পরিবারের অবহেলার কারণেই কিশোর গ্যাং তৈরি: ইউএনও নাহিদা বারিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেছেন, অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব শুধু এ প্লাস পেতে হবে, প্রথম হতে হবে-এমন ধারণা শিশুদের মাথায় দিয়ে দিবেন না। তাকে পড়তে দিন, শিখতে দিন। শিশুদের বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। অনেক সময় শিশুদের ওজনের চেয়ে বইয়ের ওজন বেশি হয়ে যায়। এমনটি করবেন না। তাদের খেলতে দিন, সংস্কৃতিক অঙ্গণে প্রবেশ করতে দিন। তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ হবার শিক্ষা দেন।

১৪ নভেম্বর বৃহম্পতিবার বিকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকার আকবর কনভেন সেন্টারে এস্যুরেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউএনও নাহিদা বারিক আরও বলেন, সন্তানকে স্কুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হলে চলবে না। মা-বাবাকেও খোঁজ-খবর রাখতে হবে। কারণ পরিবারের অবহেলার কারণেই এখন কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। একটি সন্তান ভাল হলে পরিবারের জন্য ভালো, সমাজের জন্য ভালো এমনকি দেশের জন্য ভালো।

তিনি আরও বলেন, এখন শিশুরা খেলাধুলা বলতে মোবাইলের খেলাই বুঝে। আমি স্কুলগুলোকে অনুরোধ করবো, বার্ষিকী ক্রীড়ায় গ্রামীণ খেলাধুলাকে যুক্ত করতে। যাতে আমাদের শিশুরা গ্রাম বাংলাকে চিনতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসেন বলেন, মেধাবীরা শুধু পরিবারের সম্পদ নয়, দেশ ও সমাজের সম্পদ। সুতরাং একটি শিশুকে পরিবারের মধ্যে শিশুর যতœ নিতে হবে, যাতে সবাই মেধাবী হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন।
অনুষ্ঠানে শাহাদাত হোসেন সাজনু বলেন, শিশুদের শুধু পাঠ্যবই ও স্কুলের গন্ডিতে বেধে রাখলে চলবে না। তাদের দেশের সংস্কৃতি-ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে সোনার মানুষ গড়তে হবে। আর এই প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে সেই সোনার মানুষ গড়ার পাঠশালা।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে শিক্ষাসফরে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সাথে প্রকৃতির পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। কারণ প্রকৃতিও একটি বড় পাঠশালা। সেখানে শেখার অনেক কিছুই আছে।

স্কুলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের জন্য শুভ কামানা রইল আশা করি তোমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করে পরিবারে মুখ উজ্জল করবে। তোমরা বাবা মা এবং শিক্ষকদের কথা মেনে চলবে তাহলে তোমাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।

শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সামনে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির ভূয়সী প্রশংসা করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে স্কুলের বিদায়ী অধ্যক্ষকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে প্রধান অতিথি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সাংবাদিক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত মন্ডল, মুসলিমনগর পঞ্চায়েতের সভাপতি ফজলুল হক সরকার, সমাজসেবক কামালউদ্দিন মাতবর, আজিমউদ্দিন মাতবর, আলী সরদার, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন আকাশ, আওয়ামী লীগ নেতা সরদার সালাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আতাুউর রহমান আতা, ছাত্রলীগ নেতা শরীয়ত উল্লাহ বাবু ও আওয়ামী লীগ নেতা খবিরউদ্দিন খোকন প্রমুখ।

যুবদল ছাত্রদল শ্রমিকদলে প্রমাণিত গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বিএনপির কমিটি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির মাদার সংগঠন যখন গঠনতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে মনগড়া কমিটি গঠন করা হয় তখন এখানকার যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের মনগড়া সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এই তিনটি সংগঠন। তিনটি সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ১০টি ওয়ার্ড নিয়েই গঠন করা হয়। এমনকি মহানগর যুবদলের বর্তমান সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ১০নং ওয়ার্ড যুবদলের কমিটি গঠনের জন্য বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে নেন। যেখানে বলা হয় ওই ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে মহানগর যুবদলের সভাপতি কর্তৃত্ব দেখাবেন।

তবে নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আবার মাদার সংগঠনের মনগড়া কমিটিকে অনুসরণ করা হয়। কারন মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের ছেলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুুল কাউসার আশা। যে কারনে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি জেলাকেই ছেড়ে দেন। কারন তার পিতা আবুল কালাম মাঠের রাজনীতিতে তেমনটা না থাকলেও তিনি রাজনীতি করেন মুলত নির্বাচন কেন্দ্রীক। তাই তার আসনের এলাকা তার কব্জায় থাকলেই তিনি সুন্তুষ্ট।

কিন্তু বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, নারায়ণগঞ্জে মুল দলের কমিটি যেভাবে গঠিত হয়েছে সেভাবেই অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রিজভীর সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এই তিনটি সংগঠন গঠনতন্ত্রের বাহিরে যায়নি। মহানগর যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের নেতারা মহানগরীর মুল এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জ জেলা বিএনপির সঙ্গে এসব সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করতে দেয়নি। সুতরাং যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের কমিটি গঠনের বিষয়টিই প্রমাণ করেছে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনে দলের গঠনতন্ত্র মানা হয়নি। কারন মাদার সংগঠনের কমিটি গঠনের পরেই এই তিনটি সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আওতাধীন মুল এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জ। যেখানে সিটি কর্পোরেশনের ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড রয়েছে। আর মহানগরীর মুল এলাকাটি জেলা বিএনপির কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করেছে বিএনপি। মুলত নারায়ণগঞ্জের দুই শীর্ষ নেতার সুবিধার্থে দলের গঠনতন্ত্র না মেনেই জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। যে কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক শীর্ষ নেতা কমিটি গঠনের পর বলেছিলেন, মহানগরীর মাথা কেটে জেলা বিএনপির লেজ বানানো হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাকে। গঠনতন্ত্রে মহানগরীর কোন ওয়ার্ড কমিটি যা জেলা বিএনপির কোন ইউনিয়ন কমিটির সমমর্যাদাপূর্ণ। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওয়ার্ডের কোন সভাপতির পদমর্যাদা সেই হিসেবে অনেকটা নিচে নেমে যায়। যে কারনে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির দুই নেতা।

জানাগেছে, ওই ঘটনায় দলের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কমিটি গঠন করার অভিযোগ তুলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে মোকাবেলা বিবাদী এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামালকে মুল বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির দুই নেতা।

গত ১৩ নভেম্বর বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ বিবাদীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলজার খান ও একই ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (সাবেক পৌর এলাকা) বিএনপি নেতা নূরে আলম শিকদার বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ শিউলী রানী দাসের আদালতে মামলাটি করেন।

এরপর একইদিন শুনানি শেষে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে কেন কমিটি অবৈধ হবে না জানিয়ে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সীমানা ও গঠনতন্ত্র মানা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেন বিএনপির ওই দুই নেতা যারা মামলার বাদী।

জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সেক্রেটারি করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আংশিক কমিটি গঠন করা হয় এবং একইদিন কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সেক্রেটারি করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর চলতি বছরের ২৩ মার্চ ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও গত ৩০ অক্টোবর ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহারগর বিএনিপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। দুটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাটি জেলা বিএনপির সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়। অথচ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ১০টি ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের মুল এলাকা ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড। একইভাবে জেলা বিএনপির আওতাধীন এলাকা বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন, সদর মডেল থানার আরও দুটি ইউনিয়নকে মহানগর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মুল দলের কমিটি গঠনের পর এ নিয়ে বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যেও বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর বর্তমান মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মুছা সিদ্ধিরগঞ্জে একটি অনুষ্ঠান করতে গেলে যুবদলের অপর অংশের নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হন। হামলাকারীরা দাবি করেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি জেলা যুবদলের আওতাধীন। এ নিয়ে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সহ বেশকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মহানগর যুবদলের নেতা মঞ্জুরুল হক মুছা। ২০ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি যেভাবে হয়েছে একইভাবে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন করতে হবে।

কিন্তু রিজভীর এই নির্দেশনা মানেনি নারায়ণগঞ্জ যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নেতাদের রেখেই মহানগর যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। একইভাবে মহানগর ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের কমিটিও গঠন করা হয়। যেখানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু, মহানগর ছাত্রদলের সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবু ও মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলামকে রাখা হয়। অথচ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দশটি ওয়ার্ড জেলা বিএনপিতে রাখা হয় যেখানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পান। তবে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রিজভীর নির্দেশনা মানা হয়।

আংশিক কমিটি গঠনের পর নেতারা দাবি করেন- জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনভিত্তিক সুবিধার বিষয়টি হিসেব করে কমিটি গঠন করা হয়। কারন হিসেবে তিনি দাবি করেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লার সঙ্গে) আসনের অন্তর্ভুক্ত। তবে স্থানীয় নেতারা বলছেন- নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি মহানগরীতে থাকলে তাকে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে ধর্না দিতে হবে। তাই শাহআলমের কারিশমাতেই এভাবে কমিটি তার সুবিধার্থে করা হয়। কারন এ জেলায় শিল্পপতি শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার হিসেবেই পরিচিত।

তবে মামলা হওয়ার পর ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শাহজাহান মিয়ার কাছে গঠনতন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি আংশিক কমিটি গঠনের সময় দায়িত্বে ছিলাম। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় দায়িত্বে ছিলাম না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছেন মহাসচিব। তিনি তো সরাসরি সব কিছু খোজ খরব নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে হয়তো সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেখেন এবং স্থানীয় নেতারা কাজটা করেন।

তিনি মামলার বিষয়ে বলেন, যদি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কেউ বঞ্চিত হোন কিংবা কমিটি গঠনে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটা মহাসচিবকে জানাতে পারতো। কিংবা দলের কাছে লিখিত দিতেও পারতো। কিন্তু সেটা না করে আদালতে মামলা দায়ের করাটা মনে হয় সঠিক হয়নি। তাও দলের এমন পরিস্থিতিতে। আর যেহেতু আমি দায়িত্বে নেই তাই কোন মন্তব্য করতে চাই না।

এ বিষয়ে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিব করেননি। একইভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি বরাবরই মতই ফোন রিসিব করেননি।

তবে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বলেছেন, দলের গঠনতন্ত্র মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা মামলা দায়ের করেছে তারাই গঠনতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, কমিটি গঠনতন্ত্র মেনে বা না মেনে হয়েছে কিনা সেটা এখন আদালতের এখতিয়ার। যেহেতু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা বিচারধীন বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।

মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল বলেন, দলের ক্রান্তিকালে আদালতে মামলা দায়ের করে বিএনপিকে কাঠগড়ায় দাড় করানোর বিষয়টি শুনে মর্মাহত হয়েছি। কারো কোন দাবি থাকলে সেটা দলকে চিঠির মাধ্যমে জানাতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে আদালতে মামলা দায়ের করার বিষয়টি আমার কাছে মনে হচ্ছে সরকারের কোন এজেন্ট হয়ে কাজ করা।

গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি গঠন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে যে, দলের প্রয়োজনে পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে পারবেন চেয়ারপারসন। সুতরাং দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।

মানবতার সেবায় এগিয়ে আসলেন আইনজীবী ফিরোজ মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এবার মানবতা দেখালেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সোনারগাঁয়ের সন্তান অ্যাডভোকেট ফিরোজ মিয়া। গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ভোরে নারয়ণগঞ্জ শহরের ১নং বাবুরাইল এলাকার মৃত মোতালেব শাহর স্ত্রী আসমা বেগম তার নিজ বাড়ীতে বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন।

মরহুমা আছমা বেগমের ছেলে মেহেদী আক্তার বকুল একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে। মৃত্যুর আগে আসমা বেগমের শেষ ইচ্ছা ছিল কারাগারে থাকা তার ছেলে জানাজায় দাফন কাফন অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু মেহেদী কারাগারে থাকায় তার মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ প্রায় অসম্ভব ছিল।

মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণের জন্য পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় কান্নাজড়িত অবস্থায় ছোটাছুটি করতে থাকেন। অতঃপর তাদের ছোটাছুটি ও কান্নাঝরা অশ্রুমুখ দেখে অ্যাডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া এগিয়ে আসেন এবং তাদের মুখ থেকে তাদের মায়ের শেষ ইচ্ছা কথা শুনেন।

মরহুমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্যারোলে মুক্তির জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক জরুরী কাজে নিজ কর্মস্থলে অনপুস্থিত থাকলে তারা সবাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যান এবং ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ খুলে বলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার বিস্তারিত শুনে প্যারোলে মুক্তির লিখিত আবেদনটি জরুরী ভিত্তিতে ফাইলিং করার জন্য জিএম শাখাকে নির্দেশ প্রদান করেন। জিএম শাখার সহকারী কমিশনার ফারজানা আক্তারের সার্বিক সহযোগীতায় মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তির আবেদনের বিষয়ে জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার ও জেল সুপারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধের একটি পত্র প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে অ্যাডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া উক্ত অনুরোধের একটি পত্র পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দিয়ে মেহেদীর পরিবারের লোকজনদের নিয়ে উক্ত অনুরোধের আরেকটি পত্র জেলা প্রশাসকের কর্মচারী দিয়ে জেল সুপার বরাবর জমা প্রদান করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুলিশের একটি গাড়ীযোগে পুলিশ আসে এবং তাদের পাহাড়ায় মেহেদী আক্তার বকুলকে তার মায়ের দাফন কাফনের জন্য রওনা হয়।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া বলেন, আমি ভাল একজন আইনজীবী হওয়ার আগে ভালো একজন মানবিক মানুষ হতে চাই। আমি যেন সবার সাহয্যে এগিয়ে আসতে পারি এবং সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

মহানগরীর মাথা কেটে জেলা বিএনপির লেজ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আওতাধীন মুল এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জ। যেখানে সিটি কর্পোরেশনের ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড রয়েছে। আর মহানগরীর মুল এলাকাটি জেলা বিএনপির কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করেছে বিএনপি। মুলত নারায়ণগঞ্জের দুই শীর্ষ নেতার সুবিধার্থে দলের গঠনতন্ত্র না মেনেই জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। যে কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক শীর্ষ নেতা কমিটি গঠনের পর বলেছিলেন, মহানগরীর মাথা কেটে জেলা বিএনপির লেজ বানানো হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাকে। গঠনতন্ত্রের মহানগরীর কোন ওয়ার্ড কমিটি যা জেলা বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সমমর্যাদাপূর্ণ। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওয়ার্ডের কোন সভাপতির পদমর্যাদা সেই হিসেবে অনেকটা নিচে নেমে যায়। যে কারনে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির দুই নেতা। আংশিক কমিটি গঠনের পর বিএনপি নেতারা দাবি করেছিলেন- আসনভিত্তিক সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির গঠনতন্ত্রে আসনভিত্তিক কমিটি গঠনের কোন নিয়ম রাখা হয়নি।

জানাগেছে, ওই ঘটনায় দলের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ স্থানীয় আরও ৪ নেতার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির দুই নেতা। মামলায় তারা অভিযোগ করেন-নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এলাকা অর্থাৎ মহানগরীর ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোন নেতাকেই রাখা হয়নি।

এই মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে মোকাবেলা বিবাদী এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামালকে মুল বিবাদী করা হয়।

১৩ নভেম্বর বুধবার রাতে আদালত থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ বিবাদীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলজার খান ও একই ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (সাবেক পৌর এলাকা) বিএনপি নেতা নূরে আলম শিকদার বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ শিউলী রানী দাসের আদালতে মামলাটি করেন।

এরপর একইদিন শুনানি শেষে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে কেন কমিটি অবৈধ হবে না জানিয়ে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সীমানা ও গঠনতন্ত্র মানা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেন বিএনপির ওই দুই নেতা যারা মামলার বাদী।

মামলার বাদী গুলজার হোসেন খান অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে অল্প ক’জন নেতা স্থান পেলেও মহানগরের কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড পর্যন্ত ১০টি ওয়ার্ডের কোনো নেতাই পদ পদবি পাননি। এই ১০টি ওয়ার্ডের মূল দলের নেতাকর্মীরা দলীয় পদ পদবির ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছেন। দলের জন্য প্রাণপন কাজ করলেও দলের নেতারা তাদের কোনো পরিচয় দিচ্ছেন না। আমাদেরকে পদ পদবি যেন দেয়া হয় সেজন্যই এ মামলা। আমরা তো জাগোদল থেকেই যুক্ত বিএনপির সঙ্গে।

জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সেক্রেটারি করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আংশিক কমিটি গঠন করা হয় এবং একইদিন কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সেক্রেটারি করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর চলতি বছরের ২৩ মার্চ ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও গত ৩০ অক্টোবর ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহারগর বিএনিপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। দুটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাটি জেলা বিএনপির সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়। অথচ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ১০টি ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড এলাকা।

কমিটি গঠনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মুল এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দশটি ওয়ার্ডকে জেলা বিএনপির সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। যেখানে সিটি কর্পোরেশনের ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড রয়েছে। জেলা বিএনপির আওতাধীন এলাকা বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন, সদর মডেল থানার আরও দুটি ইউনিয়নকে মহানগর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময় স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন- জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভিত্তিক সুবিধার বিষয়টি হিসেবে করেই দুটি কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে এ নিয়ে বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যেও বিরোধ সৃষ্টি হয়ে যায়। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর বর্তমান মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মুছা সিদ্ধিরগঞ্জে একটি অনুষ্ঠান করতে গেলে যুবদলের অপর অংশের নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হন। তারা দাবি করেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি জেলা যুবদলের আওতাধীন। এ নিয়ে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সহ বেশকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মহানগর যুবদলের নেতা মঞ্জুরুল হক মুছা। ২০ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি যেভাবে হয়েছে একইভাবে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন করতে হবে।

কিন্তু রিজভীর এই নির্দেশনা মানেনি নারায়ণগঞ্জ যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নেতাদের রেখেই মহানগর যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। একইভাবে মহানগর ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের কমিটিও গঠন করা হয়। যেখানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু, মহানগর ছাত্রদলের সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবু ও মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলামকে রাখা হয়। অথচ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দশটি ওয়ার্ড জেলা বিএনপিতে রাখা হয় যেখানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পান। তবে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রিজভীর নির্দেশনা মানা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি গঠনের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া। তিনি ওই সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন- জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভিত্তিক সুবিধার বিষয়টি হিসেবে করে কমিটি গঠন করা হয়। কারন হিসেবে তিনি দাবি করেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লার সঙ্গে) আসনের অন্তর্ভুক্ত। তবে স্থানীয় নেতারা বলছেন- নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি মহানগরীতে থাকলে তাকে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে ধর্না দিতে হবে। তাই শাহআলমের কারিশমাতেই এভাবে কমিটি তার সুবিধার্থে করা হয়। কারন এ জেলায় শিল্পপতি শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার হিসেবেই পরিচিত।

তবে মামলা হওয়ার পর ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শাহজাহান মিয়ার কাছে গঠনতন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি আংশিক কমিটি গঠনের সময় দায়িত্বে ছিলাম। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় দায়িত্বে ছিলাম না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছেন মহাসচিব। তিনি তো সরাসরি সব কিছু খোজ খরব নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে হয়তো সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেখেন এবং স্থানীয় নেতারা কাজটা করেন।

তিনি মামলার বিষয়ে বলেন, যদি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কেউ বঞ্চিত হোন কিংবা কমিটি গঠনে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটা মহাসচিবকে জানাতে পারতো। কিংবা দলের কাছে লিখিত দিতেও পারতো। কিন্তু সেটা না করে আদালতে মামলা দায়ের করাটা মনে হয় সঠিক হয়নি। তাও দলের এমন পরিস্থিতিতে। আর যেহেতু আমি দায়িত্বে নেই তাই কোন মন্তব্য করতে চাই না।

এ বিষয়ে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিব করেননি। একইভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি বরাবরই মতই ফোন রিসিব করেননি।

তবে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বলেছেন, দলের গঠনতন্ত্র মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা মামলা দায়ের করেছে তারাই গঠনতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, কমিটি গঠনতন্ত্র মেনে বা না মেনে হয়েছে কিনা সেটা এখন আদালতের এখতিয়ার। যেহেতু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা বিচারধীন বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।

মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল বলেন, দলের ক্রান্তিকালে আদালতে মামলা দায়ের করে বিএনপিকে কাঠগড়ায় দাড় করানোর বিষয়টি শুনে মর্মাহত হয়েছি। কারো কোন দাবি থাকলে সেটা দলকে চিঠির মাধ্যমে জানাতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে আদালতে মামলা দায়ের করার বিষয়টি আমার কাছে মনে হচ্ছে সরকারের কোন এজেন্ট হয়ে কাজ করা।

গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি গঠন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে যে, দলের প্রয়োজনে পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে পারবেন চেয়ারপারসন। সুতরাং দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।

আইনজীবী স্বপন ভূ্ঁইয়ার নেতৃত্বে সু-সংগঠিত রূপগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সু-সংগঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ। সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে স্বপন ভূঁইয়াকে দ্বিতীয় দফায় উপজেলার দায়িত্ব দেয় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়ার সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। কলেজ ছাত্রলীগের পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে সম্পৃক্ত হন। যার ফলে তাকে প্রথমে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর তাকে একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব দেয়া হয়।

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখায় তাকে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার চেষ্টায় থাকলেও ছাত্রলীগর গঠনতন্ত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকায় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্বে আসতে পারেননি।

যার ফলে ২০১৩ সালে মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়াকে রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। রূপগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পৌরসভা কমিটিগুলো গঠনে কাজ করেন স্বপন ভূঁইয়া। সাংগঠনিকভাবে রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদে সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের মাঝে একজন নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত স্বপন ভূঁইয়া।

ইসলাম কোন জঙ্গিবাদ ও বোমাবাজিকে সমর্থন করেনা: আনিসুর রহমান দিপু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, ইসলাম কোন জঙ্গিবাদ ও বোমাবাজিকে সমর্থন করেনা। আর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জঙ্গি হয়না। তার বহু প্রমাণ আমরা পেয়েছি। যে প্রকৃত মুসলমান সে কখনো কোন অন্যায় কাজে জড়িত থাকতে পারেনা। নানান কটুক্তি, গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশে যারা অরাজকতা সৃষ্টি করতে পায়তারা করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান কারণ আপনারা এধরণের হীন কাজের জন্য আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে আসুন সকলে জীবনযাপন করি। তাহলে জীবন আলোকিত হবে ও প্রস্ফুটিত হবে।

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কেওঢালায় মাদরাসা জূন-নূরাইন এর হাফেজ ছাত্রদের দস্তারবন্দী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ২দিন ব্যাপী ২১তম ইসলামী মহাসম্মেলনের ১ম দিন ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্যকালে আনিসুর রহমান দিপু এসব কথা বলেন।

উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে বাংলার প্রখ্যাত আলেমরা গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী বক্তব্য রাখেন বলে জানা যায়। অত্র মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল আহাদ নাঈমের সার্বিক আয়োজনে এ সময় অত্র মাদ্রাসার সভাপতি আমানুল হোসেন ভূঁইয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশি নজরুল ইসলাম বাদশা, ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মদনপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া, এএইচবি ব্রিক্সের স্বতাধিকারী আহসান হাবীব ভূঁইয়া সহ মাদ্রাসার শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিভিন্ন বয়সী ইসলামী তৌহীদি জনতা উপস্থিত থেকে ওয়াজ শ্রবণ করেন।

মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা, বিএনপি নেতা শিপলুর প্রতিবাদ ও নিন্দা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামালের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা করেছেন বিএনপির দুই নেতা। এ মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: শরীফুল ইসলাম শিপলু।

১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অ্যাডভোকেট মো: শরীফুল ইসলাম শিপলু মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এটি কলংকজনক অধ্যায়। ।বিএনপির ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি ন্যাক্কারজনক অপরাজনীতি।

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, আজ যেখানে দেশনেত্রী, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, আমার নেত্রী আমার মা বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসী দল আওয়ামীলীগের মিথ্যা মামলার দায়ে অন্ধকারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ও তারণ্যের অহংকার আগামী দিনের দেশনায়ক তারেক জিয়া বিদেশে জীবনযাপন করছেন। এসমন সময় বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলার শীর্ষ চার নেতার বিরুদ্ধে মামলা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যপ্রোনোদিত।

তিনি বলেন, আমি মনে করি বিএনপির এই দুঃসময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে আর বড় কিছু হতে পারে না।

সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলার চরকামালদী গ্রামে এক মাছ ব্যবসায়ী দুলাল মোল্লার বাড়িঘর ভাংচুর ও নগদ টাকা লুটপাট করে সহ তার ছেলে ও সিকিউরিটি গার্ডের উপর হামলার ঘটনায় ১৩ নভেম্বর বুধবার রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর ছেলে সিজয় মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী দুল্লাল মোল্লা একই গ্রামের মৃত গহন আলী ছেলে ওয়াজকরুনী কাছ থেকে মাছের খাবার কেনা কাটা করে আসছিল। কিছু দিন পর ওয়াজকরুনী কাছ থেকে মাছের খাবার কেনা বন্ধ করে দেয় দুলালা মোল্লা। এরই বিরোধের জের ধরে গত ২ নভেম্বর রাত তিনটায় দুলাল মোল্লার বাড়িতে হাবিবের নেতৃত্বে ওয়াজকরুনী, আল আমিন সহ আরোও অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বিল্ডিংয়ের রুমের দরজা ভেংঙ্গে দুলাল মোল্লার ছেলে সিজয় মোল্লা (১৭) ও ছেলে ও সিকিউরিটি গার্ড রোমানের উপর আতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

পরে আলমারীর ড্রয়ার ভেংঙ্গে নগদ ১ লক্ষ ২৮হাজার ৬শত টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল মোল্লার ছেলে সিজয় মোল্লা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তবে এব্যপারে দুলাল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে তারা ডাকাতি করে আমার মুল্যবান মালামাল সহ নগদ টাকা নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, এঘটনায় একটি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করে দিলেন আবু নাঈম ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হামছাদি ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু নাইম ইকবাল। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ওই শ্রেণিকক্ষের উদ্বোধন করেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুম বিল্লাহের সভাপতিত্বে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খন্দকার মজিবুর রহমান, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আবু নাইম ইকবালকে ফুলেল সংবর্ধনা জানায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদি ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক ছাত্রছাত্রীরা একটি শ্রেণিকক্ষের অভাবে দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট করে আসছিল। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য, ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু নাইম ইকবালকে জানায়। এরপর তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে একটি নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করে দিয়েছেন। দেশের সকল বিত্তশালীদের উচিৎ আবু নাইম ইকবালের এ আদর্শকে অনুসরণ করা।

ফতুল্লার রামারবাগ মডেল স্কুলে সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারাণণগঞ্জ ফতুল্লার পূর্ব শিয়ারচর এলাকায় অবস্থিত রামারবাগ মডেল স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা, বাৎসরিক মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রামারবাগ মডেল স্কুলের পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ডালিম (চেয়ারম্যান বনানী লিংক), নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ মোহসিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকারী সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিল্পপতি মোস্তফা কামাল, হৃদয় গ্রুপের চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান, সমাজ সেবক আলীম মাদবর, সমাজ সেবক মোক্তার হোসেন, সমাজ সেবক গোলাপ মিঞা, সমাজ সেবক আবুক হোসেন, সমাজ সেবক গফুর ভেন্ডার, ভোরের বন্ধু সভাপতি রমজান আলী সহ শিক্ষার্থীদের অবিভাবকবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিব!

তিনি আরো বলেছিলেন, যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে সেই বিষয়ে শিক্ষিত, কাজেই সবাই শিক্ষিত। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো কেউ গ্রাজুয়েট না হলে আমরা তাকে শিক্ষিত বলতে নারাজ, আপনি যে কাজ করুন না কেনো তা যদি ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারেন তাহলে আপনি শিক্ষিত।

এ সময় তিনি অভিভাবকদেরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনার বাচ্চার ভবিষ্যত আপনার হাতেই। তাই আপনার সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষায় আপনাদের ভুমিকা গুরুত্বপুর্ণ।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের পর সমাপনী পরীক্ষার্থী সকলকে স্কুলের পক্ষ থেকে একটি করে জ্যামিতি বক্স ও ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়।

সর্বশেষ সংবাদ