মহানগর যুবদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ছবি ফেসবুকে ভাইরাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন। যেখানে কর্মসূচি পালনের স্থল নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব। ওই স্থানে দুই গ্রুপের পালিত হওয়া কর্মসূচির দুটি ছবি রবিবার সন্ধা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যেখানে সকালে পালিত যুবদলের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন পুলিশ। একই স্থানে যুবদলের অপর অংশের নেতাকর্মীদের সমাবেশের তিন দিকে পুলিশ নীরব ভুমিকায় দাড়িয়ে রয়েছেন।

জানাগেছে, যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৭ অক্টোবর রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর যুবদলের ব্যানারে র‌্যালীর প্রস্তুতি নেয় যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু। ওই কর্মসূচির র‌্যালী বের করতে দেয়নি পুুলিশ। এনিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বেশ ধস্তাধস্তি হয়। ওই সময় বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের বাধায় ও হামলার অভিযোগ করে খোরশেদ দাবি করেছেন তার সংগঠনের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে একই উপলক্ষ্যে রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছেন মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। এর আগে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে র‌্যালী নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে আসেন নেতাকর্মীরা। এটিও মহানগর যুবদলের ব্যানারে অনুুষ্ঠিত হয় যেখানে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এই দুটি কর্মসূচির দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা যা ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ওই ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে- স্পট: নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ও বিকেলের দৃশ্য। প্রথম ছবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের মুল র‌্যালীতে পুলিশের ধস্তাধস্তি, দ্বিতীয় ছবিতে বিগ্রুপ মহানগর যুবদলের র‌্যালীতে পুলিশ দর্শক।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার খালেদা জিয়া: সাখাওয়াত হোসেন খান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি। শেখ হাসিনার নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ব্যানারে আয়োজিত র‌্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২৭ অক্টোবর রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর যুবদলের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন। এর আগে যুবদলের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে একটি র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনা সরকারের সাজানো নাটক। ক্যাসিনো কান্ড আর আবরার হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতেই ভোলায় নিরিহ নবী প্রেমীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হলো যা সরকারের দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা মাত্র। তবে এভারে আর বেশীদিন পাপ ধামাচাপা দিয়ে রাখতে পারবেনা সরকার। জনগণের প্রবল প্রতিরোধের মুখে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবেই আর সেদিন বেশী দূরে নয়।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ শাসন সরছে ভারতের একটি পুতুল সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কারাগারে বন্দি। ভারত যেভাবে বলছে সরকার সেভাবেই প্রশাসনকে ব্যবহার করছে, বিচার বিভাগকে পরিচালিত করছে। ১৯৭১ সালে যেমন লাহোর থেকে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা হয়েছিলো তেমনিভাবে দিল্লির কাছ থেকেও বাংলাদেশের মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই করতে হবে। আর সে লড়াইয়ে জয়ী হতে হলে গণতন্ত্রের আপোষহীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেই মুক্তি পাবে দেশের গণতন্ত্র, মানুষ ফিরে পাবে তাদের মৌলিক অধিকার। আর তাকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে আর সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, যুবদল নেতা মোঃ সুমন ভূঁইয়া, তরিকুল ইসলাম, মোঃ সোহেল, আল আমিন, বাদশা মিয়া, মোঃ পলাশ, জাকির হোসেন, মোঃ আকাশ, শাওন, সানাউল্লাহ, মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু মহানগর তাঁতী দলের আহবায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক অপু রহমান, সুমন হওলাদার, আবদুর রাজ্জাক, মো: জামান খান, কামাল হোসেন, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব রাসেল প্রধান, হোসিয়ারী শ্রমিকদলের সভাপতি আবদুল মতিন মাষ্টার, শহিদ হোসেন, আলাউদ্দিন বেপারী, মো: শাহাবউদ্দিন, আবে জমজম মোল্লা, মহানগর কৃষক দল নেতা মনির হোসেন খান, নুরুল ইসলাম, মো: হালিম, মো: ওয়াসিম প্রমূখ।

পুলিশের বাঁশির শব্দে উধাও মান্নান!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের কর্মসূচি র‌্যালীতে যোগদান করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের বাধায় পড়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা।

ওই সময় পুলিশের বাঁশির শব্দ শুনেই কর্মসূচি থেকে উধাও হয়ে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা। সেই সঙ্গে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন সহ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতাদের হদিস পাওয়া যায়নি। তারাও কর্মীদের ফেলেই দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর ঘটনাস্থলে শুধুমাত্র আরেক অতিথি মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গুটিকয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন।

জানাগেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজিত র‌্যালীতে লঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে যুবদল। ২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় শহরের নগর ভবনের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালী বের করে জেলা যুবদল।

র‌্যালীতে যুবদলের লগো সহ লাল সবুজ টুপি পরিধান করে নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিতে থাকেন। মন্ডলপাড়া শেষে ডিআইটি এলাকায় আসলে র‌্যালীকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল চালিয়ে যান। মিছিলটি শহরের ২নং রের গেইট সংলগ্ন জেলা বিএনপির পুরানো কার্যালয় পর্যন্ত এসে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য শুরুতেই পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও দৌড়াদৌড় হুরোহুরি করে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। এর আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান আজহারুল ইসলাম মান্নান সহ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা। পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এর আগে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। যুবদল নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, রাসেল রানা, সাজেদুল ইসলাম সেলিম, সহ-সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, দেলোয়ার হোসেন শাহ, সহ-কোষাধ্যক্ষ আশরাফ মোল্লা, যুবদল নেতা মো: রোমান হোসেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ প্রমূখ।

কর্মী ফেলে দৌড়ে পালালেন জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পুলিশের বাঁশির শব্দেই নেতাকর্মীদের ফেলে দৌড়ে পালালেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা। অতপর যুবদলের কর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তবে এর আগেই জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন সহ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা উধাও হয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে তাদের টিকিটিও খুজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র যুবদলের কর্মসূচিতে আশা অতিথি মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান গুটিকয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন। যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা যুবদলের কর্মসূচিতে এমনটা দেখা গেল।

জানাগেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজিত র‌্যালীতে লঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে জেলা যুবদল। ২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় শহরের নগর ভবনের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালী বের করে জেলা যুবদল।

র‌্যালীতে যুবদলের লগো সহ লাল সবুজ টুপি পরিধান করে নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিতে থাকেন। মন্ডলপাড়া শেষে ডিআইটি এলাকায় আসলে র‌্যালীকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল চালিয়ে যান। মিছিলটি শহরের ২নং রের গেইট সংলগ্ন জেলা বিএনপির পুরানো কার্যালয় পর্যন্ত এসে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্যের শুরুতেই পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও দৌড়াদৌড় হুরোহুরি করে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। তবে এর আগে পুলিশের বাঁশির শব্দ শুনেই জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে যান। পরে কর্মীদের লাঠিচার্জ করে সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুুলিশ।

এর আগে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। যুবদল নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

ছবি: জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও অতিথি সাখাওয়াত এ কজন নেতাকর্মী নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন।

যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, রাসেল রানা, সাজেদুল ইসলাম সেলিম, সহ-সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, দেলোয়ার হোসেন শাহ, সহ-কোষাধ্যক্ষ আশরাফ মোল্লা, যুবদল নেতা মো: রোমান হোসেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ প্রমূখ।

জেলা যুবদলের কর্মী আটক করেও ছাড়! দাঁড়াতেই পারেনি তৈমূর খোরশেদ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

একদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের বিএনপির যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। যেখানে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ধাওয়া দিয়ে যুবদলের কর্মীকে আটক করেও ছেড়ে দিয়েছে পুুলিশ। অন্যদিকে মহানগর যুবদলের ব্যানারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে র‌্যালীর চেষ্টা করলেও দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে খোদ যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝেই রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন। মহানগর যুবদলের নেতারা বলছেন- আঁতাত করে র‌্যালী করলে তো ছেড়েই দিবে। অথচ আমাদের দাঁড়াতেই দিল না পুলিশ!

জানাগেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজিত র‌্যালীতে লঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুবদল।

২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় শহরের নগর ভবনের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালী বের করে জেলা যুবদল।

র‌্যালীতে যুবদলের লগো সহ লাল সবুজ টুপি পরিধান করে নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিতে থাকেন। মন্ডলপাড়া শেষে ডিআইটি এলাকায় আসলে র‌্যালীকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল চালিয়ে যান। মিছিলটি শহরের ২নং রের গেইট সংলগ্ন জেলা বিএনপির পুরানো কার্যালয় পর্যন্ত এসে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য শুরুতেই পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও দৌড়াদৌড় হুরোহুরি করে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। তবে ঘটনাস্থল থেকে যুবদলের এক কর্মীকে দুই পুলিশ সদস্য শার্টের কলার ধরে আটক করেন। ওই সময় সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ধমক দিয়ে যুবদল কর্মীকে ছেড়ে দিতে বলেন। তখন দুই পুলিশ সদস্য কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে যুবদল কর্মীকে ছেড়ে দেন। ওই কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার পর রহমত উল্লাহ মুসলিম একাডেমী ভাঙ্গা ভবনের ইট নিয়ে অন্যান্য যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সামিল হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এর আগে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। যুবদল নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

অন্যদিকে এর আঘা ঘন্টা পর একই উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে র‌্যালী বের করার চেষ্টা করে মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এখানে যুবদলের নেতাকর্মীদের প্রেস ক্লাবের সামনে দাড়াতেই দেয়নি পুলিশ। খোরশেদ অভিযাগ করেছেন- পুলিশ হামলা করে তার যুবদলের ১০ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন। অথচ জেলা যুবদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা এলাকা থেকে শোডাউন করে নিবিঘেœ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করেন।

তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এক নেতা বলেছেন, আমাদের র‌্যালী করার জন্য প্রেস ক্লাবের সামনে দাড়াতেই দিল না পুলিশ। অথচ জেলা যুবদল অনাহাসে মিছিল করলো। আবার কাউকে নাকি আটক করে ছেড়েও দিল। এতেই বুঝা যায় কারা কিভাবে কর্মসূচি পালন করে।

খালেদার মুক্তির শ্লোগানে জেলা যুবদলের শোডাউন, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত অর্ধশত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজিত র‌্যালীতে লঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুবদল।

২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় শহরের নগর ভবনের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালী বের করে জেলা যুবদল।

র‌্যালীতে যুবদলের লগো সহ লাল সবুজ টুপি পরিধান করে নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিতে থাকেন। মন্ডলপাড়া শেষে ডিআইটি এলাকায় আসলে র‌্যালীকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল চালিয়ে যান। মিছিলটি শহরের ২নং রের গেইট সংলগ্ন জেলা বিএনপির পুরানো কার্যালয় পর্যন্ত এসে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য শুরুতেই পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও দৌড়াদৌড় হুরোহুরি করে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। ছত্রভঙ্গ হয়ে নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ওই সময় সিনিয়র নেতারা যুবদল নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন।

এর আগে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। যুবদল নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, রাসেল রানা, সাজেদুল ইসলাম সেলিম, সহ-সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, দেলোয়ার হোসেন শাহ, সহ-কোষাধ্যক্ষ আশরাফ মোল্লা, যুবদল নেতা মো: রোমান হোসেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ প্রমূখ।

‘বাংলাদেশ ভোটারবিহীন সরকারের রোল মডেল’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আইনজীবী সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বংলাদেশ এখন গণতন্ত্রহীনতার রোল মডেল, একটি ভোটার বিহীন সরকারের রোল মডেল, ভোট চুরির রোল মডেল। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সত্য কথা বলেছেন। পাঁচ বছর ক্ষমতায় আয়েশে থেকে সত্য বলেছেন-এজন্য তাকে ধন্যবাদ। তার এই বক্তব্যের পর পরই সরকারের উচিৎ হবে সংসদ ভেঙে দেওয়া। এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিলে দেশে গণতন্ত্র ও নিরপেক্ষ সরকার ফিরে আসবে। তিনি বলেন, এই সরকারের কোনো নৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকার নেই রাষ্ট্র পরিচালনা করার। তাই মেননের এই বক্তব্যের পরে সরকারের উচিত ছিল অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটরিয়ামে বিএনপি সমর্তক আইনজীবীদের সংগঠন গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আইনজীবী সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে আইনজীবী সমাবেশ উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
সংগঠনের মহাসচিব এডভোকেট এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আনিছুর রহমান খান ও সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের মহাসচিব আইয়ুব আলী আশরাফী উপস্থাপনায় আইনজীবী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সিনিয়র আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইনজীবী গোলাম মোস্তফা, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবেদ রাজা, শাহ আহমেদ বাদল, আব্বাস উদ্দিন, হুমায়ুন কবির, এ কেএম আজিজুর রহমান, ইকবাল হোসেন, খোরশেদ মিয়া আলম, রুহুল কুদ্দুস কাজল, এম. বজলুর রহমান, আবদুল বাছেদ ভূঞা, মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মুজিব, আ. মোতালেব, নুরুজ্জামান, মাহাফুজুল হক, মীর মিজানুর রহমান, আতাহার হোসেন চৌধুরী সবুজ, মো. জাকারিয়া মোল্লা প্রমুখ।
এ ছাড়াও এই কর্মসূচিতে ব্যাপক অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা যেখানে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, অ্যাডভোকেট আল আমিন সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম সিরাজি রাসেল, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন, অ্যাডভোকেট আসিফ উজ্জামান সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা জানি- একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে, সুশাসন ফিরে আসবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে এবং একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। পুলিশ এবং র‌্যাব যাদেরকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদেরকে আবার আইনশৃঙ্খলা কাজে ব্যবহার করা যাবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। তার মুক্তির জন্য কারও কাছে দেন-দরকার করার দরকার হবে না।
তিনি বলেন, আদালত বেগম জিয়ার জামিন দেবে না। কারণ, সরকার চায় না বলেই তার জামিন হচ্ছে না। তার জামিন আইনের মাধ্যমে সম্ভব হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। কারণ, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আজ এক বছর আট মাস তার জামিন হয় না। তার মুক্তির একমাত্র পথ হল রাজপথ। যদি আমরা আন্দোলন করি, সেই আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে পারব। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব।
মওদুদ আহমদ বলেন, জনগণকে ফাঁকি দিয়ে এ সরকার রাতের বেলায় ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসছে। বিচার বলে তো একটা জিনিস আছে। ২০১৯ সালটা শুরু হয়েছে নুসরাত হত্যাকা- দিয়ে। তারপর ছাত্রলীগের সেই টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি। যুবলীগের খালেদ, শামীম, সম্রাট। এ রকম কত সম্রাট, কত শামীম, কত খালেদ যে যুবলীগে এখনও আছে, সেটা আমরা আন্দাজ করতে পারি। তাই যতই বলেন না কেন, দুর্নীতিবাজদের বিচার করবেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান করবেন- ঠু লেইট। টেন ইয়ার্স ঠু লেইট। কারণ, দশ বছর আপনারা কিছু করেন নাই। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন, শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। এতে করে কোনো লাভ হবে না। আপনারা দুর্নীতি র্দর করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে ফিরে এসে বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিক্রি করেননি। আমরা জানি তিনি কত বার গেছেন, দেশের জন্য কিছু আনতে পারেননি। দেশে আজ একটি নতজানু সেবাদাশ সরকার আছে বলে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না।
জনগণই ভোটাধিকার বঞ্চিত, সরকারও জনসমর্থনহীন ঝুলন্ত সরকার: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন না থাকলে দলীয় রাজনীতি শক্তিহীন হয়ে পড়ে। রাজনীতির শক্তি জনগণ। সেই জনগণই আজ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। সরকারও জনসমর্থনহীন একটি ঝুলন্ত সরকার। সম্পূর্ণভাবে পুলিশি শক্তি আর পুলিশি মামলার ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জোয়ারে সরকার ভেসে যাচ্ছে। দেশ ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার নিজেও নৈরাজ্যের স্বীকার। আর গণবিচ্ছিন্ন সরকারকে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। দেশব্যাপী ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে টর্চার সেল গঠন করা হয়েছে। বুয়েটের মেধাবী ছঅত্র আবরারের ওপর সহপাঠীদের দ্বারা অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, লুটপাটের রাজনীতির চিত্র শুধু ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব খবরও প্রকাশ পাবে।
খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া তার অধিকার। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ অসুস্থ থাকায় তাকে জামিন দেয়া হয়। একজন অসুস্থ মহিলাকে জামিন দেয়া হবে না। এটা অত্যান্ত অমানবিক।
মইনুল হোসেন বলেন, সরকার যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক আক্রোশে আমার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে ২২টি মানহানির মামলা করেছে তখন বিএনপির আইনজীবীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। রংপুরে আমাকে হামলা থেকে রক্ষা করেছেন। আমরার জামিন বাতিলের সুযোগ না থাকলেও জামিন বাতিল করে দ্বিতীয়বার আমাকে জেলে পাঠানো হয়। আমি গর্বের সাথে স্মরণ করছি যে, দ্বিতীয়বার আমরা জামিন বাতিল করায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এখ্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেন। ফলে সরকার আমাকে জামিন দিতে বাধ্য হয়।
ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা: খন্দকার মাহবুব
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, এই সরকার দুর্নীতি, লুট, গুমসহ কোনও কুকর্মই বাদ দেয় নাই। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধী দল থেকে যে ধরণের নেতৃত্ব আসার কথা ছিল, তা আসে নাই। আমরা সে কারণে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারলাম না। এটা আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের দুর্ভাগ্য। একটি সরকার দেশের ওপর অত্যাচার, অনাচার, অবিচার করে যাচ্ছে। আমরা প্রেস ক্লাবে বক্তব্য দেওয়া ছাড়া জনগণকে নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারিনি।
সরকারের পদত্যাগ চেয়ে তিনি বলেন, আমি আজকে ওয়াদা করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। এই সরকারের কোনও বৈধতা নাই। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। সাংবিধানিকভাবে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।
বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে অভিযোগ করে করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য নীতিমালা করে বলা হলো, শৃঙ্খলাবিধিসহ সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হলো। সুপ্রিম কোর্টকে সাক্ষী গোপাল হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হয়। সেই কারণে আজকে নিম্ন আদালতে টেলিফোনের ওপরে বিচার হয়, জামিন হয়। এই অবস্থা চলতে পারে না।

আড়াইহাজারে সামাজিক অনুষ্ঠানেও মাহমুদুর রহমান সুমন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতেও অংশগ্রহণ করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন।
জানাগেছে, আড়াইহাজার থানা ছাত্রদল নেতা মো: সমিরের ভাতিজী স্বপ্না আক্তারের বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন মাহমুদুর রহমান সুমন।  সঙ্গে ছিলেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ।
২৬ অক্টোবর শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা মো: সমিরের নিজ বাসভবন রসুলপুর এলাকায় এ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিবাহ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন মোল্লা, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক, ইয়ামিন, মেহেদী হাসান সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

না’গঞ্জের সমন্বয়কের দায়িত্বে ব্যারিস্টার খোকন, সদস্য তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দীন খোকন। এদিকে ঢাকা বিভাগের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রে মাহবুব উদ্দীন খোকনকে সহযোগীতা করবেন ৫ জন আইনজীবী। যাদের মধ্যে সদস্য রয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

জানাগেছে, ২২ অক্টোবর মঙ্গলবারের এক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিন এক চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক সভার সিদ্ধান্তে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দীন খোকনকে নারায়ণগঞ্জের কমিটি হালনাগাদ করার লক্ষ্যে, সদস্য ফরম বিতরণ/ পুরণ/ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে সময়ন্বয়কারী হিসেবে মনোনিত করা হয়। সমন্বয়ক মাহবুব উদ্দীন খোকনকে সহযেগিতাকারী হিসেবে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা সোমা, অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার শাম্মী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফারুককে রাখা হয়।

জানাগেছে, সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট মাহাবুব হোসেন ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমানকে। ওই কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে সদস্য পদে রাখা হয়। এ ছাড়াও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খানকেও সদস্য পদে রাখা হয়। তবে নারায়ণগঞ্জের কমিটি হালনাগাদের ক্ষেত্রে সমন্বয়ক ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দীন খোকনের সঙ্গে সদস্য পদে সাখাওয়াত হোসেন খানকে রাখা হয়নি।

এদিকে ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি এককভাবে গঠন করেছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন যার সঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন খানের সুসম্পর্ক রয়েছে। আবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুব হোসেনের সঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকারের সুসম্পর্ক থাকলেও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকনের সঙ্গে তার দূরত্ব রয়েছে। এতে সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলায় কমিটি গঠন ও যাবতীয় কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতার শঙ্কা রয়েছে।

শামীম ওসমানকে নিয়ে যা বললেন সাইফউল্লাহ বাদল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেছেন, শামীম ওসমানের মত লোক আমাদের এমপি থাকার কারনে আমরা উন্নয়নের জন্য টেনশন করতে হয় না। আমাদের তাগিদ দিয়ে উন্নয়নের কথা বলেন। কোথায় কি সমস্যা কাজ তৈরি করেন এবং সমস্যার সমাধান করতে বলেন। উনি এমন একজন এমপি ওনার মাথায় ওনার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লার নাম মুখস্ত বলে দিতে পারেন। যার কারনে বিভিন্ন এলাকার নাম ধরে বলেন ঐ এলাকার রাস্তার কোন সমস্যা আছে নাকি? আর শামীম ওসমান এমপি হওয়ার কারনে এবং ওনার নির্দেশে রাস্তার উন্নয়ন করে গ্রামকে শহরে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছি।

২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে কাশিপুর হাটখোলা হতে কুমুদিনীস্থ রনদা প্রসাদ সাহা বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত আরসিসি রাস্তার কাজ উদ্বোধনের সময় সাইফউল্লাহ বাদল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কাশিপুর হাটখোলা হতে শহরের শীতলক্ষ্যা পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। এ রাস্তা দিয়ে মুন্সিগঞ্জ ও আমাদের কাশিপুর, আলীরটেকের ডিগ্রিরচর এলাকার প্রতিদিন হাজার লোক চলাচল করে। রাস্তাটি বেহাল দশার কারনে মানুষ বিকল্প রাস্তা দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে হয়েছে। আর যার কারনে মানুষের দূভোর্গ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের কথা চিন্তা এমপি শামীম ওসমানকে রাস্তাটির বিষয় বলার পর তাৎক্ষনিক রাস্তার কাজ করার আশ^াস দেন। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করেন এবং রাস্তাটি আরসিসি করে মানুষের দূভোর্গ লাগবে কাজটি সম্পন্ন করা হয়।

এলাকাবাসীর উদ্দ্যেশে সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, কাশিপুর এলাকার এমন কোন রাস্তা নাই শামীম ওসমান না করে দিচ্ছে। ওনার স্বপ্ন তার নির্বাচনী এলাকা আধুনিকায়ন করবে। আর গ্রামকে শহরে পরিনত করা। ওনার সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করছি। আমরা শামীম ওসমানের জন্য দোয়া করি শামীম ওসমানের স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন হয়। আর রাস্তা হচ্ছে এগুলো রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব এলাকাবাসীর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন শিকদার, স্থানীয় সমাজ সেবক জাফর উল্লাহ, গিয়াস উদ্দিন, ফিরোজ আহম্মেদ, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মেজবাউর রহমান পলাশ, স্থানীয় সমাজ সেবক শাহাদাত হোসেন শ্যামল, যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ