শামীম ওসমানের আসনে আটক ১০৩ জন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে পৃথক অভিযানে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সন্দেহ ১০৩ জনকে আটক করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ কয়েকটি ককটেল ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগে পাগলা ও মাসদাইর ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ১০৩ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই ও বেশ কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তারপরও তাদের মধ্যে যাচাই বাচাই করা হচ্ছে।

তিনি জানান, এই অভিযানের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। এখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান। গত ১২ ডিসেম্বর ফতুল্লার এক অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গীদের আনাগোনা। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী দেয়া হয়েছে একজন জঙ্গী সখ্যতা রয়েছে এমনকে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে মুচে তেল দিয়ে না ঘুমানোর আহ্বান জানিয়ে চোখ কান খোলা রাখতে বলেছিলেন শামীম ওসমান।

সন্ত্রাসীদের শেল্টারদাতা এমপি,ইউএনও,ওসি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এখন সন্ত্রাসীদের শেল্টারদাতা হিসেবে চিহ্নিত হলেন জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি বিল্লাহ।

এ ঘটনার পর ওসি সহ থানা পুলিশের আরও দুই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় এমপি, ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে বেশকটি ছবিতে সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহকে দেখা যায়। যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে। এসব ছবিতে সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহকে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে দেখা যায়। হামলার শিকারও মান্নান এও দাবি করেছেন, ওসি ইউএনও এর সামনেই তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সোনারগাঁও থানার এই ওসি মোরশেদ আলম নিজেকে গোপালগঞ্জের ওসি দাবি করেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তিনি বলে বেড়াচ্ছেন ভোট বাক্সে ভোট জালিয়াতি করে এমপিকে জয়ী করতে হবে। তাই এই গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গানো ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ওসি পরিচয়ে মোরশেদ আলম আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের এপিএস শাহিদুল ইসলাম স্বপনকে ধরে এনে থানায় অমানসিক নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়। সোনারগাঁও থানা এখন টর্চার সেলে পরিনিত করেছেন মোরশেদ আলম। এই টর্চার সেলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন চন্দ্র বসাক। যে কারনে মান্নান এই দুজনেরও প্রত্যাতার দাবি করেছেন।

জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই মান্নানের উপর এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রনি বিল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভেতরে নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে ইউএনও, আমি, নির্বাচন অফিসারসহ আমরা সবাই মিটিংয়ে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই রনি বিল্লাল নামে ছেলেটি দৌড়ে এসে আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাঞ্জাবী কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আটক করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রনি বিল্লাহ ইন্টারনেটের লাইনের কাজ করে। তবে আমি শুনেছি সে পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।’

বিএনপি নেতার সভাপতিত্বে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির এমপি ও মহাহোটের প্রার্থী একেএস সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ। তিনি বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের ঘটনায় বেশকটি নাশকতার মামলায় আসামী। তবে তিনি এর আগেও সেলিম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন। তবে এ সভাটি মুলত বিজয় দিবসের উপলক্ষ্যে হলেও সকল বক্তাদের বক্তব্যই ছিল নির্বাচন কেন্দ্রীক।

এখানে উল্লেখ্যযে, এ আসনে সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ সহ বিএনপির বেশকজন কাউন্সিলর। তারা নিয়মিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় গিয়ে সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করার ঘোষণা দিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে কাউকে মনোনিত করা হয়নি। এখানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৫ সদর বন্দর আসনের সংসদ সদস্য ও মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি খান সাহেব ওসমান আলীর নাতি। আমি পরিশ্রম করতে ভালবাসি। কোন কাজকে অবহেলা করলে জীবনে সাফল্য পাবেননা। বন্দরে কোন গরীব থাকবেনা। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এসে বাংলাদেশের মানুষ শিখবে কিভাবে উপার্জন করতে হয়। আমরা ছোট কাজ করব কিন্তু কোন লজ্জা পাবনা। বন্ধবন্ধু যদি আমাকে কানমলা না দিত তাহলে আমি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করতে পারতামনা। আমি আজকে সেলিম ওসমান হতে পারতামনা।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রত্যাশা করলেন সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রত্যাশা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। একই সঙ্গে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি দোয়াও করেছেন।

এ আসনের মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমান বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে আমি সম্মান করি। আমি দোয়া করি বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে কারাভোগ কাটিয়ে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।

এর আগে তিনি বলেন, আমি আবুল কালামের সাথে নির্বাচন করতে পারলে তৃপ্তি পেতাম। কেননা, উনি ৩বারের এমপি। তার মাথায় কিছু আছে। তার বাবা এমপি ছিলেন। আমার বাবাও এমপি। বিএনপির ভাইয়েরা তৈমুরকে কুরবানী দিয়েছে। এবার তারা জোড়া কুরবানী দিবে। তাই বলি এসব চিটা ধান মানুষ আর বিশ্বাস করেনা।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নোয়াদ্দা কাইতাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান আরো বলেন, বন্দরের মানুষ আর নারায়ণগঞ্জের দ্বারস্থ হবেনা। বন্দরই হবে বন্দর নারায়ণগঞ্জ। ইনশাআল্লাহ বন্দরে কোন প্রাইমারী স্কুল আর ৪তলার নিচে থাকবেনা। স্কুলগুলোকে করা হবে ৬তলা বিশিষ্ট। তাই আবারো দরকার শেখ হাসিনা সরকার। বন্দরে কোন বেকার ছেলে যেন বাড়ীতে বসে থাকতে না পারে। প্রত্যেকটি বাড়ীর যুবক ছেলেদের কাজ করতে হবে। চেঞ্জ অর ডাই। হয় পরিবর্তন করো না হয় মরো।

সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়গঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম প্রমুখ।

সোনারগাঁয়ে ভট্টপুর স্কুলে মা সমাবেশ ও মেধা পুরস্কার বিতরণ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ- ২০১৮ সালের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার স্কুল ক্যাম্পাসে এ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভট্টপুর স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিআর বিলকিসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু নাঈম ইকবাল।

আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য নির্মল সাহা, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন, অভিভাবক রোজিনা আক্তার, খংসারদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া আক্তার, লাদুরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া বেগম, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হ্যাপী আক্তার প্রমুখ।

পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি যে সকল শিক্ষার্থী মেধা তালিকা অর্জন করেছে তাদের ধন্যবাদ জানান এবং তাদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়াও তিনি এ অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মায়েদের ধন্যবাদ জানান। মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। শিক্ষার্থীদের ভাল করে পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।

এসএম আকরামকে নিয়ে মাঠে নামলেন এটিএম কামাল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল। এসএম আকরামকে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের থানাপুকুরপাড় ও টানবাজার এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ করেন এটিএম কামাল। এসময় এসএম আকরামও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগে এটিএম কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন মোঃ পারভেজ, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, জেএসডির মহানগর সভাপতি মোশাররফ হোসেন মাস্টার, শহর ওলামাদলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শিব্বির আহমেদ, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু ও মিলন হোসেন প্রমুখ।

বিজয় দিবস পালনে প্রস্তুত গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরের ‘গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদ’ এর আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদের আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

আগামী মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তলন, সকাল ৭টা ১মিনিটে মিনি ম্যারাখন, সকাল ৯টা ৩১মিনিটে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকেল ৩টা ১মিনিটে হা-ডু-ডু, বিকেল ৫টা ১মিনিটে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদের উপদেষ্টা কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ্ বাদল। উন্নয়ণ কমিটির আহবায়ক আমির উল্লাহ রতনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদের উপদেষ্টা মুশতাক আহাম্মেদ, মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল। কর্মসূচি সফল করতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন উন্নয়ণ কমিটির সদস্য সচিব সোলাইমান ইমরান।

তৈমূরকে কুরবানি, এবার জোড়া কুরবানি: সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি আবুল কালামের সাথে নির্বাচন করতে পারলে তৃপ্তি পেতাম। কেননা, উনি ৩বারের এমপি। তার মাথায় কিছু আছে। তার বাবা এমপি ছিলেন। আমার বাবাও এমপি। বিএনপির ভাইয়েরা তৈমুরকে কুরবানি দিয়েছে। এবার তারা জোড়া কুরবানি দিবে। তাই বলি এসব চিটা ধান মানুষ আর বিশ্বাস করেনা। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে আমি সম্মান করি। আমি দোয়া করি বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে কারাভোগ কাটিয়ে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নোয়াদ্দা কাইতাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান আরো বলেন, বন্দরের মানুষ আর নারায়ণগঞ্জের দ্বারস্থ হবেনা। বন্দরই হবে বন্দর নারায়ণগঞ্জ। ইনশাআল্লাহ বন্দরে কোন প্রাইমারী স্কুল আর ৪তলার নিচে থাকবেনা। স্কুলগুলোকে করা হবে ৬তলা বিশিষ্ট। তাই আবারো দরকার শেখ হাসিনা সরকার। বন্দরে কোন বেকার ছেলে যেন বাড়ীতে বসে থাকতে না পারে। প্রত্যেকটি বাড়ীর যুবক ছেলেদের কাজ করতে হবে। চেঞ্জ অর ডাই। হয় পরিবর্তন করো না হয় মরো।

সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়গঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম প্রমুখ।

মহাপ্রয়াণে বিএনপির চার রাজনৈতিক পরিবার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে মহা সংকটে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির চারটি রাজনৈতিক পরিবার। এতে উত্তরসূরীদের কেউ কেউ দাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও সেখানেও রয়েছে সংশয়। তবে নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে পারিবারিক রাজনীতিতের অবসান হতেও যাচ্ছে সেটাও অনুমেয়। তবে চারটি পরিবারই ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং করবেন সেটাও বুঝা যায়। তবে বিএনপির রাজনীতিতে চারটি পরিবারই রয়েছে বিশাল অবদান। কিন্তু এবারের নির্বাচনে চারটি পরিবারই হোচট খেল।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তার আপন ভাই মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। দুই ভাই জেলার দুটি আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে দুজনই মনোনয়ন পেলেও চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাননি দুুজনই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিগত ১০টি বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপিতে এই দুই ভাইয়ের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। দুজনই জেল খেটেছেন। তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এখানে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনিত হন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। চূড়ান্তভাবে এখানে মনোনিত হন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম। ফলে শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে সামনে ঘুরে দাড়াতেও খোরশেদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠবে। এছাড়াও তৈমূর আলম খন্দকারের বয়সের কারনেও হয়তো আগামী ৫ বছর পর নির্বাচন হলে সেখানে নির্বাচন করার মত শারীরিক সামর্থ নাও থাকতে পারে। ফলে খন্দকার পরিবারটি বিএনপির রাজনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেল।

অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তিনি বিএনপির সাবেক তিন বারের এমপি। রয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন আবুল কালামের পিতা হাজী জালালউদ্দীন। সেই থেকে এই পরিবারটি জালাল হাজীর পরিবার হিসেবেই চিনেন নেতাকর্মীরা। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রাথমিক তালিকায় তিনি মনোনিত হলেও চূড়ান্তভাবে এখানে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে মনোনিত করা হয়। আবুল কালামের ছেলে মহানগর স্বেচ্ছসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা। আবুল কালাম ও আশা দুজনেই জেল খেটেছেন। আবুল কালামেরও শারীরিক পরিস্থিতি তেমন শক্তিশালী নয়। তিনি অসুস্থ্য। আগামী ৫ বছর পর তিনিও নির্বাচনে ফিট থাকবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। আবুল কাউসার আশাও তেমনভাবে গড়ে ওঠতে পারেননি। ফলে এই পরিবারটিও রাজনীতিতে হোচট খেল।

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবেও মনোনিত হননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষ পর্যায়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তার ছেলে গোলাম মুহাম্মদ কাউসারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হলে তিনি আপীলও করেননি। গিয়াসউদ্দীনের আরেক ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে রয়েছেন। গিয়াস ও তার ছেলেই বিভিন্ন মামলায় আসামী হয়েছেন। একসময় মনে করা হতো এ আসনে গিয়াস উদ্দীন শক্তিশালী প্রার্থী। কিন্তু এ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ফলে গিয়াসের পরিবারটিও বিএনপির রাজনীতিতে হোচট খেল।

প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। যার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়। নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস পূবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খসরু মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদেও ছিলেন। তার মৃত্যুর পর নির্বাচনী মাঠে নামেন খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন। খসরুর মৃত্যুর পর মাহমুদুর রহমান সুমনকে আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তিনি ইতিমধ্যে মামলার শিকারও হয়েছেন। এ আসনে সুমনের চাচা বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুুরও মনোনয়ন পাননি। চাচা ভাতিজার মনোনয়ন লড়াইয়ের মাঝে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। আঙ্গুরকে একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে বিএনপির মনোনয়ন দেন খসরু। পরবর্তীতে খসরুর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে আঙ্গুর ও খসরুর মাঝে দূরত্ব বাড়ে। ফলে আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনৈতিক এই পরিবারটিও হোচট খেল। এখানে আজাদ এমপি হলে এই পরিবারটির অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

বিএনপি প্রার্থীর উপর হামলা, আটক ছাত্রলীগ নেতা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন। ওই সময় বিল্লাল হোসেনকে আটক করেছে থানা পুুলিশ।

জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভেতরে নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে ইউএনও, আমি, নির্বাচন অফিসারসহ আমরা সবাই মিটিংয়ে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই বিল্লাল হোসেন নামে ছেলেটি দৌড়ে এসে ওনার আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাঞ্জাবী কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আটক করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিল্লাল ইন্টারনেটের লাইনের কাজ করে। তবে আমি শুনেছি সে পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।’

সর্বশেষ সংবাদ