সোনারগাঁয়ে লাল মিয়া হত্যা মামলার দুই আসামি রিমান্ডে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামে বৃদ্ধ লাল মিয়া হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হাবিবুর রহমান হাবুকে ও গোলজারকে ২ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোনারগাঁ থানা পুলিমের এসআই মনির হাসান জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার ছেলে খোকন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৮জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলার অন্যতম আসামি হাবিবুল্লাহ হাবু ও গোলজারকে গত সোমবার ভোর রাতে মেঘনা শিল্পাঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই দিন সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাবিবুল্লাহ হাবু ও গোলজারকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

লাল মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাবিবুল্লাহ হাবু বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার মুরাদপুর গ্রামের মৃত আবদুুল বাতেনের ছেলে ও গোলজার হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়াপাড়া গ্রামের অলিউল্লাহর ছেলে।

এখানে উল্লেখ্যযে, সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে খোরশেদের দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল। জমিটি খোরশেদের দখলে রয়েছে এবং একাধিকবার বিচার শালিসে খোরশেদ এ জমির রায় পেয়েছে। আব্দুস সামাদ এ জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি এ বিরোধপূর্ন জমিটি সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর বড়বাড়ি এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা ও স্থানীয় এমপির স্বঘোষিত নাতী গ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন। হাজী আনোয়ার জমিটি ক্রয় করে দখলে নেয়ার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে মদনপুরের সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজারসহ ৭০-৮০ জন ব্যক্তি ওই জমি দখল করতে যায়। এ সময় খোরশেদের ফুফা লাল মিয়া মিস্ত্রী এতে বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাজী আনোয়ার ও তার লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় জড়িত আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।