সোনারগাঁয়ে নাটকীয়তার অপেক্ষায় মহাজোট প্রার্থী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সোনারগাঁয়ে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে। জাতীয়পার্টিতে হয়েছে নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। পুরো পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত প্রার্থীদের হিসেব নিকেশ। সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির মনোনিত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত আসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আশা দেখছেন স্বতন্ত্র মনোনয়ন দাখিল করা আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকেই মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। এতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে- মনোনয়ন দাখিলের পর প্রার্থীতা বৈধতা ঘোষণা হলে পরে আর দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কায়সার হাসনাতকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও তাকে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। আবার এখানে এমনটাও হতে পারে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন নিয়েই নির্বাচনে যাবেন এমপি খোকা। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট থেকে কোন ঘোষণা না আসলে নেতাকর্মীরা ধরে নিবেন এখানে প্রার্থীদের নির্বাচনের বিষয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এর সম্ভাবনার কারন হিসেবে বলা যায় এখনও জাতীয়পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য আওয়ামীলীগ থেকে কেন্দ্রীয় কোন নির্দেশনা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ পায়নি। যদি এমনটাই থেকে যায় তাহলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কায়সার হাসনাতের পক্ষেই ঝাপিয়ে পড়বেন। কারন যে কজন প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে ভোটের হিসেবে ও যোগ্যতায় কায়সার হাসনাতই রয়েছেন এগিয়ে।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনটি নিয়ে বেশ আলোচিত হয়ে আসছে। হয়তো আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নাটকীয় কিছু ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারন এখনও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে ঘোষণা করা হয়নি। ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতীয়পার্টির নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ৯ ডিসেম্বরের পরে মহাজোটের প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। কোন কোন আসনগুলো মহাজোটকে ছাড় দেয়া হয়েছে সেটা ওইদিন পরেই বলা যাবে।’ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লিয়াকত হোসেন খোকা ঘোষণা না নিয়ে আসতে পারলে ভোটের হিসেবে তিনি বেশ পিছিয়েই পড়বেন।

এ আসনে ভোটের হিসেবেও ঘটতে পারে নাটকীয়তা। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান ও খন্দকার আবু জাফর। কিন্তু আবু জাফর অনেকটা মান্নানের প্রার্থীতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেই তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। এখানে মনোনয়ন পাননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। জাফর মুলত রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠজন। বিএনপিতে তাদের রয়েছে ভোট ব্যাংক। তারা পুরোদমে মান্নানের পক্ষে কাজ না করলে এখানে মান্নানের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। রেজাউল করিম ও জাফর তাদের অনুসারিদের নিয়ে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী কাজে না থাকলে ধানের শীষের পরাজয় অনেকটা সম্ভাবী।

এক্ষেত্রে সুযোগ নিতে পারেন কায়সার হাসনাত। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। মৌসুমী ভোট টানবে নারী ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের একাংশের। এক্ষেত্রে এমপি খোকার ভোট মাইনাস হবে। যদিও গত রবিবার মোশারফ হোসেন ও মৌসুমীর মনোনয়ন বাতিল করা হলে তারা আপীল করেছেন। আপিলে বৈধতা পেলেই তারা নির্বাচনে নামতে পারবেন। আবার মোশারফ হোসেন শেষ মুহুর্তে হয়তো তার ভাতিজা কায়সার হাসনাতকে সমর্থন দিয়ে সরে যেতেও পারেন। এক্ষেত্রে কায়সার যাবে আরও এগিয়ে। কায়সার এমপি থাকাকালীন সময়ে তার দ্বারা মানুষের বড় ধরনের উপকার না হলেও ক্ষতি হয়নি। সোনারগাঁয়ে তার ক্লিন ইমেজ একজন সাদা মনের নেতা হিসেবেই তাকে চিনেন। যদিও আওয়ামীলীগের একটি অংশের সঙ্গে রয়েছে তার দূরত্ব। যদিও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না আসে সেক্ষেত্রে আওয়ামীগের প্রায় সবাই নামবেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে। তবে এমন হিসেবে নিকেষের মাঝে সুযোগ খুজছেন মৌসুমীও। এখানে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ও ভোটের হিসেব নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছেন বর্তমান এমপি। এখন দেখার বিষয় কি ঘটতে যাচ্ছে সোনারগাঁও আসনটি নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জে দুই মনোনয়ন শিকারির রাজনীতিতে বিদায়

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। যদিও রেজাউল করিম মুক্তিযোদ্ধা কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছিল বারবার। তিনি হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সব নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। মাঝের ২১ দিনের ক্ষমতার নির্বাচনেও তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে এসেই মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন গিয়াসউদ্দীন। এবার প্রবীন দুই রাজনীতিকের নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। কারন এ নির্বাচনের পরবর্তী নির্বাচনের ৫ বছরে তাদের আর সেই সুযোগ থাকছেনা। কারন সেটা বয়স ও বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। মুলত এই দুই নেতা ছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনীতিতে। যে কারনে তাদেরকে নেতাকর্মীরা বলেন মনোনয়ন শিকারি।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তৃনমূল থেকে ওঠে আসনে রেজাউল করিম। তিনি সোনারগাঁয়ে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হন। হয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি নিজেকে অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় দুটি বিষয় নিয়েই প্রশ্ন ওঠে বারবার। রেজাউল করিমের আমলে সবচেয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল ‘ওরা ১১ জন’। যাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল পুরো সোনারগাঁ। অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রও কম করেনি ওরা ১১ জন। রেজাউল করিম ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বেও। ১/১১ এর সময় রেজাউল করিম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংস্কারবাদীদের সঙ্গে যোগ দেন। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের কাছে ৮২ হাজার ভোটে পরাজিত হন।

তারপর থেকে রেজাউল করিম মাঠের রাজপথের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় আসলেই তিনি এলাকায় গণসংযোগ করতেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের বছর খানিক আগে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে সরব হন। ওই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। ওই নির্বাচনে শুধুমাত্র সোনারগাঁও নিয়ে এ আসনটি সংস্কার করা হয়। নির্বাচনের পর আবারো তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু এবার আর তার ভাগ্য ফলপ্রসু হয়নি। এ আসনে দুজনকে মনোনয়ন দেয়া হলেও রেজাউল করিমকে চিঠি দেয়া হয়নি। যদিও সোনারগাঁয়ে তার ভোট ব্যাংক রয়েছে একটি অংশ।

অন্যদিকে একইভাবে মনোনয়নের রাজনীতি করতে গিয়ে এবার মনোনয়ন পাননি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও ঋণের দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পান শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়া। ওই নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন আগে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপি যোগদান করেন গিয়াস। পরে সফল আলীর মনোনয়ন বাতিল করে বিএনপি মনোনয়ন দেয় গিয়াসউদ্দীনকে। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শামীম ওসমানকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন গিয়াসউদ্দীন। এর আগে শামীম ওসমানের কর্মী ছিলেন গিয়াস। ২০০৮ সালে কারাগারে থাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পান মুহাম্মদ শাহআলম। ওই নির্বাাচনে শুধুমাত্র ফতুল্লা নিয়ে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন।

ওই নির্বাচনের পর সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে শোডাউন করেন গিয়াস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ আবারো যুক্ত করা হয় ফতুল্লা নিয়ে। সোনারগাঁও থেকে তখন মুখ ঘুরিয়ে নেয় গিয়াস। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। সেই নির্বাচনের পর শুধুমাত্র তার নির্বাচন কেন্দ্রীক কর্মকান্ড ছাড়া দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন ভুমিকা ছিল না। এবার তিনি আবারো মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন মুহাম্মদ শাহআলম ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি। গিয়াসউদ্দীনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার যিনি সেই জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু গিয়াসের বলয়ের ত্যাগ করেছেন। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জে গিয়াসের অবস্থান নড়বড়ে। আর আবারো তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসাটা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। যে কারনে নেতাকর্মীরা তাকেও রাজনীতিতে বিদায় দেখছেন।

চোরাবালি — কবি মহুয়া বাবর

চোরাবালি
— কবি মহুয়া বাবর

দিনের আলো বালু পাহাড়ে গড়াগড়ি খায় যখন
সূর্য রশ্মির সোনালী আভায় বালুকণা কেমন
উজ্জ্বল আর চকচক করে তখন
মনে হয় যেন কোনো মরুর উদ্যান!

মনে পড়ে এই মরু পথেই উটের পিঠে চড়ে যুদ্ধে গেছে সহস্রাধিক দুর্দান্ত সৈনিক, পায়ে হেঁটে গেছে কতো কাফেলার দল
কিংবা প্রিয় নজরুলের অসংখ্য গানের অন্যতম
যা শুনে আজো আমরা মশগুল —
আয় মরুপারের হাওয়া, নিয়ে যা রে মদিনায়

যতদূর চোখ যায় যেনো প্রাচীন কোনো রূপসাগর
যেখানে মনি মুক্তা হীরা পান্না রত্নের অজস্র ভাণ্ডার
একটু স্পর্শ করলেই সব ঐশ্বর্য উছলে পড়বে হাতের মুঠোয়
এ যেনো এক অলৈকিক বাগান!

অথচ এই প্রান্তরে হারিয়ে গেছে কতো স্বপ্ন, কতো পথহারা পথিকের জীবন
হয়তো তার জন্য কেউ অপেক্ষায় ছিলো একদিন
সে কী তার স্বপ্নের স্মৃতি বয়ে বেড়াবে চিরদিন?

এই বালুকণা দেখার মতোই কখনো কখনো
আমরা স্বপ্ন দেখতে গিয়ে ভুল করে ফেলি

কেউ সারাজীবন এই ঘোরের মধ্যেই থেকে যায়
কেউ বা মরীচিকা জেনেও নিরাশার তরী বেয়ে যায়
তাই কারো কারো আর গন্তব্যে ফেরা হয় না
দিনের আলোয় দেখা স্বপ্নগুলো
রাতের চোরাবালিতে ঝরে গেলে আর ফেরা হয় না
অনিশ্চিত জেনেও বালুচরেই বেঁধে রাখে নিজের জীবন।

নারায়ণগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত: র‍্যাবকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৮) নিহত হয়েছেন। র‌্যাব অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় র‍্যাব-১১ কে অভিনন্দন শুভেচ্ছা মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জের বৃহতর দেওভোগ এলাকাবাসী।

৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে এই মিছিল করে দেওভোগ এলাকাবাসী। তারা দাবি করেন মাদক ব্যবসায়ী হাসান ছিলেন হৃদয় হোসেন বাবুর হত্যাকারী। ২ ডিসেম্বর রবিবার ভোরে শহরের আলামিন নগর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন হাসান।

নিহত হাসান শহরের দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে। হাসানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, তিনটি অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিশটি মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ছিলেন বলে র‌্যাব জানায়।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, শহরের আলামীননগর এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হাসান বিপুল পরিমান ইয়াবা নিয়ে আলামীননগর এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থান করছে, এই সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব রবিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় বিশ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর র‌্যাব বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসানকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় আলম ও আলামীূন নামের দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব চার রাউন্ড গুলির্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও দুই হাজার পাঁচশ’ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ মানেই ওসমান পরিবার: খোকন সাহা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ মানেই ওসমান পরিবার। অতীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল বিপদে আপদে সব সময় সবার আগে ওসমান পরিবারের সদস্যরাই এগিয়ে গিয়েছেন, আমাদের ছায়া দিয়ে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে রেখেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। ২০০১ সালের বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচারের কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। তাই বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপদে বসবাস করতে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই। আগামীতে যদি শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী না বানানো যায় তবে আমি খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জে কেন বাংলাদেশে থাকতে পারবো কিনা জানি না, জীবিত থাকতে পারবো কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। আর যদি আপনারা মনে করেন যে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে বিপদ সব খোকন সাহার উপর দিয়ে যাবে। তাহলে আপনারা ভুল করবেন। আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশে হিন্দুরা থাকতে পারবে কিনা সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে শেখ হাসিনা মনোনীত মহাজোটের প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো জয়ী করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই।

একই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জে অতীতে যেভাবে ওসমান পরিবারে সদস্যরা একে একে খান সাহেব ওসমান আলী, একেএম শামসুজ্জোহা, নাসিম ওসমান ও শামীম ওসমান সহ তিনি নিজে যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও ওসমান পরিবারের সকল সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখে দু:খে সব সময় পাশে থাকবেন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমান তথা ওসমান পরিবারের উপর আস্থা রাখতে চান নারায়ণগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়। আসন্ন নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতভাগ ভোট দিয়ে তাঁরা এমপি সেলিম ওসমানকেই পুনরায় নির্বাচিত করতে চান।

সোমবার ৩ নভেম্বর রাত ৮টায় চাষাঢ়াও অবস্থিত হীরামহলে এমপি সেলিম ওসমানের সাথে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদ সহ নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার নারী পুরুষের সাথে মত বিনিময় করেন।

উক্ত মত বিনিময় সভায় বক্তারা বাংলাদেশে বিগত সময় গুলোতে বিশেষ করে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক জুলুম নির্যাতন ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন। তারা কোন অবস্থাতেই এমন ভয়ানক আর বিভীষিকাময় অতীত স্মৃতির পুণরাবৃত্তি বা সম্মুখীন হতে চান না।

বক্তারা সেই সাথে বিগত সময় গুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নেমে আসা সাম্প্রদায়িক সংকটময় পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পর্যায়ক্রমে মরহুম খান সাহেব ওসমান আলী, মরহুম এ.কে.এম শামসুজ্জোহা, প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান, বর্তমানে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের সাহসিক ও প্রশংসনীয় ভূমিকা এবং তাদের বিপদ থেকে রক্ষার করার মত বিষয় গুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসবে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে গত ৪ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকার অনুদান, লাঙ্গলবন্দে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রশংসনীয় পদক্ষেপ এবং পরবর্তীতে লাঙ্গলবন্দের ব্যাপক উন্নয়ন এবং হাজার কোটি টাকা বাজেটে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন, বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়নে কোটি টাকার আর্থিক অনুদান, বন্দরের ধামগড়ে বেদখল হয়ে যাওয়া শ্মশানের জমি উদ্ধার, বেশ কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের দীর্ঘদিন জবর দখল হয়ে থাকা বসত ভিটা উদ্ধার করে দেওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তার সহযোগীতা ও সহমর্মিতার বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ শতকার ৯৫ ভাগ আওয়ামীলীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের দৃশ্য একটু ভিন্ন। এখানে আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টি, নৌকা অথবা লাঙ্গল মার্কা আলাদা কোন বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি সেলিম ওসমানকে মনোনীত করেছেন। তাই আমরাও মার্কা কি সেটা বুঝিনা আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শতভাগ ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি কমান্ডার গোপি নাথ দাস, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল, বিশিষ্ট হিন্দু নেতা প্রবীর কুমার সাহা, অমল কুমার পোদ্দার, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শংকর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার সাহা, মহানগরের সভাপতি দিপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার, রিপন ভাওয়াল, দিলীপ কুমার মন্ডল সহ সহস্রাধিক হিন্দু নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চান সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান মহাজোটের এমপি সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি হিসেবে দেখতে চান নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু।

সোমবার ৩ নভেম্বর বিকেলে চাষাঢ়া হীরা মহলে এক সভায় তিনি উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই অনুষ্ঠানে বিএনপির শহর কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টুও সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করার ঘোষণা দেন।  তারা দুজনই সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর।

এর আগের দিন বন্দরের কাউন্সিলরদের নিয়ে সেলিম ওসমানের অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার ঘোষণা দের মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, কাউন্সিরর এনায়েত হোসেন, কাউন্সিলর সামসুজ্জামান। তারা বিএনপির সমর্থনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। গত ২৬ জুন সেলিম ওসমাকে সংবর্ধধনা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনকের ছবি সম্বলিত ব্যানারে মিছিল করে জনসভায় যোগদান করেছিলেন।

এদিকে সোমবার সেলিম ওসমানের সভায় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেছেন, দল যার যার সেলিম ওসমান সবার। আমি বিএনপি একটি দলের রাজনীতি করি। ওই দলের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক। তারপরেও আমি উনার জন্য এসেছি। সর্ব প্রথম ২০০৩ সালে উনার কাছে গিয়েছিলাম। উনি আমাকে প্রশ্ন করে ছিলেন তুই ভাল হবি কিনা? আমি বলেছিলাম ভাল হয়ে যাবো। এরপর আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ৩বার এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। আমার ওয়ার্ডে তিনি নিজ তহবিল থেকে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন করেছেন। যেখানে সুপেয় বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, রাস্তায় এলইডি লাইট, ওয়াইফাই জোনে, এলাকার নিরাপত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, ৪টি মসজিদের উন্নয়নে অর্থায়ন করেছেন। যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে তাকেই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে না পারলে ক্ষতি আমাদেরই হবে।

এর আগে সেলিম ওসমান বলেন, যেদিন থেকে ফজর নামাজের সময় জুম্মা নামাজের মত মসজিদ পরিপূর্ণ হবে সেদিন থেকে নারায়ণগঞ্জে কোন অশান্তি থাকবে না। নারায়ণগঞ্জ হবে শান্তিময় শহর। আর এ শহরের উন্নয়ন হবে সব থেকে বেশি।

তিনি আরো বলেন, বন্দর থানায় সিটি কপোরেশনের সকল কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় করেছি। আজকে শহরে কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসেন এসেছে। মাত্র ২জন কাউন্সিলর আসেননি। যার মধ্যে একজন মনোনয়ন জমা দিয়ে ছিলেন কিন্তু বাতিল হয়েছে। আরেকজন হচ্ছেন কাউন্সিলর অসিত বরুন বিশ্বাস। আশা করি ভবিষ্যতে উনারা দুজনেও আসবেন। প্রত্যেক জন কাউন্সিলের মাথায় নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। সবার সাথে পৃথক ভাবে আলোচনা করে সবার পরিকল্পনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে যাবো দেখবো উনি কিভাবে কাজ না করে পারে।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাদের পরিবারের দু:সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে সেলিম ওসমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের পরিবারকে নি:স্ব করে দেওয়া হয়। বাবা জেলে, বড় ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ঘর ছাড়া। আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। মাত্র ৩৭ হাজার টাকার জন্য আমাদের পৈত্রিক বাড়ি হীরা মহল নিলামে তোলা হয়। বাড়িটি মুক্ত করতে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন শফি হোসেন খাঁন, এরপর আসেন আমার আলী আহম্মদ চুনকা চাচা। উনি ইচ্ছে করলে একাই ওই টাকাটা দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু উনি বলেছেন নারায়ণগঞ্জের সবাই মিলে আমরা এটা শোধ করবো। দেওভোগ এলাকার আমিনুল চাচা রাতের অন্ধকারে আমাদের বাসার সামনে চালের বস্তা ফেল যেত। যেটি তখন আমাদের খুবই উপকারে এসেছে। এমন কষ্টের সময় আমাদের পরিবারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু অতীতে কষ্ট নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অতীতের কষ্ট দূরে ঠেলে নতুন দিনে সম্ভাবনায় সকলে মিলে কাজ করে যেতে হবে।

সভায় জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে একই স্থানে সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন এমপি সেলিম ওসমান। সভায় হিন্দু নেতৃবৃন্দরা আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন। নৌকা লাঙ্গল বুঝিনা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী দিবেন আমরা সবাই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

ফতুল্লায় শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করে ফকির নীটওয়্যার নামের একটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দাবি না মেনে গার্মেন্টসের ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা প্রথমে গার্মেন্টস ভাংচুর করে এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে পুলিশ এসে বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বেপরোয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকরা। পুলিশও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও শ্রমিকদের ইটের আঘাতে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা (ওসি), পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে ফকির নীটওয়্যারের মালিক পক্ষের উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল। আজ শ্রমিকদের দাবি না মেনে তাদেরকে ছুটি প্রদান করায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্দ হয়ে গার্মেন্টস ভাংচুর করে ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এতে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে।

রূপগঞ্জে তৈমূর আলমের ওঠান বৈঠকে পুলিশি বাধা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ওঠান বৈঠকে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ৩ ডিসেম্বর সকালে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকারের ওঠান বৈঠকে বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশি বাধার পরেও তৈমূর আলম খন্দকার তার ওঠান বৈঠক চালিয়ে যান। তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এবং তার বিকল্প প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। বাতিলের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন রয়েছেন। তবে ৫টি আসনের বর্তমান ৫ এমপির কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি।

২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে বৈধ প্রার্থী ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। এ সময় জেলা নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামীলীগ বাঁচাতে লড়ছেন কায়সার হাসনাত

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। তবে আওয়ামীলীগ নেতারা আশা দেখছেন এ আসনে ৯ ডিসেম্বরের আগে নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাতকে ঘোষণা করা হোক। তবে নির্বাচন কমিশন বলছেন মনোনয়ন দাখিলের পর প্রতীক জমা দেয়ার সুযোগ নেই কোন প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে কায়সার হাসনাতকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তাকে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

কিন্তু নেতাকর্মীরা প্রাণের দাবি নিয়ে বলছেন, এ আসনে এখনো নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামীলীগ। চূড়ান্ত হয়নি মহাজোটের প্রার্থীও। নৌকার প্রার্থী না দেয়ার কারনে নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে থাকছেন জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাই। কিন্তু হাল ছাড়ছেন না আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এখনো তিনি দাবি করছেন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের প্রাণের দাবি এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়া হোক। সেটা কায়সার হাসনাত গত বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নৌকার দাবির শ্লোগানে আর্তনাতই প্রমান করেছেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, এখানে নৌকার দাবিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকলেও অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন ওইসব মনোনয়ন শিকারি নেতারা। অনেকেই মনোনয়ন দাবি করেছিলেন যাদের মধ্যে গণভবনের সামনে যাওয়ার মত পজিশন নেই অনেকের। এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ বাঁচাতে নৌকার জন্য একাই লড়াই করছেন কায়সার হাসনাত। বাকিরা উধাও।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ ওইসব আনাড়ি মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নৌকার দাবিতে মনোনয়ন জমা দেয়ার কারনেই এখানে নৌকার প্রার্থী নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জামানত হারাবেন তারাও মনোনয়ন কিনেছেন। যে কারনে নেত্রীর কাছে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ আরও হালকা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে কায়সার হাসনাত কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। গণহারে নৌকার দাবিতে মনোনয়ন কেনার হরিলুটের কারনেই এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, যেখানে অস্বাভাবিক মনোনয়ন প্রত্যাশি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে সেখানে বুঝতে হবে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে পারেননি।

মনোনয়ন জমার দিন কায়সার হাসনাত বলেছিলেন, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের এই যে হাজার হাজার নেতাকর্মী দেখছেন নৌকার দাবিতে জড়ো হয়েছেন। তাদেরকে গেল পাঁচটি বছর একটি আশা একটি স্বপ্ন দেখিয়ে রেখেছিলাম। এখন তাদের অস্তিত্ব, ভালোবাসা ও তাদের স্বপ্নের ঠিকানা আওয়ামীলীগকে সোনারগাঁয়ে বাঁচিয়ে রাখতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে আমাকে বাধ্য করেছে নেতাকর্মীরা।

তবে এর আগে কায়সার হাসনাত বলেছেন, আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে আসছি। কেন্দ্র থেকে আমাকে বলা হয়েছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে। এখনও এখানে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াটা দলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বিশাল জনগোষ্ঠির সমর্থন ও কর্মীদের দলের ভিতর ধরে রাখতেই বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। রবিবার তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুুহাম্মদ এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। নৌকা প্রতীকে এখান থেকে ১০ জন নেতা মনোনয়ন চাইলেও এখনও নৌকার জন্য লড়ছেন কায়সার হাসনাত।

এদিকে রবিবার নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, বিএনএফ প্রার্থী শাহাব উদ্দীন হোসেন ভুইয়া ও গণফোরামের প্রার্থী সিরাজুল হকের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সোনারগাও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলে এখানে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

হিরো আলমের মনোনয়ন পত্র বাতিল

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওচিত্র তৈরি করে আলোচিত হিরো আলম ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে এমপি হতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। তবে হিরো আলম ভোটারদের স্বাক্ষর-সম্বলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন তা যাচাই করা দেখা গেছে, তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন।

 

জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ