র‌্যাবের অভিযানে ৬মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, ৫০ কেজি গাঁজা ও ফেন্সিডিল উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক সহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৪৮৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে মাদক বিক্রয়ে ব্যবহৃত একটি কভার্ডভ্যান, একটি ট্রাক ও একটি লেগুনা জব্দ করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাবের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন।

তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে ৬ মার্চ রাত দেড়টার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষারিয়ারচর, মেঘনাঘাট এলাকায় পরিচালিত র‌্যাব-১১ এর চেকপোস্টে পণ্য বোঝাইকৃত কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী একটি হলুদ রংয়ের সন্দিগ্ধ কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশী করে ২৫০ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রির নগদ ২০ হাজার ৯’শ টাকা উদ্ধার সহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারতরা হলো- মোঃ সেলিম(৪৯), মোঃ হাফিজুর রহমান(৩৫) ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৬) একজন বালক। অভিযানে মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানটিও জব্দ করা হয়।

এ ছাড়াও পরবর্তীতে ভোর ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তারাবো বিশ্বরোড এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযানে গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করার সময় লেগুনায় তল্লাশী করে ২৩৭ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারতরা হলো- মোঃ রমজান শেখ ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তল্লাশীকালে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত লেগুনাটিও জব্দ করা হয়।

একই দিন শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বালুয়াকান্দি, তেতুলতলা, হামর্দদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ১টি ট্রাকে গাঁজা বহনকালে তল্লাশী করে ড্রাইভারের সীটের পিছনে কেবিনে টুল বক্সের ভিতর ২৫টি পোটলায় প্রতিটি পোটলা ২ কেজি করে মোট ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রবি মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তল্লাশীকালে মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়।

কনের হাতে আংটি পড়াতে যাওয়ার পথে বাবা ভাই নিয়ে বর সহ নিহত ১০

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মাত্র এক মাস পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার থেকে দেশে এসেছেন বিয়ে করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন প্রবাসী ইমন খান (২৫)। ৬ মার্চ শুক্রবার হবু স্ত্রী জেরিন তালুকদারকে আনুষ্ঠানিকভাবে আংটি পড়ানোর কথা ছিল তার। বাবা ছোট ভাই সহ আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হবু শ^শুর বাড়িতে যাওয়ার আগেই সড়ক দূর্ঘটনায় বর সহ ৯জন নিহত হয়েছেন।

একটি দূর্ঘটনায় বিয়ের উৎসবের পরিবর্তে ইমন সহ ১০জন পরপাড়ে চলে গেছেন। ইমনের হবু শশুর বাড়ি যাওয়ার আগেই একটি দূর্ঘটনায় সব কিছু উলটপালট করে দিয়েছে। আর কাতার প্রবাসী ইমনের পরিবারের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে গেছে। ইমনের বাড়িতে বিয়ের উৎসবের পরিবর্তে এখন শোকের ছায়া নেমে আসে।

৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা মুসলিমপাড়া এলাকা হতে সিলেটের সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- ফতুল্লার পাগলা মুসলিমপাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে বিয়ের বর ইমন খান, বরের বাবা আব্বাস উদ্দিন, বরের ছোট ভাই রাব্বী, একই এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে সুমনা আক্তার, তোতা খানের ছেলে ইমরান হোসেন, আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব, মজিবুর রহমানের স্ত্রী আসমা আক্তার, আব্দুল গনির ছেলে খলিলুর রহমান, বেলায়েতের মেয়ে শিশু খাদিজা আক্তার ও বৃদ্ধ মহসিন।

এ ছাড়াও ঘটনায় আহত হয়েছেন গাড়ির ড্রাইভার নাদিম ৩৬, আবুল হোসেন ও রফিক।

নিহত ইমন খানের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তারা স্বপরিবার ফতুল্লার পাগলা মুসলিমপাড়া বসবাস করে। তার বড় ভাই ইমন কাতারে ছিল। বিয়ে করার উদ্দেশ্যে গত এক মাসে ছুটিতে দেশে আসেন। ইমনকে ধুমধাম করে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনার আয়োজন শুরু করে। আর সিলেটের সুনামগঞ্জের কনে পছন্দ হলে শুক্রবার কনেকে আংটি পড়ানোর অনুষ্ঠানে দুরের পথ হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি ভাড়া করা গাড়িতে ইমন খান সহ ১৩জন সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু কনের বাড়ি যাওয়ার আগে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ইমন, তার বাবা, ছোট ভাই সহ ৯ জন মারা যায় এমন সংবাদ পাই।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর শুক্রবার ভোরে আমাদের বাড়ির লোকজন লাশ আনতে সুনামগঞ্জে রওনা হয়। আর শুক্রবার দুপুরে আরেকজনের মৃত্যুর সংবাদ পাই। একটি সড়ক দূর্ঘটনায় ইমন ভাইয়ের বিয়ের উৎসবের পরিবর্তে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। আল্লাহর কাছে কি অপরাধ করলাম আমাদের পরিবারকে দুই টুকরো করে দিয়ে গেলো।

ঘটনার পর শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে পুলিশকে জানিয়েছেন ইমনের বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। হবু কনেকে আংটি পড়াতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন তারা। আর সড়ক দূর্ঘনায় নিহতদের লাশগুলো উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে চোরাইকৃত তেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতের আধারে মালবাহী পরিবহন থেকে তেল চুরির সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ।

৬ মার্চ শুক্রবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোনারগাঁ থানাধীন কাচঁপুর ইউনিয়নের বেসিক শিল্পনগরী ১নং গেটের সামনে গাড়ি থেকে তেল চুরি করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৯০ লিটার ডিজেল উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর হাইওয়ে রিজিওনের পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খান সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করে জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র মহাসড়কে তেল চুরি করে আসছে। কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের নেতৃত্বে দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং ট্রাক ড্রাইভার আক্তার হোসেন সাগর বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে চুরি ছিনতাই সহ সকল অপতৎপরতা রোধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এ ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক, কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন প্রমূখ।

শামীম ওসমান অবশ্যই গডফাদার: মেয়র আইভী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান অবশ্যই গডফাদার বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্যে করে এও বলেছেন, ‘আপনি নিজেই প্রমান করেছেন আপনি সন্ত্রাসীদের গডফাদার।’

শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে মেয়র আইভী বলেন, ‘গডফাদার খেতাব আপনি একসময় বলেছেন আপনাকে নাকি দুইটা পত্রিকা বানিয়েছে আপনি গডফাদার। কিন্তু আপনি নিজেইতো প্রমাণ করলেন। আপনার কাছে হাজার হাজার অস্ত্র ছিল যে অস্ত্র পুলিশের ভান্ডারও নাই। তাহলে আপনি কোথা থেকে এত অস্ত্র পান? তাহলে আপনিতো অবশ্যই গডফাদার। তাহলে এতদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ বলে এসেছে আপনার পরিবার প্রচুর হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল। তাহলে সেটাই সত্য।’

৬ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় শেখ রাসেল নগর পার্কের মুক্ত মঞ্চে নারায়ণগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৭বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সন্ত্রাস নিমূল ত্বকী মঞ্চের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশু সমাবেশ, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে মেয়র আইভী আরও বলেন, আপনি প্রশাসনকে ভয় দেখাতে চান? আমার মনে হয়না একজন কনস্টেবলও আপনাকে ভয় পায়। আমার মনে হয়না এই শহরের একটা রিকশাওয়ালাও আপনাকে ভয় পায়। আমার মনে হয়না এই শহরের একজন ছোট্ট বাচ্চাও আপনাকে ভয় পায়। কারণ ওই জুজুর ভয় দেখিয়ে আপনি আমাদের শহরের মধ্যে আর গডফাদার এই ভয় আমরা পাইনা।

অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস নির্মুল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম, কবি হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শামসুল আলম আজাদ ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল ইসলাম কাজল প্রমূখ।

এখানে উল্লেখ্যয্যে, গত ১ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২০’ এর আলোচনা সভায় শামীম ওসমান ৯০’দশকের সহিংস রাজনীতির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘২০০১ সালের আগে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ফোর্সের কাছে যত অস্ত্র ছিল তার চেয়ে বেশি অস্ত্র একা আমার নিজের কাছেই ছিল। আজকে আমার গাড়িতে অস্ত্র আছে কি না তা আমি নিজেও জানি না।’

অতীত সহিংস রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে দাবি করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক দর্শন আগে ছিল একরকম। নিজের জন্য করতাম। জিন্দাবাদ শুনতে ভালো লাগতো। ২০০১ সালের পরে আমার এই চিন্তা পরিবর্তন হয়েছে।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেছিলেন, ‘সে সময় সদর থানার ওসি ছিল মঞ্জুর কাদের। তার ওপর একটি বাড়ি থেকে এসে হামলা চালানো হলো। ওই বাড়ি থেকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা এসে ওর উপর হামলা করলো। তখন চাষাড়ার সকল হকারকে আমরা পলিটিক্যাল মটিভেশন করেছিলাম। এর জন্য হকারদের প্রতি আলাদা একটা টান আছে। তারা লাঠি নিয়ে পাহারা দিত। যে মুহূর্তে পুলিশের উপর অ্যাটাক হয়েছিলো এই টোটাল হকাররা লাঠি নিয়ে তাদেরকে ঘেরাও করে ফেলেছিল। এ কারণেই ওরা কিন্তু নারায়ণগঞ্জে কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে নাই।

৭মার্চ কারাবন্ধি দিবসে যুবদল নেতাদের দাবি: তারেক জিয়া দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৭ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, তারেক রহমান কেবল একজন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই নন, একই সাথে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে, তেমনি এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে।

তিনি আরও বলেন, এই ত্রিমাত্রিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যগত পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যক্তি তারেক ক্রেজ সকল পরিচয় ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তার পারদে গোটা বাংলাদেশে ইতিপূর্বে বহু চড়াই-উতরাইয়ের পরেও বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে ঝড় তুলা, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন জাগানো যে নামটি বাংলাদেশের সবুজ প্রান্ত ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিমলে জননায়কের নিয়মকে পরিনীতি পেয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, সেটা হলো তারেক রহমান। সেটা আপনি আমি স্বীকার করি আর না করি, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির ও উপমহাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে মিশে আছে।

যুবদলের এই নেতা বলেন, তারেকের সবচাইতে বড় যে গুণটি, যা কায়েমি স্বার্থবাদীদের হৃদয়ে কাঁপন এবং সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের সেটা দলের ভিতর, বাইর, কিংবা বিরোধীদলের ভিতর হউক, সমানভাবে মেরুদন্ডে ও প্রাণের মধ্যে তীরের ন্যায় আঘাত করেছে, আর তাহলো- এদেশের তৃণমূলের একজন অতি সাধারণ রাজনীতিক কর্মী, রাজনৈতিক নেতাও সুদূর বগুড়া কিংবা রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নাটোর, সিলেট, খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও ঢাকার রাজনীতিবিদদের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে দলীয় শীর্ষ পদ-পদবী, মন্ত্রী, স্পীকার সব ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ নির্বাচন ও যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ এবং ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

এদিকে যুবদল নেতা আলামিন মেম্বার বলেন, তারেক রহমানের তৃণমূলের এই নেতৃত্ব ও শীর্ষ নেতৃত্ব দাবীদারের অবারিত সুযোগ প্রদানের ফলে দলের ভিতর এমনকি দলের বাইরে বিরোধীদলের কায়েমি স্বার্থবাদী, গুণে ধরা, সেকেলে, পুরনো, পচা, দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা-পচা মরালাশের রাজনীতির ধারক-বাহক-উত্তরাধিকারীদের আঁতে ঘা লেগেছে। আর এই দুই মিলিত শক্তি তারেক জিয়ার উত্থানে ও তরুণ হৃদয়ে ঝড় ও ক্রেজ তৈরির বিপরীতে একাট্টা হয়ে তারেক আতংক তৈরির সকল ক্রিয়া-কান্ড অতি সঙ্গোপনে, অতিবিচক্ষণতার সাথে আস্তে আস্তে এমনভাবে চালু করেছে, যা আজকে এই পর্যায়ে এসেছে, যেখান থেকে একজন স্বাধীনচেতা, সোজা, সরল-মনা, বাংলাদেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ একজন তারেক রহমানকে ঘিরে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মা, মাটি, মানুষ ছেড়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে বড় কষ্ট আর সাদাসিধে জীবন-যাপনে অভ্যন্ত বাংলাদেশের এই তরুণ নেতার একটি মাত্র বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা প্রশাসন ও সরকারি সকল যন্ত্র নড়ে চড়ে এমনভাবে বসে, যেন এই মুহূর্তে তারেক রহমানকে ঘিলে খেয়ে ফেলতে পারলেই সব কেল্লা ফতেহ হয়ে যায়।

যুবদল নেতা নুরুল আমিন বলেন, গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতাদের মতো যদি শুধুমাত্র বাহবা ও হাততালি মার্কা প্রচলিত রাজনীতি করতেন, ৯৯ভাগ রাজনীতিবিদদের মতো দুর্নীতির সাথে আপোষ করতেন, তাহলে কিন্তু তারেক রহমানকে ঘিরে এতো বিতর্ক যেমন হতোনা, কারো জন্য বা কোন দল বা গোষ্ঠীর জন্য তিনি হুমকি হতেন বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেননা।

যুবদল নেতা হান্নান বলেন, কতিপয় অপাংক্তেয়দের অপরিণামদর্শী ব্যবহৃত ক্রিয়ার ফলে তারুণ্যের দৃপ্ততায় মহীয়ান, আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হলো- এটা কি একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তরুণ রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায় নয়? কারণ গোটা সমাজ, সংসার, সংস্কৃতি, একেবারে রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে পচে-গলে গেছে, দুর্নীতির মহোৎসবে নৃত্যরত, সেই রাষ্ট্রের ভিতর থেকে একজন মাত্র তারেক রহমানকে অহেতুক অপ-প্রচারের সাজা দিয়ে শায়েস্তা করার মধ্যে কোন প্রকৃত সৎ-সাহসী মনোভাব কাজ করে কিনা পাঠক মাত্রই তা নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথরে বিচার করবেন।

তাদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন যুবদল নেতা সফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম আশরাফ ও আলামিন খান।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬ শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এইদিনটিকে বিএনপি কারাবন্দি দিবস হিসেবে পালন করে।

তারেক রহমানের কারাবন্দী দিবস আন্দোলনের অনুপ্রেরণা: মাহমুদুর রহমান সুমন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৭ই মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‌‌‌‌‌আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের বড় অনুপ্রেরণা।

বিএনপির রাজপথের সক্রিয় এই নেতা আরও বলেন, ২০০৭ সালের ৭মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬ শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলি নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রোণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

তিনি আরোও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান একুশ শতকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক প্রতিভাবান, সৃজনশীল, উদীয়মান উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভবিষ্যত কান্ডারী। তারেক রহমানের ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতাই তাঁর প্রতি তথ্যসন্ত্রাস ও হিংসাত্মক আক্রমণের মূল কারণ। ১/১১ কিংবা ১/১১ পরবর্তী আওয়ামী সরকার তারেক রহমানের রাজনীতির ইতিবৃত্তকে সুপরিকল্পিতভাবে এবং ঠান্ডা মাথায় স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার কর্তৃক অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন এবং পরবর্তীতে সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালত থেকে মিথ্যা মামলায় জেল-জুলুম-হুলিয়া দিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাধা দেওয়ার মধ্যে দিয়েই ঝলসে উঠা এক রাজনীতিবিদের অপমৃত্যু ঘটানোর হীন অপচেষ্টা ক্ষমতাসীনদের রুটিনকাজে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, সেই সব ষড়যন্ত্রকারীদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে তারেক রহমানের সাথে এ দেশের মাটি ও মানুষের সম্পৃক্ততাকে ছিন্ন করা যাবে না। দেশের সর্বস্তরের মানুষ তারেক রহমানের আগমনের প্রতীক্ষায়। শারীরিকভাবে তার উপস্থিতি না থাকলেও তার অস্তিত্ব অনুভব করে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রতিহিংসা নয়। তারেক রহমান এমন একটি নাম যা সময়ের আবর্তে পরিণত হয়েছে বিশ্বাস এবং আস্থায়।তাই বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপ‘র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় গণতান্ত্রিক ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান অবৈধ ও নির্লজ্জ আওয়ামী সরকারের করুন পতনই হবে তারেক রহমানের ১৪ তম কারা বন্দি দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬ শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলি নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয় বলে বিএনপির দাবি।

বাংলাদেশের বুকে তারেক রহমান এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: মাসুদ মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মিয়া বলেন, বাংলাদেশের বুকে তারেক রহমান এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আপোসহীন নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশের অন্যতম প্রাণ পুরুষ।

বিএনপির এই নেতা সান নারায়ণগঞ্জকে আরোও বলেন, বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের সুখের বাহক তারেক রহমান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক ধারায় আধুনিকায়ন সহ রাজনীতিতে নতুন দিক-নির্দেশনা সৃষ্টি এ উপমহাদেশে দৃষ্টান্ত। তারেক রহমান বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের নিজস্ব সুখ সমৃদ্ধির চিত্র বিশ্ব মানচিত্রে উজ্জ্বল করার জন্য নিয়েছেন অন্যতম প্রধান ভূমিকা। সাম্প্রতিক সময়ে তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে সৃষ্টি করেছে নতুনতর আশার দিক-নির্দেশনা।

তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে উৎসর্গ করেছেন নিজের জীবনকে। একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখতেন সুখী বাংলাদেশী হবে এদেশের সকল মানুষ, থাকবে না শ্রেণী বৈষম্য কিংবা অর্থনৈতিক ব্যবধান। এ ধারাবাহিকতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রেখেছিলেন অব্যাহত। তারেক রহমান আজ এবং আগামীর একজন। তাকে এবং তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অতি সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে উপস্থাপন করা হলো। তার কর্ম বিশাল। কৃষক, শ্রমিক, শীতার্ত, ক্ষুধার্তসহ বন্যা-খরায় বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। তারেক রহমান আছেন, তারেক রহমান থাকবেন। বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নে-চেতনায়-ভালবাসায়। তারেক রহমান স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের মানচিত্র বিশ্ব মানচিত্রে হবে উজ্জ্বল। এ বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রবে বাংলাদেশের দিকে। পরম করুণাময় আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।

এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন অবৈধ মঈনউদ্দিন-ফরুউদ্দিন সরকার মধ্য রাতে ক্যান্টনমেন্টের ৬ শহীদ মইনুল রোডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তাকে তুলি নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রোণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয় বলে বিএনপির অভিযোগ।

ফটো সাংবাদিক শিপনের মায়ের মৃত্যুতে জেলা সংবাদিক ইউনিয়নের শোক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়নগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, দৈনিক খবরের পাতা এবং ফোকাস বাংলার ফটো সাংবাদিক শিপন আহমেদের মা হীরাতুন নেছার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জেলা সংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক আমির হুসাইন স্মিথ। এক শোকবার্তায় সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ মরহুমার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

ত্যাগের মুল্যায়নের অপেক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন নেতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অচিরেই নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন বিভিন্ন থানা/উপজেলা ও পৌর এলাকায় কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সেক্রেটারি মাহবুব রহমান। এমন খবরে রাজপথের ত্যাগ স্বীকার করা নেতারা রয়েছেন ত্যাগের মূল্যায়নের। যারা রাজপথে ঘাম জড়িয়েছেন সেইসব নেতাদের নেতৃত্বেই হবে নাকি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে লবিংয়ের মাধ্যমে কমিটি হবে সেটাই দেখার বিষয়। তবে রাজপথে সক্রিয় ও ত্যাগী নেতারা রয়েছেন আতংকে। কারন যারা রাজপথে তেমন জোড়ালো ভুমিকা রাখেননি তারা এখন শীর্ষ দুই নেতার দুই পাশে ভুমিকা রাখছেন।

নেতাকর্মীদের দাবি মতে, দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন রাসেল মাহমুদ। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজপথে ছাত্রদলের কোন পদে না থেকেও জোড়ালো ভুমিকা রেখেছেন। ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ছাত্রদলের কমিটি না হওয়ার কারনে তিনি পরবর্তীতে ভুমিকা রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে। ডজন খানিক মামলার আসামি হয়েছেন। কারাভোগ করেছেন একাধিকবার। বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।

একইভাবে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক। তিনিও একাধিকাবার কারাভোগ করছেন। ডজন খানিকের বেশি মামলায় আসামি হয়েছেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকছেন তিনি। বছরের পর বছর ছিলেন আত্মাগোপনে।

অন্যদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মনিরুজ্জামান মনিরও রাজপথের সক্রিয় একজন নেতা। আড়াইহাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের মধ্যে তার ভুমিকা রাজপথে জোড়ালো। মামলায় আসামি হয়েছেন তিনিও।

সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির দুই নেতাকে সংবর্ধনা, বিএনপি নেতাকর্মীদের যোগদান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে দুই নেতা স্থান পাওয়ায় তাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয়পার্টি। সংবর্ধনার ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেছেন। তাদেরকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়।

জানাগেছে, সোনারগাঁ পৌর এলাকার সমাজ সেবক ও উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবালকে জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং মাসুদুর রহমান মাসুমকে প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত করায় তাদেরকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে পৌর জাতীয় পার্টি। ওই অনুষ্ঠানে পৌরসভার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয়পার্টিতে যোগদান করায় তাদেরকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়।

৫ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন অবস্থিত জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সোনারগাঁ পৌরসভার জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক এমএ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-পৌর জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম সফিক, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মধু, কাউন্সিলর শাহজালাল মিয়া, পিরোজপুর ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া ও সদস্য শহিদ সরকার প্রমূখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেন সোনারগাঁও পৌর বিএনপি নেতা রেজাউল করিম, শহিদুল্লাহ, গরিবে নেওয়াজ, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ মোল্লা, নজরুল ইসলাম ও মাজহারুল ইসলাম মাস্টার সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

সর্বশেষ সংবাদ