মন্ত্রী গাজীকে দুই শর্ত দিলেন তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর (বীরপ্রতীক)কে দুটি শর্ত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। দুটি শর্তের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থেকে ভূমিদস্যূতার সমস্যা নিরসন করা। তবে বিষয়টি রাজনৈতিক না হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সহ-সভাপতি পদে থাকা না থাকা নিয়ে মন্ত্রী গাজীকে দুটি শর্ত দেন। ওই শর্ত মানলে তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতিতে থাকবেন। অন্যথায় নয়।

জানাগেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি মন্ত্রী গাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ হৃদয়। তাদের দুজনের বরাবর দুটি শর্ত দিয়ে একটি চিঠি দেন তৈমূর আলম খন্দকার।

তৈমূর আলম খন্দকার ওই চিঠিতে লিখেন, জাতি ধর্ম বিশেষ করে দল মত নির্বিশেষে জেলাবাসীর অধিকার আদায় ও নানাবিধ স্বার্থ রক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য জেলার মত নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসীর একটি প্লাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি বিধায়ই গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ থেকে শুরু করে নিজেকে সমিতিতে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। পত্রিকান্তরে দেখলাম যে, বিগত ৭ সেপ্টেম্বর সভায় আমাকে সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি নি¤œবর্ণিত শর্তে সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনে সম্মত রয়েছি।

তৈমূর আলম খন্দকার তার প্রথম শর্তে বলেন, সমিতিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা যেকোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে সমিতির যেকোন সভা বা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। কিন্তু জেলা বহির্ভূত যেকোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা এমপি, মন্ত্রীকে সমিতির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো যাবেনা। তবে রাজনৈতিক ব্যতিত সাংবাদিক, শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবি, পেশাজীবি প্রভৃতি দেশ বরেণ্য জেলা বহির্ভূত যেকোন ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করা যাবে।

তিনি দ্বিতীয় শর্তে বলেন, (ক) নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসীর সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার জন্য সমিতির কার্যনির্বাহীর কমিটির সভা কার্যতালিকাভুক্ত থাকতে হবে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিশেষ করে রূপগঞ্জের প্রধান সমস্যা ‘ভূমিদস্যূতা’। ‘ভূমিদস্যূতা’ থেকে রূপগঞ্জ উপজেলাকে মুক্ত করার উপায় খুঁজে বের করার জন্য সমিতির আগামী সভার আলোচ্য সূচীভুক্ত করার জন্য আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি।

শর্ত শেষে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নহে বরং নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসীর অধিকার আদায়ে অত্র সমিতি গঠনমূলক ও স্বোচ্চার ভূমিকা রাখবে, অন্যথায় সমিতির সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না।