স্যানিটেশন মাস উপলক্ষ্যে র‌্যালীতে তারাবো পৌর মেয়র হাসিনা গাজী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী বলেছেন, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। সবাইকে নিজের অফিস ও বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় রূপসী নিউমডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজে জাতীয় স্যানিটেশন মাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যালিটি রূপসী নিউমডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রূপসী নিউমডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে শেষ হয়।

দেশ ও সমাজকে ভালবেসে সবাইকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসিনা গাজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। দেশের মানুষকে মশার হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- তারাবো পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, তারাবো পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জেডএম আনোয়ার, তারাবো পৌরসভার সচিব তাজুল ইসলাম, তারাবো পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, রূপসী নিউমডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুর রহমান, রূপসী নিউমডেল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন সিকদার প্রমূখ।

সোনারগাঁয়ে এমপিওভুক্ত হলো ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নতুন করে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করা হলো ২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২৩ অক্টোবর বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে বহু শিক্ষক-কর্মচারীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেও এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে গত জুলাই মাস থেকে। সাড়ে ৯ বছর পর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলো। ২৭৩০ এপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলা ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ তালিকার মধ্যে রাখা হয়।

নতুন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ, কাঁচপুর সিনহা স্কুল এন্ড কলেজ, হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয়, গোয়ালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সোনারগাঁ আইডিয়াল স্কুল ও গঙ্গাপুর মোহাম্মদপুর দাখিল মাদ্রাসা।

এমপিওভুক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধান জানান, সোনারগাঁয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার জন্য নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া ওয়েবসাইডে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছে। আবেদন করা এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠান সহ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কমিটি ঘোষণা: জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

সান নারায়ণগঞ্জ টুযেন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিল্পপতি হারুন অর রশীদ (সিআইপি) ও সাধারণ সম্পাদক জিএইচএম কাজল। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাভেদকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম আকাশ।

কমিটি গঠনের পর ২৩ অক্টোবর বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবগঠিত কমিটির নেতারা। এর আগে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নবগঠিত কমিটির নেতারা।

এর পর বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্বক আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির নেতারা। আলোচনা সভায় জাতির জনকের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ হন নেতারা।

জানাগেছে, গত ২০ অক্টোবর জাভেদকে সভাপতি ও রফিকুল ইসলাম আকাশকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নূরুল আমিন রিফাত, সহ-সভাপতি মামুন মোল্লা, সোয়েব মাহমুদ অভি, আতিকুর রহমান বাদশা, আল আমিন সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নাঈম, রাজীব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল, সহ- প্রচার ও প্রকাশনা আল রহমান শুভ এবং সদস্য পদে কাউসার আহাম্মেদ বাবুল, রাশেদ প্রধান, জিয়াউল হক, শামীম, মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন, সুমন, সোহাগ, হিমেল, রনজিত বিশ্বাস, রোকসানা পারভিন পিংকি, মরিয়ম আক্তার রিমা, কাউসার আহাম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, রাকিব, রুবেল াজী, বাবু হোসেন, সুমন, রাসেল, পার্থ, হৃদয়, শাকিল, সবুজ, রাজু, সুমন, রোকন, সায়মন ইসলাম, রুবেল, কাজলকে নির্বাচিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেক্রেটারিকে অ্যাড. স্বপন ভূঁইয়ার শুভেচ্ছা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কমিটি ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিল্পপতি হারুন অর রশীদ (সিআইপি) ও সেক্রেটারি জিএইচএম কাজলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়াকে আবারো উপজেলা কমিটিতে সভাপতি করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় নেতাদের এই শুভেচ্ছা জানান তিনি। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জসিমউদ্দীন ও সেক্রেটারি পরেশ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। নবগঠিত কমিটি গঠনের আগেও তিনি রূপগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিকে জানাগেছে,অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়াকে সভাপতি, মনির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও আনোয়ার হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আগামী তিন বছরের জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি কমিটি।

গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পরেশ চৌধুরী রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ৫১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।

ওইদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পরেশ চৌধুরীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া সহ কমিটির নেতাকর্মীরা।

৬ষ্ঠ বর্ষে আলোকিত আইনজীবী সংঘ, কেক কাটলেন জুয়েল মোহসীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন করেছে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের একটি সংগঠন আলোকিত আইনজীবী সংঘ। ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়াকে নিয়ে কেক কেটে দিনটি পালন করেন সংগঠনের আইনজীবীগণ।

২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টের উল্টো দিকের একটি রেস্তোরায় ‘আলোকিত আইনজীবী সংঘ’ নামে আইনজীবীদের এই সংগঠনের ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। ওই অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বার সভাপতি ও সেক্রেটারি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেছেন, আমরা আইনজীবীদের লিডার নই, আমরা আইনজীবীদের সার্ভেন্ট। আমরা আইনজীবীদের সেবক হিসেবে সেবার মনোভাব নিয়ে সেবা করতে এসেছি। নির্বাচনে আইনজীবীরা আমাদের দাড় করায়নি। আমরা আইনজীবীদের কাছে ভোটের জন্য গিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের সেবা করব। আমরা সেই কাজটিই করছি।

প্রধান অতিথি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে আপনারা আমাকে দুইবার সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। আপনারা যদি আমাকে এই সুযোগটা না দিতেন তাহলে আমি এ জায়গায় আসতে পারতাম না। আপনাদের বিশ্বাসকে আমরা অবমূল্যায়ন করিনি। আমরা দাড়িয়ে থেকে কাজ করেছি। আপনাদের জন্য ডিজিটাল বার ভবন তৈরি হচ্ছে। ইনশাহআল্লাহ আগামী মঙ্গলবার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ হবে।

তিনি দাবি করেন- বাংলাদেশের কোথাও এই ভবনের মত আইনজীবী সমিতি নাই। আমরা যে ডাইরেক্টরি করতে যাচ্ছি সেটাও কোন আইনজীবী সমিতিতে প্রথম। আইনজীবী সমিতি ও সমিতির সকল কার্যক্রম হবে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে। আমি সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করেছি দুইবার। সভাপতি পদে দুইবার। মোহসীন মিয়াও জুয়েন্ট সেক্রেটারি পদে ছিলেন দুইবার। পরবর্তীতে দুইবার সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে আমরা কাজগুলো করেছি।’ এসময় তিনি এলডিপিএস, বেনাভোলেন্ট ফান্ড সহ আইনজীবীদের জন্য কল্যাণকর কার্যক্রমগুলোও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা আইনজীবী সমিতির একটি টাকাও খরচ করিনি। সমিতির ফান্ডে আমরা হাত দেইনি। আমরা আইনজীবীদের ছোট করিনি, আপনাদের বিশ্বাস রাখতে পেরেছি। আপনাদের সেবা করার জন্য যে সুযোগ দিয়েছেন সেজন্য আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বাকি কাজগুলোর জন্য আপনাদের সহযোগীতা দরকার।

একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমান আমাদের আরও ৫০ লাখ টাকার চেক গতকাল দিয়েছেন। চেক দিয়ে তিনি বলেছেন ৪ তলা করতে কতদিন লাগবে? আমি বলেছি আরেকটা বছর লাগবে। এমপি বললেন আগে একতলাটা শেষ করে আইনজীবীদের বসতে দাও। সবাই বাহিরে বসে আছে। কাজ করতে থাকো আমি সেলিম ওসমান আইনজীবীদের পাশে আছি। কোন সমস্যা হবে না ইনশাহআল্লাহ। আইনজীবীদের বন্ধু একেএম সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমিতির প্রতিটি ইটে সেলিম ওসমানের জড়িয়ে আছে।

একই বক্তব্য রেখে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়াও নারায়ণঞ্জের সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আইনজীবীদের কাছে আমরা ঋণী।’ এসময় তিনি সংগঠনটির আইনজীবীদের সঙ্গে হাস্যরসিকতা করেন। সংগঠনের আইনজীবীদের জন্য তিনি পরবর্তীতে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করেন। সকল তরুণ আইনজীবীদের সঙ্গে সেক্রেটারির বন্ধুত্বসুলপ আচরণে মুগ্ধ হন আইনজীবীগণ।

আলোচিত আইনজীবী সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম এ মনিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এবং অ্যাডভোকেট কাজী মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, অ্যাডভোকেট তাহমিদ উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট অজুফা বেগম পুতুল, অ্যাডভোকেট শামীমা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট নাদিরা আক্তার, অ্যাডভোকেট ঝুমা সরকার, অ্যাডভোকেট নাহিদ তাজরিন, অ্যাডভোকেট কাজী আবু মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আছমা আক্তার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন কাজী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারজানা ববি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা ও অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার প্রমূখ। বক্তব্যে শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে নিয়ে কেক কেটে আলোচিত আইনজীবী সংঘের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

আমরা লিডার নই, আমরা আইনজীবীদের সার্ভেন্ট: জুয়েল ও মোহসীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেছেন, আমরা আইনজীবীদের লিডার নই, আমরা আইনজীবীদের সার্ভেন্ট। আমরা আইনজীবীদের সেবক হিসেবে সেবার মনোভাব নিয়ে সেবা করতে এসেছি। নির্বাচনে আইনজীবীরা আমাদের দাড় করায়নি। আমরা আইনজীবীদের কাছে ভোটের জন্য গিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের সেবা করব। আমরা সেই কাজটিই করছি।

২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টের উল্টো দিকের একটি রেস্তোরায় ‘ আলোকিত আইনজীবী সংঘ’ নামে আইনজীবীদের একটি সংগঠনের ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। ওই অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে আপনারা আমাকে দুইবার সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। আপনারা যদি আমাকে এই সুযোগটা না দিতেন তাহলে আমি এ জায়গায় আসতে পারতাম না। আপনাদের বিশ্বাসকে আমরা অবমূল্যায়ন করিনি। আমরা দাড়িয়ে থেকে কাজ করেছি। আপনাদের জন্য ডিজিটাল বার ভবন তৈরি হচ্ছে। ইনশাহআল্লাহ আগামী মঙ্গলবার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ হবে।

তিনি দাবি করেন- বাংলাদেশের কোথাও এই ভবনের মত আইনজীবী সমিতি নাই। আমরা যে ডাইরেক্টরি করতে যাচ্ছি সেটাও কোন আইনজীবী সমিতিতে প্রথম। আইনজীবী সমিতি ও সমিতির সকল কার্যক্রম হবে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে। আমি সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করেছি দুইবার। সভাপতি পদে দুইবার। মোহসীন মিয়াও জুয়েন্ট সেক্রেটারি পদে ছিলেন দুইবার। পরবর্তীতে দুইবার সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে আমরা কাজগুলো করেছি।’ এসময় তিনি এলডিপিএস, বেনাভোলেন্ট ফান্ড সহ আইনজীবীদের জন্য কল্যাণকর কার্যক্রমগুলোও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা আইনজীবী সমিতির একটি টাকাও খরচ করিনি। সমিতির ফান্ডে আমরা হাত দেইনি। আমরা আইনজীবীদের ছোট করিনি, আপনাদের বিশ্বাস রাখতে পেরেছি। আপনাদের সেবা করার জন্য যে সুযোগ দিয়েছেন সেজন্য আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বাকি কাজগুলোর জন্য আপনাদের সহযোগীতা দরকার।

একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমান আমাদের আরও ৫০ লাখ টাকার চেক গতকাল দিয়েছেন। চেক দিয়ে তিনি বলেছেন ৪ তলা করতে কতদিন লাগবে? আমি বলেছি আরেকটা বছর লাগবে। এমপি বললেন আগে একতলাটা শেষ করে আইনজীবীদের বসতে দাও। সবাই বাহিরে বসে আছে। কাজ করতে থাকো আমি সেলিম ওসমান আইনজীবীদের পাশে আছি। কোন সমস্যা হবে না ইনশাহআল্লাহ। আইনজীবীদের বন্ধু একেএম সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমিতির প্রতিটি ইটে সেলিম ওসমানের জড়িয়ে আছে।

একই বক্তব্য রেখে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়াও নারায়ণঞ্জের সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আইনজীবীদের কাছে আমরা ঋণী।’ এসময় তিনি সংগঠনটির আইনজীবীদের সঙ্গে হাস্যরসিকতা করেন। সংগঠনের আইনজীবীদের জন্য তিনি পরবর্তীতে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করেন। সকল তরুণ আইনজীবীদের সঙ্গে সেক্রেটারির বন্ধুত্বসুলপ আচরণে মুগ্ধ হন আইনজীবীগণ।

আলোচিত আইনজীবী সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম এ মনিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এবং অ্যাডভোকেট কাজী মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, অ্যাডভোকেট তাহমিদ উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট অজুফা বেগম পুতুল, অ্যাডভোকেট শামীমা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট নাদিরা আক্তার, অ্যাডভোকেট ঝুমা সরকার, অ্যাডভোকেট নাহিদ তাজরিন, অ্যাডভোকেট কাজী আবু মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আছমা আক্তার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন কাজী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারজানা ববি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা ও অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার প্রমূখ। বক্তব্যে শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে নিয়ে কেক কেটে আলোচিত আইনজীবী সংঘের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

তৈমূর খোরশেদ ছাড়া কেউ মানেনি গঠনতন্ত্র!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দলটির গঠনতন্ত্রকে মান্য করেছেন একমাত্র তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। বিএনপির গত সম্মেলনে ‘এক নেতার এক পদ’ শ্লোগান তুলে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের একাধিক নেতারা এই গঠনতন্ত্র অমান্য করলেও কেবলমাত্র তারাই দলটির গঠনতন্ত্রকে সম্মান করে তা মান্য করেছেন।

সূত্রে, কেন্দ্রীয় বিএনপির গত সম্মেলনের পর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওই সময় তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্বে ছিলেন। উপদেষ্টা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বেগম খালেদা জিয়ার বরাবর চিঠি লিখেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্ল্যেখ করেন- এক নেতার এক পদ নিয়মটি মান্য করে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি পদেই থাকতে চান। যদিও সেটা নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতেও তিনি ওই চিঠি বেগম খালেদা জিয়ার বরাবর লিখেছিলেন। বাকিটা নেত্রীর সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তৈমূর আলম খন্দকারকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদেই বহাল রেখে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

একইভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বর্তমান সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই সময় তিনিও বেগম খালেদা জিয়ার বরাবর কেন্দ্রে নিজের অব্যাহতি চেয়ে মহানগর যুবদলের নেতৃত্বেই থাকতে চান বলে অবহিত করেন। ওই সময় তিনি মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে মহানগর যুবদলের সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়। মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন না। তিনি তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ছোট ভাই। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির এই দুই নেতাই কেবল দলটির নতুন গঠনতন্ত্র নিয়মটি মান্য করেন।

অন্যদিকে ভিন্ন চিত্র নারায়ণগঞ্জের বিএনপির শীর্ষ বেশকজন নেতার ক্ষেত্রে যারা এক নেতার বহুপদের মালিক। নারায়ণগঞ্জের বিএনপির শীর্ষ বেশকজন নেতা দলটির গঠনতন্ত্র মানছেন না। যেখানে অমান্য হচ্ছে গঠনতন্ত্র। সেখানে থাকছে না দলটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও। অথচ তারাই গণতন্ত্রের মুক্তির শ্লোগানে বাতাস ভারি করছেন। বিএনপির গত সম্মেলনে দলটির সংবিধানে পরিবর্তন এনে ‘এক নেতার এক পদ’ বাস্তবায়নে আনা হয়। যেখানে কোন নেতা দুটি পদে তখনি থাকতে পারবেন যদি সেটা দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চান। নতুবা কারোই দুটি কিংবা তার বেশি পদে বহাল থাকার সুযোগ নেই।

কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও এই নীতিকে সম্মান করে একটি করে পদে রেখে বাকি পদগুলো থেকে সরে দাড়ান। পরবর্তীতে এই শ্লোগানটিই মাটিচাপা পড়ে যায়। তেমনি দশা নারায়ণগঞ্জেও। এখনকার বেশকজন নেতা রীতিমত সুপারম্যান খেতাপ পেয়েছেন। একেকজনের দুই তিনটা কিংবা চারটি পদের সমারোহ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু কেউই পদ ছাড়তে চান না। জেলা পর্যায়ের শীর্ষ পদে থেকেও থানা কিংবা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ পদেও রয়েছেন তারা। অর্থাৎ দলটির গঠনতন্ত্রে এক নেতার এক পদ কিন্তু নারায়ণগঞ্জে রয়েছে একেকজন নেতার বহু পদ! বিএনপিকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একাধিক পদে বহাল রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির যিনি একই সঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদেও রয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। তার কয়েকদিনের মাথায় রূপগঞ্জের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার পর থেকে রূপগঞ্জে আর কোন কমিটি নেই। ফলে তিনিই জেলা বিএনপির সভাপতি এবং তিনিই উপজেলা বিএনপিরও সভাপতি। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনও দীর্ঘদিন যাবত এই দায়িত্ব পালন করছেন। তাকেই করা হয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। একই সঙ্গে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব পদেও রয়েছেন। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় যেখানে সফর আলী ভূ্ইঁয়াকে আহ্বায়ক এবং মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে সফর আলীর নিষ্ক্রিয়তায় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলী হোসেন প্রধান যিনি কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি এখন অভিভাবকহীন। আবার অধ্যাপক মামুন মাহামুদ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি এবং একই সঙ্গে তিনিও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব! সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও পারভেজ আহমেদও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আবু জাফর একই সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদেও বহাল রয়েছেন। তিনিও দুটি পদে বহাল রয়েছেন। সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। আবার কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদেও রয়েছেন।

ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস রয়েঝেন একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদেও। নিজ দলের কর্মকান্ডের চেয়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যার নিয়মিত কর্মকান্ড পালন দেখা যায়। কিন্তু তাকেই দলটি বেশি যোগ্য মনে করছে। যেখানে তিনিও দুটি শীর্ষ পদে রয়েছেন। ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা রয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন।

জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সেলিম ওসমানের নানা সিদ্ধান্ত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজের গতি ত্বরানিত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসান। এ সময় সংসদ সদস্য প্রেরিত চাহিদাপত্রে অনুমোদন পাওয়া এলাকার চলমান কাজগুলোর খোজ খবর নেন এমপি।

২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কার্যালয়ে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের ও বন্দর উপজেলায় সদ্য যোগদানকারী নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার সহ ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় বেশ কয়েকটির উন্নয়ন কাজ নানা জটিলতায় আটকে রয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন এবং সেগুলো দ্রুত সমাধান করে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাহী কর্মকর্তা সহ ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের প্রতি অনুরোধ রাখেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন এমপি সেলিম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০শয্যা হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা উন্নীত করতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের ধীরগতি, কাজ আটকে যাওয়া সহ বিদ্যমান সকল সমস্যা এবং নারায়ণগঞ্জের মানুষের আকাঙ্খা মেডিকেল কলেজের দাবির কথা জানাতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শরনাপন্ন হবেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসামন। এ বিষয়ে হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সকল সমস্যা এবং প্রয়োজনীয় করনীয় ও দাবী দাওয়া সহ আগামী ১৫ নভেম্বর এমপির কাছে আবেদন জমা দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অভ্যন্তরে ডক্টরস ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্যোগে হাসপাতালটির ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এমপি এসব কথা বলেন। বক্তব্য শেষে কেক কেটে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

এর আগে সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডাক্তার আবু জাহের হাসপাতালের বিদ্যমান সমস্যাবলীর কথা তুলে সংসদের সদস্যের কাছে সেগুলো সমাধানের দাবী জানান। আবু জাহের বলেন, হাসপাতালের প্রবেশ মুখে অনেক দোকানপাট রয়েছে যার জন্য হাসপাতালে রোগীদের সমস্য সহ নিরাপত্তা জনিত অনেক সমস্যা দেখা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে অভ্যন্তরে একটি আনসার ক্যাম্প স্থাপন করা, রোগীর কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে ২০০জন চিকিৎসকের পদ নিশ্চিত করা বর্তমানে যেখানে মাত্র ৫৩ জন চিকিৎসক রয়েছে, এছাড়াও হাসপাতালটিতে বার্ণ, ডায়লাসিস, হার্ট সহ প্রয়োজনী বিভাগ চালু করা, নতুন আধুনিক ভবনটির নির্মাণ কাজের ধীরগতি, হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য একটি বাসের বরাদ্দ সহ হাসপাতালটিকে একটি পূণাঙ্গ মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত করার দাবী তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন সে সকল ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেন ডাক্তার আবু জাহের।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, অন্যান্য জেলাগুলোতে দেখা যায় হাসপাতালের বারান্দাতেও রোগীর জায়গা হয়না। আর আমাদের এখানে অনেক সময় রোগীর সংকট দেখা যায়। এর মূল কারন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরে এবং হাসপাতালের আশেপাশে বহু প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এসকল ক্লিনিকের নিয়োগকৃত দালালরা হাসপাতাল থেকে রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে দালালদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করন অবশ্যই জরুরি এ ব্যাপারে মাসিক

সভায় হাসপাতালের ভেতরে একটি আনসার ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত রেজুলেশন ভুক্ত করা হয়েছে। আমি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলকে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা নিয়ে আনসার ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি। পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষনের জন্য যে ৬৩টি সিটি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়ে ছিল সে গুলো আগামী মাস থেকে সবগুলোই পুণরায় চালু হবে বলে আমি কথা দিচ্ছি।

হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি হাসপাতালের জন্ম লগ্ন থেকে এখানে চাকরিরত রয়েছেন। এই হাসপাতালের সকল সমস্যাবলী এবং তা সমাধানে কি কি করনীয় হতে পারে তার সবই আপনার নখ দর্পনে। এতোদিন নারায়ণগঞ্জে চাকরি করার পর আপনার মাঝে অবশ্যই নারায়ণগঞ্জের প্রতি নারায়ণগঞ্জের মানুষের প্রতি ভালবাসা জন্মে থাকে তাহলে আপনি সকল সমস্যার কথা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আমার কাছে লিখিত আকারে দিবেন। আপনার কাউকে ভয় পাওয়ার দরকার নাই। আমি আপনার পাশে আছি। আর যদি না দেন তাহলে বলবো আপনি অন্যত্র বদলী নিয়ে চলে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, এখানে যারা চাকরি করতে আসেন দেখা যায় উনারা স্থানীয়দের ভয়ে অনেক সময় কঠোর হতে পারেন না। প্রয়োজনে এই হাসপাতালে স্থানীয় ব্যক্তিদের কোন কাজের টেন্ডার দেওয়া হবেনা। আর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির কেউ হাসপাতালে কোন স্লাপাই কাজ করতে পারবে না। যদি কেউ করে থাকে এবং সেটা প্রমানিত হয় তাহলে তার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য পদ বাতিল করা হবে।

হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম ৩৩ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রথম ডাক্তার ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। আমি বলবো এ আয়োজন আরো বড় পরিসরে হওয়া দরকার ছিল। তবে বলবে সকলের প্রচেষ্টায় এবার শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালের জন্য রনদা প্রসাদ সাহা জমি দান করে ছিলেন যার ফলে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলে প্রয়াত নাসিম ওসমানের মাধ্যমে জাপানি অর্থায়নে হাসপাতালটি নির্মিত হয়ে ছিল। অথচ আমরা আরপি সাহাকে যোগ্য সম্মান দিতে পারিনি। উনার নামে একটি স্মরণ সভাও করিনি। আগামী বছর এ অনুষ্ঠান আরো বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে এবং সেটা প্রতিবছর পালন করা হবে। গত ৩৩ বছরের ভূলত্রুটি শুধরে নিয়ে হাসপাতালটি নতুন করে আবারো যাত্রা শুরু করবে। আগামী ২০২০সালে জানুয়ারী মাসটি আমরা সেবার মাস ঘোষণা করে নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করবো। মাসে অত্যন্ত ১ থেকে ২ বার বিকেল ৩টার পর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমি বিএমইএ এবং স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান রাখলাম।

৫০০ শয্যা হাসপাতালের নির্মাণ কাজের ধীর গতি ও থমকে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে আমার জন্য লজ্জাজনক। এমনকি এটা সরকারের জন্য ও লজ্জার বিষয়। আপনারা সকল সমস্যাবলি এবং দাবী গুলো আমাকে প্রস্তাবনা দেন। আমি সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় যাবে। জানতে চাইবো কেন নির্মাণ কাজের এমন ধীর গতি কেন নির্মাণ কাজ আটকে আছে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বিষয়টি অবহিত করবো। ইতোমধ্যে আমি নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের জন্য চাহিদাপত্র প্রেরণ করেছি। এখানে আমাদের জায়গার কিছু সমস্যা রয়েছে। যদি সরকার আমাদের হাসপাতালের পাশে জায়গাটি হাসপাতালের নামে বরাদ্দ দেন এবং ৫০০ শয্যা কাজ সম্পন্ন হয় তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষে জোড়ালো দাবী করতে পারবো মেডিকেল কলেজ দেওয়ার। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সব জেলায় হলে আমাদের নারায়ণগঞ্জে হবেনা কেন। অবশ্যই এ থেকে নারায়ণগঞ্জ বঞ্চিত হবেনা।

হাসপাতালের মেডিকেল চিকিৎসক শামসুদ্দোহা সঞ্চয় এর সঞ্চালনা ও হাসপাতালের তত্ত্ববধায় ডাক্তার আবু জাহের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীস সাহা, স্বাধীন চিকিৎসক পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার বিধান চন্দ্র পোদ্দার, ডক্টর ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম, পিএ সিদ্দিকুর রহমান সহ অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গত, খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালটি ১৯৮৬ সালে সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের হাত ধরে জাপানী অর্থায়নে খানপুর ২০০ শয্যা হাসপাতালটি নির্মিত হয়। পরে প্রয়াত নাসিম ওসমানের মাধ্যমে ২০১৩ সালে হাসপাতালটি ২০০ শয্যা থেকে ৩০০ শয্যায় উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানের মাধ্যমে হাসপাতালে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক বহুতল ভবনের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের চতুর্থ তলায় এ সভার আয়োজন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জিবা খান, সাইফুল ইসলাম পটু, শেখ শামীম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, আনোয়ার হোসেন ইমরান, ফাহিম হোসেন, কার্যকরী সদস্য তাজুল ইসলাম, নিজামউদ্দিন, ডিকে মাহি, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, হাফিজুল হক, রিপন সিকদার, সেলিম আহমেদ, মহানগর মৎস্যজীবী দলের কার্যকরী সদস্য হারুন অর রশিদ, মো: সালাউদ্দিন, জুম্মন সহ নেতাকর্মীরা।

সভায় আগত কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় বিএনপির প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তৃনমূল পর্যায়ে কমিটিগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাথে আজকের এই সভা। প্রতিটি নেতাকর্মীর মতামতের ভিত্তিতে আগামী দিনের সকল কমিটি সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে গঠন করতে হবে। আর এভাবে প্রতিটি সংগঠন তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করে বিএনপির চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। দেশের মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে এবং দেশে গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্ঠা করতে হলে বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করার কোন বিকল্প নেই। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেই মুক্তি পাবে দেশের জনগণ, ফিরে আসবে হারানো গণতন্ত্র। তাই গণতন্ত্রের আপোষহীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জালিমের কারাগার থেকে মুক্ত করতে হলে সকল জিয়ার সৈনিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আন্দোলনের মাঠে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ