ফতুল্লায় পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের মতবিনিময় সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পলাতক আসামিদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করতে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে পুলিশ। ১২ নভেম্বর সকালে ফতুল্লা মডেল থানার সভাকক্ষে ওয়ারেন্ট জারিকৃত আসামীর চিহ্নিত করার সহায়তার লক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের নিয়ে মতো বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী।

পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসানুজ্জামান হাসানের উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে কক্তব্য রাখেন- কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.আর.কুতুবে আলম।

এসময় উপস্থিত ছিলে- আতাউর রহমান মেম্বার, ইউসুফ মেম্বার, নাট্যব্যক্তিত্ব ফজলুল হক পলাশ, কাজী মোশাররফ হোসেন, ফতুল্লা পালইট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালক কমিটির অভিভাবক সদস্য তাজুল ইসলম, ফতুল্লার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী, নাট্যাভিনেতা পরিচালক বদির উদ্দিন বদু ওরফে নায়ক রাজু, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান প্রমূখ।

এসময় প্রধান অতিথি এএসপি মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ারেন্ট রয়েছে ফতুল্লা মডেল থানায়। এই থানার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রেপ্তারী পরোয়ানা জি.আর সি.আর ও সাজাসহ ১২ হাজারের মতো আসামীদের সন্ধান ও ঠিকানা সঠিক পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তিন হাজারের মধ্যে তামিল হয়েছে। আপনাদের সহায়তা পেলে বাকীদেরও আমরা ঠিকানা চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, এই গ্রেপ্তারী পরোনা আসামীরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসী তা না কিন্তু এর মধ্যে অনেকে আছে ভাল মানুষ। তারা কোর্টে হাজিরা দিলেই ওয়ারেন্ট বা মামলা শেষ হবে। অনেকে আছে জানেই না যে তার বিরুদ্ধে মামলার ওয়ারেন্ট আছে।আমরা এই মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানার সীট বিল বোট ফেষ্টুন তৈরী করে রাস্তার মোটে টানিয়ে দেবো। আপনারা াপনাদের আমে পাশের লোক চিহ্নিত করে আমাদের সহায়তা করবেন।

ওসি আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের থানায় ৮ হাজারের উপরে সি আর জি আর ও সাজা ওয়ারেন্ট রয়েছে। এই ওয়ারেন্ট আমরা ধরতে বা আসামী চিহ্নিত করতে পারছি না । আমাদেরকে তথ্য দিয়ে আপনারা সহায়তা করুন আমরা আপনার পরিচয় গোপন রাখবো কথা দিলাম।
ফতুল্লা মডেল থানার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জিআর, সিআর ও সাজাপ্রাপ্ত নিন্মে দেয়া হলো: ফতুল্লা ইউনিয়নে সি আর ৮৭১টি, জি আর ১১১৬টি,সাজা প্রাপÍ ২৫৮ মোট ২২৪৫টি।

কুতুবপুর ইউনিয়নে সিআর ৭৪৮টি, জিআর ১২০৭টি, সাজাপ্রাপ্ত ২৪০টি, মোট ২১৯৫টি। এনায়েতনগর ইউনিয়নে সিআর ৭৬২টি, জিআর ৬২৩টি, সাজাপ্রাপ্ত ২৫৫টি মোট ১৬৪০টি। কাশিপুর ইউনিয়নে সিআর ৫৪১টি, জিআর ৭৭২টি সাজাপ্রাপ্ত ১৬২টি মোট ১৪৭৫টি। বক্তাবলী ইউনিয়নে সিআর ২২৩টি, জিআর ৪০৭টি, সাজাপ্রাপ্ত ৩৫টি মোট ৬৬৫টি। মিসিং সিআর ৯০১টি, জিআর ১১১৬টি এবং সাজাপ্রাপ্ত ৯৫০টি মোট ২৯৬৭টি।

থান কাপড় ব্যবসায়ীদের পূনর্বাসনের আশ্বাস দিলেন সেলিম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃক উচ্ছেদ হওয়া থান কাপড় ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসনের জন্য রেলমন্ত্রী সহ প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। সেই লক্ষ্যে তিনি নেতৃবৃন্দদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্র্রির কাছে জমা দেওয়ার আহবান রেখেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর দুপুর ১১টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ থান কাপড় ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সাথে আলোচনায় বসেন। উক্ত আলোচনায় এমপি সেলিম ওসমান তাদেরকে এমন আশ্বাস প্রদান করেন। উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন, তাঁর দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে রেলওয়ে থেকে জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন চলতি বছর পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করেছেন, তারা নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন, অনেকে আবার ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। রেলওয়ের জমির উপর অত্যন্ত ৫ হাজার দোকানপাট রয়েছে। এমতাবস্থায় রেলওয়ে কর্তপক্ষ তাদের নোটিশ করে ছিলেন রেললাইনের পাশ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত তারা স্থাপনা উচ্ছেদ করে তাদের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করবেন।

পরবর্তীতে রেলমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জে পরিদর্শন করে বলে গিয়ে ছিলেন লাইনের উভয় পাশ থেকে ৪৫ ফুট জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু এখন রেলওয়ে বলছে তারা পুরো জমিই দখলে নিবে। ইতোমধ্যে প্রায় ২ হাজার দোকানপাট উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক ও আর্থিক ভাবে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অপরদিকে উক্ত সেক্টর থেকে যে বিশাল পরিমান আর্থিক লেনদেন সংগঠিত হতো তার পরিমান প্রায় কয়েক শতকোটি টাকা। যা দেশের অর্থনীতির উপরেও প্রভাব ফেলবে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। পাশাপাশি আমি এই এলাকার সংসদ সদস্য। ব্যবসায়ীদের এভাবে উচ্ছেদ করার বিষয়টি একজন ব্যবসায়ী নেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে অবশ্যই আমাকে অবহিত করার প্রয়োজন ছিল। আর উচ্ছেদ হওয়া ওই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আওতাধীন। সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের অনেক দায় দায়িত্ব ছিল বলে আমি মনে করি। যদি সিটি কর্পোরশন গত কয়েক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শহরের বিনোদন সুপার মার্কেট, রহমত উল্লাহ মুসলিম ইন্সস্টিটিউট এবং হাজীগঞ্জ কেল্লা এলাকার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়ে তাদের পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে বার বার বলছেন পূর্নবাসন না করে কোন উচ্ছেদ নয় সেখানে এভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়ে ব্যবসায়ীদের পথে বসানো হয়েছে, হাজার হাজার শ্রমিকদের বেকার করে দেওয়া হয়েছে। যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়।

থান কাপড় ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহবান রেখে বলেন, আপনারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের একটি তালিক প্রস্তুত করেন। যারা ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন তাদের একটি তালিকা। যারা শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন কিন্তু কোন ব্যাংল লোন নেই তাদের একটি তালিকা এবং যাদের কোন বৈধ কাগজপত্র কিছুই নাই তাদের একটি পৃথক তালিকা তৈরি করে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এর কাছে জমা দেন। আমি সেই তালিকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে যাবো। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। তাদের কাছে এসকল ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসনের অনুরোধ করবো। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন সরকারী ভাবে জমিও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে আমরা তাদেরকে সেখানে পুর্নবাসনের অনুরোধ রাখবো।

উক্ত আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের নেতাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এম সোলায়মান, বাংলাদেশে হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, সহ সভাপতি কবির হোসেন, সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান বদু, ১৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির সহ প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

১০৫ শিশুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ানোর দায়িত্ব নিলেন কাউন্সিলর খোরশেদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন রস্ক ফেইজ-২ প্রকল্প প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক সমাপনী-২০১৯ পরিক্ষার্থীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা ও মাসদাইর আরবান ম্লাম আনন্দ স্কুল নারী মৈত্রী আয়োজন বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ঝরে পড়া ১০৫ জন শিক্ষার্থী এবার প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) অংশ নিবেন।

১২ নভেম্বর বেলা ১২টায় সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের গলাচিপা ও মাসদাইর আরবান ম্লাম আনন্দ স্কুলে নারী মৈত্রীর আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

কাউন্সিলর খোরশেদ পরিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাসদাইর ও গলাচিপা আরবান ম্লাম আনন্দ স্কুলের ১০৫জন পিইসি পরীক্ষা মধ্যে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ভর্তি ও স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। তারা যতদিন পড়াশোনা করতে চায় ততদিন তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তিনি পরিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র ও পরিক্ষার সামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন রস্ক প্রকল্পের সুপারভাইজর মোঃ জহিরুল ইসলাম, নারী মৈত্রি সংস্থার সাহেব বিন শরিফ, মোঃ মিহির, বেগম রোকেয়া খন্দকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক শাহনাজ বেগম, মাসদাইর আরবান ম্লাম আনন্দ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গলাচিপা আরবান ম্লাম আনন্দ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত খন্দকার, বিশিষ্ট সমাজসেবক আক্তার হোসেন খোকন শাহ্ প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে ৪ মামলার রায়: ১০জনের কারাদন্ড, ৪জন খালাস

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের একই আদালতের বিচারক পৃথক চারটি মামলায় রায় ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের অহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আড়াইহাজারেই ডাকাতির একটি মামলায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি এমএসএর চাল চোরাচালান মামলায় জাহাঙ্গীর আলম নামের একজনকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেন। এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি মাদক মামলায় মাদক ব্যবসায়ী লিটনকে ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ১২ নভেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতের বিচারক এসব মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের অহিদুল হত্যা মামলায় ৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ১২নভেম্বর মঙ্গলবার দুুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য প্রমাণিত না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালত আসামিদের খালাস প্রদান করেন।

নিহত অহিদুল আড়াইহাজারের কদমতলী এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুর রহিম, হাবিবুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, রুহুল আমিন।

এ বিষয়ে ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ জানান, আড়াইহাজার থানার অহিদুল হত্যা মামলায় ৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।

মামলা সূত্রে, ২০১৩ সালে ৯ মার্চ ওয়াজ মাহফিল শেষে বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন অহিদুল। পরে ২০মার্চ আড়াইহাজার থানাধীন জাঙ্গালিয়া চেঙ্গাকান্দিপাড়া আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের ভরাট ভিডির উপর অহিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে আড়াইহাজার থানার একটি ডাকাতি মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫হাজার টাকা জরিমানা যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ওই একই আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোহেল, জামাল, শের আলী, মোকশেদ আলী ওরফে মোস্তলী। আর পলাতক কারাদন্ডপ্রাপ্ত বাকী ৪ জন আসামি হলেন- লোকমান, আল আমিন, জাহাঙ্গীর, আলমগীর।

এ বিষয়ে এপিপি অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ জানান, আড়াইহাজার থানার একটি ডাকাতি মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা যা অনাদায়ে আরও ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ৪ জন আসামি উপস্থিতিতে এ রায় দেন আদালত। বাকী ৪ জন পলাতক রয়েছেন।

এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি এমএসএর চাল চোরাচালান মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে ৭বছরের কারাদন্ড, ৫হাজার টাকা জরিমানা যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার কনকসার এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে।

এ বিষয়ে এপিপি অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি চাল চোরাচালান মামলায় জাহাঙ্গীর আলমের ৭ বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে, ২০০৯ সালে নিতাইগঞ্জ খালঘাট এলাকায় একটি ট্রাকে ১২৫ বস্তা খাদ্য অধিদপ্তরের এমএসএর চাল সহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি মাদক মামলায় লিটন নামের এক ব্যক্তির ৫ বছরের কারাদন্ড, ৫হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। লিটন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বার্মাশীল এলাকার হাসমত আলীর ছেলে ।

এ বিষয়ে এপিপি অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (ই) এর ধারায় আসামি লিটনকে ৫ বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে, ২০০৩ সালে ডিবি পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জ বার্মাশীল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মদ ও বিয়ারসহ লিটনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ডিবির এসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের দিয়েই বন্দরে আওয়ামীলীগ সাজাবো: মামুন সিরাজুল মজিদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ। তিনি জানিয়েছেন তাকে বন্দর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের নিয়েই বন্দরের প্রতিটি ওয়ার্ড ইউনিয়নের কমিটিগুলো গঠন করবেন। তাতে কোন হাইব্রীড তার কাছ থেকে কোন সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন না। যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করেন তাদেরকেই তিনি মূল্যায়ন করবেন বলেও জানান।

নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তরুণ এই আওয়ামীলীগ নেতা। ইতিমধ্যে বন্দর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে যে ক’জন প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন তাদের চেয়ে সবদিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা এই আইনজীবী নেতার। তার রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস। সেই সঙ্গে বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করেছিলেন। এক এগারোর সময় যখন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি পুুরোদস্তর রাজপথে ঝাপিয়ে পড়েন। নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছেন। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অনেকবার আহত হয়েছেন।


নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত তার পরিবারটিও। এবার তিনি বন্দর থানায় আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক। তিনি দাবি করেন তিনি নেত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান সেই অভিযান বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন। কোন সুবিধাবাদী ও হাইব্রীডদের তিনি কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটির নেতৃত্বে রাখবেন না। যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করবেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করবেন সেই সব প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়েই প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠন করবেন।

জানাগেছে, বর্তমানে অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে সৈনিকলীগের রাজনীতিতে করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের তিনি প্রাথমিক সদস্য। তিনি রয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদেও। বন্দরে ছাত্রলীগ যুবলীগের কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রিতার কারনে ওইসব সংগঠনের নেতৃত্বে আসা তার সম্ভব হয়নি।

আরও জানা গেছে, ২০১২-১৩ সালে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়তা কমিটিরও সদস্য তিনি।

রাজনীতিতে আসার শুরুর ইতিহাস জানতে চাইলে আইনজীবী মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করি। ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন কামরুল ইসলাম। আমি ওই সময় তেমন একটা না বুঝলেও ওই সময় থেকেই ছাত্রলীগের মিছিল মিটিং যাই। ছোট ছিলাম তখনই আমি মিছিলে যাই। পরবর্তীতে স্কুল জীবন শেষ করে যখন সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি হই তখন ক্লাস কমিটি গঠন করা হয়। তখন আমার ভাই কামরুল ইসলাম মিলন ক্লাস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। আমি বিজ্ঞান শাখায় প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু বিজ্ঞান শাখার নির্বাচনটি হয়নি। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হই।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, এরপর যখন ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে ভর্তি হই, তখন ২০০৩ সালে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের এজিএস পদে দায়িত্ব পালন করি। ২০০৪ সালে আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হই। তখন থেকেই বিএনপি জামাত জোট সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পুরোদমে মাঠে নামি। জেলা সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচিগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। তখন আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটা ও টিয়ারসেলে একাধিকবার আহত হই। তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে রাজপথে মিছিল মিটিং করেছি। সাহারা খাতুনের যিনি জুনিয়র ছিলেন জগলুল কবির তিনি আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, তার নির্দেশে আমরা ঢাকায় আন্দোলন সংগ্রামে যোগদান করি। আন্দোলন করতে গেলে একবার আমি সহ বেশকজনকে পুলিশ আটকও করেছিল। আমরা কৌশলে ছাড়া পাই।

ওই সময়ের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে যখন জঙ্গীদের বোমা হামলা হয়, তখন আমরা আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করি। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছিলাম। ঠিক ওইদিনই গাজীপুর কোর্টে বোমা হামলা হয়। সেখানে অনেক আইনজীবী মারা যান। সেই ঘটনায়ও আমরা আন্দোলন করি।

বিএনপি জামাত সরকার আসলে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে গিয়ে নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অনেকবার আহত হয়েছি। বিএনপির আমলে আমার পরিবার ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়। আমার বাবা (বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য আলাউদ্দীন আহমেদ) মামলার শিকার হন। বিএনপির ক্লাব ভাংচুর অগ্নিসংযোগ মামলায় আমার চাচাতো ভাইকেও আসামি করা হয়। চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান সৈনিকলীগের সেক্রেটারি ছিলেন। আবার বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমাদের পুরো পরিবারই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমার চাচা আছেন মুলদলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি পদে। আরেক চাচাতো ভাই যুবলীগের রাজনীতিতে। আমার মামা সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক পদে রয়েছেন। মামাতো ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছেন।

ওই সময়কার কথা টেনে তিনি আরও বলেন, ওই সময় আমার বাবা মামলার শিকার হন। চাচাতো ভাই কারাভোগ করেন এবং তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়। বিএনপির আমলে জননিরাপত্তা আইন করা হয়, যেখানে সিডিউল ননসিডিউল দুটি মামলায় আসামি করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আমার বাবা ও চাচাতো ভাই মামলা থেকে খালাস পান। যখন প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু ছিল না, ঠিক সেই সময়ে আমার চাচাতো ভাই, আমার বাবা মামলার শিকার হন।

আইনজীবী নেতা আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর তখন আমরা কঠোর আন্দোলন করি। তখন ঢাকা থেকে আমাদের নির্দেশনা দিতো, আমরা সেই নির্দেশনা মতে রাজপথে আন্দোলন করতাম। ঢাকায় যোগদান করতাম। এমনও ঘটনা হয়েছে আমরা আইন কলেজের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় মিছিল করতে গিয়েছি। তখন ঢাকার কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। নেত্রী যখন বিশেষ কারাগারে আটক তখনও আমরা আন্দোলন করেছি। রাজপথে মিছিল করেছি। ওই সময় ঢাকায় মুক্তাঙ্গনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকাবস্থাতেও আমরা ঢাকায় মিছিল করেছি।

বন্দর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে আপনিও আলোচনায় রয়েছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই শুদ্ধি অভিযান কার্যকর হলে বন্দরে যারা নিজেদের সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশা করছেন আমি মনে করি শুদ্ধি অভিযানে তাদের চেয়ে আমি বিবেচনায় এগিয়ে থাকবো । এখন যারা বন্দরে কমিটি গঠন করবেন তারা যদি নেত্রীর শুদ্ধি অভিযানটিকে গুরুত্ব দেন তাহলে আমি আশাবাদী। কারন কার কতটুকু দলে ভুমিকা রয়েছে সেই দিকটি বিবেচনা করলে আমিও একজন সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি এবং আশা রাখি আমাকে দলের জন্য কাজ করতে দল আমাকে দায়িত্ব দিবে। দল যদি মনে করে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিলে দলের উপকার হবে তাহলে আমি প্রস্তুত আছি দায়িত্ব পালনে।

এ প্রসঙ্গে তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, আমি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনীতি করি না। আমি দলের রাজনীতি করি। কোন ব্যক্তির তপস্যাও করি না। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমাকে যদি সেক্রেটারি পদে দল আসীন করে তাহলে আমি ঠিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই রাজনীতি করব। কিন্তু আমাকে কোন ব্যক্তির তোষামোদের রাজনীতি করানো যাবে না এবং আমি করবও না।

স্পষ্টভাষী এই তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, আমি দায়িত্ব পেলে প্রতিটা ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটিগুলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দিয়েই গঠন করব। প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরই মূল্যায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর যেই শুদ্ধি অভিযান সেটা বাস্তবায়নে কাজ করব। কোন হাইব্রীড কাউয়াকে পদে রাখবো না।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, আমি সব সময় বন্দরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি এবং নেতাকর্মীরা আমাকে ডাকলে যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে ছুটে যাই। এখন আরো যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখেছি। তাদের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু হাইব্রীড কিংবা কোন ব্যক্তিকেন্দ্রীক রাজনীতি করে এমন ব্যক্তিরা আমার কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারবে না। প্রকৃত কর্মীরাই আমার কাছে মুল্যায়িত হবে।

নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী দাবি করে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা আরও বলেন, আমিও নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী মনে করি। নেতৃত্ব দিতে হলে আমি কর্মীদের সুখে দুঃখে কতটুকু ভুমিকা পালন করতে পারি সেটাই দেখার বিষয়। আমি বিশ্বাস করি যদি কোন কর্মীর সমস্যা হয় আমি কর্মীর পাশে দাড়াবো, দলীয়ভাবে হোক বা ব্যক্তিগতভাবে হোক তাদের পাশে দাড়াবো। কর্মীদের পাশে সব সময় থাকবো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। আমি জনগণের কল্যাণে কাজ করব। আামি সামাজিকভাবেও কাজ করে থাকি। এলাকার মসজিদ কমিটিতে রয়েছি। এলাকায় পাঠাগার করেছি। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ সব সময় আমাকে তাদের পাশে তারা পায়। তরুণ সমাজ আমাকে ডাকলেই তাদের পাশে পায়। তাদের সমস্যার কথা শুনি এবং যতটুকু পারি তাদের পাশে থাকি।দল যদি আপনাকে নেতৃত্ব দেয় তাহলে বন্দরে আওয়ামীলীগের প্রথম কাজ কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান বাস্তবায়নে কাজ করব। কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটি গঠনে ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামীলীগ কর্মীদের মূল্যায়ন করব। কাউকে কোন সংগঠনের দায়িত্ব দেয়ার আগে তার পরিবার স্বাধীনতা বিরোধ কিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক কিনা এগুলো খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব দিব। যাদেরকে এলাকার মানুষ পছন্দ করে, সমাজে সমাদৃত এবং যাদের কথায় আওয়ামীলীগের ভোট বাড়বে তাদেরকেই পদে রাখবো। সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো মানুষকে বুঝাতে পারবে এমন ব্যক্তিদেরকেই দায়িত্ব দিব।

দলের প্রতি আপনার আহ্বান কি জানতে চাইলে তিনি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নেত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, আমি মনে করি, তাতে সঠিক নেতৃত্ব আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতেই বাংলাদেশ বিশে^র দরবারে সমাদৃত হবে। নেত্রীর হাতেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে ওঠবে। তার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের হাতেই বন্দরের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার দাবি জানাই। যারা বন্দর থানায় কমিটি দিবেন তারা যেনো বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের বাছাই করে কমিটি দেন সেই আহ্বান জানাই। এক্ষেত্রে যেনো কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে কমিটি গঠন করেন। কোন ব্যক্তির রাজনীতিকে যেনো তারা কোন মূল্যয়ান না করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর থিম অনুযায়ী যেনো কমিটি গঠন করেন সেই প্রত্যাশাই নেতৃবৃন্দের কাছে করি।

‘আমাকে দিয়ে কোন ব্যক্তির রাজনীতি করানো যাবেনা, আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশি অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ বলেছেন, আমি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনীতি করি না। আমি দলের রাজনীতি করি। কোন ব্যক্তির তপস্যাও করিনা। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমাকে যদি সেক্রেটারি পদে দল আসীন করে তাহলে আমি ঠিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই রাজনীতি করব। কিন্তু আমাকে কোন ব্যক্তির তোষামোদের রাজনীতি করানো যাবেনা, কোন ব্যক্তির রাজনীতি করানো যাবেনা এবং আমি করবও না।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তরুণ এই আওয়ামীলীগ নেতা। বন্দর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে আপনিও আলোচনায় রয়েছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

এর আগে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই শুদ্ধি অভিযান কার্যকর হলে বন্দরে যারা নিজেদের সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশা করছেন আমি মনে করি শুদ্ধি অভিযানে অনেকের চেয়ে বিবেচনায় আমিই এগিয়ে থাকবো। এখন যারা বন্দরে কমিটি গঠন করবেন তারা যদি নেত্রীর শুদ্ধি অভিযানটিকে গুরুত্ব দেন তাহলে আমি আশাবাদী। কারন কার কতটুকু দলে ভুমিকা রয়েছে সেই দিকটি বিবেচনা করলে আমিও একজন সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি এবং আশা রাখি আমাকে দলের জন্য কাজ করতে দল আমাকে দায়িত্ব দিবে। দল যদি মনে করে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিলে দলের উপকার হবে তাহলে আমি প্রস্তুত আছি দায়িত্ব পালনে।

স্পষ্টভাষী এই তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, আমি দায়িত্ব পেলে প্রতিটা ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটিগুলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দিয়েই গঠন করব। প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরই মূল্যায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর যেই শুদ্ধি অভিযান সেটা বাস্তবায়নে কাজ করব। কোন হাইব্রীড কাউয়াকে পদে রাখবো না।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, আমি সব সময় বন্দরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি এবং নেতাকর্মীরা আমাকে ডাকলে যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে ছুটে যাই। এখন আরো যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখেছি। তাদের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু হাইব্রীড কিংবা কোন ব্যক্তিকেন্দ্রীক রাজনীতি করে এমন ব্যক্তিরা আমার কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারবে না। প্রকৃত কর্মীরাই আমার কাছে মুল্যায়িত হবে।

নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী দাবি করে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা আরও বলেন, আমিও নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী মনে করি। নেতৃত্ব দিতে হলে আমি কর্মীদের সুখে দুঃখে কতটুকু ভুমিকা পালন করতে পারি সেটাই দেখার বিষয়। আমি বিশ্বাস করি যদি কোন কর্মীর সমস্যা হয় আমি কর্মীর পাশে দাড়াবো, দলীয়ভাবে হোক বা ব্যক্তিগতভাবে হোক তাদের পাশে দাড়াবো। কর্মীদের পাশে সব সময় থাকবো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। আমি জনগণের কল্যাণে কাজ করব। আামি সামাজিকভাবেও কাজ করে থাকি। এলাকার মসজিদ কমিটিতে রয়েছি। এলাকায় পাঠাগার করেছি। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ সব সময় আমাকে তাদের পাশে তারা পায়। তরুণ সমাজ আমাকে ডাকলেই তাদের পাশে পায়। তাদের সমস্যার কথা শুনি এবং যতটুকু পারি তাদের পাশে থাকি।

দল যদি আপনাকে নেতৃত্ব দেয় তাহলে বন্দরে আওয়ামীলীগের প্রথম কাজ কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান বাস্তবায়নে কাজ করব। কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটি গঠনে ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামীলীগ কর্মীদের মূল্যায়ন করব। কাউকে কোন সংগঠনের দায়িত্ব দেয়ার আগে তার পরিবার স্বাধীনতা বিরোধ কিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক কিনা এগুলো খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব দিব। যাদেরকে এলাকার মানুষ পছন্দ করে, সমাজে সমাদৃত এবং যাদের কথায় আওয়ামীলীগের ভোট বাড়বে তাদেরকেই পদে রাখবো। সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো মানুষকে বুঝাতে পারবে এমন ব্যক্তিদেরকেই দায়িত্ব দিব।

দলের প্রতি আপনার আহ্বান কি জানতে চাইলে তিনি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নেত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, আমি মনে করি, তাতে সঠিক নেতৃত্ব আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতেই বাংলাদেশ বিশে^র দরবারে সমাদৃত হবে। নেত্রীর হাতেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে ওঠবে। তার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের হাতেই বন্দরের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার দাবি জানাই। যারা বন্দর থানায় কমিটি দিবেন তারা যেনো বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের বাছাই করে কমিটি দেন সেই আহ্বান জানাই। এক্ষেত্রে যেনো কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে কমিটি গঠন করেন। কোন ব্যক্তির রাজনীতিকে যেনো তারা কোন মূল্যয়ান না করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর থিম অনুযায়ী যেনো কমিটি গঠন করেন সেই প্রত্যাশাই নেতৃবৃন্দের কাছে করি।

এদিকে ইতিমধ্যে বন্দরে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে যে ক’জন প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন তাদের চেয়ে সবদিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা এই আইনজীবী নেতার। তার রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস। সেই সঙ্গে বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করেছিলেন। এক এগারোর সময় যখন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি পুুরোদস্তর রাজপথে ঝাপিয়ে পড়েন। নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছেন। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অনেকবার আহত হয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত তার পরিবারটিও। এবার তিনি বন্দর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক। তিনি দাবি করেন তিনি নেত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান সেই অভিযান বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন। কোন সুবিধাবাদী ও হাইব্রীডদের তিনি কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটির নেতৃত্বে রাখবেন না। যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করবেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করবেন সেই সব প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়েই প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠন করবেন।

জানাগেছে, বর্তমানে অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে সৈনিকলীগের রাজনীতিতে করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের তিনি প্রাথমিক সদস্য। তিনি রয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদেও। বন্দরে ছাত্রলীগ যুবলীগের কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রিতার কারনে ওইসব সংগঠনের নেতৃত্বে আসা তার সম্ভব হয়নি।

আরও জানা গেছে, ২০১২-১৩ সালে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়তা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন।

 

রাজনীতিতে আসার শুরুর ইতিহাস জানতে চাইলে আইনজীবী মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করি। ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন কামরুল ইসলাম। আমি ওই সময় তেমন একটা না বুঝলেও ওই সময় থেকেই ছাত্রলীগের মিছিল মিটিং যাই। ছোট ছিলাম তখনই আমি মিছিলে যাই। পরবর্তীতে স্কুল জীবন শেষ করে যখন সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি হই তখন ক্লাস কমিটি গঠন করা হয়। তখন আমার ভাই কামরুল ইসলাম মিলন ক্লাস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। আমি বিজ্ঞান শাখায় প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু বিজ্ঞান শাখার নির্বাচনটি হয়নি। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হই।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, এরপর যখন ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে ভর্তি হই, তখন ২০০৩ সালে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের এজিএস পদে দায়িত্ব পালন করি। ২০০৪ সালে আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হই। তখন থেকেই বিএনপি জামাত জোট সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পুরোদমে মাঠে নামি। জেলা সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচিগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। তখন আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটা ও টিয়ারসেলে একাধিকবার আহত হই। তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে রাজপথে মিছিল মিটিং করেছি। সাহারা খাতুনের যিনি জুনিয়র ছিলেন জগলুল কবির তিনি আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, তার নির্দেশে আমরা ঢাকায় আন্দোলন সংগ্রামে যোগদান করি। আন্দোলন করতে গেলে একবার আমি সহ বেশকজনকে পুলিশ আটকও করেছিল। আমরা কৌশলে ছাড়া পাই।

ওই সময়ের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে যখন জঙ্গীদের বোমা হামলা হয়, তখন আমরা আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করি। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছিলাম। ঠিক ওইদিনই গাজীপুর কোর্টে বোমা হামলা হয়। সেখানে অনেক আইনজীবী মারা যান। সেই ঘটনায়ও আমরা আন্দোলন করি।

বিএনপি জামাত সরকার আসলে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে গিয়ে নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অনেকবার আহত হয়েছি। বিএনপির আমলে আমার পরিবার ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়। আমার বাবা (বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য আলাউদ্দীন আহমেদ) মামলার শিকার হন। বিএনপির ক্লাব ভাংচুর অগ্নিসংযোগ মামলায় আমার চাচাতো ভাইকেও আসামি করা হয়। চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান সৈনিকলীগের সেক্রেটারি ছিলেন। আবার বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমাদের পুরো পরিবারই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমার চাচা আছেন মুলদলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি পদে। আরেক চাচাতো ভাই যুবলীগের রাজনীতিতে। আমার মামা সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক পদে রয়েছেন। মামাতো ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছেন।

ওই সময়কার কথা টেনে তিনি আরও বলেন, ওই সময় আমার বাবা মামলার শিকার হন এবং চাচাতো ভাই কারাভোগও করেন, তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়। বিএনপির আমলে জননিরাপত্তা আইন করা হয়, যেখানে সিডিউল ননসিডিউল দুটি মামলায় আসামি করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আমার বাবা ও চাচাতো ভাই মামলা থেকে খালাস পান। যখন প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু ছিল না, ঠিক সেই সময়ে আমার চাচাতো ভাই, আমার বাবা মামলার শিকার হন।

আইনজীবী নেতা আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর তখন আমরা কঠোর আন্দোলন করি। তখন ঢাকা থেকে আমাদের নির্দেশনা দিতো, আমরা সেই নির্দেশনা মতে রাজপথে আন্দোলন করতাম। ঢাকায় যোগদান করতাম। এমনও ঘটনা হয়েছে আমরা আইন কলেজের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় মিছিল করতে গিয়েছি। তখন ঢাকার কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। নেত্রী যখন বিশেষ কারাগারে আটক তখনও আমরা আন্দোলন করেছি। রাজপথে মিছিল করেছি। ওই সময় ঢাকায় মুক্তাঙ্গনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকাবস্থাতেও আমরা ঢাকায় মিছিল করেছি।

ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদ প্রত্যাশি কারানির্যাতিত রাসেল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদ প্রত্যাশি কারানির্যাতিত নেতা রাসেল মাহামুদ। ইতিমধ্যে তিনি সেই লক্ষ্যে ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছেন। ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।

জানাগেছে, বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার রাজপথে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন রাসেল মাহামুদ। দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করে এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে এসেছেন। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলেন রাসেল মাহামুদ।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ৪৭ জন নেতাকর্মী নিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রাসেল মাহামুদ। ওই মামলায় তিনি ৩১ দিন কারাভোগ করেন। এর আগেও তিনি বিএনপির রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমানের সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছেন রাসেল মাহামুদ। এবার তিনি ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদ প্রত্যাশা করছেন।

এ বিষয়ে রাসেল মাহামুদ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছি। দীর্ঘদিন ছাত্রদলের সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করছি। আমি রাজপথে ঘাম ঝড়িয়েছি। হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ৩১ দিন কারাভোগ করেছি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ৪৭ জন নেতাকর্মী সহ আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রার্থী। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজ করছি। আমার ত্যাগের বিনিময়ে আমি আমার যোগ্যতম পদই প্রত্যাশা করছি। এখণ দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দিলে আমি পূর্বের চেয়ে আরো বেশি রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রাখবো ইনশাহআল্লাহ।

আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি নির্যাতিত গাজী এমএ মাসুদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে সিডিউল ও ননসিডিউল মিলিয়ে প্রায় এক ডজনেরও বেশি মামলার আসামি হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার বিএনপি নেতা গাজী এমএ মাসুদ। নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেয়াই হয়ে গেছে তার প্রতিদিনের কাজ। তবুও দলের প্রতি তার অঘাত ভালবাসার টানে রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে দাড়াননি। যার ফলশ্রুেিত তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য পদে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তিনি আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি।

জানাগেছে, আশির দশকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন গাজী এমএ মাসুদ। ১৯৮৯ সালে আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন এবং সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও ২০১৪সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনায় থাকলেও তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। তিনি আড়াইহাজার থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গাজী এমএ মাসুদ যিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের তৃনমূল থেকে উঠে আসা রাজপথের একজন পরীক্ষিত বিএনপির নেতা। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর নেতৃত্বে জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন গাজী এমএ মাসুদ। যার ফলে তার ভাগ্যে জুটেছে পুলিশি নির্যাতন হামলা ও এক ডজনেরও বেশি মামলা। তার ত্যাগের মূল্যায়ন চায় বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা। তাকে আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি পদে দেখতে চান সক্রিয় নেতাকর্মীরা।

বিআইডব্লিউটিএ এর আপত্তি, থমকে গেল বালু নদীতে সেতু নির্মাণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে বালু নদীর উপর সড়ক ও জনপথের নির্মাণাধীন সেতুর কাজ থমকে গেল বিআইডব্লিউটিএ এর আপত্তির কারনে। সেতুর কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন হওয়ার পর গত জুন মাসে ওই আপত্তির পর সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে রুপগঞ্জের সাথে ঢাকার যোগাযোগ অধিক সহজতর হবে। সেতু নির্মাণে বাধা দূর করতে আগামী ১১ নভেম্বর আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানাগেছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, রুপগঞ্জের মাঝিনা-কায়েতপাড়া-ত্রিমোহনী সড়কের চতুর্থ কিলোমিটারে বালু নদীর উপর ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার আরসিসি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে।

২০০৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সেতুর ৬০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর সেতুর সংযোগ সড়কের ভুমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়ের মোট ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছিল ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এরপর ভুমি অধিগ্রহনের ওই জটিলতা দূর করতে সময় লাগে ১৫ বছর। চলতি বছরের মে মাসে পুনরায় সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। ঠিকাদার সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ শুরু করে মূল সেতুর অবশিষ্ট কাজ শুরু করার সময়ে গত ২৫ জুন বিআইডব্লিউটিএ একটি আপত্তি দেয়। এতে সেতুর নির্মাণ কাজ আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সেতুটির নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগ-২এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সেতুটির নির্মাণের সময় ভার্টিকেল ক্লিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল হতে ১২দশমিক ২০ মিটার রাখতে হবে এবং এক গার্ডার থেকে অপর গার্ডারের মধ্যে ৭৬ দশমিক ২২মিটার ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। বালু নদীকে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নদী হিসেবে উন্নীত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আমাদের সেতু ডিজাইন বিভাগ নদীটিকে তৃতীয় শ্রেণীর বিবেচনায় ডিজাইন সম্পন্ন করে। এই ডিজাইন অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করে গত ১৬ মে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেতুর প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিআইডব্লিউটিএ এ আপত্তি জানায়। অথচ বালু নদীর উপর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি ১০৯ মিটার দীর্ঘ সেতু এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১১০ দশমিক ৫০ মিটার দীর্ঘ কায়েতপাড়া সেতুটি নির্মাণ করেছে বালু নদীকে তৃতীয় শ্রেণীর নদী অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রেখে। এই সেতু দুটির মধ্যিখানে সওজ এর নির্মাণাধীন আমাদের সেতু। ওই দুটি সেতুর ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ মিটার এবং এক গার্ডার থেকে অন্যটির দূরত্ব রাখা হয়ে যথাক্রমে ৩৪ দশমিক ৫০ মিটার এবং ২৫ দশমিক ৫০ মিটার।

ওই প্রকৌশলী আরো বলেন, আমরা সরেজমিনে দেখেছি বালু নদী একটি শাখা নদী। সেখানে বড় কোন নৌযান চলাচল করে না। শুষ্ক মৌসুমে নদীটিতে সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ মিটার পানি থাকে এবং এর প্রসস্থতা ২৫ থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে নেমে আসে। এছাড়াও আমাদের সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার। বিআইডব্লিউটিএ বলেছে গার্ডারের মাঝে গ্যাপ রাখতে হবে ৭৬ দশমিক ২২ মিটার। অথচ নদীটির বিদ্যমান অবস্থায় এধরনের প্রসস্থতা নেই।

প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুটি নির্মাণ না হলে ইতিপূর্বে যে টাকা খরচ হয়েছে তার পুরোটাই অপচয় হবে। আর সেতুটি নির্মান সম্পন্ন হলে রুপগঞ্জের সাথে সড়কপথে রাজধানীর সরাসরি সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের এ দাবি পূরণ হলে তারাও উপকৃত হবেন।

সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী কাজ করছেন জানিয়ে ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, ১১ নভেম্বর এ বিষয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী দিলেন সাইফউল্লাহ বাদল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেছেন, মাদক ও অপরাধ কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে হলে প্রতিটি এলাকায় খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে। খেলাধুলা মানুষের মনে যেমন আনন্দ দেয় তেমনি এলাকায় অপরাধ অনেকটাই দুর হয়। তাই অপরাধ দুর করতে হলে খেলাধুলার আয়োজনের বিকল্প নাই। খেলাধুলার করলে যুব সমাজের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ তৈরি হয়। এতে করে এলাকার যুবকদের হানাহানি ঘটনা থেকে বিরত রাখে। আর আমি চাই কাশিপুর থেকে জাতীয় পর্যায়ের ২/১ খেলোয়ার বের হয়ে কাশিপুরের নাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়–ক সেই প্রত্যাশা করছি।

৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লার কাশীপুর প্রাইমারী স্কুল মাঠে ঐতিহ্যবাহী কাশীপুর ক্লাবের উদ্যোগে চেয়ারম্যান গোল্ড ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী করে সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদেরকে বলতে চাই মাদক ব্যবসা করে কাশিপুরের মাটিতে শান্তিতে থাকতে পারবে না। এখনো সময় আছে মাদক ব্যবসা ছেড়ে সঠিক পথে ফিরে আসুক। মাদক ব্যবসা না করে রিকশা চালিয়ে যেই টাকা উপার্জন করবে সেটা যদি তাদের স্ত্রী সন্তানকে খাওয়ানো হয় তার আনন্দের আর কিছু নেই। কিন্তু যারা মাদক ব্যবসা করে মাদকের টাকা দিয়ে স্ত্রী সন্তানকে বরণপোষন করে তার বড় খারাপ কিছু হতে পারে না। এটা তাদের সন্তানের জন্য অভিশপ্ত জীবন বলে আমি মনে করছি।

অনুষ্ঠানে কাশিপুর ক্লাবের সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, কাশিপুর ক্লাবের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন আহম্মেদ রবি প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য মরিয়ম আক্তার, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশিপুর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিসান আহম্মেদ তুরাজ, শহিদুল্লাহ স্বপন, ইমরান হোসেন ইমু, শাওন শিকদার প্রমূখ।

এদিকে চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় কাশিপুর এএনএস নেটওয়ার্ক বনাম কাশিপুর হাটখোলা যুব সমাজ। এ দুটি দলের খেলায় এএনএস নেটওয়াককে ৪-০ গোলে পরাজিত করে কাশিপুর হাটখোলা যুব সমাজ দল।

সর্বশেষ সংবাদ