ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নে বিরোধীদলীয় অবস্থায় আওয়ামীলীগ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্ববৃহৎ একটি ইউনিয়ন হলো ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন।  জেলার মধ্যে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে এই ইউনিয়নের জনসংখ্যাও বেশি।  যে কারনে অতীতে এখানে পুলিশ ফাঁড়ি আবার পুলিশ স্টেশন (থানা) দাবিও করেছিলেন ইউনিয়নবাসী।  নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের অধীনেও এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম সেন্টু।  তিনি বর্তমানে বিএনপি থেকে বহিস্কৃৃত।  কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি এখানে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।

এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের অবস্থা অনেকটা বিরোধীদলের মতই। সেন্টু বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়েই কুতুবপুর ইউনিয়ন চালিয়ে আসছেন।  এখানকার রাজনীতিতেও আওয়ামীলীগের তেমন একটা কর্তৃত্ব দেখা যায়না।  অথচ এই আসনের এমপি হিসেবে রয়েছেন দেশের আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান।  যে কারনে বিরাট রহস্যে ঘেরা এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেন্টু অধ্যায়ের সমাপ্তি চান আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুকে ডেকে এনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করাতে পারেননি।  বেশকবার বিএনপির মিটিংয়ে আসার কথা বলেও সেন্টু আসেননি।  পরবর্তীতে ধানের শীষ প্রতীকে এমএ আকবর মনোনিত করা হয়।  সেন্টু ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাপট দেখিয়ে নির্বাচন করেন।  যেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সিকদার গোলাম রসূল। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেন্টুর এতটাই দাপট আর প্রভাব দেখা গেলো যেখানে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তার মনোনয়নপত্রটিই জমা দিতে পারেননি এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভোট চাইতেও বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন।  নির্বাচনের আগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মতবিনিময় সভায় নৌকার প্রার্থী ভোট চাইতেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। নির্বাচনে সেন্টুই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।

নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন না করায় মনিরুল আলম সেন্টুকে প্রথম অব্যাহতি দেয়া হয়।  পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের দায়ে তাকে দল থেকে বিএনপি বহিস্কার করে দেয়।  কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তার সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলেছেন।  তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতিও ছিলেন।  বিএনপির এই নেতার দাপটে কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ এখন বিরোধীদলীয় অবস্থায়।