মাদক জঙ্গী বিরোধী ও গুজব প্রতিরোধ শ্লোগানে খেলার মাঠে এমপি ডিসি এসপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে ‘মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী এবং গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজা) আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

উক্ত স্টেডিয়ামে মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী এবং গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি বিশাল সমাবশে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের সমাগম হয়। এরপর একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়। উক্ত ম্যাচটি হয় ‘জাতীয় সংসদ সদস্য একাদশ বনাম পুলিশ সুপার একাদশ’।

জাতীয় সংসদ একাদশের অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন এমপি নজরুল ইসলাম বাবু এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার একাদশের অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ‘পুলিশ সুপার একাদশ’ ‘জাতীয় সংসদ সদস্য একাদশ’কে ৫-১ গোলে পরাজিত করে। পুলিশ সুপার একাদশের হয়ে এসপি ১টি কনস্টেবল সন্দীপ ২টি এবং কনস্টেবল বাদল দুইটি, মোট পাঁচটি গোল হয়। অপরদিকে এমপি একাদশে মামুন একটি গোল করেন।

উক্ত খেলায় প্রায় পাঁচ হাজার লোকের সমাগম হয়। এবারের বিষয় ছিল ‘মাদক ও জঙ্গীবাদকে না বলুন’ ‘গুজবে কান দিবেন না’ ‘ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনি দিবেন না’।

উক্ত সমাবেশে পুলিশ সুপার বলেন, আজকের যিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন তিনি আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই। ছাত্রজীবনে এক সময় আমরা যাকে নেতা হিসেবে মনে করতাম। আরেকজন উপস্থিত আছেন যিনি অল্পদিনের মাথায় তার কথাবার্তায় প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত। তিনি আমার বহুদিনের ছাত্রজীবনের বন্ধু আজকের নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে চায়। আজ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা একযোগে কাজ করছেন।

এসপি আরও বলেন, গুজবে কান দিয়ে কাউকে হত্যা করলে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নারায়ণগঞ্জে গুজবে গণপিটুনির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যাতে একজন মারা গেছেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলায় অনেকের নাম এসেছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই অরাজকতা সৃষ্টি করবেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তবে মামলায় নাম এসেছে এমন কোন নির্দোষ ব্যক্তি যদি থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দিব।

ফতুল্লায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ২৪ ঘন্টায় ফতুল্লা থানাধীন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ মাদক বিক্রেতা ও ১২জন পরোয়ারাভুক্ত আসামি সহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন।

তার সাথে সহযোগিতায় ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সাখাওয়াত হোসেন সহ বেশ কয়েকজন পুলিশের এসআই। এ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিরা হলো- ফতুল্লার চাঁনমারী এলাকার আকবর আলীর ছেলে কাশেম বক্তাবলী রাধানগর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রমিজ উদ্দিন, প্রসন্ননগর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ বাবু, মধ্যনগর এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে ফরিদ, গঙ্গানগর এলাকার আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে ইন্তাজ উদ্দিন, তার স্ত্রী জুলেখা বেগম, জিয়ার স্ত্রী রেনু বেগম, মোক্তার হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন, রাজাপুর এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে আমির হামজা, এনায়েতনগর ধর্মগঞ্জ চটলার মাঠ এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে খোকন ওরফে সিপাই খোকন, ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মীর আলীর ছেলে নয়ন আলী এবং কাশীপুর এলাকার মৃত শামীম আহম্মেদের ছেলে মো. মন্টু মিয়া ।

অপরদিকে, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ২৮ জুলাই রাতে পাগলা ঐলাকা থেকে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১শ‘ গ্রাম গাঁজা সহ সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে। সে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া কইখালী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।

এ ছাড়াও থানার আরেক টীম ফতুল্লার গাবতলী এলাকা থেকে ৫ গ্রাম হেরোইন সহ হারুন অর রশিদের ছেলে সেলিম ওরনফে কালা সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এমপি শামীম ওসমানের প্রতি দীপ্ত সিকদারের কৃতজ্ঞতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোমেন সিকদারের ছেলে দীপ্ত সিকদারকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের এমপি শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাফেল প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দীপ্ত সিকদার।

এক বিবৃতিতে দীপ্ত সিকদার বলেন, ছাত্রলীগ মানবতার সংগঠন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রাচীন এ ছাত্র সংগঠন দেশ ও দেশের বাইরে যেখানেই মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে সেখানেই পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতির প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রদের নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। তাই আমিও সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবো। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি সে জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

এসপি হারুনের নেতা এমপি বাবু, বন্ধু ডিসি জসিম উদ্দীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক মাদক জঙ্গীবাদ বিরোধী ও গুজব প্রতিরোধে সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ তার বক্তব্যে স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুকে নেতা মনে করতেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দীন তার ছাত্রজীবনের বন্ধু হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

ওই সমাবেশে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আজকের যিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন তিনি আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই। ছাত্রজীবনে এক সময় আমরা যাকে নেতা হিসেবে মনে করতাম। আরেকজন উপস্থিত আছেন যিনি অল্পদিনের মাথায় তার কথাবার্তায় প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত। তিনি আমার বহুদিনের ছাত্রজীবনের বন্ধু আজকের নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে চায়। আজ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা একযোগে কাজ করছেন।

এসপি আরও বলেন, গুজবে কান দিয়ে কাউকে হত্যা করলে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নারায়ণগঞ্জে গুজবে গণপিটুনির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যাতে একজন মারা গেছেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলায় অনেকের নাম এসেছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই অরাজকতা সৃষ্টি করবেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তবে মামলায় নাম এসেছে এমন কোন নির্দোষ ব্যক্তি যদি থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দিব।

জানাগেছে, ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে ‘মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী এবং গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজা) আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

উক্ত স্টেডিয়ামে মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী এবং গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি বিশাল সমাবশে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের সমাগম হয়। এরপর একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়। উক্ত ম্যাচটি হয় ‘জাতীয় সংসদ সদস্য একাদশ বনাম পুলিশ সুপার একাদশ’।

জাতীয় সংসদ একাদশের অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন এমপি নজরুল ইসলাম বাবু এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার একাদশের অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ‘পুলিশ সুপার একাদশ’ ‘জাতীয় সংসদ সদস্য একাদশ’কে ৫-১ গোলে পরাজিত করে। পুলিশ সুপার একাদশের হয়ে এসপি ১টি কনস্টেবল সন্দীপ ২টি এবং কনস্টেবল বাদল দুইটি, মোট পাঁচটি গোল হয়। অপরদিকে এমপি একাদশে মামুন একটি গোল করেন।

উক্ত খেলায় প্রায় পাঁচ হাজার লোকের সমাগম হয়। এবারের বিষয় ছিল ‘মাদক ও জঙ্গীবাদকে না বলুন’ ‘গুজবে কান দিবেন না’ ‘ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনি দিবেন না’।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে নাসিকের ১৬নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে সাঁটানো হলো তালিকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি থানার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে তালিকা প্রস্তুত করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। আসামিদের সেই তালিকা পৌছে দেওয়া হবে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের কার্যালয়ে।

ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পলিশ সুপার হারুন অর রশিদের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও প্রতিটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি যারা আছেন তাদের নিকট সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিদের একটি তালিকা পৌছে দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে।

২৮ জুলাই রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দকীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান এবং এসআই জয়নাল আবেদীন কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এই তালিকা সাটিয়ে দেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দকী বলেন, ‘বিভিন্ন মামলার তদন্ত শেষে চার্জশীট দাখিল করার পর আসামি যদি কোর্টি হাজির না হয় বা পুলিশ যদি আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারে তখন আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। তখন সেই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা চালালেও অনেক সময় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়না।

তিনি জানান, আমাদের পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক, ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিটি জায়গায় আমরা পরোয়ানাভুক্তদের তালিকা প্রকাশ্য স্থানে টানিয়ে দিবো এবং জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করবো। যেন জনসাধারণ পুলিশকে তথ্য দেন যে অমুক ব্যক্তিটা বাড়িতে আছে। আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে। একই সঙ্গে যারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আছে তাদেরকে বলবো তারা যেন স্বেচ্ছায় কোর্টে হাজির হয়ে যান। জনপ্রতিনিধি যারা আছেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা যারা আছেন এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি যারা আছেন তাদের সকলের সহযোগীতা কামনা করছি পরোয়ানাভুক্তদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করার জন্য।’

ছেলেধরা বলতে কোন কিছু নেই, সবই গুজব: ওসি আসলাম হোসেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেছেন, ছেলেধরা বলতে কোন কিছু নাই। একটি বিশেষ চক্র দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে গুজব ছড়াচ্ছে। তাই আমরা কেউ গুজবে কান না দিয়ে দেশে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখি। আমরা আমাদের বাংলাদেশকে দূর্নীতিমুক্ত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এসময় ছেলেধরা নিয়ে কোন আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান করেন।

২৮ জুলাই রবিবার ফতুল্লার কাশিপুর দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা পুলিশ আয়োজিত গণসচেতনতা সপ্তাহ-২০১৯ এর ফতুল্লা মডেল থানার উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন ওসি আসলাম হোসেন।

তিনি আরো বলেন, যারা অসৎ উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা বলে গুজব ছড়াচ্ছে তাদেরকে সনাক্ত করতে হবে। তারা যারা গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করছে তারা দেশের শত্রু। আমরা সচেতন হতে হবে যাতে করে কেউ গুজব ছড়িয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ওসি আসলাম হোসেন বলেন, তোমরা দেশ ও জাতির একমাত্র ভবিষ্যৎ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার আগে তোমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আর তোমাদের ভাল মানুষ হতে হবে। তোমরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভয় পাবেনা। গুজবে কোন কান দিবেনা। তোমাদের কোন সমস্যা হলে আমাকে এবং তোমাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল ভাইকে ফোন করে জানাবে। আমরা তোমাদের সব থাকবো। তোমরা ভাল ভাবে লেখাপড়া করে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জল করবে সেই প্রত্যাশা করছি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আর এ পর্যন্ত ছেলেধরা গুজবে যতগুলো গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বেশির ভাগ লোক প্রতিবন্ধি কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন। এতে করে প্রমাণ করে ছেলেধরা বলতে কোন ঘটনা না। সব কিছুই গুজব। আর ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের কি অপরাধ ছিল? গুজবে হত্যা করার পর মামলার আসামি হয়েছে। এস সময় অতিউৎসাহিত হয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে নিজেরা বিপদে না পড়ার আহবান জানান। আর গুজবে কান দিয়ে কাউকে সন্দেহ হলে আগে লোকটির বিষয়ে খোজখবর নিতে হবে এবং আর তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশকে অবগত করতেও সকলকে তিনি জানান।

এসময় ওসি আসলাম হোসেন দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাদককে না বলার জন্য সচেতন করেন এবং শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সকল শিক্ষার্থী মাদককে বয়কট করার প্রতিজ্ঞা করেন।

গণসচেতনতা সপ্তাহের মতবিনিময় সভায় দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, স্কুলের ম্যানোজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আশরাফুল আলম, এমএ সাত্তার, সরদার সালাউদ্দিন, বিশ্বাস লুৎফর রহমান, সফিউদ্দিন খন্দকার তপন, জুয়েল প্রধান, দিপালী নাগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির রতন প্রমুখ।

ব্যর্থতা বিতর্ক নিয়ে শংকর সুজনের বিদায়, এবার ঐক্যবদ্ধ পূজা পরিষদের যাত্রা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জমকালো আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের নতুন কমিটি। বিদায়ী জেলা কমিটির ব্যর্থ সভাপতি সেক্রেটারী শংকর সাহা ও সুজন সাহাকে এবার ছুড়ে ফেলেছে তৃণমূলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষেভের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন তারা এবারের সম্মেলনে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দীপক কুমার সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে শিখন সরকার শিপনকে। আর মহানগর কমিটির সভাপতি সেক্রেটারী হয়েছেন যথাক্রমে অরুন কুমার দাস ও উত্তম কুমার সাহা। নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করে আয়োজন করা হয় জেলা ও মহানগরের সম্মেলন।

যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ তৃণমূলের কয়েক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবন্দৃ। সকলের সমর্থনেই এবং মতামতের ভিত্তিতে ঘোষিত এই কমিটি গঠনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।

সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালে গঠন করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের কমিটি। শংকর সাহাকে সভাপতি আর সুজন সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি এবং দিপক সাহাকে সভাপতি আর শিখন সরকার শিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পরেন জেলা কমিটির নেতারা। বিশেষ করে জেলার সভাপতি শংকর সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে অবহেলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পরে শংকর সাহা এই পদ পদবী ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে থাকেন। বিভিন্ন অসহায় হিন্দু নেতাকর্মীদের বিষয় সম্পত্তি দখল ও মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে শংকর সাহার বিরুদ্ধে।

তাছাড়া জেলা কমিটির আওতাধীণ বিভিন্ন থানা ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ খবর নেননি শংকর সাহা। বিভিন্ন পূজা পার্বণ বা উৎসবে সাহায্য সহযোগিতার বিন্দু মাত্র পাওয়া যায়নি শংকর সাহার কাছ থেকে। হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজায় অস্বচ্ছল মন্ডপগুলোর দেখভাল করার কথা থাকলেও জেলা কমিটি তা কখনো করেনি। বরং মহানগর কমিটি দায়িত্ব নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এসব মন্ডপগুলোতে পূজার আয়োজন করে আসছে। ফলে জেলা কমিটির প্রতি বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে পূজা পরিষদের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বর্তমান জেলা কমিটির নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বলেন, জেলা কমিটির সভাপতি শংকর কুমার ও সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা বিগত সময়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ নেননি। এমনকি বিপদ আপদেও তাদের কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি।

এ সকল অযোগ্য নেতাদের দিয়ে কখনো পূজা পরিষদের মত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন চলতে পারে না। আমরা জেলা কমিটির পরিবর্তন চাই। সম্মেলনের মাধ্যমে তৃনমুল নেতাকর্মীদের পছন্দের নেতাদের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেখতে চাই।

অন্যদিকে সভাপতি দিপক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের নেতৃত্বে বিদায়ী মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের কর্মকান্ডে আশ্বস্ত ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়। সংগঠনের সভাপতি দিপক সাহা সর্বক্ষণ তৃণমূলের যে কোন প্রয়োজনে নিজ অর্থায়ণে সহযোগিতার হাত বাড়য়ে দেন। তাছাড়া দূর্গোৎসবে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মহানগরের প্রতিটি মন্ডপে অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকেন তিনি। এমনকি জেলা কমিটির অন্তর্গত অনেক মন্দিরেও দিপক সাহার সাহায্য পৌছে যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ কখনো কোন প্রয়োজনে দিপক সাহার কাছ থেকে খালি হাতে ফেরত যায়নি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করে তৃণমূল হিন্দু নেতৃবৃন্দ। হিন্দু সম্প্রদায়ের যে কোন প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক ছুটে যান শিখন সরকার। তাছাড়া মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও জেলার সর্বস্তরে অবহেলিত হিন্দু নেতৃবৃন্দের সুখ দু:খে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে সার্ব্বজনিন নেতায় পরিনত হয়েছেন শিখন সরকার শিপন। এসব কারনে এই নতুন কমিটির উপর ভরসা রাখছেন হিন্দু সম্প্রদায়।

সোনারগাঁয়ে তিনদিন ব্যাপী বৃক্ষ মেলা ও আলোচনা সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘পরিকল্পিত ফল চাষ, যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোনারগাঁয়ে তিনদিন ব্যাপী ফলদ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৮ জুলাই রবিবার বিকেলে এ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।

লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আর এ মানুষের প্রয়োজনীতার জন্যই আল্লাহ গাছ দিয়েছেন। সৃজনীয় ফল খেলে মানুষের কোন অসুখ হওয়ার কথা নয়। প্রতিটি মানুষের জীবন রক্ষার জন্য গাছ লাগানো উচিৎ। এ বছর আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন পুরাতন সকল রাস্তার পাশে এক লাখ ফলজ, বনজ ও ওষুধী গাছ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে লাগাব।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, সোনারগাঁ মহিলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিয়া লিয়াকত, সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, সোনারগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরা আক্তার প্রমুখ।

এসময় উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে হ্যান্ড স্প্রেয়ার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়। পরে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ফিতা কেটে ফলদ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিদের নিয়ে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা মেলা পরিদর্শন করেন।

রূপগঞ্জে ৪ পরিবহন চাঁদাবাজ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ তারাবো এলাকা থেকে ৪ পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। ২৮ জুলাই রবিবার সকালে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাবের অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুুরী।

তিনি জানান, রবিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত র‌্যাব-১১, সিপিএসসি এর পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তারাবো পৌরসভার দক্ষিণপাড়া, সোনালী রোডের শবনম ভেজিটেবলস অয়েল মিলস লিমিডেটের সামনে এবং ঢাকা-সিলেট বিশ¡ রোডের তারাবো মোড়ে চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস ও লেগুনা থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে ৪ জনকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া ভূঁইয়া কুত্তা মাসুদ, মোঃ রাসেল আহম্মেদ, মোঃ হারুন অর রশিদ ওরফে বাবু, মোঃ উজ্জল মিয়া। তাদের দখল হতে সর্বমোট চাঁদাবাজির নগদ ৩ হাজার ২’শ ১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজ আসামি মোঃ মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া ওরফে কুত্তা মাসুদ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে তারাবো পৌরসভায় শবনম ভেজিটেবলস অয়েল মিলস এর আশপাশে যেকোন স্থানে বিভিন্ন কোম্পানীর পণ্য বোঝাই ট্রাকে চালকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১’শ টাকা থেকে ৩’শ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।

উক্ত আসামির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত প্রায় অর্ধডজন মামলা রয়েছে। এই চাঁদাবাজির পৃথক আরেকটি অভিযানে রূপগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-সিলেট বিশ¡ রোডের তারাবো মোড়ে চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস ও লেগুনা থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে মোঃ উজ্জল মিয়া, মোঃ হারুন অর রশিদ ওরফে বাবু ও মোঃ রাসেল আহম্মেদদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনা চালকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক গুরুতর ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক ৫০ টাকা থেকে দেড়শো টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে উল্লেখিত যানবাহনের চালকদের নিকট হতে গুরুতর আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা এরূপ অপতৎপরতা পূর্বে হতে করে আসছে মর্মে স্বীকার করে। তাদের অত্যাচারে যানবাহন চালকরা অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজ বন্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্কুল শিক্ষার্থী রিতুল ঘোষ হত্যার বিচার দাবি, মিছিল ও ডিসি এসপিকে স্মারকলিপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিতুল ঘোষ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচারের দাবিতে শহরে মৌন মিছিল করেছে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। ২৮ জুলাই রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভুইয়ারবাগ বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী মৌন মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবী জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দীন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এর আগে স্কুল প্রাঙ্গনে রিতুলের অকাল প্রয়ানে শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন- বিদ্যানিকেতন ট্রাষ্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম, সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল, শ্রেণি শিক্ষক তারক ঘোষ ও প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা।

শোক সভায় নিহত রিতুলের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বক্তরা বলেন, রিতুলকে তার কয়েকজন দুষ্ট বন্ধু পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এদিকে বিদ্যানিকেতনের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাশেম হুমায়ুন, বিদ্যানিকেতন ট্রাষ্টের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন চুন্নু ও শিক্ষকদের পক্ষে প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা ও ছাত্রদের পক্ষে সৌরভ সাহা এক বিবৃতিতে রিতুল ঘোষ হত্যার সাখে জড়িত দোষীদের অভিলম্বে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবী জানান।

উল্লেখ্য গত ২৬ জুলাই শুক্রবার রিতুল ঘোষ শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় শীতলক্ষা নদীতে নিখোঁজ হয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ফায়ার সাভিসের ডুবুরিরা তার মরদেহ উদ্ধার করে। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে রিতুলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মাসদাইর শশ্মানে। রিতুলের পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ