আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, সারা পৃথিবীতে করোনা ভাইরাস সহ যেসব ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে এগুলোকে আমি আল্লাহর গজব বলে মনে করি। তার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। যাতে তিনি দুনিয়ার সকল মানুষকে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করেন। এটা যদি আমাদের দেশে আসে তাহলে এটা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। তখন আল্লাহর কাছে কান্না ছাড়া আমাদের আর কিছু করার থাকবে না। যে পাপের কারণেই এটা আসুক না কেন তার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো।

৭ মার্চ শনিবার বাদ জোহর উত্তর চাষাঢ়া জামে মসজিদে ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমার মার জন্য বিভিন্ন এলাকায় কোরআন খতম হয়েছে এই খতমগুলি শুধু আমার মার জন্য না। এটা সবার মা-বাবা, ভাই-বোনের জন্য, যারা এই দুনিয়াতে নেই তাদের সবার জন্য কোরআন খতম পড়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা পড়েছেন তাদের পরিবারের জন্য আমরা দোয়া করবো।

তিনি বলেন, আমার আব্বা-আম্মা, ভাই তথা সবার জন্য এবং আমাদের প্রিয়জন যারা চলে গেছেন তাদের সবার জন্য আমি দোয়া চাই। আর যারা অসুস্থ আছেন আল্লাহ যাতে তাদের সুস্থ করে দেন সেজন্য আমরা দোয়া করবো। আমি যেন মৃত্যুর আগে আল্লাহকে খুশি করে মরতে পারি সেই জন্য আপনাদের কাছে আমি দোয়া চাই। আমার নাতি অসুস্থ তার জন্যও আপনারা দোয়া করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

আড়াইহাজার বিএনপিতে সুমনের নেতৃত্বে মুলধারায় জাকির ও লিটন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে মান অভিমান ভুলে গিয়ে মুলধারায় ফিরেছেন জেলা যুবদল নেতা জাকির হোসেন মেম্বার ও লিটন সরকার। কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন যুবদল নেতা জাকির হোসেন মেম্বার ও লিটন সরকার।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর ভ্যান গার্ড হিসেবে খ্যাত জাকির মেম্বার ও লিটন সরকার ৭ই মার্চ শনিবার তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্ধি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ফের মূলধারার নেতা মাহমুদুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে ফিরেছেন জাকির মেম্বার ও লিটন সরকার।

ওই কর্মসূচিতে জাকির মেম্বার বলেন, খসরু আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তারই সুযোগ্য সন্তান সুমন আছেন। সুমনকেই আমরা আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিভাবক হিসেবে জানি। তাই সুমন ভাইয়ের প্রতি আমার আকুল আবেদন তিনি যেন আড়াইহাজার থানা যুবদলকে একটি আদর্শবান যুবদল হিসেবে উপহার দেন। যে যুবদল হবে আড়াইহাজার থানা যুবদলের সর্বকালের সেরা যুবদল কমিটি। এখানে যেন থাকে রাজপথের ত্যাগী নেতারা ও রাজপথের সক্রিয় নেতারা। যারা রাজপথ কম্পিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে পারে এমন নেতা।

যুবদলের আরেক নেতা লিটন সরকার বলেন, আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে চাই আমার নেতা প্রয়াত বদরুজ্জামান খান খসরু ছিলেন আড়াইহাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠা। তিনি সব সময় নিজের মতামতে অটল ছিলেন। তৃতীয় কোন ব্যক্তির তাবেদারি করতেন না। তাই আমি চাই খসরুর অবর্তমানে আমাদের অভিভাবক মাহনুদুর রহমান সুমন। তিনিও তার বাবার ন্যায় তৃতীয় কোন ব্যক্তির কথায় রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করবেন না। কাছে টেনে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ করে দিবেন।

৭ই মার্চ শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রয়াত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর নিজ বাসভবন ইলমদী এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে জোড়ালো আলোচনায় থাকা মাহমুদুর রহমান সুমন।

এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহিরের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: কাশেম ফকির।

এ সময় আরোও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাসুদ মিয়া, জাহিদ হাসান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালউদ্দিন সালামত চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকির মেম্বার, যুবদল নেতা লিটন সরকার, মোহাম্মদ ফারুক, হিরন মিয়া, হান্নাম মিয়া, সফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, আশরাফুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আলামিন মেম্বার, আলম মিয়া, আলামিন খান, ছাত্রনেতা ফেরদৌস ভূঁইয়া, মেহেদী হাসান, রুহুল আমিন ও জুবায়ের আহমেদ জিকু প্রমূখ।

কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা দাবি করেন- ২০০৭ সালের ৭মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

পরে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও দোয়া এবং প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

তারেক জিয়ার কারাবন্দি দিবসে খালেদার মুক্তি চেয়ে যা বললেন ছাত্রদলের দুই নেতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৭ই মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনা করে আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশি ফেরদৌস ভূঁইয়া বলেন, তারেক রহমান কেবল একজন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই নন, একই সাথে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে, তেমনি এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে।

ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, এই ত্রি-মাত্রিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যগত পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যক্তি তারেক ক্রেজ সকল পরিচয় ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তার পারদে গোটা বাংলাদেশে ইতিপূর্বে বহু চড়াই-উতরাইয়ের পরেও বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে ঝড় তোলা, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন জাগানো যে নামটি বাংলাদেশের সবুজ প্রান্ত ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিমলে জননায়কের নিয়মকে পরিনীতি পেয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, সেটা হলো তারেক রহমান। সেটা আপনি আমি স্বীকার করি আর না করি, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির ও উপমহাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে মিশে আছে।

তিনি আরোও বলেন, তারেকের সবচেয়ে বড় যে গুণটি, যা কায়েমি স্বার্থবাদীদের হৃদয়ে কাঁপন এবং সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের সেটা দলের ভিতর, বাইর, কিংবা বিরোধীদলের ভিতর হউক, সমানভাবে মেরুদন্ডে ও প্রাণের মধ্যে তীরের ন্যায় আঘাত করেছে, আর তাহলো- এদেশের তৃণমূলের একজন অতি সাধারণ রাজনীতিক কর্মী, রাজনৈতিক নেতাও সুদূর বগুড়া কিংবা রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নাটোর, সিলেট, খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও ঢাকার রাজনীতিবিদদের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে দলীয় শীর্ষ পদ-পদবী, মন্ত্রী, স্পীকার সব ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ, নির্বাচন, ও যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ এবং ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়াও আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশি মেহেদী হাসান বলেন, তারেক রহমানের তৃণমূলের এই নেতৃত্ব ও শীর্ষ নেতৃত্ব দাবীদারের অবারিত সুযোগ প্রদানের ফলে দলের ভিতর এমনকি দলের বাইরে বিরোধীদলের কায়েমি স্বার্থবাদী, গুণে ধরা, সেকেলে, পুরনো, পচা, দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা-পচা মরালাশের রাজনীতির ধারক-বাহক-উত্তরাধিকারীদের আঁতে ঘা লেগেছে। আর এই দুই মিলিত শক্তি তারেক জিয়ার উত্থানে ও তরুণ হৃদয়ে ঝড় ও ক্রেজ তৈরির বিপরীতে একাট্টা হয়ে তারেক আতংক তৈরির সকল ক্রিয়া-কান্ড অতি সঙ্গোপনে, অতিবিচক্ষণতার সাথে আস্তে আস্তে এমনভাবে চালু করেছে, যা আজকে এই পর্যায়ে এসেছে, যেখান থেকে একজন স্বাধীনচেতা, সোজা, সরল-মনা, বাংলাদেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ একজন তারেক রহমানকে ঘিরে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মা, মাটি, মানুষ ছেড়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে বড় কষ্ট আর সাদাসিধে জীবন-যাপনে অভ্যন্ত বাংলাদেশের এই তরুণ নেতার একটি মাত্র বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা প্রশাসন ও সরকারি সকল যন্ত্র নড়ে চড়ে এমনভাবে বসে, যেন এই মুহূর্তে তারেক রহমানকে ঘিলে খেয়ে ফেলতে পারলেই সব কেল্লা ফতেহ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতাদের মতো যদি শুধুমাত্র বাহবা ও হাততালি মার্কা প্রচলিত রাজনীতি করতেন, ৯৯ভাগ রাজনীতিবিদদের মতো দুর্নীতির সাথে আপোষ করতেন, তাহলে কিন্তু তারেক রহমানকে ঘিরে এতো বিতর্ক যেমন হতোনা, কারো জন্য বা কোন দল বা গোষ্ঠীর জন্য তিনি হুমকি হতেন বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেননা। কতিপয় অপাংক্তেয়দের অপরিণামদর্শী ব্যবহৃত ক্রিয়ার ফলে তারুণ্যের দৃপ্ততায় মহীয়ান, আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হলো- এটা কি একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তরুণ রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায় নয়? কারণ গোটা সমাজ, সংসার, সংস্কৃতি, একেবারে রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে পচে-গলে গেছে, দুর্নীতির মহোৎসবে নৃত্যরত, সেই রাষ্ট্রের ভিতর থেকে একজন মাত্র তারেক রহমানকে অহেতুক অপ-প্রচারের সাজা দিয়ে শায়েস্তা করার মধ্যে কোন প্রকৃত সৎ-সাহসী মনোভাব কাজ করে কিনা পাঠক মাত্রই তা নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথরে বিচার করবেন।

কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা দাবি করেন- ২০০৭ সালের ৭মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

পরে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও দোয়া এবং প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

তারেক রহমান আগামী স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার: মাহমুদুর রহমান সুমন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলেছেন, কতিপয় অপাংক্তেয়দের অপরিণামদর্শী ব্যবহৃত ক্রিয়ার ফলে তারুণ্যের দৃপ্ততায় মহীয়ান, আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হলো- এটা কি একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তরুণ রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায় নয়? কারণ গোটা সমাজ, সংসার, সংস্কৃতি, একেবারে রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে পচে-গলে গেছে, দুর্নীতির মহোৎসবে নৃত্যরত, সেই রাষ্ট্রের ভিতর থেকে একজন মাত্র তারেক রহমানকে অহেতুক অপ-প্রচারের সাজা দিয়ে শায়েস্তা করার মধ্যে কোন প্রকৃত সৎ-সাহসী মনোভাব কাজ করে কিনা পাঠক মাত্রই তা নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথরে বিচার করবেন।

৭ই মার্চ শনিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রয়াত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর নিজ বাসভবন ইলমদী এলাকায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে জোড়ালো আলোচনায় থাকা মাহমুদুর রহমান সুমন।

এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহিরের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: কাশেম ফকির।

এ সময় আরোও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাসুদ মিয়া, জাহিদ হাসান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালউদ্দিন সালামত চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকির মেম্বার, যুবদল নেতা লিটন সরকার, মোহাম্মদ ফারুক, হিরন মিয়া, হান্নাম মিয়া, সফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, আশরাফুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আলামিন মেম্বার, আলম মিয়া, আলামিন খান, ছাত্রনেতা ফেরদৌস ভূঁইয়া, মেহেদী হাসান, রুহুল আমিন ও জুবায়ের আহমেদ জিকু প্রমূখ।

কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা দাবি করেন- ২০০৭ সালের ৭মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

পরে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও দোয়া এবং প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্ন পূরণের আরেক ধাপ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্ন পূরণের আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে ৮ মার্চ রবিবার। নির্মাণাধীণ ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই অনুষ্ঠিত হবে রবিবার সকাল সাতটায়। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের অর্থায়নে নির্মাণাধীণ এই বার ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই উপলক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোহসীন মিয়া সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ বারের উন্নয়নের বানী শুনিয়ে প্রতিবারেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেন আইনজীবী নেতারা। কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়নের সুফল পাচ্ছিলোনা সাধারণ আইনজীবীরা। অনেক রথি মহারথি আইনজীবী নেতারা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে আসলেও এত্ত বড় কাজ হাতে নেয়ার সাহস দেখায়নি। যা তরুণ আইনজীবী নেতৃত্ব দেখিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন।

আইনজীবীরা বলছেন- গত ২০১৭-১৮ মৌসুমের বার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থীত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া নতুন কোন প্রতিশ্রুতি দেননি আইনজীবীদের বরং পুরানোদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। এমপি সেলিম ওসমান ভবন নির্মাণ করে দিবেন এমন ঘোষণা দিলেও বারের নেতারা এ নিয়ে এগুয়নি। কিন্তু জুয়েল মোহসীন ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করে ভেঙ্গে ফেলেন পুরানো জরাজীর্ণ বার ভবনটি। ফলে পরবর্তী এ জুটির উপরই ভরসা রাখেন আইনজীবীরা এবং জুয়েল-মোহসীন প্যাণেল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জণ করে।

আইনজীবীরা আরো বলছেন- গত বছরের জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ বার নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডবোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল আর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়ার জন্য অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারন হচ্ছে আইনজীবীদের জন্য নির্মানাধীণ ডিজিটাল বার ভবন। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিলো এবং নতুন ভবন নির্মাণের কাজ নির্বাচনের পরেই শুরু করা হবে। আর এ অসমাপ্ত কাজ সফলভাবে শেষ করতে হলে জয়ের কোন বিকল্প ছিলো না জুয়েল-মোহসীনের সামনে।

বারের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সেলিম ওসমানের অনুদানের অর্থ বরাদ্দ এনেছেন সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও বর্তমান সভাপতি মোহসীন মিয়া। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান এই ভবন নির্মাণের জন্য তিন কোটি টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার করেছিলেন। সেই সাথে দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক কোটি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এক কোটি টাকা দেবেন আইনজীবীদের এই ভবন নির্মাণের জন্য যা ঘোষিত।

ইতিমধ্যেই এমপি সেলিম ওসমানের প্রতিশ্রুতির টাকার মধ্যে তিন কোটি টাকা পেয়েও গেছেন তারা। আর এ টাকা দিয়ে শুরু করে দেন আইনজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ যা এখন নীচের কাজ শেষ হয়ে উপরে আকাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়।

অন্যদিকে এমপি সেলিম ওসমান বলেছিলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বার ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ করে উদ্বোধন করা হবে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্মাণাধীন ডিজিটাল বার ভবনের উন্নয়ন নিয়ে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদ (২০২০-২০২১) এর নবনির্বাচিত আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ কথা জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

ওই সময় আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ভবনের প্রথম তলা সম্পন্ন এবং দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে ভবনটির আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রুত উদ্বোধন করার কথা বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০২০ সালের মধ্যে ভবনটি তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়।

ছবি- ৭ মার্চ শনিবার ছাদ ঢালাই কাজের পরিদর্শনে কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

সূত্রমতে, এবারের পরিষদে নারায়ণগঞ্জে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরুন চন্দ্র দে, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, অ্যাপায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাসার রুবেল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ ভূইয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার সিমি, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাছিব-উল- হাছান রনি, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূসরাত জাহান তানিয়া, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সুজন প্রধান, অ্যাডভোকেট কামরুন নেছা সুর্বনা, অ্যাডভোকেট আজিম ভূইয়া, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সাগর।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনটি নির্মাণের জন্য এমপি সেলিম ওসমান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। যার মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারী এমপি সেলিম ওসমান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের মাধ্যমে ১ কোটি টাকার চেক এবং পরবর্তীতে ৩ ফেব্রুয়ারী আরো ৫০ লাখ টাকার চেক, ২২ অক্টোবর আরো ৫০ লাখ টাকার চেক, চলতি বছর ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারী আইনজীবী সমিতির নির্মানাধীন ভবন পরির্দশনে গিয়ে আরো ১ কোটি টাকার চেক জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে হস্তান্তর করেছেন তিনি।

কাদের প্রশ্রয়ে তৃতীয় শ্রেণির পাপিয়া আওয়ামীলীগের কর্মী: আব্দুল হাই

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আজকে আমাদের অনেক অর্জন। কিন্তু আমাদের কিছু হাইব্রিড নেতার কারণে সব ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আপনারা এদিকে সতর্ক থাকবেন। ইতিমধ্যেই অনেক নারী নেত্রীর কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হয়েছে। আমরা জানতে চাই কারা এবং কোন নেতারা মুখোশ পরে তাদেরকে অর্ডার দিচ্ছে। কাদের প্রশ্রয়ে পাপিয়ার মতো একটি তৃতীয় শ্রেণির নেতা আওয়ামীলীগের কর্মী। আমরা অতীতে আমাদের নেত্রীকে বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য সমর্থন দিয়েছিলাম। এখনও এই ধরণের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সমর্থন দিয়ে যাবো।

৭ মার্চ শনিবার সকাল দশটায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেট এলাকায় অবস্থিত জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরোও বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। এই দিনে বঙ্গমাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছিলেন তুমি আজ জনগণের নেতা, তুমি জনগণকে নেতৃত্ব দিবে। তোমার যা ইচ্ছে তাই বলবে। এরপর বঙ্গবন্ধু সকলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘তোমাদের যার কাছে যা যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহল্লাহ’ এবং হয়েছিল তাই। এই ভাষণ আজ সারা পৃথিবীর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ভাষণের মধ্যে একটি।

বিএনপির উদ্দেশ্যে আব্দুল হাই বলেন, মেজর জিয়া বলেছিলেন যে আমি মেজর জিয়া আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করছি। ইতিহাসকে যদি আপনারা অস্বিকার করেন ইতিহাস একদিন আপনাদের অস্বীকার করবে এবং তাই হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাদির, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রানু খন্দকার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ শিরীন বেগম সহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতীয় চার নেতা ও ৭১ মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ ও ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।

৭ই মার্চে জাতির জনকের প্রতি সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ। ৭ মার্চ শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের নেতৃত্বের শ্রদ্ধা জানানোর সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সদস্য মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার আব্দুর রব, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নেকবর হোসেন নাহিদ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ মিয়া, আবু সাঈদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন প্রধান, লুৎফর রহমান, মাসুম বিল্লাহ, কামাল হোসেন, আবু হানিফ, আলমচাঁন, বাদল মিয়া, মেঘনা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

৭ই মার্চে জাতির জনকের প্রতি মহানগর আওয়ামীলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ। ৭ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেট এলাকায় অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, জিএম আরাফাত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান সোহেল, কার্যকরী সদস্য মনিরুজ্জামান মনির ও যুবলীগ নেতা বিমল কুমার দত্ত সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

৭ই মার্চে জাতির জনকের প্রতি জেলা আওয়ামীলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। ৭মার্চ শনিবার সকাল দশটায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেট এলাকায় অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সহ-সভাপতি আবুল কাদির, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রানু খন্দকার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ শিরীন বেগম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না: এমপি খোকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। ৭ মার্চ শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। ওই সময় জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন- সোনারগাঁও উপজেলা জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দর রব, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, সোনারগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, কাউন্সিলর শাহজালাল মিয়া, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মধু, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাইম ইকবাল, প্রচার সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এমএ জামান, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, পৌর জাতীয় পার্টির নেতা লিয়াকত আলী, রেজাউল করিম, গরিবে নেওয়াজ, মাহমুদুল আনোয়ার, ফজলুল হক মাস্টার, আবুল হাশেম, গাজী মান্নান, মাজহারুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, সেলিম রেজা, জাবেদ রায়হান, মহিলা পার্টির নেত্রী জাহানারা বেগম ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক ওমর ফারুক টিটু প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ৭ই মার্চ বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে এ দেশের জনসাধারণ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করে। ফলে আমরা এখন স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে মন খুলে কথা বলতে পারছি।

সর্বশেষ সংবাদ