নৌকার প্রার্থীকে বহাল রাখার লড়াইয়ে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চান নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে নৌকার প্রার্থী বহাল থাকুক। কিন্তু আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতাকর্মীরা এমনটা প্রত্যাশা করলেও আওয়ামীলীগেরই একটি অংশ অপেক্ষায় আছেন কখন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার নাম ঘোষিত হবে, সেই ঘোষণা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা লাঙ্গলের মঞ্চে ওঠে নাচানাচি করবেন। মুলত এখানে আওয়ামীলীগের শত্রু আওয়ামীলীগ নিজেই। নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের চারপাশে ঘুরঘুর করা আওয়ামীলীগের বেশকজন নেতা ইতিমধ্যে লাঙ্গলের প্রার্থীর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

স্থানীয়রা জানান, নৌকার প্রার্থীকে বহাল রাখতে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের সিংহভাগ নেতাদের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে দেখা গেলেও বেশকজন নেতাদের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও নৌকার পক্ষে পুরোদস্তর কাজ করে চলেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি সহ আরো বেশকজন। আবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে অনেকে ধরেই নিয়েছেন মহাজোট গঠিত হলে এখানে আবারো নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে। ফলে আবারো মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাই হবেন মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী। ফলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের দীর্ঘ ১০ বছরের লড়াইটা আবারো ফিকে হওয়ার পথে।

এরি মাঝে দলীয় নির্দেশনা পেয়ে এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৪জন, যাদের মধ্যে একজন বাদে বাকিদের ডাামি প্রার্থী হিসেবে ধরছেন স্থানীয়রা। ডামি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এরফান হোসেন দ্বীপ, মারুফুল ইসলাম ঝলক ও নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানা। যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল। এখানে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হলেও শক্ত প্রার্থী মাসুদ দুলালকে মোকাবেলা করতে হবে মহাজোটের প্রার্থীকে। এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা দাবি করছেন- যদি মহাজোট গঠিত হয় তাহলে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার না করে নৌকা ও লাঙ্গলের মধ্যে লড়াইটা ভোটের মাঠে হোক, কে জয়ী হয় দেখা যাক।

এদিকে যেসব নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে নৌকার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মাঠে রয়েছেন তারা বিশ্বাস করেন এবার এ আসনে নৌকার প্রার্থী বহাল থাকবে। তাদের যুক্তি হলো- বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে দুইবার ছাড় দেয়া হয়েছে, যা অনেকটাই বেশি। এখানে আওয়ামীলীগের এমপি না থাকায় আওয়ামীলীগ সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মনে করেন- এ আসনে লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি থাকার কারনে সোনারগাঁয়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। সোনারগাঁয়ের মানুষ দশটি বছর শান্তিতে ছিলেন। সোনারগাঁবাসী উন্নয়ন পেয়েছেন বেশ। ফলে শান্তিতে থাকার ধারাবাহিকতা অটুট রাখবেন এমপি খোকা।

সূত্রে, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন এ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এরফান হোসেন দ্বীপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

এ ছাড়াও এখানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনোনিত প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, মুক্তিজোটের প্রার্থী আরিফ, বিএসপির প্রার্থী আসলাম হোসাইন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী নারায়ণ দাস ও বিএনএমের প্রার্থী এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান মনোনয়নপত্র জাম দিয়েছেন, যাদের সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বর্তমানে দেশের আলোচিত রাজনেতিক দল তৃণমুল বিএনপি এখানে কোনো প্রার্থী দেয়নি।

নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে উৎকণ্ঠার অবসানে ডেটলাইন ১৭ ডিসেম্বর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থীদের মাঝে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বেশকদিন ধরে চলছে মহাজোট গঠনে আসন নিয়ে ভাগাভাগি নিয় দেনদরবার। বিগত সময়ের মত এবারও মহাজোট গঠিত হলে নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন করতে হবে। এরি মাঝে মহাজোটে না থাকলেও তৃণমুল বিএনপিকে নিয়ে আরো টেনশনে পড়েছে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামীলীগ এবং ৫টি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা করেছে। একইভাবে ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য দলের আরো বেশকজন প্রার্থী রয়েছে এখানে, যদিও তারা তেমন একটা আলোচনায় নেই এখানে।

নির্বাচন কমিশন সুত্র বলছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরি মাঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌছাবে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলীয় মহাজোট। সেই পর্যন্ত চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে আওয়ামীলীগ সহ তাদের শরীকদলগুলোকে। যেখানে শরীক দলগুলো নিয়মিত ধর্ণা দিচ্ছে আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে। তারা চায় নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে। এমন পরিস্থিতিতে এখনো সমঝোতা হয়নি মহাজোটের। তবে ১৭ ডিসেম্বর শেষ বিকেল পর্যন্ত এই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাটছেনা প্রার্থীদের। তবে এসব নানা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মাঝেও চলছে নানা ধরণের জল্পনা কল্পনা সহ নানা গুজব। এর অবসান হবে ১৭ ডিসেম্বর।

নারায়ণগঞ্জ-৩(রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রয়েছেন নির্বাচনে। গুঞ্জন চলছে এ আসনে নৌকার প্রার্থীকে গাজীকে বসিয়ে দিতে পারে আওয়ামীলীগ। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়াও করবেন প্রত্যাহার। মহাজোট গঠিত হলে নির্বাচনে থাকছেন না সাইফুল ইসলামও। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্যান্য ছোটদলগুলোর প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে হবে তৈমূর আলমকে।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন। মহাজোট হলে এখানে নৌকার প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে বাবুকে সমর্থন করে প্রত্যাহার করতে হবে লোটনকে। অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনে লড়বেন বাবু।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে প্রায় এক ডজন খানিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৪জন, যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী। এখানে নৌকার প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা রয়েছেন। একাধিক প্রার্থী থাকলেও মুলত মুল সমীকরণ এই তিন প্রার্থীকে ঘিরে। মহাজোট গঠিত হলে এই আসনটি আবারো জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে হবে এবং খোকাই হবে মহাজোটের প্রার্থী। তবে নির্বাচনী মাঠে থাকবেন মাসুদ দুলাল। যদি তিনজনকেই এখানে নির্বাচনী মাঠে ওপেন করে দেয়া হয় তাহলে এখানে হবে ত্রিপক্ষীয় নির্বাচনী ভোটের লড়াই।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও তৃণমুল বিএনপি সহ ৯টি দলের প্রার্থী রয়েছে। যদিও স্থানীয়রা মনে করছেন এ আসনের বর্তমান এমপি শামীম ওসমান যেহেতু নৌকার প্রার্থী হয়েছেন, ফলে এখানে নৌকার প্রার্থীই থাকবে। ফলে মহাজোট হলে জাতীয পার্টির প্রার্থী সালাউদ্দীন খোকা মোল্লাকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে অন্যতম প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে তুণমুল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলী হোসেন থাকবেন নির্বাচনী মাঠে ভোটের লড়াইয়ে। সেক্ষেত্রে শামীম ওসমানের প্রধান প্রতিদ্বন্ধি হয়ে যেতে পারে আলী হোসেন। মাঠে থাকবেন অন্যান্য দলগুলোর প্রার্থীরাও।

নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী দেয়া হয়নি। এখানে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান। এখানে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়াকেই মনে করা হচ্ছে সেলিম ওসমানের প্রধান প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। কারন এ ছাড়াও আরো তিনটি দলের তিনজন প্রার্থী থাকলেও ভাসানীকেই এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় ভোটাররা। ফলে এ আসনে সেলিম ওসমানের সঙ্গেও তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী ভাসানীর নির্বাচনী মাঠে হবে ভোটের লড়াই।

 

গাজীকে তৈমূরের চ্যালেঞ্জ: ‌‌’উন্মুক্ত আলোচনায় বসুন, কে দোষী, প্রমানিত হবে’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের তৃণমুল বিএনপির মনোনিত প্রার্থী তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব ড. তৈমূর আলম খন্দকার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন বিতর্কিত করলে ক্ষতি যা হবার প্রধানমন্ত্রীরই হবে এবং যার মূল ভুক্তভোগী তিনিই হবেন। তাই আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকার রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।

তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ আসনে এমপি গাজীর কাছে জিম্মি জনসাধারণ; তার অত্যাচারে পারিবারিক অনুষ্ঠানও করা যায়নি। হামলার শিকার হতে হয়েছে তার অস্ত্রধারীদের হাতে।

এ সময় তিনি স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের বরাদ দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক এমপির করা মন্তব্যের জবাবে বলেন, গাজী সাহেব আমাকে ভিত্তিহীন বলেছেন, তাকে নিয়ে মন্তব্য করে আমি নাকি নিজের অস্তিত্ব রাখছি? এ ধরনের কথা বলে তিনি নিজের গত ১৫ বছরের দুঃশাসন ঢাকতে চাচ্ছেন। তাই কে দোষী আর কে নির্দোষ তা প্রমাণ করতে উন্মুক্ত আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে তৈমূর দোষী হলে আপনারা শাস্তি দিবেন।

তৈমূর আলম আরও বলেন, আমি একজন আইনজীবী। প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলি না।

এ সময় ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট দেয় কেউ চুরি করার সুযোগ পাবে না।

এ সময় তৃণমূল বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে পুরোদস্তর নির্বাচনী মাঠে সোহাগ রনি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নির্বাচনী আচরণে বিধি নিষেধ থাকায় নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাইতে না পারলেও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোকে গুছিয়ে নিতে পুরোদস্তর কাজ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা আওযামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনীত হওয়ার পর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানকালে এবং মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে হাজী সোহাগ রনির সরব উপস্থিতি ও শক্ত অবস্থান ছিলো চোখে পড়ার মতই।

এদিকে এ ছাড়াও জানাগেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছিন সোহাগ রনি। প্রতিটা এলাকার তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সোহাগ রনি। কায়সার হাসনাতের দিকনির্দেশনা মেনে পুরোদস্তর নির্বাচনী আমেজ তুলে আনতে সোহাগ রনি কাজ করে চলেছেন। নির্বাচনের বিষয়ে হাজী সোহাগ রনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছেন, কোনো ধরণের অপপ্রচার ও গুজবে কান দিবে না। এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা দিয়েছেন, নৌকা আছে এবং নৌকা থাকবে, নৌকা বিজয় নিয়েই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের নেতা কায়সার হাসনাত উপহার দিবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে মনোনয়ন বৈধতা পাওয়া, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন এ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এরফান হোসেন দ্বীপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

এ ছাড়াও এখানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনোনিত প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, মুক্তিজোটের প্রার্থী আরিফ, বিএসপির প্রার্থী আসলাম হোসাইন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী নারায়ণ দাস ও বিএনএমের প্রার্থী এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান মনোনয়নপত্র জাম দিয়েছেন, যাদের সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

ত্রিমুখী নির্বাচনী লড়াই: জটিল সমীকরণে কে থাকবে, কে থাকবেনা?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) সংসদীয় আসনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভোট গ্রহণে থাকা বা না থাকার বিষয়টি। এখানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিলেও বহাল রয়েছেন বিগত নির্বাচনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এরি মাঝে নির্বাচনী মাঠে আছেন স্বতন্ত্র শক্তিশালী একজন প্রার্থী। এখন মহাজোট নিয়ে জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়েছেন নৌকা ও লাঙ্গলের দুই প্রার্থী। যদিও আরো বেশকজন প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছেন। তবে

এদিকে মহাজোট গঠিন নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। স্বস্থিতে নেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও। তবে মহাজোট হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল হয়ে ওঠবে প্রধান প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। যদিও এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমনিতেই নৌকা ও লাঙ্গলের বিপরীতে বেশ শক্তিশালী মাসুদ দুলাল।

এ আসনটি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ঘটবে প্রকৃত ঘটনা। যদি জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ১৪ দল আবারো মহাজোট গঠিত হয় তাহলে এ আসনটি জাতীয়পার্টি আবারো দাবি করবে। যদি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে আবারো নৌকার প্রার্থীকে তার মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করতে হতে পারে। তবে বর্তমান এমপি খোকা মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী হলেও শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী এএইচএম মাসুদ দুলালের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। কারন মাসুদ দুলাল নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকার লক্ষ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আবার যদি মহাজোট গঠিত হওয়ার পরেও নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীকে মাঠে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলেও মাসুদ দুলালই হয়ে ওঠবে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। ফলে সামনের নির্বাচনে সবদিকেই মাসুদ দুলালকে মোকাবেলা করেই জয়ী হতে হবে হয়তো কায়সার নয়তো খোকাকে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীরা কায়সার হাসনাত কিংবা এমপি খোকার সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে পারবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিকবোদ্ধারা। যে কারনে এখন থেকেই সোনারগাঁয়ে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার হলেও মাসুদ দুলাল হবে মহাজোটের প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্ধি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে মনোনয়ন বৈধতা পাওয়া, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন এ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এরফান হোসেন দ্বীপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

এ ছাড়াও এখানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনোনিত প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, মুক্তিজোটের প্রার্থী আরিফ, বিএসপির প্রার্থী আসলাম হোসাইন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী নারায়ণ দাস ও বিএনএমের প্রার্থী এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান মনোনয়নপত্র জাম দিয়েছেন, যাদের সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন: সেলিম ওসমানের প্রতিদ্বন্ধি দুই আইনজীবী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লড়াই করবেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। গত ৪ ডিসেম্বর এ আসন থেকে আরো ৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশন।

এ আসনে জাতীয় পার্টির একেএম সেলিম ওসমান ছাড়াও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এএমএম একরামুল হক, জাকের পার্টির প্রার্থী মোর্শেদ হাসান ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী ছামছুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী দেয়নি সরকারি দল। স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীও নেই। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

এদিকে জানাগেছে, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সহ বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও তিনি।

অন্যদিকে আওয়ামীলীগের প্যানেল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট এএমএম একরামুল হক। আদালতপাড়ায় তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সেলিম ওসমানের আসনে দুই আইনজীবী প্রার্থী হওয়ায় ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন প্রার্থীরা।

নারায়ণগঞ্জে ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ, ৭জনের বাতিল ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। ৪ ডিসেম্বর সোমবার ৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন। তবে সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। ৪৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র ৭জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-২ আসন থেকে আবু হানিফ হৃদয়, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে অ্যাডভোকেট আলী হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল বিএনপি।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই কার্যক্রম। এই সময় প্রার্থী ও প্রার্থীদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল, সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করা, ঋণ খেলাপি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ৭জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০জন প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আফাজ উদ্দিন মোল্লা জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

এই আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ কে এম শহীদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, হাবিবুর রহমান, জোবায়ের আলম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৬ জনের মধ্যে সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জিকে মামুন দিদার ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপি হওয়ায় শরীফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে কমিশন। তারা দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয় ও জাকের পার্টির মো. শাহজাহানের মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ঋণ খেলাপি হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিরাজুল হক ও জাকের পার্টির জামিল মিজির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, বিএনএমের এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, বিকল্প ধারার নারায়ণ দাস, মুক্তিজোটের মো. আরিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরফান হোসেন দীপ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য এএইচএম মাসুদ দুলাল, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী কায়সার হাসনাতের স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১জন প্রার্থীর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম এবং ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল ও সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সৈয়দ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট আলী হোসেন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহীদ উন নবী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনির মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচ জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের অ্যাডভেকেট এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ছামসুল ইসলাম। এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ।

নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। ৪ ডিসেম্বর সোমবার ৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন। তবে সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। ৪৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র ৭জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-২ আসন থেকে আবু হানিফ হৃদয়, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে অ্যাডভোকেট আলী হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল বিএনপি।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই কার্যক্রম। এই সময় প্রার্থী ও প্রার্থীদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল, সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করা, ঋণ খেলাপি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ৭জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০জন প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আফাজ উদ্দিন মোল্লা জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

এই আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ কে এম শহীদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, হাবিবুর রহমান, জোবায়ের আলম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৬ জনের মধ্যে সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জিকে মামুন দিদার ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপি হওয়ায় শরীফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে কমিশন। তারা দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয় ও জাকের পার্টির মো. শাহজাহানের মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ঋণ খেলাপি হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিরাজুল হক ও জাকের পার্টির জামিল মিজির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, বিএনএমের এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, বিকল্প ধারার নারায়ণ দাস, মুক্তিজোটের মো. আরিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরফান হোসেন দীপ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য এএইচএম মাসুদ দুলাল, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী কায়সার হাসনাতের স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১জন প্রার্থীর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম এবং ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল ও সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সৈয়দ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট আলী হোসেন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহীদ উন নবী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনির মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচ জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের অ্যাডভেকেট এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ছামসুল ইসলাম। এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিলেন শামীম ওসমান

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আগামী নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী একে এম শামীম ওসমান সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে শোকজের জবাব দিয়েছেন। ৩ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কমিশনের অনুসন্ধান কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ ইয়াসিন হাবিবের কাছে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব তিনি।

শোকজের জবাব শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শামীম ওসমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে, তারা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে সক্ষম। যারা নির্বাচন বানচাল করতে অগ্নিসংযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই। যেহেতু পুলিশ নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে, তারা যেন মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে পারে। আমরা এমনই নির্বাচন কমিশন চেয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন সক্ষম।’

জানাগেছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকা ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মিছিল করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এসব মিছিলে শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে স্লোগান দেওয়া হয়।

এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের সানারপাড় এলাকায় মহানগর শ্রমিক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোকজনের একটি মিছিল হয়। ওই মিছিলে ব্যবহৃত ব্যনারটিতে ‘শান্তি মিছিল’ লেখার পাশাপাশি ‘৭ জানুয়ারি শুভ দিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ উল্লেখ ছিল। ব্যানারে শামীম ওসমানেরও বড় করে ছবি সাঁটানো ছিল।

সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল হয়। ওই মিছিলেও শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। মিছিল পূর্বে নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একেএম শামীম ওসমান সাহেবের ভোটের প্রচারণায় আমরা মিছিল করব।

ফতুল্লা বাজার এলাকায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর নেতৃত্বে এবং কায়েমপুর এলাকায় থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই মিছিলেও নৌকা মার্কার পক্ষে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

এ ছাড়া তল্লা এলাকায় যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে শামীম ওসমানের পক্ষে মিছিল করেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরা। কুতুবপুরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মীর হোসেন ওরফে মীরুর নেতৃত্বে মিছিল হয়।

কাশীপুর ইউনিয়নে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের চেলে নাজমুল হোসেন সাজনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। তারাও মিছিলে শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে স্লোগান দেন। তাদের ব্যানারে ‘৭ তারিখ সারাদিন, উন্নয়নের শপথ নিন’, ‘এ কে এম শামীম ওসমানের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ উল্লেখ ছিল।

এদিকে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কজুড়ে শামীম ওসমানের হাত উঁচিয়ে ধরা বড় কয়েকটি ছবি সম্বলিত ফেস্টুন দেখা গেছে। শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে কয়েকটি ব্যানার ও ফেস্টুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, সানারপাড় ও চিটাগাং রোড এলাকায় সাঁটানো হয়েছিল। তবে, বিকেলের পর ওইসব ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নেওয়া হয়।

রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি জুয়েলকে শুভেচ্ছা

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলকে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে কেক কেটে ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সমিতির কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২৪-২০২৬) তিন বছর মেয়াদী নতুন কমিটিতে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন।

৩ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান বার ভবনের সম্মেলন কক্ষে কেক কেটে এবং ফুল দিয়ে সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলকে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর শনিবার নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলের সভাপতিত্বে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই কমিটি ঘোষণা করেন নিবার্চন কমিমনার সোহেল আক্তার সোহান।

এ ছাড়াও কমিটির চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়েছেন পদাধিকার ক্ষমতাবলে চন্দন শীল এবং এতে ভাইস-চেয়ারম্যান নিবার্চিত হোন ফারুক ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, নিবার্হী সদস্য পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, দিলীপ কুমার মন্ডল, মো. আবু নাইম, ও মোস্তফা কামাল। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আরো ছিলেন আরিফ আলম দীপু ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মহসীন মিয়া।

সর্বশেষ সংবাদ