সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল বলেছেন, যারা এখানে উপস্থিত আছেন তারা সবাই নির্যাতিত স্বৈরাচারী হাসিনার সরকারের আমলে সবাই মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়ে কারাভোগ করেছেন। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের পক্ষে থাকার অপরাধে জিয়া পরিবার সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
তৎকালীন সময় যারা এই দেশকে নিয়ে ভাবতেন সেই আওয়ামীলীগের কেউ স্বাধীনতা যোদ্ধে অংশগ্রহন করে নাই। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মেজর থাকা কালিন দিশেহারা জাতিকে পথ দেখিয়ে ছিলেন। তার হাত ধরেই এদেশের স্বাধীনতাকামি জনগণ পাকিস্তানীদের পরাধীনতার ধু¤্রজাল ছিন্ন করে। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ^মানচিত্রে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়ে ছিলেন।
২০ জুলাই রবিবার বিকেলে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডস্থ কবিলের মোড় এলাকায় বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা এমন একটি দলের রাজনীতি করি যেই দলের প্রতিষ্ঠাতা জাতির কাছে একজন শত রাষ্ট্রপতি হিসেবে পরিচিত। খুন, নির্র্র্র্র্র্র্যাতন লুটপাট বিএনপির রাজনীতি না। যারা এই অপরাধের সাথে জড়িত তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের রাজনীতি করে না। এই সকল কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আপনারা বয়কট করুন।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ ও হাসিনার চক্রান্তে পাশ^বর্তী দেশের সহযোগীতায় মেজর জিয়াকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পর আমরা এমন একজন নেত্রী পেয়েছি যিনি কখনই দেশবিরোধীদের সাথে কোন আপোষ করেন নাই। যার অপরাধে তার এক ছেলেকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আরেক ছেলেকে নির্যাতন করে কোমড় ভেঙ্গে দিয়ে দেশ ছাড়া করেছে। দেশ নায়ক তারেক রহমান তার আপন ছোট ভাইয়ের জানাযায় অংশ গ্রহন করতে পারেননি। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পাড়ে।
অথচ দেখেন ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ৫ আগষ্ট তার দল বল নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছে। দেশের শান্তি নষ্ট করার জন্য বিদেশের মাটিতে বসে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হাসিনা কতটা হিং¯্র ও নির্মম যে নিজে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাতে নির্দেশ প্রদান করে। শুধু তাই নয় সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্ধি করে রাখতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমরা লুটপাটে জড়িত না আমাদের আর্দশ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা আর্দশে অনুপ্রানীত। জিয়ার সৈনিকরা কখনই কোন স্বৈরাচারের সাথে আপোষ করে না। এখানে যারা উপস্থিত আছেন এক একজন নেতাদের বিরুদ্ধে ৪০/৫০টি মামলা আছে।
আতাউর রহমান মুকুল সাহেবকে বিএনপি থেকে সরাতে নানা ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনো করছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের আহবান করবো অচির্ইে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে। কারন বর্তমান মহানগর বিএনপির যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, তারা প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। তারা ফ্যাসিষ্টদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় প্রাথমিক সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. বিল্লাল হোসেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদ আহম্মেদ টিটু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার রেজানুর রহমান রুপম।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, আবুল কাশেম, মোঃ সাফী, নেছার উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, আল মামুন, মহিবুল ইসলাম, আলম হোসেন, মধু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মিজানুর রহমান আরিফ, শহীদ মেম্বার, জান্নাতুল ফেরদৌস রাজীব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।