সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কল্যাণ ও আইনজীবী সমাজের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার প্রত্যয় নিয়ে আইনজীবীদের মাঝে ব্যাপক ভোট প্রার্থনায় রয়েছেন সভাপতি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান। আগামী ২৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে সামনে রেখে সকাল থেকে গভীর রাত অবধি আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।
তারা বলছেন, বিগত বছরের অসমাপ্ত উন্নয়নমুলক কাজের অগ্রগতি ও সমাপ্ত করার সুযোগ চাইছেন তারা। একই সঙ্গে বিগত কঠিন একটি বছরে আদালতপাড়ায় আইনজীবীদের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন সরকার হুমায়ুন কবির ও আনোয়ার প্রধান। দলমত নির্বিশেষে আইনজীবীদের পেশা পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন তারা। এ ছাড়াও আইনজীবীদের স্বার্থে জজ কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেট একসাথে রাখতে তারা কঠোর ভুমিকা নিবেন বলেও আইনজীবীদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পূর্ণ প্যানেলের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
সরকার হুমায়ুন কবির ও আনোয়ার প্রধান বলছেন, বিগত ১৭টি বছর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন এতটা গণতান্ত্রিক ও উৎসবমুখর ছিল না, এবার যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে। জামায়াত ইসলামী পৃথক প্যানেল তো দূরের কথা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই তাদের জন্য ছিল দূরহ ব্যাপার। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হওয়ার কারনে আমাদের দলের সিদ্ধান্তের বাহিরেও গিয়েও আরেকটি পৃথক প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, যা অতীতে দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচন নজিরবিহীন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বাছাই করেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। সরাসরি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে আইনজীবীরা তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেছেন এবং সেই প্রার্থীরাই আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এখানে উল্লেখ্যযে, অ্যাডভোকেট হাফিজ মোল্লাকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দীন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে জামায়াত ইসলামী ১৭ জনের পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিএনপির আরেকটি অংশের আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজাকে সভাপতি প্রার্থী ও এসএম গালিবকে সাধারণ সম্পাদক পদ রেখে ১৪ জনের একটি আংশিক প্যানেল দিয়ে ভোটের মাঠে নামেন, যেখান থেকে ইতিমধ্যে আরো দুইজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।