তারেক রহমান আগামী স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার: মাহমুদুর রহমান সুমন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলেছেন, কতিপয় অপাংক্তেয়দের অপরিণামদর্শী ব্যবহৃত ক্রিয়ার ফলে তারুণ্যের দৃপ্ততায় মহীয়ান, আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হলো- এটা কি একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তরুণ রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায় নয়? কারণ গোটা সমাজ, সংসার, সংস্কৃতি, একেবারে রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে পচে-গলে গেছে, দুর্নীতির মহোৎসবে নৃত্যরত, সেই রাষ্ট্রের ভিতর থেকে একজন মাত্র তারেক রহমানকে অহেতুক অপ-প্রচারের সাজা দিয়ে শায়েস্তা করার মধ্যে কোন প্রকৃত সৎ-সাহসী মনোভাব কাজ করে কিনা পাঠক মাত্রই তা নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথরে বিচার করবেন।

৭ই মার্চ শনিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রয়াত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর নিজ বাসভবন ইলমদী এলাকায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে জোড়ালো আলোচনায় থাকা মাহমুদুর রহমান সুমন।

এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহিরের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: কাশেম ফকির।

এ সময় আরোও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাসুদ মিয়া, জাহিদ হাসান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালউদ্দিন সালামত চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকির মেম্বার, যুবদল নেতা লিটন সরকার, মোহাম্মদ ফারুক, হিরন মিয়া, হান্নাম মিয়া, সফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, আশরাফুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আলামিন মেম্বার, আলম মিয়া, আলামিন খান, ছাত্রনেতা ফেরদৌস ভূঁইয়া, মেহেদী হাসান, রুহুল আমিন ও জুবায়ের আহমেদ জিকু প্রমূখ।

কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা দাবি করেন- ২০০৭ সালের ৭মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

পরে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও দোয়া এবং প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।