সিদ্ধিরগঞ্জের ১০নং ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী মান্নানের ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা ও লিফলেট বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে এক সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ১০নং ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগের লক্ষ্যে হিন্দুসম্প্রদায়ের নারী পুরুষের সঙ্গে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ১০নং ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য আরমান হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, থানা বিএনপির সাবেক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বাদল, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকে রাকিবুর রহমান সাগর, মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দীন মাহামুদ ফয়সাল, পুজা উৎযাপন পরিষদের নেতা দুলাল চন্দ্র দাস।

এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিপন সরকার, সদস্য সচিব রেদোয়ান রহমান পাপ্পু, মহানগর যুবদলের সাবেক বাদশা খান, আশিকুর রহমান অনি, মাকসুদুর রহমান শাকিল, এডভোকেট শাহিন খান, মহানগর মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক দিপালী আক্তার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ হুমায়ুন কবির, নুরুল ইসলাম, থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ খান, যুবদল নেতা আরাফাত রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মানিক মণ্ডল সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

সমাবেশ শেষে ১০নং ওয়ার্ডের সর্বসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

আমি এমপি হলে সিদ্ধিরগঞ্জে হাসপাতাল হবে: মান্নান

সান নারায়ণগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে এক সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, আমি সোনারগাঁও সিদ্ধিরগঞ্জবাসী আপনাদের ভোটে এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি হাসপাতাল করে দিবো। সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, জমি দখলবাজি চলবে না। সিদ্ধিরগঞ্জ হবে শান্তিপূর্ণ নিরাপদ এলাকা।

তিনি হিন্দুসম্প্রদায়কে বলেন, আপনারা এ দেশের সংখ্যালঘু নন। আপনাদের জন্মসনদ আছে, আইডি কার্ড আছে, আপনারা এ দেশের নাগরিক। সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো হিন্দুসম্প্রদায়ের জমি কেউ দখল করতে পারবেনা।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ১০নং ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগের লক্ষ্যে হিন্দুসম্প্রদায়ের নারী পুরুষের সঙ্গে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ১০নং ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য আরমান হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, থানা বিএনপির সাবেক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বাদল, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকে রাকিবুর রহমান সাগর, মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দীন মাহামুদ ফয়সাল, পুজা উৎযাপন পরিষদের নেতা দুলাল চন্দ্র দাস।

এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিপন সরকার, সদস্য সচিব রেদোয়ান রহমান পাপ্পু, মহানগর যুবদলের সাবেক বাদশা খান, আশিকুর রহমান অনি, মাকসুদুর রহমান শাকিল, এডভোকেট শাহিন খান, মহানগর মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক দিপালী আক্তার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ হুমায়ুন কবির, নুরুল ইসলাম, থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ খান, যুবদল নেতা আরাফাত রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মানিক মণ্ডল সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

সমাবেশ শেষে ১০নং ওয়ার্ডের সর্বসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

আওয়ামীলীগের লকডাউনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আইনজীবীদের মিছিল

সান নারায়ণগঞ্জ

পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের ডাকা লকডাউনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি পন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামন থেকে কয়েকশ আইনজীবীদের নিয়ে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে সমিতির ভবনের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী ফোরামের জেলা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করে দিয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ এখন কার্যত নিষিদ্ধ একটি দলে পরিণত হয়েছে এবং তারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কায় বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে খুন, গুম ও নির্যাতন করেছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে বিদেশে পালিয়েছে। শেখ হাসিনা আইন ও বিচারের ভয়েই দেশ ছেড়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ আশা করেছিল শেখ হাসিনা আত্মসমর্পণ করে বিচারের মুখোমুখি হবেন, কিন্তু জুলাই বিপ্লবে দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও তিনি সহিংসতার পথেই হাঁটছেন।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ এখনো আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে বিপদে ফেলতে চায়, কিন্তু দেশের সচেতন জনগণ তাদের সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।”

২০১৮ সালের প্রাথমিক মনোনিত প্রার্থী খোরশেদকে নিয়ে মাসুদের প্রচারণা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের মাসদাইর বাজার এলাকায় এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দেন- “খোরশেদ-মাসুদ দুই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই।”

এর আগে দুপুরে মাসুদুজ্জামান নেতাকর্মীদের সঙ্গে খোরশেদের বাসভবনে যান এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে তাঁকে মিষ্টি খাইয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন খোরশেদ।

সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমরা যারা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, তাদের মধ্যে খোরশেদ দলের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। ২০১৮ সালেও তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। এইবারও তিনি সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। আমি দেশে ফেরার পর যারা মনোনয়ন পাননি, তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছি। খোরশেদের মতো নিবেদিত নেতারা দলের ঐক্যের প্রতীক।”

তিনি আরও বলেন, “খোরশেদ শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিকভাবেও একজন অনুকরণীয় ব্যক্তি। করোনাকালীন সময়ে তাঁর মানবিক ভূমিকা নারায়ণগঞ্জবাসী মনে রেখেছে। আমি আশা করি, এবারও তিনি আমার পাশে থেকে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করবেন।”

খোরশেদ বলেন, “দল যেহেতু মাসুদ ভাইকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা তার পাশেই আছি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন— ধানের শীষ জিতলে বিএনপি জিতবে। তাই আজ থেকে আমরা দুই ভাই একসঙ্গে কাজ শুরু করলাম।”

সাক্ষাৎ শেষে খোরশেদ ও মাসুদুজ্জামান একসঙ্গে মাসদাইর এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান ও লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মডেল গ্রুপের পরিচালক শামীম আহমেদ, সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক মনির হোসেন সরদার, মহানগর বিএনপির সদস্য এডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তারেক রহমানকে আঙ্গুর: একটা কথা মনে রাখবেন আমরা কিন্তু নির্বাচন করবো!

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চূড়ান্ত নিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক ৪বারের এমপি এএম আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। তবে তিনি মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করার হুমকিও দিয়েছেন।

তিনি তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বিএনপির অফিসে আমাদের ডেকে বলেছেন, আপনারা দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করেছেন এবার আপনাদের দূরদশা কষ্ট দূর হবে যদি আপনারা একত্রে থাকেন। নমিনেশন তাদের দিবেনা যারা চাঁদাবাজ ইত্যাদি ইত্যাদি করেছেন। সুন্দর কথা বলেছেন, এটা শুনে আমরা ঘরে চলে আসছি। কিন্তু পরবর্তীতে শুনলাম একটি তালিকা দেয়া হয়েছে, এই তালিকা অনেকেই গ্রহণ করেন নাই। আমরা আড়াইহাজারবাসী গ্রহণ করি নাই, আমরা আপনার কাছে আবেদন করেছি নিবেদন করেছি পূণরায় বিবেচনা করার জন্য। আপনি আমাদের আবেদন বিবেচনা করবেন।

আঙ্গুর বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন আমরা কিন্তু নির্বাচন করবো ইনশাল্লাহ। আমরা নির্বাচনে আছি নির্বাচন করবো, আপনি সঠিক মনোনয়ন প্রত্যাশীকে নমিনেশন দিবেন আমরা আশা করি।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এক মঞ্চে ওঠেছেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের বিএনপির তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি সংস্কারবাদী নেতা এএম আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার।

১০ নভেম্বর সোমবার আড়াইহাজারের বিএনপির কার্যালয়ের নিকট বৃহৎ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান সুমন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার।

এসময় উপস্থিত এই বিএনপির এই তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী ঐক্যবদ্ধ ভাবে আগামীতে আড়াইহাজারে বিএনপি রাজনীতি করবেন বলে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, আমি এতটুকুই বলতে চাই মনোনয়ন মনোনয়ন যা শুনছেন এটাত প্রাথমিক চূড়ান্তের কাছেও পৌছায় নাই। নির্বাচনের ডেট হয় নাই, তফসিল হয় নাই, আমাদের যেই নমিনেশন ফরম সেই ফরম ছাপা হয় নাই, ফরম বিক্রি হয় নাই। এটা একটা লিস্ট আরও বাড়তে পারে কমতে পারে কিন্তু নমিনেশন দেয়া হয় নাই। নমিনেশন হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা সেটা বিশ্বাস করি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে পারভীন আক্তার বলেন, আপনারা জানেন দীর্ঘ ১৮টি বছর আমরা নির্যাতিত হয়েছি, আমাদের নামে অগণিত মামলা হয়েছে, আপনারা কেউ এলাকায় থাকতে পারেন নাই, ঘরে থাকতে পারেন নাই, প্রতিদিন কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েছে, আদালত পাড়ার ঘুড়তে হয়েছে। আজকে আমাদের সময় এসেছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, ভোট অধিকার ফিরিয়ে আনার ,যে যার যার ভোট দিন এবং ধানের শীষে ভোট দিবেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের মধ্যে যে বিভাজন ছিল এখন আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন নাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি ঐক্যবদ্ধ থাকব শেষ পর্যন্ত মাঠে আছি আমরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। আপনারা জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে প্রশাসনের কি অবস্থা ছিল। তাই আমার দল যদি সরকার গঠন করতে পারে কোন অপরাধী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা ছাড় পাবে না। অপরাধীরা কোন ভাবেই থানায় গিয়ে জোড় জুলুম করতে পারবে না। আপনারা কিন্তু সর্বসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবেন শেষ পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবেন। আমরা কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে নারায়ণগঞ্জ-২ আসন তারেক রহমানকে বিপুল ভোটে জয়ী করে উপহার দিব।

আওয়ামীলীগ লকডাউনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে: টিটু

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, জনসাধারণের আন্দোলনের তোপের মুখে সৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেও আওয়ামী লীগের দোসররা কিন্তু দেশের মধ্যে গাপটি মেরে রয়েছে। তারা কিন্তু দেশের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। যারা পালিয়ে গেছে তারা আবার দেশে লকডাউন দিয়েছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে আওয়ামী লীগের লোকজন রাস্তায় নামতে না পারে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় আমাদের পাহাড়া দিতে হবে, যেখানে আওয়ামীলীগের দোসরদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে দিবেন। আর আওয়ামী লীগের লোকজন যাতে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

১২ নভেম্বর বুধবার বিকেলে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন শাসনগাও এলাকায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ সহ ধানের পক্ষে গণসংযোগ কালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নিবর্বাচনের যে রুপ রেখা দিয়েছেন একটি কুচক্রীমহল নির্বাচন বানচাল করতে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আজকে যদি বর্তমান সরকার নির্বাচনের করতে না পারেন তাহলে এই দেশের মানুষের ভাগ্য অনেক খারাপের দিকে যাবে। তাই আমাদের অধিকার আমাদেরকে আদায় করে নিতে হবে।

শহিদুল ইসলাম টিটু আরো বলেন, আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন এই দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, এই দেশের গণতন্ত্র অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ৩১ দফা আপনারা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন ইনশাআল্লাহ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম মাহমুদুল হক আলমগীর, সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী, সহসভাপতি আমিনুল হাসান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রধান, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, এনায়েতনগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান মানিক, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্কাস আলী, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রধান, বিএনপি নেতা আহম্মেদ হোসেন খোকা সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আড়াইহাজারে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নবঞ্চিত তিন নেতার জোট!

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এক মঞ্চে ওঠেছেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের বিএনপির তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি সংস্কারবাদী নেতা এএম আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার।

১০ নভেম্বর সোমবার আড়াইহাজারের বিএনপির কার্যালয়ের নিকট বৃহৎ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান সুমন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার।

এসময় উপস্থিত এই বিএনপির এই তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী ঐক্যবদ্ধ ভাবে আগামীতে আড়াইহাজারে বিএনপি রাজনীতি করবেন বলে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর বলেন, বিএনপির অফিসে আমাদের ডেকে বলেছেন, আপনারা দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করেছেন এবার আপনাদের দূরদশা কষ্ট দূর হবে যদি আপনারা একত্রে থাকেন। নমিনেশন তাদের দিবে না যারা চাঁদাবাজ ইত্যাদি ইত্যাদি করেছেন। সুন্দর কথা বলেছেন, এটা শুনে আমরা ঘরে চলে আসছি। কিন্তু পরবর্তীতে শুনলাম একটি তালিকা দেয়া হয়েছে, এই তালিকা অনেকেই গ্রহণ করেন নাই। আমরা আড়াইহাজারবাসী গ্রহণ করি নাই, আমরা আপনার কাছে আবেদন করেছি নিবেদন করেছি পূণরায় বিবেচনা করার জন্য। আপনি আমাদের আবেদন বিবেচনা করবেন। একটা কথা মনে রাখবেন আমরা কিন্তু নির্বাচন করব ইনশাল্লাহ। আমরা নির্বাচনে আছি নির্বাচন করব, আপনারা সঠিক মনোনয়ন প্রত্যাশীকে নমিনেশন দিবেন আমরা আশা করি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, আমি এতটুকুই বলতে চাই মনোনয়ন মনোনয়ন যা শুনছেন এটাত প্রাথমিক চূড়ান্তের কাছেও পৌছায় নাই। নির্বাচনের ডেট হয় নাই, তফসিল হয় নাই, আমাদের যেই নমিনেশন ফরম সেই ফরম ছাপা হয় নাই, ফরম বিক্রি হয় নাই। এটা একটা লিস্ট আরও বাড়তে পারে কমতে পারে কিন্তু নমিনেশন দেয়া হয় নাই। নমিনেশন হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা সেটা বিশ্বাস করি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে পারভীন আক্তার বলেন, আপনারা জানেন দীর্ঘ ১৮টি বছর আমরা নির্যাতিত হয়েছি, আমাদের নামে অগণিত মামলা হয়েছে, আপনারা কেউ এলাকায় থাকতে পারেন নাই, ঘরে থাকতে পারেন নাই, প্রতিদিন কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েছে, আদালত পাড়ার ঘুড়তে হয়েছে। আজকে আমাদের সময় এসেছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, ভোট অধিকার ফিরিয়ে আনার ,যে যার যার ভোট দিন এবং ধানের শীষে ভোট দিবেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের মধ্যে যে বিভাজন ছিল এখন আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন নাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি ঐক্যবদ্ধ থাকব শেষ পর্যন্ত মাঠে আছি আমরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। আপনারা জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে প্রশাসনের কি অবস্থা ছিল। তাই আমার দল যদি সরকার গঠন করতে পারে কোন অপরাধী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা ছাড় পাবে না। অপরাধীরা কোন ভাবেই থানায় গিয়ে জোড় জুলুম করতে পারবে না। আপনারা কিন্তু সর্বসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবেন শেষ পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবেন। আমরা কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে নারায়ণগঞ্জ-২ আসন তারেক রহমানকে বিপুল ভোটে জয়ী করে উপহার দিব।

নাশকতার অভিযোগে আড়াইহাজারে মহিলালীগ নেত্রীসহ ৮জন গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লক ডাউনে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির অভিযোগে মহিলা লীগ নেত্রীসহ ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ভোর চারটার দিকে উপজেলা বড় দিঘীরপাড় এলাকা থেকে পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট মাস্ক, তিনটি টায়ার, দুই বোতল পেট্রোল, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষসহ লাঠি শোঠা জব্দ করে।

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নরসিংদী মাধবদী থানার কাঠালিয়া ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি বীনা আক্তার (৫৬), নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম (২০), আপন মিয়া (১৯), অনিক রহমান (১৯), নিলয় হোসেন (১৯), ইয়ামিন ইসলাম (২০), সালমান রহমান (১৯), কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রদল সভাপতি নাজমুল হোসেন (১৯)।

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন স্থানীয় গণমাধ্যমে জানান, এ ব্যাপারে ১২ নভেম্বর বুধবার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়নের মারুয়াদি এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে সানাউল্লাহ বাদী হয়ে ৮ জনকে নামীয় ও ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সোনারগাঁয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

সান নারায়ণগঞ্জ

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ নভেম্বর বুধবার বিকেল ৪টায় সম্মিলিত খতমে নবুয়ত পরিষদ সোনারগাঁ শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক হাবিবপুর ঈদগা ময়দানে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সম্মিলিত খতমে নবুয়ত পরিষদ সোনারগাঁ শাখার সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে সোনারগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শীর্ষ আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন-মাওলানা জহিরুল ইসলাম ফারুকী, মুফতি সাইদুর রহমান, মাওলানা আব্দুদ দাইয়ান, মাওলানা রুহুল আমিন কাসেমী, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ, মুফতি মিজান, মুফতি শিহাব, মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ মুহিব, মাওলানা ফজলুর রহমান কাসেমী, হাফেজ মুজিবুর রহমান খান, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা মাহবুব, মুফতি আনিসুর রহমান, মুফতি মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, হাফেজ মাসুদুর রহমান, মাওলানা জামিল, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মাওলানা মাহফুজুর রহমান খান, মাওলানা ইয়াসিন খান ও মুফতি সাব্বির আহমেদ খান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ঐতিহাসিক হাবিবপুর ঈদগা ময়দান থেকে বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় হাজারো মুসল্লি “কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে” শ্লোগান দিতে থাকেন। পরিশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মহিউদ্দিন খান বলেন, “আমাদের একটাই দাবি- কাদিয়ানিরা কাফের। বর্তমান সরকার যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামের প্রতি অনুগত ও শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়, তাহলে নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পক্ষে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করবে।

তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের দাবি আদায় না হয়, তাহলে বাংলার মুসলমান ঘরে ফিরবে না। প্রয়োজনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।”

বক্তারা আগামী ১৫ নভেম্বর সকাল ৭টায় সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদের সামনে থেকে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে যোগ দিতে সোনারগাঁবাসীসহ সকল মুসলমানকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান।

 

আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, আহত ১৫

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় দেশিয় ধারালো অস্ত্রসহ ককটেল বিস্ফোরন ঘটানো হয়। এতে নারী সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের জের ধরে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ আলম ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার রাতে কাকাইলমোড়া এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ আলম অনুসারীরার ঢাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার অনুসারী উপজেলা ওলামা দলের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকদের সাথে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এর জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দা, বটি, টেটা, বল্লমসহ নানা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষের সময় পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে তিনটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটে। দুইটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংঘর্ষে আছমা আক্তার (৪৭), গিয়াসউদ্দিন মিয়া (৪২) হাবিবুল্লাহ মিয়া (৫৫), পিয়ারিম (৪০), কামাল হোসেন (৩৪)সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আছমা আক্তার (৪৭), গিয়াসউদ্দি মিয়া (৪২) হাবিবুল্লাহ মিয়া (৫৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হাবিবুল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনরা জানান। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের হামলাকারী বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এদের মধ্যে কাকইলমোড়া এলাকার রতন মোল্লার মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ লুটপাট করে। রতন মোল্লা দাবী করেন তার দোকান থেকে হামলাকারীরা প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।

ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঢাকা যাওয়ার পথে এলাকায় জয় বাংলা স্লোগান দেয় এ সময় বিএনপি কর্মীরা তাদের বাধা নিষেধ করলে তারা আমাদের কর্মীদের মারধর করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। রতন মোল্লার দোকান সহ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে ভাঙচুর চালায়।

তবে শাহ আলম জানান, আমি কয়েক মাস যাবত বাড়ি ছাড়া এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।

এ ব্যপারে আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন স্থানীয় গণমাধ্যমে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ