শনিবার, মার্চ ২৫, ২০২৩

সেলিম হোসেন দিপুর নেতৃত্বে সোনারগাঁও উপজেলা মৎসজীবী দলের কমিটি ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আওতাধীন সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের ৩১সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মো. সেলিম হোসেন দিপু আহ্বায়ক ও হাজী মো. কামরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটির অনুমোদন দেন জেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও সদস্য সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। শুক্রবার (২৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- মো. আওলাদ হোসেন, মো. ইয়ানুছ মিয়া, মো. দুলাল হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. সুমন মোল্লা, মো. কবির হোসেন, মো. রোকনুজ্জামান রোকন, মো. হাসনাত মোলা, মো. মুকুল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মো. সবুর খান, মো. জয়নাল হোসেন, মো. দুলাল ভূঁইয়া, মো. স্বপন মিয়া, সদস্যরা হলেন- মো. দাইয়ান, মো. ফয়সাল, মো. মাসুম মিয়া, মো. শাহিনুর, মো. অপু, ইসলাম ভূঁইয়া, মো. ইমান প্রধান, আহম্মদ আলী, মো. সাগর, মো. ফজল, মো. সাহাবদ্দিন, সাইদুর রহমান, মো. ছালাম, সালাউদ্দিন, মো. শামিম।

আগামী ৯০দিনের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে উপজেলা সম্মেলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
প্রসঙ্গত, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চলমান আন্দোলন কর্মসূচীতে সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের অংশ গ্রহণ সন্তোষজনক না হওয়ায় বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে চলমান আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে নতুন করে আবারও মৎসজীবী দল সোনারগাঁও উপজেলার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলো।

বিদ্রোহীদের শাসন: মহাসচিবের বৈঠকে সাখাওয়াত-টিপু হাস্যোজ্জল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ১২ মার্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের কজন নেতাকর্মী। মুলত জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করে আসা বিএনপি নেতা পরিচয়দানকারী আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তারা। ওই সময় মুকুল গংদের নির্দেশ দেয়া হয় যে, দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্ব মেনে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করে রাজনীতি করতে হবে। দলে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। কঠোর ভাষায় তাদেরকে শাসিয়ে দেন মহাসচিব।

এদিকে ২২ মার্চ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহাসচিবের সঙ্গে মহানগর বিএনপি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বের উপরই কেন্দ্রীয় বিএনপির আস্থা রয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেন মহাসচিব। বৈঠকে বেশ হাস্যোজ্জল দেখা গেছে সাখাওয়াত ও টিপুকে।

কিন্তু এর আগে মুকুল গংদের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের মলিন মুখ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসতে হয়। যদিও নারায়ণগঞ্জে এসেই বিদ্রোহীরা মহাসচিবের বরাদ দিয়ে নানা ধরণের বিভ্রান্ত্রি ছড়াতে থাকেন। মহাসচিবের সঙ্গে সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে বৈঠকে মহাসচিবের বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু মুকুল গংদের মহাসচিব কি বলেছেন সেই বিষয়ে মহাসচিবের কোনো ভিডিও তারা প্রকাশ করেননি। কারন মুকুল গং ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন তাতে প্রমানিত হয়ে যেতো।

এদিকে জানাগেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

২২ মার্চ বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আগত নেতৃবৃন্দকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আরো দিগুন সক্রিয়ভাবে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান।

এ সময় মির্জা ফখরুল উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সবদিক থেকে বিবেচনা করেই দলের আস্থা আপনাদের উপর ছিলো বলেই আপনাদেরকে কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আপনাদের উপর কেন্দ্রীয় বিএনপির আস্থা রয়েছে। আপনারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সেই আস্থার প্রতিদান দেবেন এবং নিজেদেরকে যোগ্য প্রমাণ করবেন। কে কি বলল সে কথায় কান দেবেন না। এই মুহূর্তে রাজপথ হচ্ছে আমাদের নিজেদের প্রমাণের একমাত্র অবলম্বন। তাই সকলে মিলে আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করুন। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমরা সবাই আছি আপনাদের পাশে।

অন্যদিকে জানাগেছে, গত ১২ মার্চ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপকে ধমকে দিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সাথে দলের মধ্যে গ্রুপিং বন্ধ করে সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ওইদিন আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্যরা মির্জা ফখরুলের সাথে তার বাসভবনে দেখা করতে গেলে তিনি এই নির্দেশনা দেন। ভবিষ্যতে দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারিও জানান তিনি।

সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে অভিযোগ নিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে গিয়েছিলেন আতাউর রহমান মুকুল ও আব্দুস সবুর খান সেন্টুসহ বিদ্রোহী গ্রুপের নেতারা। মহাসচিব এর বাসভবনে গিয়ে তারা আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে নালিশ দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি মুকুলসহ সকলকে ধমকে দেন এবং কেন্দ্র ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল মুকুলকে বলেন, তোমার বিরুদ্ধেই তো বিস্তর অভিযোগ জমা আছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। তুমি বিএনপি দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে সরকারি দলের সাথে লিয়াজো করে রাজনীতি করো। ইতিপূর্বে তোমার বিরুদ্ধে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার এবং বিএনপির এজেন্টের মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি দলীয় নেতাদের সাথে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগও রয়েছে। তাই তোমাকে শেষবারের মতো সাবধান করে দিচ্ছি। দলের এই দুঃসময় বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে না। কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির সাথে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে‌ অন্যথায় তোমার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মহাসচিব তাদেরকে আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যে কমিটি দেয়া হয়েছে তা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে এসেছে। এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মানে তারেক রহমানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া, বিএনপি’র হাই কমান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। তাই এখনো সময় আছে তোমরা সবাই বিভেদ বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সুসংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করো।

এমপি শামীম ওসমান হাসপাতালে, সকলের দোয়া প্রার্থনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান শারীরিকভাবে গুরুত্বর অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার আরোগ্য কামনায় নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পুত্র একেএম অয়ন ওসমান।

২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অয়ন ওসমান জানান, আব্বু গতকাল (বুধবার) রাত থেকে অসুস্থ এবং বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আপনারা সবাই উনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি। আস-সালামু আলাইকুম!

মির্জা ফখরুলের সাফ কথা: সাখাওয়াত-টিপুর উপরই কেন্দ্রীয় বিএনপির আস্থা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটি গঠনের পর নৌকা-লাঙ্গল মার্কার প্রকাশ্য অনুগামী বেশকজন নামদারী বিএনপি নেতা মহানগর বিএনপির রাজপথের সক্রিয় কার্যক্রম ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছেন।

যারা বিগত সময়ে প্রকাশ্যে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন সেইসব ব্যক্তিরা এখন বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বলছেন, মুলত লাঙ্গলের এমপির সুবিধার্থে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার মিশনে নেমেছেন আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে ওই পক্ষটি। সম্প্রতি মুকুল কয়েকজন নেতাকে নিয়ে মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করে মহাসচিবের বরাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জে ফিরে এসে নানা বিভ্রান্তিমুলক তথ্য ছড়াতে থাকেন।

অবশেষে মুকুল গংদের সেইসব মিথ্যাচার ফাঁস করে দিলেন খোদ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশেই সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি সাফ কথা জানান, সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বের উপরই কেন্দ্রীয় বিএনপির আস্থা রয়েছে। কে কি বললো সেইসব বিষয়ে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান মহাসচিব।

IMG 20230323 175037

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির গতিশীলতা আরো বেগবান করতে এবং রাজপথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে পূর্বের চেয়ে বেশি সক্রিয় ভুমিকা রাখতে দিকনির্দেশনা মুলক বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

২২ মার্চ বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আগত নেতৃবৃন্দকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আরো দিগুন সক্রিয়ভাবে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। এরপর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার কাছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির নানা বিষয় অবগত হোন।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সবদিক থেকে বিবেচনা করেই দলের আস্থা আপনাদের উপর ছিলো বলেই আপনাদেরকে কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আপনাদের উপর দলের আস্থা রয়েছে। আপনারা কাজ করে যান, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সেই আস্থার প্রতিদান দেবেন এবং নিজেদেরকে যোগ্য প্রমাণ করবেন। কে কি বললো সে কথায় কান দিবেন না। এই মুহূর্তে রাজপথ হচ্ছে আমাদের নিজেদের প্রমাণের একমাত্র অবলম্বন। তাই সকলে মিলে আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করুন। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমরা সবাই আছি আপনাদের পাশে।

এ সময় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু মহাসচিবকে জানান, নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন নেতা মহাসচিবের সাথে সাক্ষাত করে মহাসচিবের বরাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে মহাসচিব বলেন, আমাদের কাছে অনেকেই আসে, তারপর আপনাদের কাছে গিয়ে নানা কথা বলবে, এসব কথায় কান দিবেন না। কে কি বললো সে সব বিষয়ে কান দিবেন না। আপনাদের উপর এখনো দলের আস্থা আছে বলেই আপনরারা দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ রেজা রিপন, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, বিএনপি নেতা হারুন উর রশিদ লিটন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহি উদ্দিন শিশির, নাজমুল হক, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, নাসির উদ্দিন টিপু, বাবু খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার প্রমূখ।

মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির গতিশীলতা আরো বেগবান করতে এবং রাজপথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে পূর্বের চেয়ে বেশি সক্রিয় ভুমিকা রাখতে দিকনির্দেশনা মুলক বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

২২ মার্চ বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আগত নেতৃবৃন্দকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আরো দিগুন সক্রিয়ভাবে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। এরপর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার কাছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির নানা বিষয় অবগত হোন।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সবদিক থেকে বিবেচনা করেই দলের আস্থা আপনাদের উপর ছিলো বলেই আপনাদেরকে কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আপনাদের উপর দলের আস্থা রয়েছে। আপনারা কাজ করে যান, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সেই আস্থার প্রতিদান দেবেন এবং নিজেদেরকে যোগ্য প্রমাণ করবেন। কে কি বললো সে কথায় কান দিবেন না। এই মুহূর্তে রাজপথ হচ্ছে আমাদের নিজেদের প্রমাণের একমাত্র অবলম্বন। তাই সকলে মিলে আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করুন। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমরা সবাই আছি আপনাদের পাশে।

এ সময় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু মহাসচিবকে জানান, নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন নেতা মহাসচিবের সাথে সাক্ষাত করে মহাসচিবের বরাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে মহাসচিব বলেন, আমাদের কাছে অনেকেই আসে, তারপর আপনাদের কাছে গিয়ে নানা কথা বলবে, এসব কথায় কান দিবেন না। কে কি বললো সে সব বিষয়ে কান দিবেন না। আপনাদের উপর এখনো দলের আস্থা আছে বলেই আপনরারা দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ রেজা রিপন, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, বিএনপি নেতা হারুন উর রশিদ লিটন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহি উদ্দিন শিশির, নাজমুল হক, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, নাসির উদ্দিন টিপু, বাবু খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার প্রমূখ।

সায়েম আহমেদের ফেসবুক পেইজ হেকড, থানায় জিডি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী সায়েম আহাম্মেদের ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, সোমবার রাত থেকে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেইসবুকে ঢুকতে পারছেন না। তারপর তিনি বিষয়টি ফেইসবুকে স্ট্যাটাজ দিয়ে তার শুভাকাঙ্খীদের নিশ্চিত করেছেন।

সায়েম আহম্মেদ জানান, তার সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুনামক্ষুন্নে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষতি সাধণে লিপ্ত রয়েছে। তাই বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়ে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

উল্লেখ্য: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সায়েম আহম্মেদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের অসহায়, মেহনতি,গরীব মানুষের প্রাণের স্পন্দন। আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর সুখ দুঃখের সারথী।

সোমবার রাত থেকে পেজটিতে ঢুকতে পারছেন না তিনি। এ তথ্য মংগলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাস পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন সায়েম আহাম্মেদ।

তিনি বলেন, ২০/০৩/২০১৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৯.৪০ ঘটিকায় আমি নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন আমার বাসায় অবস্থানকালীন সময় বিভন্ন ভাবে চেষ্টা করিয়াও আমার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডি (Sayem Ahmed) এবং একই নামের ফেসবুক পেইজে প্রবেশ করতে না পারিয়া বুঝতে পাড়ি যে, আমার আইডি হ্যাক হয়েছে। অজ্ঞাতনামা বিবানী/বিবাদীরা আমার ফেসবুক আইডিটি এবং ফেসবুক পেইজ হ্যাক বড় ধরণের ক্ষতিসাধন সহ সামাজিক ভাবে হেয়পুন্ন করার আশঙ্কা করিতেছি বিধায় ভবিষ্যতের জন্য বিষয়টি সাধারণ ডায়েরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পেজ থেকে বাজে কোনো কিছু ছড়ালে অনুরাগীদের বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জন্মদিনে আইনজীবীদের ভালোবাসায় সিক্ত বার সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ ও সর্বস্তরের আইনজীবীদের প্রিয় ব্যক্তি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেছেন আইনজীবীরা।

IMG 20230322 141828

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল পযন্ত নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া’র নিজস্ব চেম্বারে দলে দলে একের পর এক কেক ও ফুল নিয়ে এসে এ জন্মদিন উদযাপন করেন আইনজীবীরা।

IMG 20230322 141817

আইনজীবীদের এমন ভালোবাসা পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেন, আজ আমার জন্মদিন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো আয়োজন করি নাই। তবুও আমার সহকর্মী, ছোট ভাই ও সিনিয়রদের কাছ থেকে এবং সর্বস্তরের আইনজীবীদের কাছ থেকে এতো শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পেয়েছি যে আমি খুবই আনন্দিত। অনেকে কেক নিয়ে এসে, অনেকে আবার ফুল নিয়ে এসে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের সহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাই অনেক কৃতজ্ঞতা এবং সকলের কাছে দোয়া চাই।

গিয়াসউদ্দীন ১২জনকে হত্যা করিয়েছেন: এমপি শামীম ওসমান

ডান্ডিবার্তা অনলাইন থেকে নেয়া-

ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনকে ‘পুরুষত্ব’ প্রমাণের আহবান রেখেছেন আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না। আবার বলতাছেন রক্তচক্ষু দেখাবেন না। ওনি নারায়ণগঞ্জে অনেক কিছু করিয়েছেন। আমাদের সুন্দর আলী ভাইকে মারিয়েছেন, নজরুল ইসলাম সুইট, জাফর, মাসদাইরের সেলিমকে মারিয়েছেন। আমাদের ১০ থেকে ১২ জনকে তিনি হত্যা করিয়েছেন। আমাদের বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই সাব্বিরকে হত্যা নিষিদ্ধপল্লীর ছেলেদের দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। তিনি সেই লোক। তিনি মিশনপাড়ার ডেভিডকে হত্যা করিয়েছিলেন। কারণ ডেভিড তার কন্ট্রোলে ছিল না। সে ছিল অন্য গ্রুপের। শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অনেক নেতা ছিলেন। আমাদের উপর বিএনপির অনেকে অত্যাচার করেছেন। আমরা কিন্তু প্রতিশোধ নেইনি। ওনি সেদিন বলছেন আওয়ামী লীগের একটি আওয়ামী লীগের ভালো গ্রুপ নাকি চায় শেখ হাসিনার সরকার আর যেন ভবিষ্যতে ক্ষমতায় না আসে। আমার মনে হয় ওনি ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চান। ফ্যাসাদ সৃষ্টি হলো খুনের চেয়ে বেশী অপরাধ। আমি সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যদি এ ভদ্রলোক সত্যিকারের কাপুরুষ না হয় তাহলে তার জবাব দেওয়া উচিত আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপের সদস্যরা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসুক সেটা প্রকাশ করুক। গিয়াসউদ্দিন সাহেব আমার বড় ভাই। আমার মামা শ্বশুর হন সম্পর্কে। ১০ বছর কোন খবর ছিল না। এখন মাঠে নেমেই উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দিচ্ছেন। জাতির জনক ও তার কন্যাকে নিয়ে খারাপ গালি দিচ্ছেন। তার সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে অনেকে কথা বলছেন। বলছেন আমার বারোটা বাজিয়ে দেবেন। কেউ বলছেন পচিশটা বাজাবেন। ভাই আমি শান্ত হয়ে গেছি। কারো সঙ্গে লড়াই করতে রাজী না। এমন চোখ দিয়ে বড় বড় চোখ দেখলে আমার ভয় হয়।

২০ মার্চ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, তোলারাম কলেজে আসলে রক্ত একটু গরম হয়ে যায়। রোজার মাস একটু সংযম করি। রোজা আর ঈদ যাক। যারা আমাদের কথায় কথায় থ্রেড করছেন বারোটা বাজাবেন চব্বিশটা বাজাবেন ঈদের পর নারায়ণগঞ্জের বাড়িতেই চলে আসবো। কখন খেলবেন কয়টা বাজে খেলবেন। নারায়ণগঞ্জবাসীকে সাথে নিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে খেলবো।

বন্দরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ: অস্ত্র মামলায় সোনারগাঁয়ের ৪ যুবক গ্রেপ্তার!

নিউজ সোনারগাঁও থেকে নেয়া-

গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দি এলাকায় এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় মইনুল হক নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় চার আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। ২০ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে তাদের বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম সোহেল ওরফে মনিরের ছেলে আবির (২৮), একই এলাকার দলদার গ্রামের মুন্না (২৮), দমদমা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে অনয় (২৫), কাবিরগঞ্জ গ্রামের রুবেল (২৬)। গ্রেপ্তারকৃতরা আজমেরী ওসমানের অনুসারী।

নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা বাজার এলাকার নামচর মৌজার সি.এস ও এস.এ দাগ নং ২০, আর.এস, ৩ ও ৪ নং দাগে ৬৬ শতাংশের একটি জমি নিয়ে মামলার আসামিদের সঙ্গে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ঘটনার আগের দিন বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে মামলার প্রধান আসামি আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীম তার অনুসারী হোন্ডা বাহিনীর ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীকে নিয়ে বাদীর বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন।

তারপরের দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ মামলার এজহারনামীয় আসামিরাসহ আরও ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী জোরপূর্বক ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মইনুল হক পারভেজের স্ত্রী আবিদা সুলতানা সোমা (৩৬) ঘটনাস্থলে গেলে আসামি আলী হায়দার শামীম সোমার ওপর নির্যাতান চালায়। খবর পেয়ে তার স্বামী মইনুল হক পারভেজ এলাকার লোকজন নিয়ে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মামলার প্রধান আসামি আরও উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা আগ্নেআস্ত্র দিয়ে মইনুলের পায়ে গুলি করেন।

বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ফরাজীকান্দা এলাকায় গুলিবর্ষনের ঘটনায় চার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনী অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আগামীকাল সকালে জেলা আদালতে প্রেরন করা হবে।

সোনারগাঁয়ে ব্যাপক আয়োজনে প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদের জন্মবার্ষিকী পালন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দোয়া, মিলাদ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় সোনারগাঁয়েও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্মদিন পালন করেছে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ সংগঠন।

২০ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় এমপি খোকার নিজস্ব কার্যালয়ে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়। এ সময় আলোচনা সভা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।

এসময় এমপি খোকা বলেন, দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে জাতীয় পার্টি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়বে। তাই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।এসময় তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় পার্টি প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম,সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রায়হান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাজী মুক্তার হোসেন, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, জাতীয় মহিলা পার্টির সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি জায়েদা আক্তার মনি,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা আক্তার।

এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন-মোগরাপাড়া ইউ জামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক আশরাফুল ভূইয়া মাকসুদ, প্যানেল চেয়ারম্যান মো:মোতালেব ভূইয়া, আলী জাহান, বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ আলী মেম্বার, সনমান্দী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন, বাছেদ মেম্বার, হাসান ইমাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব সাইদুর রহমান সবুর, মনির মেম্বার,মহিলা সদস্য পলি আক্তার, নার্গিস আক্তার, রুনা আক্তার, নাসরিন আক্তার পান্না, আনোয়ার হোসেন মেম্বার, আবুল কালাম মেম্বার, রফিকুল ইসলাম মেম্বার, সাদেকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন আনু সহ জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ।

সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৫২ সালে। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পর থেকেই সংবাদপত্রে বিবৃতি ও কভারেজের মাধ্যমে রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। তিনি দেশের সংবিধানকে রহিত করেন, জাতীয় সংসদ বাতিল করেন এবং সাত্তারের মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন।

তিনি নিজেকে দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করেন, যে সাংবিধানিক পদটি একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানেরই প্রাপ্য ছিল। তিনি ঘোষণা করেন যে ভবিষ্যতে সামরিক আইনের অধীনে জারিকৃত বিধিবিধান ও আদেশই হবে দেশের সর্বোচ্চ আইন এবং এর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সকল আইন অকার্যকর হবে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অবশ্য তার আগেই দলের দায়িত্ব ছোট ভাই জিএম কাদেরের হাতে তুলে দেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ