সোনারগাঁয়ে বসতঘরে বিষধর ৮টি সাপ উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও আদমপুর গ্রামের ওমর আলী মুন্সির একটি বসতঘর থেকে বিষধর ৮টি কালি পানস সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেছে ওঝা।

ওমর আলী মুন্সির ছেলে মোঃ আজিজ মিয়া জানান, কয়েকদিন পূর্বে আমার বসতঘরে একটি সাপের সলম দেখতে পায় তার স্ত্রী। গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের মাটিতে বিছানো রেকসিনের নিচে একটি কালি পানস সাপের মাথা দেখেতে পেয়ে তার স্ত্রী তাকে ঢাকতে থাকে। তখন তিনি এসে রেকসিন উঠালে একটি কালি পানস সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়ে সেটি মেরে ফেলেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে রূপগঞ্জের তারাব এলাকা থেকে মোস্তফা ও মতিন মিয়া নামের দুইজন সাপুড়–কে ডেকে আনি। তারা ঘরের ভিতর মাটির খুড়ে নিচের গর্ত থেকে ৮টি কালি পানস সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে সাপুড়ে জিম্মায় নিয়ে যায়।

সাপুড়ে মোস্তফা ও মনিত বলেন, আমরা সাপের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ঘরের ভিতর মাটি খুড়ে বিষধর ৮টি কালি পানস সাপের বাচ্চা ও ৩০টি ডিমের খোসা পাওয়া যায়। মা সাপটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সাপ দেখতে ওমর আলী মুন্সীর বাড়িতে শত শত লোক ভীড় করে।

মাদক ও জঙ্গীবাদমুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষার বিকল্প নাই: মেয়র হাসিনা গাজী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌর মেয়র হাসিনা গাজী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। এ কারণেই দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।’

৯ নভেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতুলিয়া এলাকায় ৪১নং গুতুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র হাসিনা গাজী আরো বলেন, ‘দেশের উন্নতি করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। সকল শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। শিক্ষার্থীরাই দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদেরকে সুশিক্ষায় মানুষ করে তোলা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।’

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে মেয়র হাসিনা গাজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততো দিন বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হবে।’

মেয়র হাসিনা গাজী বলেন, ‘দেশে মেধাবী শিক্ষার্থীর হার বাড়লে দেশ দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হবে। পাশাপাশি মেধার বিকাশ ঘটিয়ে দেশের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মনে রাখতে হবে দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে দেশে জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। তাই মাদক ও জঙ্গীবাদ মুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম, কাঞ্চন পৌরসভার কাউন্সিলর মিনারা বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট তায়েবুর রহমান, যুবলীগ নেতা আজিম খন্দকার, ভোলাবো ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি ছালমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, শিক্ষানুরাগী মাসুদ পারভেজ, ৪১নং গুতুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাসরিন আক্তার, ৪১নং গুতুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন প্রমূখ।

কালাম কামালের কালো থাবায় তৈমূর বলয়!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এক সময় নারায়ণগঞ্জ শহরে দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এখানকার সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম কোনভাবেই পেরে ওঠতে পাড়ছিলেন না তৈমূর আলমের সঙ্গে। সদর-বন্দর আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে মাঠেও নেমেছিলেন তৈমূর আলম। বেশ কোণঠাসাই ছিলেন কালাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে উপরে উপরে তৈমূর আলমের সঙ্গে কালামের সোহার্দপূর্ণ্য সম্পর্ক দেখা গেলেও তৈমূর বলয় এখন বিলুপ্তির পথে।

মুলত মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামালের হাতেই ধ্বংসের দিকে ছিন্নবিন্ন হয়ে যাচ্ছে তৈমূর আলমের বিশাল বলয়। নেতাকর্মীরা বলছেন- কালাম কামালের কালো থাবায় পড়েছে তৈমূর বলয়। অনেকেই আবার তৈমূর আলমের কাধে হাত রেখে কালামের তরীতে পা দিয়েছেন। ফলে শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে তৈমূর আলমের সঙ্গে রাজপথে পোড় খাওয়া নেতাদের কেউ কেউ রাজনীতি থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ কালামের বলয়ে ভীড়ছেন।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ২০১২সালে সদর-বন্দর আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন তৈমূর আলম। একইভাবে তৈমূর আলম খন্দকার রূপগঞ্জেও যাতায়াত শুরু করেন। তৈমূর আলমের অবস্থান নিয়ে দোটানায় পড়ে যান নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সভাপতি পদ হারানোর পর জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটিতে স্থান পায়নি তৈমূর আলম অনুসারী নেতারা, মলত যারা দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ঘাম জড়িয়েছিলেন। দুু’চারজনকে কমিটিতে রাখা হলেও কারোই যোগ্যতম পদে রাখা হয়নি। এবার মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও একই অবস্থা হয়েছে তৈমূর বলয়ের। যারা তৈমূরের অস্তিত্বে অস্তিত্ব তারা কালাম ও কামালের সঙ্গে ম্যানেজ হয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই আবার পদ পদবীর লোভে রাতের আধারে কালাম কামালের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। মুলত তৈমূরকে ঘুমের মধ্যে রেখে তৈমূর বলয় থেকে ছিটকে পড়ছেন তার অনুগামীরা।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের দুটি আসন থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সদর আসনে খোরশেদ ও রূপগঞ্জ আসনে মনোনয়ন পান তৈমূর। কিন্তু তৈমূর আলমের রাজপথের নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি শহর কেন্দ্রীক। তৈমূর আলমের পদ চলে যাওয়ার পর তার নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন তাদের হাল ধরছেন খোরশেদ। কিন্তু খোরশেদ যুবদলের রাজনীতি ছাড়তে নারাজ। তাকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক করা হলেও তিনি সেই পদে থাকেননি। ফলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে তৈমূর আলমের লোকজন। তৈমূর আলমের বলয়ের দিশেহারা নেতাকর্মীরা হয়ে পড়েন আরও ছন্নছাড়া। কেউ কেউ তৈমূর আলমের নাম জপে টিকে রইলেও অনেকেই তার বলয় ছেড়েছেন। আবার অনেকেই দু’দিকেই পা রেখেছেন। তারা খোরশেদের উপরেও আস্থা রাখতে পারছেন না। কারন খোরশেদ এখনও মুলদলে ফিরেননি।

তৈমূর আলমের গোছানো মাঠটি নিজেও ধরে রাখতে পারছেন না। আবার খোরশেদও তাদের দায়িত্ব নিতে পারছেন না। যার ফলে ধীরে ধীরে খন্দকার পরিবারের আস্থাভাজন নেতারা ছিটকে পড়ছেন। এক সময় যারা খন্দকার পরিবারের মাধ্যমেই উত্থান তারাও এখন বলয় ছেড়েছেন। আবার অনেকেই বলছেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ঠেকাতে গিয়ে তৈমূর আলম হাত মিলিয়েছেন কালামের সঙ্গে। কেউ কেউ বলছেন- নিজের বলয়ের নেতাকর্মীদের কর্জ দিয়েছেন কালামের কাছে। অনেকটা শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়ার মত। কিন্তু সেই সুযোগে কালাম এখন তৈমূর বলয়কে গ্রীপ করে নিচ্ছেন। ভবিষৎে খন্দকার পরিবারের বিশ^স্থদের খোরশেদ ফিরে পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিক নেতাদের ভাষ্য- তৈমূর আলম আবারো ভুল করলেন!

অতীতে স্বৈরাচারী সরকার টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবে না: নয়ন মোল্লা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা বলেছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে আজ গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র হলো উন্নয়নের পূর্বশর্ত। উন্নয়ন টিকিয়ে রাখতে হলে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সারা পৃথিবীতে কোথাও ভোটের আগের রাতে নির্বাচন হয়ে গেছে তা জানা নেই। পৃথিবীর সব দেশে ভোট হয় নির্বাচনের দিন আর আমাদের দেশের ভোট হয়েছে নির্বাচনের আগের রাতে। অতীতে কোন স্বৈরাচারী সরকার বেশি দিন টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবে না।

৯ নভেম্বর শনিবার বিকেলে আড়াইহাজার থানা শ্রমিকদলের আয়োজিত উপজেলার ইলমদি এলাকায় বিএনপির প্রয়াত নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর বাসভবনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক সভায় সভার সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেন নয়ন মোল্লা।

নয়ন মোল্লা আরোও বলেন, দেশ আজ অঘোষিত বাকশাল তৈরি হয়ে গেছে। কেউ মুখ খুলতে পারবে না, মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ একদিন ঠিকই খালেদা জিয়াকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে আনবে। অতীতেও বাংলাদেশে স্বৈরাচাররা বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ এবারও স্বৈরাচারী সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, জনগণ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাবেই। আর আন্দোলনকে বেগমান করতে আমাদের একটা শক্ত প্লাটফর্ম এ থাকতে যা আড়াইহাজারের ভবিষ্যত কর্ণধার মাহমুদুর রহমান সুমন তৈরি করেছে। প্রয়াত খসরুর উত্তরসুরী তারই ছেলে সুমন আড়াইহাজার বিএনপির অভিভাবক। আমরা চাই আমাদের মধ্যে ঐক্য অটুট থাকুক এই প্রত্যয় নিয়ে সবাই একসাথে কাজ করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। তাহলে আমরা জাতি বিভিন্ন হয়রানি থেকে নির্যাতন থেকে মুক্তি পাব।

ওই প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার ও জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাসেম ফকির, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বুলবুল, ব্রাহ্মন্দ্রী ইউপি বিএনপির সভাতি সামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক শামীম, গোপালদী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল, জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ, সদাসদী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা গাজী মাসুদ, গোপালদী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহামুদুর রহমান, বিশনন্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম মেম্বার, জেলা যুবদল নেতা কামাল হোসেন, শরীফ, আল আমিন, থানা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ তুষার, কাউসার, মোহাম্মদ সমির, থানা যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, আড়াইহাজার তাঁতী দলের আহ্বায়ক সামসুুল ইসলাম, গোপালদী শ্রমিক দলের নেতা শামীম সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভা শেষে কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু-স্বাস্থ্য কামনায় এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পালন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আলমগীর হোসেন।

খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: ছাত্রদল নেতা তুষার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ তুষার বলেছেন, খালেদা জিয়ার যাতে চিকিৎসা না হয়, তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান এটাই সরকারের কাম্য। কারণ যে মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য সেই মামলায় তিনি জামিন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন কারসাজি করে তার জামিন আটকে দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্যটাই হচ্ছে উনি যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন। বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

৯ নভেম্বর শনিবার আড়াইহাজার থানা শ্রমিকদল আয়োজিত ইলমদী এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর বাসভবনে ব্যক্ততাকালে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ তুষার।

তিনি আরোও বলেন, খালেদা জিয়ার যে অসুখ তা যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটা আরও খারাপের দিকে যাবে। ওখান থেকে আর ফিরে আসা যাবে কিনা তা নিয়েও আমরা শংকায় আছি।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে এ ছাত্রনেতা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার বলে আসছেন, তিনি জামিন পেলে তার পছন্দমতো যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসা করাবেন। এটা তার অধিকার। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাজা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ্য, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। কতগুলো বিষয় আছে, যা মানবিক। এটা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারই বাধা সৃষ্টি করছে।

ওই প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার ও জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাসেম ফকির, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বুলবুল, ব্রাহ্মন্দ্রী ইউপি বিএনপির সভাতি সামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক শামীম, গোপালদী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল, জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ, সদাসদী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা গাজী মাসুদ, গোপালদী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহামুদুর রহমান, বিশনন্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম মেম্বার, জেলা যুবদল নেতা কামাল হোসেন, শরীফ, আল আমিন, থানা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ তুষার, কাউসার, মোহাম্মদ সমির, থানা যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, আড়াইহাজার তাঁতী দলের আহ্বায়ক সামসুুল ইসলাম, গোপালদী শ্রমিক দলের নেতা শামীম সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভা শেষে কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু-স্বাস্থ্য কামনায় এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পালন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আলমগীর হোসেন।

বুলবুলকে ঠেকালো সুন্দরবন, রক্ষা পেল বাংলাদেশ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ যে ভয়াল রূপ নিয়ে এগিয়ে আসছিল অবশেষে সে অনুযায়ী থাবা বিস্তার করতে পারেনি। বাড়িঘর, গাছগাছালিসহ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, তবে তা ব্যাপকভাবে হয়নি। এর প্রধান কারণ, ভয়ংকর রূপ নিয়ে এগিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়টির সামনে অনেকটা বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় সুন্দরবন। ফলে ‘বুলবুলের’ গতি কমে অনেকটা দুর্বল হয়ে খুলনা উপকূলে আঘাত হানে।

এর আগে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা একইভাবে সুন্দরবনে বাধা পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তবে তখন ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির পরিমাণ আরও অনেক বেশি ছিল।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে আঘাত করে। এরপর এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের খুলনা অংশে ঢুকে পড়ে। দুই দেশের সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশের মানুষ বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। যখন ঘূর্ণিঝড় জলভাগের ওপর দিয়ে চলে, সেই জলভাগ ঘূর্ণিঝড়ের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু স্থলভাগে গাছ, স্থাপনা দাঁড়ানো থাকে। এগুলোর সঙ্গে সবসময় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ঘূর্ণিঝড়, বাধাপ্রাপ্ত হয়; এ কারণে ওর মধ্যে রিটার্নিং ফোর্সের (বিরোধী শক্তি) কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।’

আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের তিন দিকেই সুন্দরবন জুড়ে ছিল। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব শক্তিও কমে আসে। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ শঙ্কা কেটে যাওয়ায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এর প্রভাবে দুদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত থাকলে আস্তে আস্তে জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

ক্লিন ইমেজের তরুণ নেতৃত্বের অপেক্ষায় সোনারগাঁবাসী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার রাজনীতিতে তিনটি দলেই সিনিয়র নেতাদের নিয়ে রয়েছে বিরোধ বিভক্তি সহ বেশকজনের বিরুদ্ধে নানা ধরণের ঘটনা। কারো কারো বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লালনেরও অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন সোনারগাঁবাসীর ঘাড়ে। সোনারগাঁবাসীর প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন অতীতে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসা ব্যক্তিরা এবং যারা উপজেলার রাজনীতির নেতৃত্ব দেন।

কিন্তু ক্লিন ইমেজের অনেকেই রাজনৈতিক মারপ্যাচে ওঠে আসতে পারেনি নেতৃত্বে। অনেকেই চেষ্টা করছেন। আবার অনেকেই নোংরা রাজনীতির ছায়াতল থেকে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই পড়েছেন কালো টাকার থাবায় মাইনাস ফর্মূলায়। কিন্তু সোনারগাঁয়ের মানুষ চায় ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব যাদের ভেতরে থাকবে সততা নিষ্ঠা এবং জনগণমনা, চেয়ার টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে যারা সোনারগাঁয়ের মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে না। তবে ্এত্তসব হতাশার মাঝেও বেশকজন তরুণ নেতৃত্ব এখন সোনারগাঁবাসীর আশার আলো। যাদের অনেকেই নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করছেন এবং অনেকেই সুযোগ পেলে সোনারগাঁবাসীর জন্য সঠিক নেতৃত্ব দিবেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে পরিচিত পেয়েছেন এএইচএম মাসুদ দুলাল। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অনেক সম্ভাবনাও তার দিকে উকি দিয়েছিল।

অনন্যা হুসাইন মৌসুমী। তিনি জাতীয় মহিলা পার্টির সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ জেলায় তাকে এরশাদের পালিতা কন্যা হিসেবেই তাকে চিনেন। ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করেও নিজ দলের নেতা লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে পেরে ওঠতে পারেননি। সোনারগাঁয়ের কোমর ভাঙ্গা জাতীয়পার্টিকে সোজা করেছিলেন মৌসুমী। কিন্তু এখানে টানা দুইবার এমপি হয়ে গেলেন লিয়াকত হোসেন খোকা। প্রথমবার এমপি হওয়ার পর মৌসুমী তার কার্যালয়ে হামলার শিকার হন। দ্বিতীয়বার এমপি হওয়ার আগে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন ছাত্র সমাজের নেতা ফজলুল হক মাস্টার। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে মৌসুমীর যাতায়াত কম। তবে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সোনারগাঁয়ে আলোচনায় আসেন ড. সেলিনা আক্তার। তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। ক্লিন ইমেজের এই নেত্রী গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে গত নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশিরা সোনারগাঁয়ের রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দিলেও এখনও সেলিনা আক্তার রয়েছেন বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয়। ভবিষৎের বিষয়ে তিনি হাল ছাড়েননি। তার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা উপজেলা আওয়ামীলীগের মুল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। নিয়মিত সোনারগাঁয়ে পদচারণায় রয়েছেন সেলিনা আক্তার।

গাজী মজিবুর রহমান। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন যুবলীগের রাজনীতি করেছেন। যুবলীগের সভাপতি পদে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কখনও সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ভুমিদস্যূতার মত অভিযোগ ওঠেনি। যে কারনে সোনারগাঁয়ের মানুষের কাছে তিনি এখনও ক্লিন ইমেজের একজন নেতা। বিএনপি জামাত সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকারও হয়েছিলেন তিনি। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে মার খেয়েছেন। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তবে এসবের অবদানে তাকে সোনারগাঁও পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে সমর্থন দেয়া হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগের বিরোধের কারনে হেরে যান তিনি। পরবর্তী নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে হলেও তাকে মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়। তবে সোনারগাঁয়ে তার ব্যাপক কর্মী সমর্থক রয়েছে।

অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির টানা দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি। এর আগেও তিনি দুইবার সেক্রেটারি সহ নানা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। নারায়ণগঞ্জের ১২’শ আইনজীবীদের কাছে তিনি ডায়নামিক আইনজীবী লিডার। আইনজীবীদের জন্য ৮তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। সোনারগাঁয়ের এই কৃতি সন্তান এখনও সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত হননি। তবে তার মত একজন আইনজীবী নেতাকে সোনারগাঁয়ের জন্য প্রয়োজন বলে মনে করছেন সোনারগাঁয়ের মানুষ। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি পদেও রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান ও একেএম সেলিম ওসমানের আস্থাভাজন এই আইনজীবী।

এ ছাড়াও ঢাকায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছোবহান খন্দকার এখন নিয়মিত সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। বর্তমানে ঢাকায় একটি থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবস্থায় কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাবের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার স্কাউটের খ্যাতি অর্জন করেন এই আইনজীবী। তার লেখা বিভিন্ন আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই সহ আন্তর্জাতিক জার্নালে আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকার মালিবাগ আবজর গিফারী বিশ^বিদ্যালয় কলেজে অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতায়ও রয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছোবহান খন্দকার। তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায়ও রয়েছেন। রয়েছেন ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সদস্যও। তিনি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতিতে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাহজাহানপুুর থানা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতে একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী তিনি। সোনারগাঁয়ের প্রতিটি এলাকায় এখনও তার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রয়েছেন যারা তাকে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে দেখতে চান। তবে সোনারগাঁয়ে রাজনীতির বর্তমানে পরিস্থিতিতে এই সাদা মনের আইনজীবী নামতে চান না। তবে তিনি পরিকল্পনা করছেন সোনারগাঁয়ের মানুষের জন্য কিছু করার। সেই স্বপ্ন দেখছেন এখনও।

অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিএনপি জামাত সরকার আমলে রাজপথে সক্রিয় আন্দোলনে ছিলেন তিনি। পুলিশ আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশ হত্যা মামলার আসামিও হয়েছিলেন এই আওয়ামীলীগ নেতা। এখনও নিয়মিত সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।

অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়কক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সোনারগাঁও পৌরসভার গত নির্বাচনে তিনি নৌকাপ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়াই করেছিলেন। জয়ের কাছাকাছি গিয়েও দলীয় বিরোধের কারনে তিনি হেরে যান। তিনি সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে এখনও সক্রিয় রয়েছেন।

অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোনারগাঁয়ে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয়। ক্লিন ইমেজের এই নেতা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে তেমন একটি সক্রিয় না থাকলেও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছিলেন। মাঠের রাজনীতি তিনি গুছিয়ে নিয়েছেন। বিএনপির বলয় ভিত্তিক রাজনীতিতে তিনি সুবিধা করতে পারেননি।

আজিজুল হক আজিজ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সোনারগাঁয়ের বিএনপির রাজনীতিতে মাঠে নামেন। তবে দলীয় পদ পদবী তার ভাগ্যে জুটেনি। এখনও তিনি রয়েছেন রাজনীতিতে। বিএনপির রাজনীতিতে বেশ আলোচিত এই নেতা। তিনিও বিএনপির গ্রুপিং এর কারনে পোক্তভাবে দাড়াতে পারেননি।

সাকিবকে ছাড়া প্রথমবার হবে বিপিএল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সাকিব আল হাসানকে বলা হয় বাংলাদেশের ‘প্রাণ’। আর এ ‘প্রাণ’ ছাড়াই বাংলাদেশ জাতীয় দলকে খেলতে হবে এক বছর। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বিশেষ আয়োজন বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও সাকিব থাকছেন না। কারণটা সবারই জানা। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি গোপন করায় দুই বছরের জন্য (এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা) নিষিদ্ধ হয়েছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

বিপিএলে তিনবারের টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় সাকিব এবারের আসরে না থাকাতে এর আকর্ষণ কমে যেতে পারে কিনা তা নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু বিপিএলে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করে থাকেন সেহেতু এর জনপ্রিয়তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। আর দেশের প্রথম সারির সব ক্রিকেটার তো রয়েছেনই। তরুণ ক্রিকেটাররাও মাঠে ভলোই পারফরম্যান্স করছেন।

তবে এটা সত্য যে, সবাই সাকিবকে মিস করবেন। কারণ তিনি বিশ্বের সেরা একজন অলরাউন্ডার। তার বিকল্প এখনো বাংলাদেশ দলে কল্পনা করা সম্ভব নয়। সাকিবের না থাকাটা তার ভক্তদের কাছে খুবই কষ্টের বিষয় হয়ে থাকবে। অনেকের কাছে সাকিববিহীন বাংলাদেশের খেলা দেখাটা খুবই কষ্টকর।

সাকিব আল হাসান বিপিএলের প্রথম দুটি আসরের টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন। প্রথমটি খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের হয়ে। দ্বিতীয়টি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে। সর্বশেষ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গত আসরে তার দল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। তার দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছিল সাকিবের হাতে।

কিছুদিন আগেও দল বদল নিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে রংপুর রাইডার্সের সাথে যোগ দিয়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। তবে, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

বিপিএলের ছয়টি আসরেই সাকিব বল, ব্যাট এবং ফিল্ডিং তিনটি বিভাগেই দাপট দেখিয়েছেন। বলা চলে ক্রিকেটের ‘ফুল প্যাকেজ’ সাকিবের পারফরম্যান্স মিস করতে যাচ্ছে এবারে বিশেষ বিপিএলে।

বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, বিপিএলের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। ৮ ডিসেম্বর সপ্তম আসরের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী নিজে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ১১ ডিসেম্বর থেকে এবারের বিপিলের মাঠের লড়াই শুরু হবে।

মুক্তি পেল অক্ষয়ের প্রথম মিউজিক ভিডিও

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রথম বার মিউজিক ভিডিও করেছেন অক্ষয় কুমার। শনিবার মুক্তি পেয়েছে সেই মিউজিক ভিডিও। নাম ‘ফিলহাল’। এর গানটি গেয়েছেন পাঞ্জাবি গায়ক বি প্র্যাংক। গানের গল্প একটি দুঃখের প্রেমকাহিনি। অক্ষয়ের সঙ্গে রোমান্টিক এই গানে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী কৃতী শ্যাননের ছোট বোন নুপূর শ্যানন।

ইনস্টাগ্রামে অক্ষয় কুমার শেয়ার করেছেন তার সদ্য প্রকাশিত মিউজিক ভিডিও ‘ফিলহাল’। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘অনেকেই আজকাল বলেন, ‘গানের মেলোডি কমে গেছে। আশা করি, ‘ফিলহাল’ তাদের সেই ধারণা পাল্টে দেবে। সবারই ভালো লাগবে গানটি।’

মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়, অক্ষয় কুমার একজন চিকিৎসক। তার সাবেক প্রেমিকা নুপূর শ্যানন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে অক্ষয়কেই তার অপারেশন করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে তার মনে পড়ছে পুরনো দিনের কথা।

গানটি দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন, অক্ষয় ও ক্যাটরিনার ছবির রোমান্স ফিরে এসেছে। এ জন্য ‘সূর্যবংশী’ ছবির শুটিং সেট থেকে ক্যাটরিনার সঙ্গে একটি রোমান্টিক ভিডিও বানিয়ে সেটাও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন বলিউড খিলাড়ি।

কলকাতার ছবিতে মোশাররফ করিম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কেরিয়ারে প্রথমবারের মতো কলকাতার ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন দেশসেরা অভিনেতা মোশাররফ করিম। নাম ‘ব্যবধান’। এ ছবিতে থাকবে দুই বন্ধুর মধ্যকার দূরত্বের গল্প। এ জন্যই ছবির নাম দেয়া হয়েছে ‘ব্যবধান’। এখানে মোশাররফ করিমের বন্ধুর চরিত্রে থাকবেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়।

‘ব্যবধান’ পরিচালনা করবেন কলকাতার চলচ্চিত্র নির্মাতা ও রাজনীতিক ব্রাত্য বসু। বুদ্ধদেব গুহর লেখা দুটি ছোট গল্প অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে এই গুরুদায়িত্বটি সামলেছেন নাটকের চিত্রনাট্যকার উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

‘ব্যবধান’-এ মোশাররফ করিমের অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড-এ অংশ নিতে এসেছিলেন তিনি। সঙ্গে আবির চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। সেখানেই ছবির কাজ নিয়ে কথা হয় ব্রাত্য বসু, মোশাররফ করিম ও আবির চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে।

পরিচালকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’-এর অনুষ্ঠান চলাকালে ছবিটি নিয়ে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে লিখিত চুক্তি এখনও হয়নি। খুব শিগগির তা হয়ে যাবে। কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতায় যাওয়ার কথা আছে। তখনই সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’

ব্রাত্য বসুর ‘ব্যবধান’-এ মোশাররফ করিম ও আবির চট্টোপাধ্যায় ছাড়া আর কে কে থাকবেন তা এখনও জানা যায়নি। প্রায় ৯ বছর পর সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন এই পরিচালক। এখন থেকে নিয়মিত হবেন বলে জানান। সেই সঙ্গে লেখালেখিও। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ব্রাত্য বসু।

সর্বশেষ সংবাদ