আছে যারা সমাজে নারীদের সম্মান করে না। নারীদের অবহেলার পাত্র হিসেবে দেখে।

তিনি আরও বলেন, একসময় নারীরা ছিল অবহেলার পাত্র। কিন্তু শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। নারী শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার ৫ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ গলাচিপা রোডের একটি রেস্তোরায় আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুণরায় আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা এডাব এর সভাপতি প্রদীপ কুমারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাডভোকেট হোসনেআরা বাবলী, পোলস্টার ক্লাব সভাপতি লোকমান আহম্মদে, আঞ্জুমান আরা আকসির, মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার, এডাবের পরিচালক একেএম জসিম উদ্দিন, এনজিও কর্মকর্তা আলেহা বেগম, এনজিও কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, ডাঃ জব্বার চিশতি, হাবিুবর রহমান কামাল, অ্যাডভোকেট সামছুনাহার বেগম ও আরিফ মিহির প্রমূখ।

হুমরা চোমরা একজন প্রার্থী হয়েছিলেন: এমপি সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকা প্রতীক দাবী করেছিলাম। আওয়ামীলীগ থেকেও ১০ থেকে ১২জন প্রার্থী হয়েছিলেন। যার মধ্যে আরজু ভূইয়া আমার ঘনিষ্ট বন্ধু এবং আরেকজন ছিলেন আমার ছোট ভাই। যদিও আমি এখনো তাকে সরাসরি কখনো দেখি নাই। আমার দল থেকেও হুমরা চোমরা একজন প্রার্থী হয়েছিলেন, শহর জুড়ে ব্যানার পোষ্টার লাগিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আওয়ামীলীগের যারা প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তারা সবাই আমাকে অত্যন্ত ভালবাসেন বিধায় নারায়ণগঞ্জে রিটার্নিং অফিসারের কাছে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। তাই মহাজোট থেকে আমি একাই আছি।
এখানে উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমানের এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন সেলিম ওসমানের ভাবি পারভীন ওসমান ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সদস্য জয়নাল আবেদীন।  এখানে মনোনয়ন পান সেলিম ওসমান।  তবে হুমরা চোমরা কাকে বলেছেন তার নাম উল্লেখ করেননি সেলিম ওসমান।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি পরিবার থেকে একমাত্র নারীরাই সব থেকে বেশি অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারেন বলে বিশ্বাস এমপি সেলিম ওসমানের। তাই তিনি প্রতিটি পরিবারের নারীদের দুটি কাজের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যার মধ্যে একটি হলো নিজেদের সন্তানদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে তাদেরকে সঠিক শিক্ষাদান এবং একটি বাড়ি একটি খামার বাস্তবায়নে প্রতিটি নারীকে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়া।
৫ নভেম্বর বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মালিবাগ এলাকায় অবস্থিত ক্যাসেল রিসোর্সের অভ্যন্তরে ধামগড় ইউনিয়ন এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে দোয়ার পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
শুরুতেই সেলিম ওসমান ধামগড় ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান আয়নাল হক এবং প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানকে স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং তাদের বেহেস্ত কামনা করেন।
ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ। উক্ত অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ এবং সংগঠনের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মী এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে আগামী নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করে তাঁকে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করার আশা প্রকাশ করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একজন পুরুষের সব থেকে ভাল বন্ধু হতে পারে তার নিজের পরিবার। পরিবার বলতে সে আপনার মা-বাবা, আপনার স্ত্রী, আপনার সন্তানেরা। পরিবারের সাথে যত ভাল বন্ধুত্ব রাখবেন আপনাদের সংসার এবং কর্মময় জীবন তত সুখের এবং সফলতা ভরপূর হবে। তাই প্রতিটি পুরুষের উচিত নিজের পরিবারের সাথেই সব থেকে ভাল বন্ধুত্ব করা।
প্রয়াত নাসিম ওসমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন এবং নারায়ণগঞ্জের ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ধামগড় এলাকায় আমার একজন মুরুব্বি ছিলেন। যিনি আমার বাবা আর বড় ভাইয়ের  সাথে কাজ করেছেন। উনি হলেন আমার আয়নাল চাচা। উনার জায়গায় এখন মাসুম চেয়ারম্যান হয়েছেন। আর আমার বড় ভাই প্রয়াত নাসিম ওসমানের স্থানে আমি এসেছি তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। বিগত সাড়ে ৪ বছর আমি রশিদ ভাই এবং জাহের মাধ্যমে আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে বন্দর এবং নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে গেছি। উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে আমি আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কোন দল দেখি নাই। আপনাদের প্রিয় নেতা প্রয়াত নাসিম ওসমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন গুলোর মধ্যে কিছু কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে, আর কিছু কাজ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দরকে নিয়ে সেলিম ওসমানেরও তো স্বপ্ন আছে। সেলিম ওসমানের স্বপ্নের কাজে এখনো শুরুই করা হয় নাই। আমি চাই সারা বাংলাদেশের মধ্যে এই বন্দর উপজেলা হবে সব থেকে বেশি অর্থনৈতিক শাক্তিশালী এবং উন্নত আধুনিক উপজেলা। এখান থেকেই সর্ব প্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবায়ন যাত্রা শুরু করবে। আগামীতে আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যাবো। আর সেখানে আপনাদের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সহযোগীতা আমার সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আগামীতে যদি আমি এমপি নাও হতে পারি তাহলে যিনি এমপি হবেন আমি আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে তাকে উন্নয়ন কাজে সহযোগীতা করে যাবো। যতদিন বেঁচে থাকবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।
সভাপতির বক্তব্যে ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ বলেন, এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তি বার বার জন্ম নেয় না। উনার মত একজন সংসদ সদস্যকে যদি আমরা হারাই তাহলে আমাদের মত র্দুভাগা আর কেউ হবে না। অন্যান্য জেলায় বসবাসকারী পরিচিত জনেরা যখন আমাকে আপসোস করে বলে যদি তারা আমাদের আসনে বাসিন্দা হতো তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতো। কারন সেলিম ওসামনের মত একজন মানুষ এই এলাকার এমপি। তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যায়। বিগত সাড়ে ৪ বছর এমপি সেলিম ওসমান আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমাদের সবার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনার উপর আস্থা রেখে উনাকে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী করেছেন। তাই আমরাও আগামী নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে উনার পক্ষে কাজ করে উনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল বিপুল ভোটে বিজয়ী করে উনাকে আবারো জাতীয় সংসদের পাঠাবো।
চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদের প্রতিশ্রুতিতে উপস্থিত সকলেই দুই হাত তুলে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহমান বাচ্চু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা, জেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন প্রমূখ।

বন্দরে কৃষকদের মাঝে মৌ চাষের বাক্স বিতরণ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল মসলা জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের আওতায় কৃষকদের মাঝে মৌ বাক্স বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে থানার বন্দর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস প্রাঙ্গণে এ বিতরনী সম্পন্ন হয়।
এ সময় প্রাথমিকভাবে ২৮টি মৌ চাষের বাক্স, সরিষার মাঠ ও বিভিন্ন ব্লকে আদর্শ বোরো বীজতলা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে মৌ বাক্স তুলে দেয়া হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মৌ বক্স বিতরণী উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী হাবিবুর রহমান।
বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মোস্তফা এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ফারহানা সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আবু সাঈদ তারেক, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদিন, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা হেদায়েতুল ইসলাম প্রমূখ।

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে চাচা ভাতিজা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তুমুল লড়াইয়ে রয়েছেন চাচা আতাউর রহমান আঙ্গুুর ও ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন। তবে হাল ছাড়ছেনা নজরুল ইসলাম আজাদ। শেষ পর্যন্ত কার হাতে ওঠবে ধানের শীষ প্রতীক তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিএনপির মনোনিত তিন প্রার্থীই একজনের নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা আনার চেষ্টায় ধর্ণা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। কেউ কেউ সেই তদবির ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন লন্ডনে থাকা তারেক জিয়ার কাছেও। তিনজন প্রার্থীই দাবি করেছেন তারা শতভাগ আশাবাদী। এদিকে এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী চূড়ান্ত নজরুল ইসলাম বাবু। বর্তমান এই এমপির সঙ্গে কার লড়াইয়ে কার হাতে বিএনপি তুলে দিবে ধানের শীষ প্রতীকটি তা দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, দুইটি পৌরসভা, দশটি ইউনিয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনটি গঠিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামীলীকের একক প্রার্থী নজরুল বাবুর বিপরীতে বিএনপির তিন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির সাবেক তিনবারের এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তবে সবচেয়ে বেশি আশা দেখছেন চাচা ও ভাতিজার মাঝেই। জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনেক আগেই হালকা হয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। তবে তিনি এখনও কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন- দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদেও মাঝে কোন্দল বিভক্তি রয়েছে। ওয়ান ইলিভেনের সময় আতাউর রহমান খান আঙ্গুর সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। যার ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। তার মৃত্যুর উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমনের হাতে। নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে সুমন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি ইতিমধ্যে নাশকতার মামলার আসামীও হয়েছেন। তার বাবা খসরুর বিএনপিতে ব্যাপক অবদানের কারনে সুমনকেই এগিয়ে রাখছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বন্দরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কোরআন শরীফ ছবক

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কানযুল উলূম আইডিয়াল মাদ্রাসার নার্সারী ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আমপাড়া ও কোরআন শরীফ ছবক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ৫ডিসেম্বর সকালে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ ছবক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিশু কিশোর শিল্পীগোষ্ঠী এবং নবডাক শিল্পীগোষ্ঠী।

কানযুল উলূম আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য আব্দুল কাইয়ূম দেওয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য মোঃ সেলিম রেজা। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বন্দরের আল-আমিন জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার মো.আমজাদ, প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাইখুল হাদিস আল্লামা জাফর আল-হোসাইনি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অভিভাবক সমস্য মো.ইউনুস। এতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মুফতি হাদিউজ্জামান।

নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন: সেলিম সারোয়ার সভাপতি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিল্পনগরী বিসিকে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের ২০১৮-২০ সনের নির্বাচনে মোঃ সেলিম সারোয়ারকে সভাপতি করে ২১ সদস্যের কমিটি নির্বাচিত করা হয়েছে। বুধবার (৫ডিসেম্বর) বিকেলে এসোসিয়েশনের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেম এসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে আনন্দঘন পরিবেশে এ কমিটি ঘোষণা করেন।

এদিকে ৬ বছর পর বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের নতুন কমিটির নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর সেলিম সারোয়ার প্যানেল মনোনয়নপত্র দাখিল করায় তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত কমিটির নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেম। কমিটি ঘোষণা করার পর পূর্বের কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাসার, সহ-সভাপতি রকিবুল হাসান রাব্বি, নিজাম মুন্সি, সহ-সভাপতি (অর্থ) মাহবুবু উল আনোয়ার, পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক আবুল, গোলাম মাওলা, জাহিদুল আলম, খায়রুল ইসলাম, জাকির হোসেন, আলী রেজা, মজিবুর রহমান, আকবর হোসেন, সাহারীয়া জুয়েল, এনামুল হাকিম, বশির আহমেদ, কোরাইশ মল্লিক, নূরুল ইসলাম, শ্রী নির্মুল চন্দ্র রায়, আবু জাকির হাওলাদার ও আবু সাঈদকে নির্বাচিত করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেম এসোসিয়েশনের মঙ্গল কামনা করে বলেন, শিল্প রক্ষা করতে সকল ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সংগঠনের সাবেক সভাপতি শামীম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সংগঠনের নতুন দায়িত্বকারীদের সর্বাধিকভাবে আমি সহযোগিতা করে যাবো এবং সকল ব্যবসায়ীরা যাতে সংগঠনকে গতিশীল করতে সহযোগিতা করেন সবার প্রতি আহবান করেন তিনি।

সংগঠনের নব-নির্বাচিত সভাপতি সেলিম সারোয়ার বলেন, সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো। এছাড়া নিটিং ব্যবসা যাতে আরো গতিশীল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

ফতুল্লা থানায় ১৯৯ মামলা, কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হালচিত্রে গত (অক্টোবর ও নভেম্বর) দুই মাসে বিভিন্ন ঘটনায় ১৯৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে ১৩৭টি। গত দুই মাসে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮শ ৫১টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এছাড়াও মোট ১২টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, অক্টোবর মাসের ৩১ দিনে মোট মামলা দায়ের করা হয়েছে ৯৬টি। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে৭টি। অক্টোবর মাসে হত্যা মামলা ২টি, দস্যুতা মামলা ১টি, নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা ২টি, শিশু নির্যাতন মামলা ৫টি, পুলিশ আক্রান্ত মামলা ১টি, অস্ত্র মামলা ২টি, চুরি মামলা ৩টি, মাদক মামলা ৫৮টি এবং মারামারির ঘটনায় বিভিন্ন ধারায় মামলা ২২টি দায়ের হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ অক্টোবর মাসে ৩৬ লক্ষ ৯০ হাজার ১ টাকার মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য হলো ইয়াবা ট্যাবলেট ২৬০৭ পিস, হেরোইন ২৯০ গ্রাম, গাঁজা ১ কেজি ৬শ গ্রাম। এই মাসে সিআর ওয়ারেন্ট তামিল হয়েছে ৩৪টি, জিআর ওয়ারেন্ট তামিল হয়েছে ৭২টি।

এ থানায় নভেম্বর মাসের ৩০ দিনে ফতুল্লা মডেল থানায় বিভিন্ন অপরাধে মোট মামলা দায়ের হয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে মাদক মামলা হয়েছে ৭৯টি। এই মাসে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ৫টি। এখানে হত্যা মামলা ১টি, পুলিশ আক্রান্ত মামলা ১টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা ১টি, নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা ৪টি, চুরি মামলা ৪টি এবং মারামারির ঘটনায় বিভিন্ন ধারায় মামলা ১৩টি। এই মাসে ৭৯লক্ষ ৮৬হাজার ৮শ ৫০টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যেও মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট ৪৭৬২ পিস, গাঁজা ৩ কেজি ৬শ ৫০ গ্রাম, হেরোইন ৬৫৪ গ্রাম। এই মাসে সিআর ওয়ারেন্ট তামিল ৩৮টি, জিআর ওয়ারেন্ট তামিল ১০৪টি। বর্তমান ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের আইনশ্খৃলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন।

রূপগঞ্জে ঘরে ঘরে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনায় তৈমূর আলম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে থেমে নেই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি নিয়মিত রূপগঞ্জে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পুলিশি বাধার পরেও তিনি নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছেন না। ধানের শীষের পক্ষে তিনি উঠান বৈঠক করে চলেছেন।

তৈমূর আলম জনগণের উদ্দেশ্যে বলছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আর ধানের শীষ নির্বাচিত হলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। তাহলে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পাবো। আজকে মানুষ কথা বলতে পারেনা। মানুষ কোথাও ঠাই পাচ্ছেনা। বিচারও পাচ্ছেনা। তাই এখনই সময় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের মানুুষকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা।

৫ ডিসেম্বর বুধবারও তিনি রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষ কামসাইর এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী, যুব সমাজ, ছাত্র সমাজ ও মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্টিত উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়াকে। ইতিমধ্যে গত রবিবার তাদের তিনজনেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৯ ডিসেম্মরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে বিএনপি। এক্ষেত্রে সবার আগে তৈমূর আলম খন্দকারের নাম রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ