তিন এমপির কট্টর বিরোধীদের হাতে নৌকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৪র্থ ধাপে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১ মার্চ শুক্রবার রাতে ওই তিনটি উপজেলা পরিষদে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনটি উপজেলা নিয়েই গঠিত নারায়ণগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন। ওই তিনটি আসনের বর্তমান তিন এমপির কট্টর বিরোধীদের হাতেই তুলে দেয়া হয়েছে নৌকা প্রতীক। এ তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় তিন এমপির সম্পর্ক সাপে নেউলে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই তিন এমপিকে ঠেকাতে প্রকাশ্যে সরাসরি মাঠে ছিলেন তাদেরকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনিত করেছে আওয়ামীলীগ।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে বর্তমানে এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক)। যিনি বর্তমানে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে এবার নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি শাহজাহান ভূঁইয়া। এখানে টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হন গাজী। টানা দুই বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন শাহজাহান ভূঁইয়া।

একাধিকবার এমপি গাজীর লোকজনদের সঙ্গে তার লোকজনদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একাধিকার তারা আবার মিলিতও হন। কিন্তু তারপরও তাদের বিরোধ কখনও মিটেনি। এ নিয়ে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটে। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও মুড়াপাড়া ইউনিয়নে পাল্টা পাল্টি চেয়ারম্যান প্রার্থী দেন গাজী ও শাহজাহান ভূঁইয়া। এ নিয়ে সংঘর্ষ ঘটলে জাহাঙ্গীর নামে এক যুবলীগ কর্মী খুন হন। ওই ঘটনায় শাহজাহান ভূঁইয়ার লোকজন আসামী হন। একইভাবে জুয়া খেলা নিয়ে যুবলীগের এক কর্মী নিহতের ঘটনায়ও শাহজাহান ভূ্্ঁইয়া আসামী হন।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন গাজী ও শাহজাহান গ্রুপের শোডাউনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগের এক কর্মী নিহত হলে ওই মামলায় মন্ত্রী গাজীর ঘনিষ্ট তোফায়েল আলমাস সহ গাজী গ্রুপের লোকজন আসামী হন। গত জাতীয় নির্বাচনে গাজীর মনোনয়ন ঠেকাতে ২৩ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন। পরবর্তীতে মন্ত্রী গাজীও আরও বেশকজনকে দিয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করান। ওই আসন থেকে মোট ৩৬ জন নেতা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। সবশেষ গাজীকেই মনোনিত করে আওয়ামীলীগ। নির্বাচনের আগে শাহজাহান ভূ্ইঁয়ার সঙ্গে গাজীকে মিলিয়েও দেয় বসুন্দরা গ্রুপের মালিক।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে গিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজের জন্য মনোনয়ন চেয়ে কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয় নজরুল ইসলাম বাবুর বিরোধী সরাসরি বক্তব্যও রেখেছিলেন হেলো সরকার। এবারের নির্বাচনে নজরুল ইসলাম বাবু চেয়েছিলেন বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহাল মিয়াকে। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল হেলো সরকারের পক্ষে সুপারিশ করে কেন্দ্রে নাম পাঠায়। ফলে এখানে মনোনয়ন ইকবাল পারভেজের ঘনিষ্টজন পান হেলো সরকার।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বর্তমানে এমপি হিসেবে রয়েছেন মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। মোশারফ হোসেন হলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে পুলিশ তার বাড়িতে হামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করলে কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।

জাতীয় নির্বাচনের আগে মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী বেশকটি সভায় এমপি খোকার বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য রেখেছিলেন। এমনকি বলেছিলেন, এমপি খোকা আপনি হাওয়ার মাঝে ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হয়েছিলেন। সোনারগাঁয়ে আপনার কোন ভোট নাই। আপনি বাড়িতে গিয়ে ঘুমান।’ গত ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন পান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে সোনারগাঁও আসনটি আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দিলে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। গত নির্বাচনেও কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে গেলে এখানে এমপি নির্বাচিত হন খোকা। এ নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। কালাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি পাননি। এর আগে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইবার নির্বাচনে করে তিনি পরাজিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলায় নৌকার মাঝি ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকা প্রতীকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, আড়াইহাজারে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার ও সোনারগাঁয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনকে মনোনিত করা হয়েছে।

এদের মধ্যে শাহজাহান ভূঁইয়া টানা দুইবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি পদেও রয়েছেন। মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। মোশারফ হোসেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তার ভাতিজা আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারির নির্বাচনে সোনারগাঁও আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পাটির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা।

এখানে আরও উল্লেখ্য যে, রূপগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তমাল। সোনারগাঁও থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন। আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া।

জানাগেছে, চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। ১ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ তালিকা হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে চলে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন। ১২২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক আন্ডার ডনের হাতে ধ্বংস বিএনপি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে ধ্বংসের কারিগর এখন আন্ডার ডন। মুলত আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির বেশকজন নেতাকে মুরিদ বানিয়েছেন ওই আন্ডার ডন। যার কাছ থেকে মাস শেষে ওইসব মুরিদগণ তহুরি নিয়ে আসেন। এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলেও বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে নাই। তারপরও বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটিতে তার বেশকিছু মুরিদ তৈরি করেছেন। যারা তাকে নমস্কার দিয়ে রাজনীতি করেন।

বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা বলছেন, অনেকটা বাবার দরবার সাঁজিয়ে বসেছেন ওই পীর সাহেবজাদা। মুরিদ মার্কা বিএনপি নেতাদের দেন পানি পড়া। সেই পানি পড়া খেয়ে বিএনপির ওইসব নেতারা কখনও নৌকার দিকে ঝুঁকে পড়েন আবার কখনও লাঙ্গলের হাল ধরেন। আবার কখনও ধানের শীষের মুঠিও ধরেন। তা কেবল ওই পীর সাহেবের পানি পড়ায় দিশেহারা হয়েই করেন এসব মুরিদগণ। এসব কারনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি এখন ধ্বংসের পথে। মুরিদগণের ভাবসাপ এমন দল বুঝিনা, দেশ বুঝিনা বুঝি, শুধু পীর সাহেব বাবার দরবার বুঝি। যেখান থেকে মাস শেসে পাবেন আশীর্বাদ। সঙ্গে তহুরী। আবার কখনও নৌকার বৈঠা ধরলে কিংবা লাঙ্গলের জোয়াল ধরলেও মিলবে ভিরাট অংকের তহুরী।

২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। জেলা কমিটিতে ২৬ জন ও মহানগর কমিটিতে ২৪ জনকে স্থান দেয়া হয়। এর আগে থেকেই রাজনৈতিক ডন বিএনপির অনেক নেতাদের নিয়ন্ত্রন করতেন। ২০১৪ সালের ২৬ জুনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনে বিএনপির মুরিদমার্কা নেতাদের ডেকে ডেকে নিয়ে পকেট তহুরি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন ওই আন্ডার ডন। ফলে বিএনপির ওইসব নেতারা লাঙ্গলের জোয়ার কাঁধে নিয়েছিলেন।

সাধারণ কর্মী সমথকদের অভিযোগ- ওই রাজনৈতিক আন্ডার ডন নিজের স্বার্থে তার মুরিদগণকে কখনও বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দীনের পক্ষে নামিয়েছিলেন আবার কখনও তার বিরুদ্ধে নামিয়েছিলেন। আবার কখনও বিএনপি থেকে পদত্যাগী শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমের পক্ষে মুুরিদদের নামিয়েছিলেন আবার কখনও তার বিরুদ্ধে নামিয়ে দেন। আর জেলা ও মহানগর বিএনপি এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাই এখন তার মুরিদ হয়েছেন। যে কারনে ওই ব্যক্তিকে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিএনপির রাজনীতিতে আন্ডার ডন হিসেবে মন্তব্য করেছেন যিনি বিএনপির রাজনীতিকে পিছন থেকে নিয়ন্ত্রন করেন। তবে কেউ তার নামতে বলতে চাননি। তবে নেতাকর্মীদের দাবি ওই রাজনৈতিক আন্ডার ডনের মুরিদদের চিহ্নিত করে বিএনপির কমিটি থেকে বিতাড়িত করা উচিত। নতুবা বিএনপি নারায়ণগঞ্জে ঘুরে দাড়াতে পারবেনা।

বন্দর থানায় ৬৬টি মামলা, ওসি বললেন: আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফেব্রুয়ারী মাসে বন্দর থানায় ৬৬টি মাদক মামলা দায়েরা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বন্দর উপজেলাকে মাদকমুক্ত,সন্ত্রাস মুক্ত,ভূমিদস্যু মুক্ত করার জন্য। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সকল পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যেখানেই অপরাধী সেখানেই অভিযান। অপরাধী যেই হোক কোন ছাড় দেয়া হবেনা। এ জন্য সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গত ফেব্রুয়ারী মাসে বিভিন্ন অপরাধে বন্দর থানায় মামলা হয়েছে ৬৬টি। এর মধ্যে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে ৫১টি, সড়ক দূর্ঘটনা আইনে ১টি, চুরি মামলা ১টি, ধর্ষণ মামলা ২টি, মানবপাচার মামলা ১টি ও অন্যান্য মামলা হয়েছে আরো ১০টি। তবে ফেব্রুয়ারী মাসে ২টি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হলেও হত্যা কিংবা কোন ডাকাতি মামলা দায়ের হয়নি।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানায় দায়েরকৃত ৫১টি মাদক মামলাসহ অন্যান্য মামলায় ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে ১৯হাজার ৫’শ ৪৩পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ২কেজি ৫’শ ৭৫গ্রাম, ৬৮ বোতল ফেন্সিডিল ও ৮১লিটার মদ।

বন্দর থানা পুলিশ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জি.আর মামলার ওয়ারেন্টে ৪৫ জন ও সি.আর মামলার ওয়ারেন্টে ৫১জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

ভোটার হলেই তার নাগরিকত্বের স্থায়ী ডকুমেন্ট সৃষ্টি হয়: ইউএনও পিন্টু বেপারী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী বলেছেন, একজন নাগরিক শুধুমাত্র ভোটার হলেই তার নাগরিকত্বের স্থায়ী ডকুমেন্ট সৃষ্টি হয়। এই ডকুমেন্টই নাগরিকের জন্য একটা বড় সম্পদ। তাই ভোটার হতে পর্যাপ্ত বয়স হওয়ার পরও যেসব নাগরিক এখনো ভোটার হননি, সেসব নাগরিককে ভোটার হয়ে যাওয়ার জন্য বন্দর উপজেলা পরিষদ থেকে আহাবান জানান।

১মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টায় ‘ভোটার হব, ভোট দিব’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তার আগে বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি বন্দর উপজেলা সংলগ্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রাঙ্গনে এসে মিলিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বন্দর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ, সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, হাজী ইব্রাহীম আলম চাঁন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আহমেদ হালিম মজহার, সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ আলী, ক্রীড়া কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও উপজেলা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ প্রমূখ।

বন্দরে পুলিশ ও কাউন্সিলরের হাতে ঝাড়ু, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় বিডি ক্লিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেছে ‘বিডি ক্লিন’ বন্দর শাখা। ১ মার্চ শুক্রবার সকালে বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট হতে বন্দর প্রেসক্লাব পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।

বিডি ক্লিন এর সমম্বয়কারী এসএম বিজয়ের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের বন্দর বাজার প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, বন্দর থানার এসআই সাধন চন্দ্র বসাক সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বিডি ক্লিন এর কর্মকর্তারা।

শপথ বাক্য পাঠ করান বন্দর থানার এসআই সাধন চন্দ্র বসাক। তিনি বিডি ক্লিনের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানান। সেই সাথে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগীতা দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নিজেদের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ছাত্র, তরুণরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই সম্ভব হবে একটি পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে।

শ্রমিকলীগের নৌ-বিহারে শুক্কুর মাহামুদ: বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রমিকপ্রিয়

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ বলেছেন, শ্রমিকরা সর্বদাই জনবান্ধব। বিদেশের সিংহভাগ রেমিটেন্স অর্জিত হয় এই শ্রমিক সেক্টর থেকে। দেশের উন্নয়নে শ্রকিদের অবদান সবচেয়ে বেশি। ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধায় জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শ্রমিকলীগ আয়োজিত নৌ-বিহারের র‌্যাফেল ড্র এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এসব বলেন।

শুক্কুর মাহমুদ আরো বলেন, আন্তজার্তিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ বাঙ্গালী জাতির অহংকার। একাত্তুরের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদেরকেই বেশি ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন শ্রমিক প্রিয় মানুষ।

কবি সিরাজুল ইসলাম ও আযম মনিরের সঞ্চালনায় জমকালো এ মিলন মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজী কাজীমউদ্দিন প্রধাণ ও শিক্ষানুরাগী হাজী মঞ্জুর হাসান মেম্বার।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরফুদ্দিন সুজন, সবুজ সিকদার, সাহাবুদ্দিন পাঠান, ১৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিল্লাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, মহানগর যুব মহিলালীগ নেত্রী ডলি আক্তার, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক পিকে সোহেল, দৈনিক বিজনেস ফাইলের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার নয়ন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল বন্দর উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান পলাশ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বন্দরে ইউএনও এর হস্তক্ষেপে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অবশেষে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীর বিয়ে পন্ড করে দিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। ১ মার্চ শুক্রবার দুপুরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর নির্দেশে পুলিশ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে প্যান্ডেল উচ্ছেদ করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর ইউনিয়নের বাড়ৈ খালি গ্রামের সেলিম মিয়ার ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছরের কিশোরী কন্যাকে পার্শ্ববর্তী মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া এলাকার জানে আলমের ছেলে সুমনের সঙ্গে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করে।

নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে বিয়ের চেষ্টাকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী বন্দর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বরযাত্রীসহ বিয়ে বাড়ির লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ কিশোরীর বাড়ির লোকজনকে শাসিয়ে দেয়। পরে বিয়ের বাড়ির প্যান্ডেল ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

প্রতারক প্রেমিকের ফাঁদে নারী এখন অন্তঃস্বত্তা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের প্রতারক নূরুল ইসলামের প্রেমের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে সোনারগায়ের এক যুবতী। নিরীহ ওই যুবতী ২মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। সুবিচার পেতে ভুক্তভোগী মেয়েটি বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন মোড়গারচর টেকপাড়ার নুর হোসেনের প্রবাস ফেরত কন্যা পার্শ্ববর্তী বন্দর থানার মিরকুন্ডি এলাকার বাবু মিয়ার ছেরে নুরুল ইসলামের সাথে বিগত পাঁচ বছর আগে জানা শোনা হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। বিগত ২০১৫ সালে প্রেমিক নুরুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই চলে যাওয়ার তিন মাসের মাথায় তার প্রেমিকাকেও দুবাই নিয়ে যান। সেখানের একটি মসজিদে বিয়ের কালেমা পড়ে উভয়ে স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং প্রবাসে একছাদের নিচে বসবাস করতে থাকেন। পাশাপাশি স্ত্রী হিসেবে যা আয় করতেন সেই বেতন থেকে প্রতিমাস এক হাজার রিয়েল স্বামী নুরুল ইসলাম তার কাছে রেখে বাকী একশ রিয়েল স্ত্রীকে দিতেন। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি তার রোজগারের টাকা স্বামীর হাতে তুলে দিতেন।

সম্প্রতি গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রেমিক স্বামী নুরুল ইসলাম একরকম জোড় করে প্রেমিকাকে প্রবাসে রেখে দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসেই প্রতারক স্বামী সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফলে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে স্ত্রী দেশে ফিরে এসে স্বামীর বাড়ীতে যেতে চাইলে প্রতারক স্বামী তাকে কিছুদিনের মধ্যে স্ত্রীর সম্মান দিয়ে ঘরে তুলে নিবে বলে জানায়। কিন্ত প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও স্বামী নামের প্রতারক নুরুল ইসলাম মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার কোন পদক্ষেপ না নিলে গত কয়েকদিন পূর্বে মেয়েটি তার পিতা-মাতাকে নিয়ে প্রতারক স্বামীর বাড়ীতে গেলে তাদেরকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় এবং স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন।

বিষয়টি মিরকুন্ডি এলাকায় জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রতারক নুরুল ইসলামকে স্ত্রী হিসেবে মেয়েটিকে ঘরে তুলে নিতে বললে সে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে ও স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেনা বলে জানায়। সে আরো জানায় খুব তাড়াতাড়ি অন্যত্র সে বিয়ে করবে। এই বিষয়ে ন্যায় বিচারের আশায় ভূক্তভোগী প্রতারক নুরুল ইসলামের সন্তান গর্ভে ধারণ করে উভয় এলাকার সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সোনারগাঁয়ে লাল মিয়া হত্যা মামলার দুই আসামি রিমান্ডে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামে বৃদ্ধ লাল মিয়া হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হাবিবুর রহমান হাবুকে ও গোলজারকে ২ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোনারগাঁ থানা পুলিমের এসআই মনির হাসান জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার ছেলে খোকন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৮জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলার অন্যতম আসামি হাবিবুল্লাহ হাবু ও গোলজারকে গত সোমবার ভোর রাতে মেঘনা শিল্পাঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই দিন সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাবিবুল্লাহ হাবু ও গোলজারকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

লাল মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাবিবুল্লাহ হাবু বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার মুরাদপুর গ্রামের মৃত আবদুুল বাতেনের ছেলে ও গোলজার হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়াপাড়া গ্রামের অলিউল্লাহর ছেলে।

এখানে উল্লেখ্যযে, সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে খোরশেদের দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল। জমিটি খোরশেদের দখলে রয়েছে এবং একাধিকবার বিচার শালিসে খোরশেদ এ জমির রায় পেয়েছে। আব্দুস সামাদ এ জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি এ বিরোধপূর্ন জমিটি সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর বড়বাড়ি এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা ও স্থানীয় এমপির স্বঘোষিত নাতী গ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন। হাজী আনোয়ার জমিটি ক্রয় করে দখলে নেয়ার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে মদনপুরের সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজারসহ ৭০-৮০ জন ব্যক্তি ওই জমি দখল করতে যায়। এ সময় খোরশেদের ফুফা লাল মিয়া মিস্ত্রী এতে বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাজী আনোয়ার ও তার লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় জড়িত আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ