তালাক দেয়ায় স্ত্রী ও শ্যালিকার অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছাড়লো গলাচিপার রফিকুল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার গলাচিপা এলাকায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও শ্যালিকার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অশ্লীল অপপ্রচার করেছে বলে রফিকুল ইসলাম নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওটেছে। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় সাবেক স্ত্রী সীমা আক্তার বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এ অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন গলাচিপা এলাকার মো. হাসান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। তার সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সীমা আক্তারের বিবাহ হয়। বিয়ের পর কিছু দিন যেতে না যেতেই রফিকুল মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।

এক পর্যায় স্থানীয়ভাবে বিচার শালিসের মাধ্যমে রফিক ও সীমার বিবাহ বিচ্ছেদ করানো হয়। তারা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিছিন্ন হওয়ার পর থেকেই রফিক নানাভাবে হুমকি ভয়ভীতি দিয়ে আসছে। রফিক স্থানীয় দাপট দেখিয়ে নানাভাবে হুমকি অব্যাহত রাখছে। সীমা কিশোরগঞ্জ জেলা বাইজিদপুর থানাধীন গোনাটি গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে।
সীমা লিখিত অভিযোগে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার ফেসবুক আইডি হতে আমার ছবি সংগ্রহ করে রফিক অশ্লীল ছবির সাথে কম্পিউটারাইজ করে পোষ্ট দেয়। তা আবার একাধিক ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলে শেয়ার করে।

এতে সীমার মানহানী ঘটেছে। গত ৫ মাস পুর্বেই বেশ কয়েকবার রফিকুলকে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করার পরেও সে তার অপকর্ম অব্যহত আছে। বর্তমানে তোমাকে সত্যিই খুব ভালবাসি ও হাজেরা আক্তার নামক ভূয়া আইডি খুলে সীমা ও তার বড় বোন হাজেরা আক্তারের ছবি দিয়ে অশ্লীল ছবি পোষ্ট করেছে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনারগাঁয়ে পোল্ট্রি খামারীদের সচেতনতামূলক সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে পোল্ট্রি খামারীদের সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আনোয়ার সিমেন্ট শীট এর সৌজন্যে অনুষ্ঠিত এ সভায় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের পোল্ট্রি খামারীরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সোনারগাঁ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আনোয়ার সিমেন্ট শীট এর লাইভ স্টক এক্সপার্ট ডা. বিনয় কুমার সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন লাইভ স্টক অফিসার স্বপন বসু, মার্কেটিং এন্ড সেলস অফিসার সাদিক সারোয়ার, সোনারগাঁ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমান ও ব্যবসায়ী নবী হোসেন প্রমূখ।

সভায় বক্তারা পোল্টি শিল্প সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে সেগুলো নিরসণের জন্য খামারীদের পরামর্শ দেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পোল্ট্রি শিল্পের উপর পরিবেশগত যে বিরূপ প্রভাব পরছে তা নিয়েও আলোচনা করা হয়। পোল্ট্রি শিল্পের খামার নির্মাণে পরিবেশবান্ধব ও তাপের ভারসাম্য রক্ষাকারী আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহারের পরামর্শও দেন।

আল জয়নাল ও কাউন্সিল বাবুর বিরুদ্ধে আরও মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত জাতীয় পার্টির নেতা জয়নাল আবেদীন ওরফে আল জয়নাল ও কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুুর বিরুদ্ধে আরও পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

জানাগেছে, মঙ্গলবার ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে কারাগারে থাকা আল জয়নালের বিরুদ্ধে আরেকটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আল জয়নাল ছাড়াও আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়। নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে এস এম মালেহ রোডের বাসিন্দা আহমেদ জুবায়ের বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
গত ২৩এপ্রিল কালীরবাজারে ২২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আল জয়নালকে। কালীরবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি রহমতউল্লাহ ফারুক বাদী হয়ে সদর থানায় ওই মামলার দায়ের করেন। ওই মামলায় জয়নালের ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত তা না মঞ্জুর করেন।

এামলায় অভিযোগ করা হয়- গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে গলাচিপার আল্লামা ইকবাল রোডের আহমেদ জুবায়েরের নির্মানাধীন বাড়িতে আল জয়নাল সহ আসামিরা প্রবেশ করে। এসময় জুবায়েরের নিকট ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে মারধর করে এবং নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করে। এছাড়া বাদীর নিকট থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা এবং আশেপাশের থেকে ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় আসামিরা টাকা প্রদানের জন্য ১০ দিনের সময় দিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

অন্যদিকে চাঁদাবাজি মামলায় নারায়ণগঞ্জ কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে বাবুর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ এনে ২৯ এপ্রিল রাতে তাঁরই এলাকার বাসিন্দা বারেক মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দাবি করা হয়, কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু দীর্ঘদিন বারেক মিয়ার জায়গা অবৈধভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে দখল করে রেখেছিলেন।
এর আগে ১৮এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দায় হাসান নামের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।

এর আগে আবদুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। গত ২১ এপ্রিল ফতুল্লার উত্তর মাসদাইর এলাকার মো: নজরুল ইসলামের ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম কুসুম ও পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন পৃথক অভিযোগে এই দুইটি মামলা দায়ের করেন।

১২জন প্রতিবন্ধিকে ব্যবসায়িক উপকরণ ও যন্ত্রাংশ বিতরণে ইউএনও নাহিদা বারিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১২জন প্রতিবন্ধিকে তার পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক উপকরণ ও যন্ত্রাংশ বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। ওই সময় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেছেন, প্রতিবন্ধিদের যেন রাস্তায় ভিক্ষা করতে না হয়। তারা যেন সচ্ছলভাবে চলতে পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ। সাধারণ মানুষ যেভাবে কাজ করছেন প্রতিবন্ধিরাও যেন সকলের সহযোগিতা নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সেভাবে কাজ করতে পারে।

প্রতিবন্ধিরা সমাজের বোঝা নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধিদের সমাজের বোঝা মনে না করে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। তারাও কোন মায়ের সন্তান।

৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মিলনায়তন সভাকক্ষে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে উদ্বুদ্ধকরণে উপকরণ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইউ্এনও নাহিদা বারিক।

এসময় উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে নাহিদা বারিক বলেন, কাউকে ছোট করে নিজে বড় হওয়ার মন মানসিকতা আপনাদের পাল্টাতে হবে। একজন প্রতিবন্ধিকে ছোট করে দেখে নিজেকে বড় হওয়ার কোন সুযোগ নাই। আপনারা আপনার একজন সুস্থ্য সন্তানকে যতটুকু খেয়াল রাখবেন তার চেয়েও দ্বিগুণ খেয়াল করতে হবে প্রতিবন্ধি সন্তানের প্রতিও। সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিরা যদি প্রতিবন্ধিদের প্রতি একটু সু-নজর দেন তাহলে তারা সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আর প্রতিবন্ধিদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন সবর্দা পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের প্রতিবন্ধি উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো: লিটনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিবন্ধি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিবন্ধি বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা ইয়াছমিন ও বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার দাস প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১২জন প্রতিবন্ধিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উপকরণ বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে ৭জনকে চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসায়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদেরকে চুলাসহ সিলিন্ডার, চায়ের কেতলি, বালতি, চা পাতা, চিনি, ডাল বাজা, বিস্কুট, মটর বাজার। এ ছাড়াও ২জনকে দুটি ভ্যান গাড়ি দেয়া হয়। তারা ভ্যান গাড়িতে বসে ব্যবসা করতে পারবেন। বাকি তিনজনকে চটপটির দোকানের জন্য এক বস্তা আলু, এক বস্তা পিয়াজ, ফুসকা সহ অন্যান্য পণ্যদ্রব্য ও যন্ত্রাংশ প্রদান করা হয়।

বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্য উপকরণ পেয়ে প্রতিবন্ধিরা খুবই আনন্দিত। তারা সমাজের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। তারা ভিক্ষা করতে চায় না। তারা স্বাভাবিকভাবে কর্মসংস্থান করে স্ত্রী সন্তান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বচ্ছভাবে চলতে চায়।

বাদী বিবাদীর অন্তরঙ্গ: আজাদ হাবুর জিডি নাটক ফাঁস!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি হিসেবে জিডি নাটক সাঁজিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু। সেই জিডি নাটকটি এবার ফাঁস হয়ে গেল নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায়। এমনটাই বলছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

জিডির বাদী হাবু ও বিবাদী আজাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখা গেল বিএনপির এই দুই নেতার মাঝে। মুলত আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েল আহমেদকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার উল্টো পাশে মারধরের ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতেই আজাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছিলেন হাবিবুর রহমান হাবু। এই হাবু মুলত আজাদের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক। তবে এবার সেই নাটকের বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেছে। আর জুয়েলকে মারধরের বিষয়টির এখনও কোন ক্লু খুজে বের পারেনি বিএনপি নেতারা। এমনকি আইনের আশ্রয়ও নেননি রহস্যজনক কারনে।

২৯ এপ্রিল সোমবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে আড়াইহাজার থানার একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় আজাদ ও হাবু সহ ৭৪ জন নেতাকর্মী জামিন নিয়েছেন। জামিন নিয়ে আদালতপাড়ায় আজাদ ও হাবুকে একসঙ্গে ফটোসেশন করতেও দেখা যায়। এমনকি আজাদ গাড়ি করে কোর্ট থেকে বের হওয়ার পথে দীর্ঘক্ষণ হাবুর সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখা যায়। যা দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, তাদের এমন অন্তরঙ্গ মুহুর্ত প্রমান করেছে তারা গত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জিডি নাটক সাঁজিয়েছিলেন।

অন্যদিকে জানাগেছে, ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর মিশনপাড়া এলাকায় হোসিয়ারী মিলনায়তনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে একটি কর্মী সংগ্রহের অনুুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে আজাদের নামে শ্লোগান দিতে থাকে আজাদের নেতাকর্মীরা। বারবার বাধা দেয়ার পরেও তারা আজাদের শ্লোগান তুলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছিলেন। ওইদিন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশার লোকজন আজাদের লোকজনদের নিবৃত্ত করতে মারধর করেন।

এ ঘটনা নিয়ে আজাদের বিরুদ্ধে মিডিয়াতে কঠোর বক্তব্য দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু। ওই বছরের ১৯ জুলাই নতুন কোর্টের উল্টো দিকে সস্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এ বিষয়ে তিনিও একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৯ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করতে গেলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আশাকে আদালতে নেয়া হলে তিনি হাটতে পারছিলেন না। তার নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন পুুলিশ তাকে থানায় নিয়ে টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে বেদম মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনার জন্য নজরুল ইসলাম আজাদের হাত থাকতে পারে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন। কারন আজাদের নেতাকর্মীরা দাবি করেন আজাদের সঙ্গে পুুলিশের শীর্ষ অনেকের সাথে সখ্যতা রয়েছে বেশ জোড়ালো। সেটাই ব্যবহার করে আশার উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি আজাদ পরবর্তীতে অস্বীকার করেছিলেন।

এরপর গত বছরের ১৫ জুলাই নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টের বিপরীত পাশে একটি বাস কাউন্টারের সামনে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন জুয়েল আহমেদ। ওইদিন হাতুরী ও লোহার রড দিয়ে জুয়েলকে বেদম মারধর করা হয়। গুরুত্বর আহতাবস্থায় জুয়েলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে ওই ঘটনার কোন কুল কিনারা হয়নি এখনও। কে বা কারা তাকে মারধর করেছে তাও বের করা হয়নি। এমনকি রহস্যজনক কারনে আইনের আশ্রয়ও নেননি জুয়েল আহমেদ।

ওই বছরের ১৫ জুলাই হাবিবুর রহমান হাবু বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। আজাদের বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগে ওই জিডি করেছিলেন হাবু।

হাবিবুর রহমান হাবু ওই জিডিতে অভিযোগ করেছিলেন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েল আহমেদকে নারায়ণগঞ্জে মারধর করা হয়। এর কিছুদিন পর রফিক নামে একজন আমাকে মোবাইলে গালিগালাজ করে হুমকি দেয়। পরে আবার আজাদও আমাকে মোবাইলে হুমকি দেয়। এ নিয়ে আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে হাবু বলেছিলেন, আড়াইহাজারে আজাদকে আমি প্রতিষ্ঠিত করেছি। সেই আজাদ আমাকে হুমকি দিল। এটাই কি রাজনীতির প্রতিদান?

আরও জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া নামের একজন যিনি সার্বক্ষণিক আজাদের সঙ্গে দেখা যায়। তবে এসব হামলা ও জিডির কোন ধরনের ক্ল বের করতে পারেনি বিএনপি নেতারা। এমনকি প্রশাসনিকভাবেও তারা কোন বিহিত করেননি। যে কারনে এসব ঘটনাগুলো আড়ালেই রয়ে গেছে। তবে আজাদ ও হাবুর অন্তরঙ্গ মুহুর্তই প্রমান করে আজাদের বিরুদ্ধে হাবুর জিডি দায়ের করাটি ছিল রহস্যজনক। ওই জিডির তদন্তও চায়নি হাবু। টিপুুর উপর হামলার বিষয়টিও আড়ালে চলে গেল। এখানে আরও উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে আজাদের বেশকজন নেতা রয়েছেন যাদের মধ্যে দুু’একজনের বিরুদ্ধে অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠেছিল।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজাদ সহ নারায়ণগঞ্জের ৭৪ নেতাকর্মীর জামিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সহ নারায়ণগঞ্জের বিএনপির ৭৪ জন নেতাকর্মী একটি নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন। ২০১৭ সালের আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় চার্জগঠন শেষে আদালতে বিএনপির এই ৭৪ নেতাকর্মী জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন দেন।

২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ২০১৭ সালের একটি নাশকতা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সহ ৭৪ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর আড়াইহাজার থানায় একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় নজরুল ইসলাম আজাদকে প্রধান আসামী করে মোট ৮৭ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয় মামলায়। ওই মামলায় ৮৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেন। সোমবার এই মামলায় ৯ জন আসামি সময় আবেদন করেছেন। পলাতক রয়েছেন আরও ৩ জন আসামি।

মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবু, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ জুয়েল আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউদ্দিন শফু, আড়াইহাজার পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি কবির হোসেন, আড়াইহাজার ছাত্রদল নেতা নাদিম আহমেদ ও জহিরুল হক সহ ৮৬ জন নেতাকর্মী।

‘আমি মরে গেলেও ১৫হাজার দুঃস্থ পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দিবে আমার সন্তান’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ক্যাবল অপারেটর ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি চাঁদাবাজি মামলায় রিমাণ্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত পুলিশের রিমাণ্ড আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।

শুনানি শেষে আদালতের এজলাস থেকে কোর্টের কারদখানায় নেয়ার পথে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু তার একমাত্র ছেলে ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডবাসীর জন্য সেবা করে যাবো। প্রতি বছরের মত এ বছরও ১৭নং ওয়ার্ডের ১৫ হাজার দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। আমি মরে গেলেও এই ঈদ সামগ্রী আমার একমাত্র পুত্র রিয়েন তা বিতরণ করবে।

ওই সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অসহায়ত্বের বিমশ্র কাউন্সিলর বাবু বলেন, আমি মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক মামলা কারাগারে। এই মামলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। যারা আমার নামে এই মিথ্যা মামলা করেছে আল্লাহ পাক তাদের বিচার করবো। আপনারা সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরুন। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।’

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর আগে আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ফরাজীকান্দা এলাকার অপর ডিস ব্যবসায়ী হাসান একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।

গত ২৩ মার্চ মো. হাসান ব্যবসায়ী বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হাসান অভিযোগ করেন, বন্দর সোনাকান্দা হতে আলীনগর হয়ে প্রায় কয়েক লাখ টাকার ডিস লাইনের ক্যাবল সহ সরাঞ্জমাদি কেটে নিয়ে গেছে ফরাজীকান্দা এলাকার সন্ত্রাসী সজিব গং। ডিসের ক্যাবল কাটার কারণে প্রায় ২ হাজার গ্রাহক ডিস লাইনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় বাবু ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আড়াইহাজারে আলোচিত রোজীনা হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া মধ্যচর এলাকার আলোচিত রোজীনা হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলো একই এলাকার মৃত আনসর আলীর ছেলে মালেক ও মৃত হক মিয়ার ছেলে জাইদুল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৯ এপ্রিল সোমবার নিজ বাড়িতে থেকে তাদের জেলা সিআইডি পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। কালাপাহাড়িয়ায় মেঘনা নদীতে জোংড়া (চাঁই) পাতাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে সুজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোজীনা মারা যান। নিহত সুজন ওই এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। নিহত রোজীনা ওই এলাকার বাবুলের স্ত্রী। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুইটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব নিলেন তিন জনপ্রতিনিধি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত তিন জনপ্রতিনিধি। ২৭ এপ্রিল শনিবার শপথ গ্রহণ করার পর ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠানিকভাবে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি।

সোমবার সকালে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের কাছ থেকে এ দায়িত্ব বুঝে নেন।

দায়িত্ব গ্রহণ শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামীলীগ পরিবারের মান রক্ষা করেছেন। সাথে সোনারগাঁবাসী আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে আমাদের পরিবারের মান রেখেছেন। সেই সাথে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেজন্য আমি সোনারগাঁবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

এসময় ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর বলেন, সোনারগাঁবাসী যেভাবে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের আশা পূরনে কাজ করবো। আমি সোনারগাঁয়ের প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সোনারগাঁ থেকে মাদক সন্ত্রাস নির্মূলে একত্রে কাজ করবো।

এসময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি বলেন, সোনারগাঁবাসী আমাকে নির্বাচিত করায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সাথে সোনারগাঁয়ে বাল্য বিবাহ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান রাখবো।

দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগে বিশাল গাড়ীর বহন নিয়ে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। তিন জনপ্রতিনিধিদের নেতাকর্মী সমর্থকদের শ্লোগান দিয়ে মুখরিত হয়ে ওঠে উপজেলা পরিষদের মাঠ।

সোনারগাঁয়ের গৃহবধূ মিতু আক্তারের লাশ ময়মনসিংহে উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের গৃহবধূ মিতু আক্তারের লাশ ময়মনসিংহ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২ মাস পূর্বে সোনারগাঁ থেকে নিখোঁজ মিতু আক্তারের লাশ ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহ পিবিআই। লাশটি উদ্ধার করে পিবিআই ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে অবহিত করে।

জানাগেছে, গৃহবধূ মিতু আক্তার পৌরসভা লাহাপাড়া গ্রামের ওহাবের ছেলে বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী। তার বারসাত নামের ৭ বছরের এক মেয়ে ও রাতুল নামের ১৫ মাসের এক ছেলে রয়েছে। বেলায়েত হোসেন বৈদ্যেরবাজার মাছঘাটে মুদি দোকানদারী করেন। মিতু আক্তার বৈদ্যেরবাজার এলাকার মোজ্জামেল হোসেনের মেয়ে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলা পৌরসভা লাহাপাড়া এলাকা থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী মিতু আক্তার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

এদিকে, ২৫ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহের ত্রিশাল রেললাইনের পাশ থেকে থেকে মিতুর লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ পিবিআই। পিবিআইয়ের ধারণা কে বা কারা তাকে হত্যা করে লাশটি রেললাইনের পাশে ফেলে গেছে। লাশ উদ্ধার করে পিবিআই তার পরিচয় নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় বিভিন্ন পোষ্টার বিলি করে। এদিকে মিতুর লাশের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পেরে পিবিআই ময়ন তদন্ত শেষে বেয়ারিশ হিসেবে সেখানে লাশ দাফন করে করে দেয়।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মিতুর ছবি দেখে পিবিআই মিতুর পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে পিবিআই সোনারগাঁ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ মিতুর বাড়িতে খবর পাঠায়। খবর পেয়ে মিতুর স্বামী বেলায়েত ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের সাথে যোগাযোগ করে।

মিতু আক্তারের স্বামী বেলায়েত হোসেন বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে মিতু আক্তার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যাবে বলে আমার চাচীকে অবহিত করে বাসা থেকে বের হয় এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়।

সর্বশেষ সংবাদ