ফতুল্লা থানায় ১৩০ মামলা, সাড়ে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার মডেল থানায় গত জুলাই মাসের ৩১ দিনে বিভিন্ন অপরাধে মাদক সহ মোট মামলা দায়ের হয়েছে ১৩০টি। এর মধ্যে মাদক জনিত মামলা হয়েছে ৭৭টি। শুধু মাত্র থানা পুলিশের মাদক মামলা হলো ৫৬টি। এই মাসে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ১৪ লাখ ৩০হাজার ৬’শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। জুলাই মাসে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ১০টি।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান ও ষ্টেটম্যান অফিসার এএসআই মাহমুদুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় গত জুলাই মাসের ৩১ দিনে মোট ১৩০টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো হলো অস্ত্র মামলা ১টি, হত্যা (খুন) ৪টি, ধর্ষণ ৬টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক অপহরণ সহ ১৭টি, চুরি মামলা ১টি, পুলিশ আক্রান্ত ১টি, মারামারি (অন্যান্য ধারায়) মামলা ২৯টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৭৭টি। এর মধ্যে থানার ৫৬টি মামলা।

ফতুল্লা থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারজনিত মাদকদ্রব্য হলো- ১৭১২পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, হেরোইন ৮৩.৫গ্রাম, গাঁজা ১কেজি ২৭৫শ‘ গ্রাম এবং ফেন্সিডিল ৬০ বোতল, বিদেশী চোলাই মদ ২বোতল বা ২লিটার, দেশীয় চোলাই মদ ৪ বোতল বা ৪ লিটার।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ মোট ১৪ লাখ ৩০হাজার ৬শ‘ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এছাড়া ৭৮ ভরি ১১ আনা ২ রত্তি ৫ পয়েন্টের একটি স্বর্ণে দ্বন্দ উদ্ধার করেছে পুলিশ । যার মূল্য ৩০ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬’শ ২৫টাকা। চোরাইকৃত ২৬ হাজার ৯টি মোবাইল উদ্ধার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।

ফতুল্লা থানা পুলিশ আরো জানান, গত জুলাই মাসে থানা পুলিশ জি.আর ওয়ারেন্ট তামিল ১০২টি এবং সি.আর ওয়ারেন্ট তামিল করেছে ৪০টি। আদলাত কর্তৃক সাজা দেয়া ওয়ারেন্ট তামিল ৮টি।

ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান, পরিদর্শক (অপারেশন) শাখাওয়াত হোসেন সহ সকলই থানার আইন শৃঙ্খলা ভাল রাখতে ঐক্য মতে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে থানার পরিবেশ ও আইন শৃঙ্খলা ভালই আছে বলে দাবা ব্যবসায়ী মহল ও এলাকাবাসী।

তবে ফতুল্লা মডেল থানায় বর্তমানে পুলিশের সোর্সের আনাগোনা বেশি দেখা যায় বলে মন্তব্য করছেন থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ। যা বিগত দিনে সোর্সদের থানার আশ পাশে আসতে দেয়নি অফিসারগণ। এখন দাগী সোর্সদেরও থানায় আনাগোনা বেশি দেখা যায়। কতিপয় কয়েকজন অফিসারের টেবিলে বসে পুলিশের ভূমিকায় কাজ করছে থানার সোর্স নামের ব্যক্তিরা। এব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমার কাছে থেকে ফতুল্লার সকল শ্রেণির মানুষ সমান এবং সঠিক সেবা পাবেন। আমি দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালনে বদ্ধপরিকর। আমি যেন ফতুল্লাবাসীর পুলিশি সেবা বা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। এজন্য স্থানীয় গণ্যমান্য রাজনীতিবিদ সাংবাদিক সহ সকলের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা চাই। সাধারণ মানুষের ন্যায়ের পথে পুলিশিং সেবা দিতে পারি। মাদক রোধে জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনে সবার সহযোগিতা কামনা করি।

তিনি আরো বলেন, সোর্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে সে যে কেউ হোক না কেন। কল্লা কাটার গুজব থেকে মানুষকে বুঝানোর জন্য আমাদের এসপি মহোদয় ও আমরা বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মসজিদ মন্দির স্কুল কঔেৎ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনগণের সাথে সেমিনার সভা সহ নানাভাবে গুজব সৃষ্টি করে মানুষ মারার চক্রান্তকে প্রতিরোধ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।