সান নারায়ণগঞ্জ টুয়ন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন সাংগঠনিক অভিভাবক হিসেবে উল্লেখ করেছেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। তিনি বলেছেন, আমি নিজেও গুমের শিকার হয়েছিলাম। প্রশাসন দিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাদের সবঅপতি গিয়াসউদ্দিন সাহেবও নিজেও নির্যাতনের শিকার। তার সন্তানেরাও নির্যাতিত। তারপরও আমরা আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে যাইনি।
রনি আরো বলেন, গিয়াসউদ্দিন সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি হার না মানা মানুষ। তারেক জিয়ার পরিক্ষীত সৈনিক। সে হিসেবে তাকে জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যখন যে অবস্থাতে আমাদের ডাক দিয়েছেন তার নেতৃত্বে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছি। জীবন বাজী রেখে গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছি।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা থানাধীন এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ওই কথা বলেন তিনি। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিষয়ে রনি বলেন, এখানে হাজার হাজর মানুষ এসেছে। কাউকে ধমক দিয়ে, টাকা দিয়ে আনা হয়নি। বিগত সময়ে ধমক দিয়ে, টাকা দিয়ে মানুষকে জোর করে সমাবেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া হতো। সেদিন আর নেই। কোন জোর জুলুম আর চলবে না। এই মাসদাইরের মাটিতে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না।
পলাতক সাবেক এ,মপি শামীম ওসমান সম্পর্কে রনি বলেন,গডফাদার শামীম ওসমান নিজেই নিজেকে ভোট দিয়ে এমপি হয়েছিলেন। তিনি বিগত সময়গুলোতে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শান্তি দেন নাই।
ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহৃুদুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনেির সাবেক সভাপতি খোন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বারী ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমূখ। জনসভা সঞ্চালনায় ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন।