তারেক জিয়ার কারাবন্দি দিবসে খালেদার মুক্তি চেয়ে যা বললেন ছাত্রদলের দুই নেতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৭ই মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনা করে আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশি ফেরদৌস ভূঁইয়া বলেন, তারেক রহমান কেবল একজন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই নন, একই সাথে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে, তেমনি এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে।

ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, এই ত্রি-মাত্রিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যগত পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যক্তি তারেক ক্রেজ সকল পরিচয় ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তার পারদে গোটা বাংলাদেশে ইতিপূর্বে বহু চড়াই-উতরাইয়ের পরেও বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে ঝড় তোলা, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন জাগানো যে নামটি বাংলাদেশের সবুজ প্রান্ত ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিমলে জননায়কের নিয়মকে পরিনীতি পেয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, সেটা হলো তারেক রহমান। সেটা আপনি আমি স্বীকার করি আর না করি, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির ও উপমহাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে মিশে আছে।

তিনি আরোও বলেন, তারেকের সবচেয়ে বড় যে গুণটি, যা কায়েমি স্বার্থবাদীদের হৃদয়ে কাঁপন এবং সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের সেটা দলের ভিতর, বাইর, কিংবা বিরোধীদলের ভিতর হউক, সমানভাবে মেরুদন্ডে ও প্রাণের মধ্যে তীরের ন্যায় আঘাত করেছে, আর তাহলো- এদেশের তৃণমূলের একজন অতি সাধারণ রাজনীতিক কর্মী, রাজনৈতিক নেতাও সুদূর বগুড়া কিংবা রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নাটোর, সিলেট, খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও ঢাকার রাজনীতিবিদদের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে দলীয় শীর্ষ পদ-পদবী, মন্ত্রী, স্পীকার সব ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ, নির্বাচন, ও যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ এবং ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়াও আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশি মেহেদী হাসান বলেন, তারেক রহমানের তৃণমূলের এই নেতৃত্ব ও শীর্ষ নেতৃত্ব দাবীদারের অবারিত সুযোগ প্রদানের ফলে দলের ভিতর এমনকি দলের বাইরে বিরোধীদলের কায়েমি স্বার্থবাদী, গুণে ধরা, সেকেলে, পুরনো, পচা, দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা-পচা মরালাশের রাজনীতির ধারক-বাহক-উত্তরাধিকারীদের আঁতে ঘা লেগেছে। আর এই দুই মিলিত শক্তি তারেক জিয়ার উত্থানে ও তরুণ হৃদয়ে ঝড় ও ক্রেজ তৈরির বিপরীতে একাট্টা হয়ে তারেক আতংক তৈরির সকল ক্রিয়া-কান্ড অতি সঙ্গোপনে, অতিবিচক্ষণতার সাথে আস্তে আস্তে এমনভাবে চালু করেছে, যা আজকে এই পর্যায়ে এসেছে, যেখান থেকে একজন স্বাধীনচেতা, সোজা, সরল-মনা, বাংলাদেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ একজন তারেক রহমানকে ঘিরে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মা, মাটি, মানুষ ছেড়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে বড় কষ্ট আর সাদাসিধে জীবন-যাপনে অভ্যন্ত বাংলাদেশের এই তরুণ নেতার একটি মাত্র বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা প্রশাসন ও সরকারি সকল যন্ত্র নড়ে চড়ে এমনভাবে বসে, যেন এই মুহূর্তে তারেক রহমানকে ঘিলে খেয়ে ফেলতে পারলেই সব কেল্লা ফতেহ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতাদের মতো যদি শুধুমাত্র বাহবা ও হাততালি মার্কা প্রচলিত রাজনীতি করতেন, ৯৯ভাগ রাজনীতিবিদদের মতো দুর্নীতির সাথে আপোষ করতেন, তাহলে কিন্তু তারেক রহমানকে ঘিরে এতো বিতর্ক যেমন হতোনা, কারো জন্য বা কোন দল বা গোষ্ঠীর জন্য তিনি হুমকি হতেন বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেননা। কতিপয় অপাংক্তেয়দের অপরিণামদর্শী ব্যবহৃত ক্রিয়ার ফলে তারুণ্যের দৃপ্ততায় মহীয়ান, আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হলো- এটা কি একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তরুণ রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায় নয়? কারণ গোটা সমাজ, সংসার, সংস্কৃতি, একেবারে রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে পচে-গলে গেছে, দুর্নীতির মহোৎসবে নৃত্যরত, সেই রাষ্ট্রের ভিতর থেকে একজন মাত্র তারেক রহমানকে অহেতুক অপ-প্রচারের সাজা দিয়ে শায়েস্তা করার মধ্যে কোন প্রকৃত সৎ-সাহসী মনোভাব কাজ করে কিনা পাঠক মাত্রই তা নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথরে বিচার করবেন।

কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা দাবি করেন- ২০০৭ সালের ৭মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

পরে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও দোয়া এবং প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।