বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে শিক্ষাখাতে উন্নয়ন হয়নি: মন্ত্রী গাজী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাখাতে উন্নয়ন হয়নি। তারা শিক্ষাখাতের উন্নয়ন না করে লুটপাট করেছে।’

৩ আগস্ট শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৯ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে বলেই আজ দেশের শিক্ষাখাতে এতো উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাখাতে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোন সরকারের আমলে এতো উন্নয়ন হয়নি।’

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘নিরক্ষরমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ একটি সোনার বাংলা গড়তে হলে সুশিক্ষিত নাগরিক প্রয়োজন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলাদেশ হবে উন্নত বিশ্বের একটি আধুনিক দেশ।’

তিনি বলেন, ‘দেশ বিরোধী একটি গোষ্ঠী সুকৌশলে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারাই গুজব ছড়াচ্ছে। দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে এসব গুজব রটানো হচ্ছে। গুজব সৃষ্টিকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।’

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক ভুঁইয়া, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আরিফুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল আউয়াল মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম, মুড়াপাড়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার রায়, সলিমউদ্দিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মালুম, নবকিশলয় হাই স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ নজিবর রহমান, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকতার হোসেন, গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ছাত্তার জুট মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, গোলাকান্দাইল মজিবর রহমান ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিনা বেগম, খাদুন হাজী আয়েত আলী ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম, উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ মাসুম, মুড়াপাড়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সাইফুল ইসলাম তুহিন, মুড়াপাড়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস সাদিকুল ইসলাম সজিব প্রমূখ।

এদিকে, শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার গাজী ভবনে মুড়াপাড়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ এবং তারাবো পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যুব মহিলালীগের নবগঠিত কমিটির নেত্রীবৃন্দ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এবার তাঁতী দলেরও নিয়ন্ত্রক সাখাওয়াত হোসেন খান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় বসতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে নিজের সহযোদ্ধা সহকর্মী ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। এর আগে জেলা ও মহানগর মৎস্যজীবী দলের কমিটিও হয়েছে তার অনুগামী নেতাকর্মীদের মাধ্যমে। এবার মহানগর তাঁতী দলের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন যেসব নেতাকর্মী তারা সকলেই সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে রাজনীতি করছেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতী দলের ৬৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মীর আলমগীর হোসেনকে আহবায়ক ও ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ এবং সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান।

কমিটি গঠনে আগামী দুই মাসের মধ্যে মহানগরের আওতাধীন সকল পৌরসভা ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের পর মহানগরের সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট শাহজাদা দেওয়ান, অপু রহমান, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, অ্যাডভোকেট নাজমুল আবেদীন ভূইয়া, মো: জাহিদুর রহমান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সুমন হাওলাদার, ইলিয়াস বারী মামুন, মাহবুবুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মো: ইব্রাহীম ও আসলাম হোসেন।

কমিটিতে সদস্য পদে ইকবাল হোসেন, ডা: মাহবুবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, মো: জহির, খোকন সর্দার, হাজী কামাল গাজী, তোফাজ্জল হোসেন, নুরুল ইসলাম, মো: হানিফ, মনির হোসেন টিটু, আক্তার হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, সালামতউল্লাহ হানিফ, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম শাহীন, আতাহার হোসেন, শাকিল সেলিম সফি, শাওন মাঝি, আনোয়ার হোসেন, আবদুর গাফফার, মো: রবিন, মো: হাসান, আবদুল হাকিম, শামীম হোসেন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস, বিউটি বেগম, মো: কাওসার, মো: আরিফ, জামান খান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, আকরামুল কবীর বাবু, মো: আবদুল গনি, মো: আকবর, মো: মিলন, সামসুদ্দিন, শমসের হোসেন, দুলাল হোসেন, কবির হোসেন, আবদুল মালেক রনি, মো: মহসিন, মো: ইব্রাহীম, কবীর হোসেন, আবদুল হাই, মাসুদ মিয়া, অপু মিয়া, শাকিল মিয়া, সোহানুর রহমান অন্তু, মো: আলী আহমেদ ও মো: বারেক

বন্দরে সাবদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাবদী এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, ৩ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাজরাদীস্থ ব্রহ্মপুত্র নদীতে গোসল করতে গেলে নদীর পাড়ে কচুরীপানার সাথে একটি অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।

পরে বন্দর থানার এসআই রফিক ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হাজরাদী এলাকাস্থ ব্রহ্মপূত্র নদীর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয় বন্দর থানার এসআই রফিক বলেন, বন্দর উপজেলাধীন হাজরাদীস্থ ব্রহ্মপুত্র নদীতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। পরে আমরা খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করি। লাশটি উদ্ধারের পর তার শরীরে হাফপ্যান্ট ছিলো এবং কচুরীপানার সাথে এরকমভাবে লেগে ছিলো তা বুঝার কষ্ট হয়েছে। তবে লাশটি কয়েকদিন আগের মনে হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এখনও লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গলাকাটা লাশ নদীতে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক তারিকুল আলম জুয়েল ঘটনাস্থলে এসে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে লাশটি দেখতে না পেয়ে পরে দুইটি ট্রলার দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু নদীর পাড়ে প্রচুর কচুরীপানা থাকার কারণে সামনের দিকে আসতে পারিনি।

ফতুল্লা থানায় গ্রেপ্তার ১১

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ২৪ ঘন্টায় মাদক বিরোধী ও ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি গ্রেপ্তারের অভিযানে ৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও চোরাই লোহার পাটা সহ ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফতুল্লা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগষ্ট রাতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী ও ওয়ারেন্ট তামিলে অভিযান চালায়। এ অভিযানে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি পাগলা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে নেছার আহম্মেদ মামুনের স্ত্রী মোসা: মাসুমা, ছেলে আল আমিন, মন্টু শিকদারের স্ত্রী আকলিমা বেগম, পশ্চিম রসূলপুর এলাকার মৃত চাঁনমিয়ার ছেলে সজীব, পশ্চিম দেওভোগ এলাকার নিজাম ড্রাইভারের ছেলে রাসেল, ইকবালের ছেলে রুম্মন ওরফে রকি ওরফে পারভেজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফতুল্লা থানা পুলিশের একটি টীম গত ২ আগষ্ট রাতে ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকায় মাদক অভিযান চালিয়ে নরসিংপুর এলাকার ফারুকের ছেলে ইলিয়াস, ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার আজাদ রহমানের ছেলে আকাশ, মুসলিমনগর এলাকার সিরাজ দেওয়ানের ছেলে স্বপনকে ৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেপ্তার করেছে।

থানার আরেক টীম গত ২আগষ্ট বিকেলে ফতুল্লার পাগলা মেরী আন্ডারসনের সামনে সড়ক হতে ১৮০ কেজি ওজনের ৬টি লোহার পাটা সহ লাল চাঁন, মাজলকে গ্রেপ্তার করেছে। লালচাঁন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন মাইজপাড়া এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। সে পাগলা জেলেপাড়া ভাড়া থাকে। মাজল আলীগঞ্জ এলাকার মৃত হাজী আলী আক্কাসের ছেলে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে।

গণতন্ত্র আজ জালিমের কারাগারে বন্দি: আনোয়ার প্রধান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা ও জেলা মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান বলেছেন, আমাদের দেশের গণতন্ত্র আজ জালিমের কারাগারে বন্দি। বাংলাদেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিনা বিচারে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটাচ্ছেন।

৩ আগস্ট শনিবার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন আনোয়ার প্রধান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার প্রধান আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের মাকে জালিমের কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে। শুধু কমিটি পেয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সেই আন্দোলন সংগ্রামে মৎসজীবী দলের নেতাকর্মীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা মৎসজীবী দলের ১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটির জেলা কমিটি। কমিটিতে জুয়েল চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও রাসেল প্রধানকে সদস্য সচিব করে ৩ আগস্ট শনিবার কমিটির অনুমোদন দেন জেলা মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান ও সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম।

কমিটিকে আগামী ২১ দিনের মধ্যে ফতুল্লা থানার অন্তর্গত প্রতিটি ইউনিয়নের কমিটি গঠন করে থানার সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন হোসেন আলী বেপারী, মতিউর রহমান, মামুন হাসান, ফজলুল হক সিকদার, আজিজুল রহমান, রতন চৌধুরী, মো: হোসেন ও মাহে আলম সিদ্দিকী।

সদস্য পদে রয়েছেন মো: কামাল, মো: আল আমিন, সাইদ দেলোয়ার, আব্দুস সাত্তার সিকদার, মো: খোকন, মো: মোকলেসুর রহমান ও মো: সোহেল।

বন্দরের বখাটেদের প্রতি এমএ রশিদের কঠোর হুশিয়ারী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের বখাটেদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ রশিদ মিয়া। তিনি বলেছেন, বখাটেদের উৎপাত ইভটিজিং বরদাস্ত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলাধীন ধামগড় ইউনিয়নের দশদোনা-হালুয়াপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ আগস্ট শনিবার শনিবার সকালে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ মিয়া।

তিনি বখাটেদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, কোন ছাত্রীকে ইভটিজিং করা হলে কোনক্রমেই বরদাস্ত করা হবেনা। যারা এ ঘৃণ্য কাজে জড়িত তারা সাবধান হয়ে যাও।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সন্তানদের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করলে আপনার সন্তান কোনদিনও সন্ত্রাসী হবেনা। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দ এই তিনের সমন্বয়ে স্কুল পরিচালিত হয় এবং লেখাপড়ার মান উন্নত হয়। অভিভাবকরা আরও সচেতন হোন, আপনার সন্তান ঠিকভাবে লেখাপড়া করছে কিনা তদারকি করুন। আপনার সন্তান শিক্ষিত না হলে তার পরবর্তী প্রজন্মও অশিক্ষিত থেকে যাবে। আপনারা দায়িত্ব নিয়ে লেখাপড়ার তাগিদ দিন, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কোন গাফিলতি থাকলে তা আমরা খতিয়ে দেখবো।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তৃতায় মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যান বলেন, অত্র স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদের সহায়তা চাই এবং তার যে কোন নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। অভিভাবকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ সন্তানদের লেখাপড়ার খোজ খবর রাখতে সকলকে আহবান জানান চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ।

অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খন্দকার শামীমা আক্তার মুন্নীর আয়োজনে ও অত্র ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু সাঈদের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সোনা মিয়া, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ফয়েজুর রহমান মোল্লা, আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার জামাল উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, ডাঃ মোস্তফা, হালুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান, ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশি নজরুল ইসলাম বাদশা, যুবলীগ নেতা মোশাররফ মোল্লা, বিল্লাল, রাসেল, গোলজার, আনোয়ার, স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুছ, ডাঃ সোহেল, যুবসংহতি নেতা আতাউর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা শামীম, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কয়েকশত অভিভাবকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উক্ত অভিভাবক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

ফতুল্লা থানায় ১৩০ মামলা, সাড়ে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার মডেল থানায় গত জুলাই মাসের ৩১ দিনে বিভিন্ন অপরাধে মাদক সহ মোট মামলা দায়ের হয়েছে ১৩০টি। এর মধ্যে মাদক জনিত মামলা হয়েছে ৭৭টি। শুধু মাত্র থানা পুলিশের মাদক মামলা হলো ৫৬টি। এই মাসে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ১৪ লাখ ৩০হাজার ৬’শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। জুলাই মাসে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ১০টি।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান ও ষ্টেটম্যান অফিসার এএসআই মাহমুদুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় গত জুলাই মাসের ৩১ দিনে মোট ১৩০টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো হলো অস্ত্র মামলা ১টি, হত্যা (খুন) ৪টি, ধর্ষণ ৬টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক অপহরণ সহ ১৭টি, চুরি মামলা ১টি, পুলিশ আক্রান্ত ১টি, মারামারি (অন্যান্য ধারায়) মামলা ২৯টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৭৭টি। এর মধ্যে থানার ৫৬টি মামলা।

ফতুল্লা থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারজনিত মাদকদ্রব্য হলো- ১৭১২পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, হেরোইন ৮৩.৫গ্রাম, গাঁজা ১কেজি ২৭৫শ‘ গ্রাম এবং ফেন্সিডিল ৬০ বোতল, বিদেশী চোলাই মদ ২বোতল বা ২লিটার, দেশীয় চোলাই মদ ৪ বোতল বা ৪ লিটার।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ মোট ১৪ লাখ ৩০হাজার ৬শ‘ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এছাড়া ৭৮ ভরি ১১ আনা ২ রত্তি ৫ পয়েন্টের একটি স্বর্ণে দ্বন্দ উদ্ধার করেছে পুলিশ । যার মূল্য ৩০ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬’শ ২৫টাকা। চোরাইকৃত ২৬ হাজার ৯টি মোবাইল উদ্ধার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।

ফতুল্লা থানা পুলিশ আরো জানান, গত জুলাই মাসে থানা পুলিশ জি.আর ওয়ারেন্ট তামিল ১০২টি এবং সি.আর ওয়ারেন্ট তামিল করেছে ৪০টি। আদলাত কর্তৃক সাজা দেয়া ওয়ারেন্ট তামিল ৮টি।

ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান, পরিদর্শক (অপারেশন) শাখাওয়াত হোসেন সহ সকলই থানার আইন শৃঙ্খলা ভাল রাখতে ঐক্য মতে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে থানার পরিবেশ ও আইন শৃঙ্খলা ভালই আছে বলে দাবা ব্যবসায়ী মহল ও এলাকাবাসী।

তবে ফতুল্লা মডেল থানায় বর্তমানে পুলিশের সোর্সের আনাগোনা বেশি দেখা যায় বলে মন্তব্য করছেন থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ। যা বিগত দিনে সোর্সদের থানার আশ পাশে আসতে দেয়নি অফিসারগণ। এখন দাগী সোর্সদেরও থানায় আনাগোনা বেশি দেখা যায়। কতিপয় কয়েকজন অফিসারের টেবিলে বসে পুলিশের ভূমিকায় কাজ করছে থানার সোর্স নামের ব্যক্তিরা। এব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমার কাছে থেকে ফতুল্লার সকল শ্রেণির মানুষ সমান এবং সঠিক সেবা পাবেন। আমি দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালনে বদ্ধপরিকর। আমি যেন ফতুল্লাবাসীর পুলিশি সেবা বা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। এজন্য স্থানীয় গণ্যমান্য রাজনীতিবিদ সাংবাদিক সহ সকলের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা চাই। সাধারণ মানুষের ন্যায়ের পথে পুলিশিং সেবা দিতে পারি। মাদক রোধে জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনে সবার সহযোগিতা কামনা করি।

তিনি আরো বলেন, সোর্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে সে যে কেউ হোক না কেন। কল্লা কাটার গুজব থেকে মানুষকে বুঝানোর জন্য আমাদের এসপি মহোদয় ও আমরা বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মসজিদ মন্দির স্কুল কঔেৎ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনগণের সাথে সেমিনার সভা সহ নানাভাবে গুজব সৃষ্টি করে মানুষ মারার চক্রান্তকে প্রতিরোধ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতী দলের কমিটি: আহ্বায়ক আলমগীর, সদস্য সচিব ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতী দলের ৬৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মীর আলমগীর হোসেনকে আহবায়ক ও ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ এবং সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান।

কমিটি গঠনে আগামী দুই মাসের মধ্যে মহানগরের আওতাধীন সকল পৌরসভা ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের পর মহানগরের সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট শাহজাদা দেওয়ান, অপু রহমান, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, অ্যাডভোকেট নাজমুল আবেদীন ভূইয়া, মো: জাহিদুর রহমান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সুমন হাওলাদার, ইলিয়াস বারী মামুন, মাহবুবুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মো: ইব্রাহীম ও আসলাম হোসেন।

কমিটিতে সদস্য পদে ইকবাল হোসেন, ডা: মাহবুবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, মো: জহির, খোকন সর্দার, হাজী কামাল গাজী, তোফাজ্জল হোসেন, নুরুল ইসলাম, মো: হানিফ, মনির হোসেন টিটু, আক্তার হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, সালামতউল্লাহ হানিফ, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম শাহীন, আতাহার হোসেন, শাকিল সেলিম সফি, শাওন মাঝি, আনোয়ার হোসেন, আবদুর গাফফার, মো: রবিন, মো: হাসান, আবদুল হাকিম, শামীম হোসেন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস, বিউটি বেগম, মো: কাওসার, মো: আরিফ, জামান খান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, আকরামুল কবীর বাবু, মো: আবদুল গনি, মো: আকবর, মো: মিলন, সামসুদ্দিন, শমসের হোসেন, দুলাল হোসেন, কবির হোসেন, আবদুল মালেক রনি, মো: মহসিন, মো: ইব্রাহীম, কবীর হোসেন, আবদুল হাই, মাসুদ মিয়া, অপু মিয়া, শাকিল মিয়া, সোহানুর রহমান অন্তু, মো: আলী আহমেদ ও মো: বারেক।

এবার শামীম ওসমানের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের রাজনীতির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক এখন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের জেরেই মুলত আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিটকে গেছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম। সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে বেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন কায়সার হাসনাত ও কালাম। নতুন আহ্বায়ক কমিটির সকলেই এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্ব মানেন। নতুন কমিটির নেতারা মুলত শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও জানা গেছে। ফলে সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এখন শামীম ওসমান।

জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া দীর্ঘদিন যাবত শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করছেন। যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমও শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন। সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি নিয়ে বেশ স্বস্থিতে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও। তার শক্ত প্রতিদ্বন্ধি কায়সার হাসনাত ও কালাম পড়েছেন বেশ বেকায়দায়। ফলে এমপি খোকার অবস্থান আরো পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে সোনারগাঁয়ে।

কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী ও সামসুদ্দিন খান আবু। এদের মধ্যে একমাত্র আরিফ মাসুদ বাবু শামীম ওসমানের বলয়ের বাহিরে রাজনীতি করেন। বাকিরা সবাই শামীম ওসমানের অনুগামী। কেউ কেউ এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক রেখে রাজনীতি করেন। আবার এমপি খোকার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে শামীম ওসমানের। ফলে এমপি খোকাও বেশ স্বস্থিতে রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক জানান, গত ১৩জুলাই অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রতিটি উপজেলা ও থানা এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাবনা উঠে এবং সকলের সম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে ১৫ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি করে অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ৮ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটির লিখিত প্রস্তাবনা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর প্রেরণ করা হয়।

এদিকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি তাদেরকেই। কায়সার হাসনাত জাতীয় নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালামও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার কায়সার ও কালাম উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। দুজনই দাবি করেছেন এই কমিটির কোন বৈধতা নেই। এটি অবৈধ কমিটি। একই সঙ্গে এই কমিটির নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের প্রতিহতের ঘোষণাও দিয়েছেন। পৃথকভাবে দুটি অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের এই দুই নেতা এমনটাই নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন।

জানাগেছে, গত ৩০ জুলাই জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে ৮ সদস্যের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন ঘোষণা করা হয়। এরপর সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন কমিটিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী ঘোষণা করে প্রতিবাদ সভা করেছেন।

২ আগস্ট শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে নবগঠিত সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

এ প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন- নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকলকে হুশিয়ার করে বলেন, গঠনতন্ত্র বিরোধী অবৈধ আহ্বায়ক কমিটির কাউকে কোন এলাকায় কোন সভা সমাবেশ, সংগঠনের কার্যাবলী পালন করতে দেয়া যাবে না। তারা যেখানেই দাঁড়াবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মোশারফ হোসেন। সভায় তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র বিরোধী এ অবৈধ আহ্বায়ক কমিটিকে মেনে নেওয়া হবে না। আমি এই অবৈধ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সহ সকলকে আহবান জানাচ্ছি যে আপনারা সোনারগাঁয়ে ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেত্রীবৃন্দর সাথে বসুন এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি কমিটি করুন। অন্যথায় সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ আপনাদের এই অবৈধ আহ্বায়ক কমিটিকে সোনারগাঁয়ের কোথায়ও কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবেনা।

এদিকে বিশেষ অতিথি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে যে আমাকে সদস্য রাখা হয়েছে, তা আমি প্রত্যাখ্যান করিলাম, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে এ ধরণের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। অতিসত্তর তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নতুন করে আওয়ামীলীগের কমিটি করার জন্য আহবান জানান।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রুমা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রবিন, সোনারগাঁও উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলজার হোসেন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রজন্ম লীগ সভাপতি আরমান মেরাজ ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সজিব প্রমুখ।

অন্যদিকে এর একদিন পর ৩ আগস্ট শনিবার এক অনুষ্ঠানে কঠোর বক্তব্য রেখেছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে জাতির জনকের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার উদ্ববগঞ্জ এলাকায় আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি কমিটির বিষয়ে বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কোনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়নি। এটা নিছক একটি গুজব। এটার সত্যতা কেউ দিতে পারবেনা, তাই এ কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি নেতাকর্মীদের জানান, আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী ও সাধাণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর ছাড়া একটি কমিটি অনুমোদন হয় কিভাবে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র কি বলে জেনে নেন। কমিটি করতে হলে সম্মেলন করতে হবে। আমি কালাম কোনো পদের জন্য রাজনীতি করিনা। তবে যোগ্য লোকজনকে নিয়েই কমিটি গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, এই আহ্বায়ক কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও ভোগাজ কমিটি। জেলা কমিটির কোনো এখতিয়ার নেই উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার। যারা ভাবেন রাজাকারের বংশধর ও জীবনে রাজনীতি করেনি তাদের দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিচালিত হবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ এতটা দেউলিয়া হয়ে যায়নি। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে আগামী দিনে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। এছাড়া যারা এ ভূয়া আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলেও হুশিয়ারী করে দেন।

উক্ত আলোচনা সভায় সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহাম্মেদ বাদশা, সনমান্দী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, জেলা যুব আইনজীবি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সাবু, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সহ-সভাপতি করিম আহাম্মেদ, সোনারগাঁ পৌরসভা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহামুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোতালেব মিয়া, সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান সাজু প্রমূখ।

এখানে উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক জানান, গত ১৩জুলাই অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রতিটি উপজেলা ও থানা এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাবনা উঠে এবং সকলের সম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে ১৫ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি করে অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ৮ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটির লিখিত প্রস্তাবনা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর প্রেরণ করা হয়।

নতুন এ কমিটিতে সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ছাড়াও রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী ও সামসুদ্দিন খান আবু।

মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে মহানগর আওয়ামীলীগের র‌্যালী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মশক নিধণ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালী ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বন্দর প্রেসক্লাবের সামনে এ র‌্যালী ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আমাদের সমাজের এখন মারাত্মক ব্যাধি। এ ব্যাধির বিপরীতে আমাদের কি কি করণীয় আছে সেজন্য আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আওয়ামীলীগ সব সময় জনমানুষের পাশে থাকে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রতিজ্ঞা করব যার যার আঙ্গিনা পরিস্কার করব। বাসাবাড়িতে ফুলের টবে পরিচ্ছন্ন রাখব। জনগণকে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করব। কেননা, ডেঙ্গু মশার প্রকোপে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ নানা রোগে মৃত্যুবরণ করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ হতে হলে আমাদের জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ। আমার নেত্রী বলেছেন আওয়ামীলীগ একটি বড় দল। এ দলের রাজনীতিতে অন্তর্ভূক্ত হতে হলে স্বচ্ছ ও পরিস্কার থাকতে হবে। আওয়ামীলীগে কোন অপরাধীদের স্থান নেই। অপরাধী সব সময়ই অপরাধী। তাই আমি বলব অপরাধী যেই হোক যত বড় নেতাই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। যদি এটা না হয় তাহলে এ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই আমরা আওয়ামীলীগকে এমন সংগঠন উপহার দিতে চাই যে সংগঠনে কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকবেনা, কোন ভূমিদস্যূ ও চাঁদাবাজ থাকবেনা। অতএব আওয়ামীলীগ একটি সুশৃঙ্খল দল। এ দলে কোন বিতর্কিত লোকদের জায়গা হবেনা।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।

মহানগরের ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সামসুল হাসানের সঞ্চালনায় র‌্যালী ও সভায় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা গনি মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা রাশিদা বেগম, শিক্ষক নেতা শেখ কামাল, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ নাজমুল, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, আলী হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ধামগড় আওয়ামীলীগ নেতা ইসলাম পলু, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ডা. শফিউল্লাহ, এমএ কাউয়ুম, ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আমান, রফিকুল ইসলাম, চলচিত্র লীগ নেতা মদিল হোসেন প্রমূখ।

সভাশেষে র‌্যালীটি বন্দর বাজার, রাজবাড়ী, শাহীমসজিদ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন্দর বাসষ্ট্যান্ড এসে সমাপ্ত হয়।

সর্বশেষ সংবাদ