কলাগাছিয়ার বিভিন্ন রাস্তার চিত্র, চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের প্রতি মানুষের ক্ষোভ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বন্দরের সবচেয়ে বড় ও ঘনবসতি ইউনিয়ন হলো কলাগাছিয়া ইউনিয়ন। জনসংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন এই ইউনিয়নই। আছে নানা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও ছোট-বড় শিল্প-কারখানা। নাম কলাগাছিয়া। তবে এত্তসব থাকা সত্ত্বেও অবহেলিত এই এলাকার জনপথ।

বিভিন্ন জায়গায় বেশ খানা-খন্দক ও সীমিত প্রসস্থের রাস্তায় নাজেহাল জনজীবন। সামান্ন বৃষ্টিতেই শহরের ন্যায় ভেসে যায় রাস্তা-ঘাট। হালকা যান-বাহনে চড়তে গিয়ে প্রায়ই ছোট বড় দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই ইউনিয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অধিকাংশ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ ফরাজিকান্দা-কলাগাছিয়া সড়ক।

সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন হলেও নানা সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছে দুর্ভোগের ইস্যুতে। ফরাজিকান্দা হতে শুরু করে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্স,আলীনগর, ঘারমোড়া, চুনাভূড়া, আলীসাহরদী, শুভকরদী কিংবা কলাগাছিয়া কোথায় নেই এর বেহাল দশা?

তবে কয়েকবার সরকারি বেসরকারি সংস্করণ হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি কখনো। বিগত কয়েকিদিনে টানা বর্ষণের ফলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠেছে রাস্তাটি। কলাগাছিয়া বাজার হতে অটোরিকশা যোগে বন্দর ঘাটে যেতে স্বাভাবিকভাবে ২০ মিনিটের বেশী ব্যয় হওয়ার কথা নয়। তবে সড়কের এই বেহাল দশায় সময় নিচ্ছে দ্বিগুণের বেশী। এতে করে শহরগামী যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে যেতে পাড়ছেন না অফিসে, অসুস্থ রোগীরা হচ্ছে আরো মুমূর্ষু।

এ অবস্থায় অসংখ্য এ খানা-খন্দক ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চেয়ে স্থানীয়দের সামাজিক মাধ্যমে বেশ জোরালো প্রতিবাদ ছিলো দেখার মত। তারা অচিরেই এই রাস্তাটির উন্নয়নে স্থায়ী সমাধান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

যদিও এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নও করতে পারেননি। এ নিয়ে তার প্রতি মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।