সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের আইনজীবীরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১১ মার্চ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২০-২১) কার্যনির্বাহী কমিটির দু’দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রচারনায় দিনভর কোর্ট প্রাঙ্গণে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সহ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদক সহ ১৪টি পদের বিপরীতে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ভোট দেবেন ৭ হাজার ৭৮১ জন আইনজীবী।

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) সভাপতি পদে বারের বর্তমান সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হক নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল) থেকে সভাপতি পদে বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক পদে রুহুল কুদ্দুস কাজলকে নিয়ে প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে নির্বাচনে।

সোনারগাঁয়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় বৃহত্তম ঢাকা গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধিনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝাউচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১.৩ কিলোমিটার রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সোনারগাঁয়ের সদস্য সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।

১০ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে এ রাস্তার উদ্বোধন করা হয়। পরে ঝাউচর এলাকায় এক জনসভার আয়োজন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগর যুগ্ম আহ্বায়ক পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যদের উপস্থিত পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ফিরোজ মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক ডা: আতিকুল্লাহ, ফজলুল হক প্রধান, পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলী আকবর, ইউপি সদস্য আলমগীর, মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠিক আবু সাঈদ, মোঃ আরিফ মিয়া, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু, আওয়ামীলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ, আলমচাঁন, আবু হানিফ, কামাল হোসেন, আল-আমিন, শ্রমিক লীগ নেতা তাজুল ইসলাম প্রমূখ।

সোনারগাঁ যুবদলের কমিটি: মামলা না খেয়েও নেতা, ১৮ মামলার আসামি তার কর্মী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের অন্তর্ভুক্ত সোনারগাঁয়ে যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই দিন কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছিলেন, ত্যাগীদের মুল্যায়ন করা হবে। একই সূর তুলেছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারিও। কিন্তু তার প্রতিফলন পুরোপুুরি উল্টো করে দেখালো জেলা যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা।

গত ৭ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৮টি মামলার আসামি হয়েছিলেন নূরে ইয়াসিন নোবেল। তিনি আওয়ামীলীগ সরকার আমলে জেল খেটেছেন দুইবার। বছরের পর বছর মামলায় আসামি হয়ে থেকেছেন আত্মগোপনে। তাকে যেখানে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে সেখানে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে আশরাফ ভূঁইয়াকে। এই আশরাফ ভুইয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও নেই। জেল খাটার তো প্রশ্নই ওঠেনা।

আশরাফ ভূ্ইঁয়া মামলা না খেয়েও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আর নূরে ইয়াসিন নোবেল ১৮মামলার আসামি হয়ে তার নিচে যুগ্ম আহ্বায়ক। যুবদলের রাজনীতিতে ছিলেন না আশরাফ ভূঁইয়া অথচ নোবেলের নেতা এখন আশরাফ ভূঁইয়া। তবে এমন বিষয়টি খোদ ভাগ্য হিসেবে দাবি করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি টিটু। ফলে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমেই ত্যাগীদের পেছনে ফেলে দিতে শুরু করেছে জেলা যুবদল। এমন কমিটি গঠনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমিটি বানিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপনকে আহ্বায়ক ও যুবদল নেতা আশরাফ ভূঁইয়াকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এই কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ১২ জন ও সদস্য পদে রাখা হয়েছে ১৯ জনকে।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নুরে ইয়াসিন নোবেল, আশরাফুল আলম প্রধান, আশরাফ মোল্লা, পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী চপল, কামাল হোসেন, রাসেল রানা, আব্দুল আলী, কাওসার হোসেন, আমির হোসেন, মোঃ কাওসার ও আবু তাহের।
এ ছাড়াও সদস্য পদে মাসুম রানা, নিজাম উদ্দিন, শাহিন আলম জুবায়ের, আমজাদ হোসেন মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ ইয়াসিন, ইউনুস মিয়া, সুমন মিয়া রান্টু, মোঃ আতাউর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন হিমেল, মকবুল হোসেন, নোবেল মীর, মতিউর রহমান মতি, আমিনুল ইসলাম, খন্দকার রেজাউল, অলিউর রহমান, শাহ আলম ও আল আমিন মোল্লা।

এদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভূঁইয়া যুবদলের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন না। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম তার ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তার বিরুদ্ধে নেই একটি মামলাও। জেল খাটতে হয়নি একদিনও। অথচ এই কমিটির পরের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে ইয়াসিন নোবেল কারাভোগ করেছেন দুইবার। ১৮টি মামলায় আসামি হয়ে তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেন। অথচ তার নেতা এখন মামলা না খেয়েও আশরাফ ভূঁইয়া। আর ১৮টি মামলার আসামি নোবেলের নেতা এখন তিনি। নোবেল আগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আশরাফ ভূঁইয়া ওই কমিটিতে যুবদলের সদস্যও ছিলেন না।

এ বিষয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে ইয়াসিন নোবেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা। আমি দুইবার জেল খেটেছি। যাকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে সে কোনদিন যুবদলের রাজনীতিতেও ছিলোনা। এখন কমিটি এভাবে কেন গঠন করা হলো তা বুঝতে পারছিনা।

তবে আশরাফ ভূঁইয়া দাবি করেছেন- এর আগে তিনি সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। যুবদলের কোন কমিটিতে না থাকলেও তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে থেকেই যুবদলের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তাকে জেল খাটতে হয়নি।

এমনটা কিভাবে হলো জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, আসলে নেতৃত্ব ভাগ্যের বিষয়। হয়তো এটা ভাগ্যের কারনে পেয়েছেন।

তবে তিনি পরক্ষনেই বলেন, আমরা কমিটির স্বার্থে একপক্ষ থেকে আহ্বায়ক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়েছি যাতে বিরোধ সৃষ্টি না হয়। বিরোধ যাতে না হয় সে কারনে দুই পক্ষ থেকে কমিটি দেইনি। এ ছাড়াও অর্থের বিনিময়ে কমিটি বা কমিটি বানিজ্যের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন।

সোনারগাঁ পৌর যুবদলের পরিচিতি সভা: লক্ষ্য খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার ইছাপাড়া এলাকায় এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান সোহেলের পরিচালনায় এতে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন দিপু।

পরিচিতি সভায় আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন যুবদলের সকল নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীতে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে পৌর যুবদলের শক্তিশালী ভুমিকা প্রত্যাশা করেন। সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে সোনারগাঁও পৌর যুবদলকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে চান বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাদ্দাম হোসেন।

এ ছাড়াও সাদ্দাম হোসেন তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনৈতিকভাবে কারাগারে বন্ধি করেছে বলে দাবি করে তার মুক্তির দাবি করেন। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন।

পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন- কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন জাহের আলী, শরিফুল ইসলাম শ্যামল, আবু সাইদ, মনিরুজ্জামান মন্টু, সৈকত হোসেন, মাসুদুর রহমান মিন্টু, আজহারুল ইসলাম, হযরত আলী রানা, জসীমউদ্দীন ও মো: আলামিন এবং কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, আশরাফুল ভূঁইয়া রিপন, আবু তাহের মিয়া, মোহাম্মদ হান্নান, পিয়ার হোসেন, জুলহাস মিয়া, ওয়াহিদুজ্জামান বকুল, এনামুল হক বাবু, মো: ইমরান, মোবারক হোসেন, মজিবুর রহমান, সজিব মিয়া, শহিদ মিয়া, মনির হোসেন, সুমন মিয়া, ওসমান মিয়া, ইমরান হোসেন বাবু ও আনোয়ার হোসেন।

জানাগেছে, গত ৭মার্চ রবিবার অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেনকে আহ্বায়ক ও মফিজুর রহমান সোহেলকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সোনারগাঁও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। কমিটিতে একজন আহ্বায়ক ছাড়াও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ১১ জন ও সদস্য পদে রয়েছেন ১৯ জন।

করোনা ভাইরাস ইস্যূ: অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রি, জেল ও জরিমানা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত মুল্যে মাস্ক বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে ৮টি ফার্মেসীকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অপর একটি ফার্মেসীর কর্মচারীকে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

১০মার্চ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক, আব্দুল মতিন খান, নাছরিন আক্তার যৌথভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে কালিরবাজারের নুরুল মেডিকেল কর্ণার, রাজু মেডিকেল কর্ণার, হাসান ফার্মেসী, হক ফার্মেসীসহ ৮টি ফার্মেসীকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নুরুল মেডিকেল কর্ণারের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নির্দেশে আমরা ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়েছি। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ফার্মেসীগুলো মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষদের মনে একটি আতংক সৃষ্টি হয়েছে সেটি দূর করতেই এই অভিযান। অভিযানে ৮ ফার্মেসীকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রি করার অপরাধে ১ জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল মাস্কসহ বিভিন্ন হ্যান্ড সেনেটাইজারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই আজ বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন এসব সামগ্রীর মূল্য নির্ধারণ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। মূলত আজ আমরা এসব সামগ্রীর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে একটি তালিকা সকল ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। পরবর্তীতে কেউ যদি এগুলো নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরো শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালীবাজার ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষের যেনো ভোগান্তি না হয় তাই আজকে সরকারের পক্ষ থেকে এখানকার ওষুধের দোকানগুলোতে যে অভিযান পরিচালনা হয়েছে এটা ভালো সিদ্ধান্ত। আমি চাই এই মূহুর্তে যেনো নারায়ণগঞ্জে কোথাও অধিক মূল্যে মাস্ক বিক্রি না হয়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই জনের সংস্পর্শে আসায় চারজন ও একজন চীনা নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনে (পর্যবেক্ষণে) রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। তাদের নিজ বাড়িতেই বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলেও জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যারা দেশে ফেরেন তাদের ১৪ দিন স্বাভাবিক পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। সে হিসেবে চীনা এক নাগরিককে রাখা হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত দুইজনের পরিবারের চারজনকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা কিন্তু এখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয়। কোয়ারেন্টাইন মানে হচ্ছে, সন্দেহভাজনদের ১৪দিন বদ্ধ ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখা।

অন্যদিকে আগের দিন সোমবার নারায়ণগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দুইজন রোগী শনাক্তের পর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে জেলা মাল্টিসেক্টরাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনকে সভাপতি এবং জেলা সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি করা হয়েছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জে কোয়ান্টারাইনের জন্য প্রতিটি সরকারি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত কিংবা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানে শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় নির্মিত চীফ জুডিশিয়াল কোর্ট (সিজেএম) ভবনে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে বেশি নতুন এই রোগ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ৩ জন করোনা ভাইরাসে রোগী শনাক্তের পরপরই গোটা দেশেই হঠাৎ মাস্ক বিক্রি ও দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া মাস্কের সংকটও দেখা দেয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজমান করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে সার্জিক্যাল মাস্ক, হেক্সিসল এবং হ্যান্ড-স্যানিটাইজারের মতো সামগ্রী অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। মাত্র ২০-৩০ টাকার মাস্ক বিভিন্ন ফার্মেসীতে ও ভাসমান বিক্রেতারা ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

আড়াইহাজার থানা যুবদলের কমিটিতে পদপ্রত্যাশি তিন নেতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতীয়তাবাদী যুবদলের নারায়ণগঞ্জের জেলার সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরপরই জেলা যুবদলের আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটিগুলো গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তেমনি আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝেও আলোচনা শুরু হয়েছে যে, কে হচ্ছেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আগামী দিনের কান্ডারী। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা রয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরও বলছেন- নেতৃত্বে বর্তমান নেতারাই থাকছেন নাকি নতুন কেউ আসছেন এ নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। কারন বর্তমান আহ্বায়ক জুয়েল আহমেদ মুলদলের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। যে কারনে স্থানীয় নেতাদের অনেকেই বলছেন পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। কেমন পরিবর্তন তারা আশা করছেন? উত্তরে নেতারা বলছেন, সমালোচনার উর্ধ্বে থাকা নেতারাই থাকবেন এবারের নেতৃত্বে।

এক্ষেত্রে শীর্ষ পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন এম জাহিদ হাসান মঞ্জু, সাদেক হোসেন ও আশ্রাফুল ইসলাম আশ্রাফের নাম। স্থানীয় কর্মীদের দাবিমতে- রাজনীতিতে তারা ক্লিন ইমেজধারী যুবদল নেতা হিসেবেই পরিচিত। তবে এক্ষেত্রে খানিকটা বাড়তি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন যুবদল নেতা জাহিদ হাসান মঞ্জু। তৃণমূল থেকে ওঠে আসা এই তরুণ যুবদল নেতা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আড়াইহাজার থানা খাগকান্দা ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকেন দুইবার। ছাত্র রাজনীতিতে নেই তার কোন প্রকার টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মত অভিযোগ। ছাত্র রাজনীতির পর তিনি দায়িত্ব পান খাগকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির। নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন ধরে তিনি খাগকান্দা ইউনিয়ন যুবদলকে পরিচালনা করে আসছেন কোন প্রকার বিতর্কিত কর্মকান্ড ছাড়াই।

যার ফলে তৃণমূলের দাবি মঞ্জুকে যেন আড়াইহাজার থানা যুবদলের শীর্ষ পদে আসীয়ান করা হয়। মঞ্জুকে নিয়ে তারা বেশ আশাবাদি। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে তরুণ ও স্বচ্ছ ইমেজের নেতা হিসেবে তার কথাই ভাবছেন তারা। কারন হিসেবে স্থানীয় তৃণমূল যুবদলের নেতারা বলেন, আড়াইহাজারের যুবদলের রাজনীতিতে মঞ্জু একটি নিবেদিত প্রাণ। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নেই তার কোন প্রকার বিতর্কিত কর্মকান্ড। ক্লিন ইমেজধারী নেতা হিসেবে সুপরিচিত তিনি। সিনিয়র নেতাদের সাপোর্টও পাচ্ছেন বেশ। রাজপথের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতারা সঠিক মূল্যায়িত না হলে আড়াইহাজারে যুবদল নিস্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে শংকা প্রকাশ করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এম জাহিদ হাসান মঞ্জু বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু আড়াইহাজার থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। তার হাত ধরেই আমার রাজনীতি রচনা হয়। তিনি ছিলেন আমার পিতৃতুল্য। আমি তাকে আমার অভিভাবক মনে করতাম। তার চলে যাওয়া আড়াইহাজার বিএনপির জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। কিন্তু তার অবর্তমানে বাবার ন্যায় বটবৃক্ষের ছায়ার মতো আগলে রাখছেন তারই ছেলে আড়াইহাজার থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। আমি মনে করি আড়াইহাজার বিএনপির অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে সুমনের কোন বিকল্প নাই।

তিনি আরও বলেন, আমাকে যদি আড়াইহাজার যুবদলের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আড়াইহাজার থানা যুবদলের নেতাকর্মীদের এক প্লাটফর্মে রাখতে অপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। সবাইকে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করব, মুক্ত করে আনব আপোষহীন নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। ফিরে আনব বিএনপির রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে। আর যদি আড়াইহাজার থানা যুবদলের দায়িত্বে আমাকে রাখা না হয় তাতেও আমার কোন আক্ষেপ নাই। আমি সব সময় আড়াইহাজার থানা বিএনপির মূলধারা মাহমুদুর রহমান সুমনের সঙ্গে সমন্বয় করে আড়াইহাজার থানা যুবদলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাব ইনশাল্লাহ।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন খোকনের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ দয়া করে একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন, যে নেতা সমাজকে ধুমপান-মাদকমুক্ত করার কথা বলে সে নিজে ধুমপান, মাদকমুক্ত কিনা। খোঁজ নেন- যে নেতা আপনাকে অনুপ্রবেশকারী থেকে দূরে থাকতে বলে তিনি নিজে অনুপ্রবেশকারী কিনা। যে নেতা শুধু মুখে আদর্শের বুলি আওড়ায়না নিজের ব্যক্তি জীবনেও তাই প্রয়োগ করেন, যে নেতা আপনার সুখের সময় আপনার ত্রি-সীমানায় না থাকলেও আপনার দুঃখের সময় সবার আগে ছুটে আসে, যে নেতার কাছে কাছের ভাই বা দূরের ভাই বলে কোন শ্রেণিবিভাগ নেই, যে নেতা পায়ে হেঁটে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কাজ করতে ভালবাসেন। যে নেতার কাছে প্রত্যেকের মতামতের গুরুত্ব আছে, যে নেতা কখনো বুঝতে দেন না তিনি বড় কিছু, যে নেতা নিজে যেটা জানেন না সেটা জানার জন্য চেষ্টা করেন, সবজান্তা ভাব দেখান না, যে নেতা নিজে রাজনীতির পাঠ পড়েন অন্যদেরকেও পড়ান, এমন নেতা হলেন খাগকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান সভাপতি এম জাহিদ হাসান মঞ্জু। আর এর মতো ক্লিন ইমেজধারী নেতাকে আমরা আড়াইহাজার থানা যুবদলের শীর্ষ পদে দেখতে চাই বলে আশাবাদী।

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন: নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী প্যানেল প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন ১০মার্চ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় ভোট প্রার্থনা করেছেন আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিনকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় গণসংযোগ চালিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের আইনজীবীগণ।

এ সময়ে আরোও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সহ নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবীগণ ও আইনজীবী নেতারা। সেই সমিতির কার্যকরী পরিষদের সকল আইনজীবী ভোট প্রার্থনায় ছিলেন।

জানাগেছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২০-২১ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির দুইদিন ব্যাপী নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ বুধবার ও ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির শপথ নিয়ে সোনারগাঁয়ে যুবদলের পরিচিত সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শপথ নিয়ে অতীতের চেয়ে আরও বেশি রাজপথে সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলাধীন কাঁচপুর এলাকায় যুবদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই পরিচিত সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিটির আহ্বায়ক সহিদুর রহমান স্বপন বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশান্তরী হয়ে আছেন। খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখে সুকৌশলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এই সরকার সহজে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিবে না। এ অবস্থায় যুবদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

রাজপথের যুবদলের এই সক্রিয় নেতা আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। তা না হলে রাজপথ দখলের মাধ্যমেই দূর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই অবৈধ সরকার উৎখাত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো ইনশাহল্লাহ।

সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সহিদুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় পরিচিত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন- কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেল, আশরাফুল আলম প্রধান, আশরাফ মোল্লা, পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী চপল, কামাল হোসেন, রাসেল রানা, আব্দুল আলী, কাওসার হোসেন, অমির হোসেন, মোঃ কাওসার ও আবু তাহের, সদস্য মাসুম রানা, নিজাম উদ্দিন, শাহিন আলম জুবায়ের, আমজাদ হোসেন মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ ইয়াসিন, ইউনুস মিয়া, সুমন মিয়া রান্টু, মোঃ আতাউর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন হিমেল, মকবুল হোসেন, নোবেল মীর, মতিউর রহমান মতি, আমিনুল ইসলাম, খন্দকার রেজাউল, অলিউর রহমান, শাহ আলম ও আল আমিন মোল্লা।

পরিচিতি সভায় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন অসুস্থতার জন্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারেনি। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটির সকল যুগ্ম আহ্বায়ক সহ সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভাশেষে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা ও কারামুক্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁয়ের মামরকপুুর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নেয়ামত আলী নামের একব্যক্তি বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, একই এলাকার মৃত অহেদ আলীর ছেলে মোঃ কাশেম আলীদের ও নেয়ামত আলীদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

এর জের ধরে গত ৬মার্চ দুপুরে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে মোঃ কাশেম আলী, আবেদ আলী, কাশেম আলী, মোঃ কাশেম আলীর ছেলে মোঃ খোকন, মোরসালিন, আলামিন, মোঃ কাশেম আলী স্ত্রী মোসাঃ নাসিমা ও কামালের ছেলে মোঃ নিলয় (২৫) সহ ৪/৫ অজ্ঞাতনামা নেয়ামত আলীদের জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ার সময় বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা দলবল নিয়ে এই হামলা চালিয়ে আনু বেপারীর ছেলে নেয়ামত আলী, নেয়ামত আলীর ছেলে নুরুল হক, মেয়ে নিলুফা, স্ত্রী আমেনা বেগম, নেয়ামত আলীর ভাতিজা আলী আকবরকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় নেয়ামত আলী বাদী হয়ে মোঃ কাশেম আলী(৬৪), আবেদ আলী(৪৫), কাশেম আলী, মোঃ খোকন(৩০), মোরসালিন(২৬), আলামিন(২৪), মোসাঃ নাসিমা(৪০), মোঃ নিলয় (২৫) সহ ৪/৫ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আবেদ আলী নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান।

বন্দরে করোনা ভাইরাস নিয়ে একভোকেসী সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাম, রুবেলা ও করোনা ভাইরাস নিয়ে এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ মার্চ সোমবার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও এনজিও কর্মীদের নিয়ে এ এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডাঃ মুহাম্মদ আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে এডভোকেসী সভায় বক্তব্য রাখেন, বন্দর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মফিজুল ইসলাম, বন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অমল চন্দ্র দাস, ম্যাডিক্যাল অফিসার সারোয়ার জাহান ও ডাঃ ইশরাত জাহান। মাহবুব হোসেনের উপস্থাপনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডাঃ মুহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রথম সপ্তাহে ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ, ২য় ও ৩য় সপ্তাহে ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত হাম রুবেলার টিকা দান কর্মসূচি পালন করা হবে। ১৬৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম সপ্তাহে ২২ হাজার ৫শ’ ৫৪ জন ৯মাস বয়স থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া হবে। ২য় ও ৩ সম্পাহে ১২০টি অস্থায়ী ও ১টি স্থায়ী টিকা দান কেন্দ্র থেকে ২০ হাজার ৭শ’ ৪৩জন শিশুকে টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনা হবে। এ ক্যাম্পেইন থেকে কোন শিশু বাদ পড়বে না। পরে তিনি করোনা ভাইস নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরসা নিয়ে আতঙ্কের কিছা নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। করোনা ভাইরাস থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড দুই হাত ধোয়া, অপরিস্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুরে থাকা, কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা, হাত মেলানো ও কোলাকুলি না করা, অসুস্থ্য পশু/পাখি স্পর্শ না করা, মাছ/মাংস ভাল করে রান্না করে খাওয়া, অসুস্থ্য হলে ঘরে থাকা প্রয়োজেন মাস্ক ব্যবহার করা, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ না করা, জরুরী ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করা আর করোনা বিষয় জানতে ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ ও ০১৯৩৭১১০০১১ নাম্বারে যোগাযোগ করা।

তিনি আরো বলেন, করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলে অসুস্থ্য রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠাতে হবে, রোগীকে নাক, মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করাতে হবে, রোগীর নাম বয়স ও যোগাযোগের পূর্ন ঠিকানা করোনা কন্ট্রল রুমে (০১৭০০৭০৫৭৩৭) জানাতে হবে। সব শেষে বলেন, এ নিয়ে কারো আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই আমরা নিয়ম মেনে চললেই আমরা করোনার কবল থেকে রক্ষা পাব।

সর্বশেষ সংবাদ