সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে বারদী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের সীমানায় আড়াইহাজার উপজেলা। সীমানাবর্তী এলাকা হওয়ার সুবাধে এখানে রয়েছে ডাকাত দলের অবাধ বিচরণ। হাবু ডাকাত একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও তার ডাকাতি থেমে থাকেনি। হাবু ডাকাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে ডাকাত নুরা পাগলা, ফালাইন্না, ইয়ানুস সহ আরও বেশকজন ডাকাত দলের সদস্য ও সর্দার। দেশের সরকারের পটপরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বিএনপিতে প্রবেশ ঘটিয়ে মেতে ওঠেছে চাঁদাবাজিতে। বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে ডাকাত দলের সদস্যরা। নতুন আঙ্গিকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করছে মাদক ব্যবসা।
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে রাখা কুখ্যাত হাবু ডাকাত, নূরা পাগলা, ইয়ানুসদের বিরুদ্ধে অবশেষে মুখ খুলেছে সাধারণ মানুষ। ১৫ জুলাই মঙ্গলবার স্থানীয় শান্তিরবাজার চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ প্রতিবাদ সভায় এলাকার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা জানান, কুখ্যাত হাবু ডাকাত, নুর মোহাম্মদ ওরফে নূরা পাগলা ডাকাত, শফিকুল পাগলা ডাকাত, ফালাইন্না, শাওন, মামুন, ইউনুস, ফারুক, আশিক দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আতংকের নামে পরিনত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই নানা হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য কেউ এতদিন সাহস করেনি কিছু বলার।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগরের সভাপতিত্বে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন-আব্দুল করিম মেম্বার, হক সাব, মোহাম্মদ আবু, রফিকুল ইসলাম, আলী হোসেন, পনির মুন্সি কাশেম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, “আমরা আর চুপ করে থাকতে পারি না। ডাকাত হাবুর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে এক হয়ে দাঁড়াতে হবে।” বক্তারা প্রশাসনের কাছে হাবুকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।
জানা গেছে, বিএনপির কিছু তথাকথিত নেতা এই ডাকাতদের শেল্টার দিচ্ছে। তাদের এই কাজের প্রতিবাদ জানান তারা। শফিকুল নামের এক ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি বাকি যে সকল ডাকাত সদস্য আছে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই ডাকাত দলের প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা, হত্যা মামলা রয়েছে। একাধিক ডাকাতের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।