এমপি খোকার নেতৃত্বে উন্নয়নযাত্রায় অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি, কেউ কেউ বাধাঁয়‍!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) সংসদীয় আসনটি।  আসনে টানা দুই মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রয়েছেন জাতীয়পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।  টানা ৭টি বছর যাবত সোনারগাঁয়ের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ড, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো করে আসছেন তিনি।  এসব কাজে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাকে বেশ সহযোগীতা করে আসছেন।  যেখানে দু’একজন জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক কারনে এমপির উন্নয়নমুলক কাজে অসহযোগীতাও করছেন বলেও অভিযোগ আছে ঢেড়।

সামনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ের দু একটি ইউনিয়নে দু’একজন চেয়ারম্যানের পরিবর্তনের দাবি ওঠেছে বেশ জোরালোভাবে।  উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া।  যিনি এমপি খোকার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সামিল হতে যাচ্ছেন সেটা অনুমেয়।  এবার যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে এমপি ও স্থানীয় প্রশাসনকে অসহযোগীতা করে আসছিলেন তাদেরকে ইউনিয়ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বয়কট করবেন বলে স্থানীয়দের দাবি।  তাদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করছেন স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে সমন্বয় করেই উন্নয়নমুলক কাজগুলো করে যাচ্ছেন এবং এমপির উন্নয়নমুলক কাজে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে আসছেন সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ মোল্লা।

এ ছাড়াও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকও এমপির সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়নকাজগুলো করে যাচ্ছেন।  ফলে এসব এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে সমানতালে। যদিও এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নির্বাচন আসলেই এমপির সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়ে দেন।  বাকি সময় সমন্বয়হীনতার অভাব এদের মাঝেও দেখা যায়।

এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদা আক্তার ফেন্সিকে উন্নয়নমুলক কাজে অংশগ্রহণ করে রেখেছেন।  কিন্তু জেলা পরিষদের সদস্য পদে নূরে আলম খানের তেমন কোনো দৃশ্যমান কর্মকান্ড দেখা যায়নি।  জেলা পরিষদের সদস্য পদে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট নূর জাহান বেগম ও ফারুক হোসেন ভুঁইয়া।  তারা জেলা পরিষদের বরাদ্দগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা ও জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম সিকদার শিপলু রাজনৈতিক কারনে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নেই।  এমপির সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারনে এই তিনটি ইউনিয়নবাসী কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা বলে স্থানীয়দের মতামত।  উন্নয়নমুলক বড় বড় ভালো ভালো কাজগুলো সরকার থেকে ভাগিয়ে আনতে স্থানীয় এমপির ডিও লেটারের প্রয়োজন হয়।  কিন্তু সেটা তারা করছে না।  যে কারনে ইউনিয়বাসী সামনের নির্বাচনে এদের পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন।