ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে চাচা ভাতিজা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তুমুল লড়াইয়ে রয়েছেন চাচা আতাউর রহমান আঙ্গুুর ও ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন। তবে হাল ছাড়ছেনা নজরুল ইসলাম আজাদ। শেষ পর্যন্ত কার হাতে ওঠবে ধানের শীষ প্রতীক তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিএনপির মনোনিত তিন প্রার্থীই একজনের নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা আনার চেষ্টায় ধর্ণা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। কেউ কেউ সেই তদবির ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন লন্ডনে থাকা তারেক জিয়ার কাছেও। তিনজন প্রার্থীই দাবি করেছেন তারা শতভাগ আশাবাদী। এদিকে এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী চূড়ান্ত নজরুল ইসলাম বাবু। বর্তমান এই এমপির সঙ্গে কার লড়াইয়ে কার হাতে বিএনপি তুলে দিবে ধানের শীষ প্রতীকটি তা দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, দুইটি পৌরসভা, দশটি ইউনিয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনটি গঠিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামীলীকের একক প্রার্থী নজরুল বাবুর বিপরীতে বিএনপির তিন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির সাবেক তিনবারের এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তবে সবচেয়ে বেশি আশা দেখছেন চাচা ও ভাতিজার মাঝেই। জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনেক আগেই হালকা হয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। তবে তিনি এখনও কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন- দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদেও মাঝে কোন্দল বিভক্তি রয়েছে। ওয়ান ইলিভেনের সময় আতাউর রহমান খান আঙ্গুর সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। যার ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। তার মৃত্যুর উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমনের হাতে। নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে সুমন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি ইতিমধ্যে নাশকতার মামলার আসামীও হয়েছেন। তার বাবা খসরুর বিএনপিতে ব্যাপক অবদানের কারনে সুমনকেই এগিয়ে রাখছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।