আইনজীবীদের সংগঠন আলাফ এর কমিটি: সভাপতি রাসেল, সেক্রেটারি রাজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ

নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব লার্নেড এডভোকেটস ফ্রেন্ডস (আলাফ) এর ২০১৯-২০২০ সালের কার্যকরী পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় সংগঠনের একটি সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট রাজীব দাসকে সেক্রেটারি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জানাগেছে, কমিটিতে সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাড়াও কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট রমজান আলী, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আলো বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হুদা, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট মোঃফজলুর রহমান ফাহিম, আপ্যায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নয়ন ঢালী, ক্রীড়া সম্পাদক পদে শেফালী আক্তার দোলা, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট তাহমিনা আক্তার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শাহানাজজামান শম্পা, আইন ও মানবাধিকার পদে অ্যাডভোকেট মাসুদা খাতুন এবং কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট এস.এম.সাইফুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার, অ্যাডভোকেট মোঃ আজিম ভুইয়া, অ্যাডভোকেট মোঃ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাসেল মিয়া।

জুয়েল মোহসীনকে নিয়ে যা লিখলেন আইনজীবী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর জন্য ৮তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল বার ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতপাড়ায় আইনজীবীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌসু জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। এদিকে বাের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান খোকন নামে এক আইনজীবী তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন।
সভাপতি ও সেক্রেটারির ছবি এবং সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইনে প্রকাশিত একটি সংবাদ পোস্ট করে ওই আইনজীবী লিখেছেন, কিছু পেলে সবাই খুশি হয়। কিন্তু এটা মামলা পাওয়া নয়। আইনজীবীর মামলার ফাইলটি নিয়ে ১টি মনোরম পরিবেশে বসে মানুষের সমস্যা সমাধান করার ১টি ডিজিটাল স্থান/বার ভবন/ চেম্বার/চেয়ার মোয়াক্কেল সহ আইনজীবীদের সামনে চোখের পলকে উপহার দেওয়া ৪টি খানি কথা নয়।
তিনি আরও লিখেন, একেই বলে ডিজিটাল গতি। তাইতো সকলে বলে ডিজিটাল সভাপতি সেক্রেটারী। যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মতো উন্নয়নে বিশ্বাসী মনোভাব। যারা উন্নয়ন করে অপরে কল্যাণের জন্য সকলে তাদের পাশে থাকা উচিত। কারন তারা আপনাকে স্মার্ট/ডিজিটাল উপহার দিবে।

শারদাঞ্জলি ফোরামের ৫ বছর পূর্তির অনুভূতি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৩১ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও অবস্থিত সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম পূণ্যভূমি বারদি শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমের আগত একেবারেই তরুণ এবং নবীন সুমন বর্মন, নিতাই সরকার, কল্লোল রায়, সজল সাহা, পিয়াল শর্মা, জয় দত্ত, সজীব শীল, মৃদুল দাস, দেবাশীষ পাল, অলক বৈদ্য, মহাদেব রায়, দেবাশীষ বিশ্বাস, বাপন দাস, লিখন হাওলাদার, সুমন সূত্রধর, প্রীতম সাহা সহ আরো কিছু তরুণ সারথিকে নিয়ে সন্ধ্যায় লোকনাথ বাবার সমাধি স্থানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে পূজা এবং সমাধি প্রদক্ষিণ করে রাতে প্রসাদ নিয়ে আশ্রমের একটি এক নিবৃত কক্ষে বসে ছোট্ট একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে শারদাঞ্জলি ফোরামের যে পথ চলা শুরু হয়।

আজ ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ এসে ৫ বছর পূর্ণ হলো। একটি সংগঠনের জন্য ৫ বছর সামান্যই বলা চলে। তবু আমরা অতি অল্প সময়ে অতি দ্রুত অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছি। ৫ বছরে ৪০ টি জেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাট্টিখানি কথা নয়। এই সাফল্য একক কোন ব্যক্তির নয়। সকল স্তরের সারথিদের আপ্রাণ চেষ্টা, পরিশ্রম, সততা এবং একাগ্রতার ফসল আজকের শারদাঞ্জলি ফোরাম। গীতা শিক্ষা এবং রক্তদান কর্মসূচি সহ বহুমাত্রিক মানবিক কার্যক্রম নিয়ে শারদাঞ্জলি ফোরাম আজ বাংলাদেশে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে।

দেশে এবং প্রবাসী সারথিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, তৃণমূল সারথিদের কর্মনিষ্ঠা, জেলা কমিটিগুলোর দক্ষ নির্দেশনায় এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় বাংলাদেশ সহ প্রবাসে শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল ধর্মীয় এবং মানবিক কর্মকান্ড আরও বেশি সম্প্রসারিত হোক, আরও সাফলতা আসুক, সারথিদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক- এই প্রত্যাশা করছি। জয় গীতা, জয় শারদাঞ্জলি ফোরামের জয়, জয় হোক মানবতার।

লেখক: সুমী ধর
নির্বাহী সারথি, শারদাঞ্জলি কেন্দ্রীয় কমিটি

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিতে ১৮ আইনজীবী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠনের দুই বছর ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। ৩০ অক্টোবর বুধবার এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আংশিক কমিটির থেকে অনেকের পদ রদবদল করা হয়েছে। এই কমিটিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের। যেখানে কমিটিতে ১৮ জন আইনজীবীকে বিভিন্ন পদে রাখা হয়েছে।

কমিটিতে সভাপতি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট রিয়াজুুল ইসলাম আজাদ, অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

এদের ছাড়াও কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট কাজী রুবায়েত হাসান সায়েম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ মোল্লা, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মতিন, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এইচ্এম আনোয়ার প্রধান,সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বুলবুল, অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, সদস্য পদে অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ ও অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার।

জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই আংশিক কমিটির কিছু নেতাদের পদ পদবী রদবদল করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মহানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে বহাল রেখেই ৩০ অক্টোবর বুধবার এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে কমিটি ঘোষণার পর ১৮ জন আইনজীবীর নাম দেখে গত ১১ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন। মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশে আইনি সহায়তা বিনা পয়সায় কোন কোন আইনজীবী দাড়িয়েছিলেন তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষন শুরু হয়েছে।

মামলা হামলা মোকাবেলা করে আন্দোলনে নামবে বিএনপি: রুহুল আমিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন শিকদার বলেন, গত নিবার্চনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিবার্চনের মাঠ থেকে দুরে রাখার জন্য সারাদেশে হাজার হাজার গায়েবী মামলায় লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়ে ছিল। ইনশাহআল্লাহ আমরা আইনের মাধ্যমে এই সব মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করেছি এবং অচিরেই সারাদেশের নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা আন্দোলন ঝাপিয়ে পরবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মা তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিডনাইট সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত কর আনবো।

৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের দায়েরকৃত একটি মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। ২০১৫ সালের দায়েরকৃত মামলায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিমিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রুহুল আমিন সিকদার সহ বিএনপি ৩৭ জন নেতাকর্মী হাজিরা দেন। মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁন।

অন্যান্য আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সেলিম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন, ইসমাইল মাষ্টার, আফজাল হোসেন, বিএনপি নেতা মিছির আলী, শ্রমিক দল নেতা নুরু মোহাম্মদ সহ ৩৭ জন নেতাকর্মী।

বিএনপির আইনজীবীদের কর্মী সংগ্রহে ফরম বিতরণ শুরু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কর্মী সংগ্রহে ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির আইনজীবীরা। ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিভাগে সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন।

এর আগে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন। বিএনপির সকল সিনিয়র আইনজীবীদের এক টেবিলে বসতে দেখে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির আইনজীবীদের সাধুবাদ জানিয়ে ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন বলেন, গতকাল (বুধবার) ঢাকায় মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয় নারায়ণগঞ্জের কর্মসূচির সভাপতিত্ব করবেন তৈমূর আলম খন্দকার এবং তৈমূর আলমের নাম প্রস্তাব করেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

ছবি- ফরম বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবীগণ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সেক্রেটারি এটিএম কামাল, অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে ফরম বিতরণ করা হয়।

বিএনপির রাজনীতিতে অনিশ্চিত কাম ব্যাক, বিদায়ের পালা

মাজহারুল ইসলাম রোকন:

নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতি থেকে বিলিনের পথে বিএনপির একঝাঁক প্রবীণ রাজনীতিক। যারা এক সময় ছিলেন দাপটশালী আজকে তাদের অস্তিত্ব সংকটে। যাদের এক সময় ছিল বাঘের গর্জন আজকে তারা ডেড হর্স। নারায়ণগঞ্জে এমন বেশকজন নেতার রাজনীতি বেঁজে ওঠছে বিদায় ঘন্টা। আগের সেই অবস্থানে কাম ব্যাক করা তাদের জন্য অনিশ্চিত। আবার দুএকজন বাদে বাকিদের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা একেবারেই ফিকে। ফলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি তরুণ রাজনীতিক নির্ভর হয়ে ওঠতে যাচ্ছে। তবে তরুণ রাজনীতিকদের অনেকেই প্রভাবশালী শিল্পপতি কিংবা ব্যবসায়ী মার্কা নেতাদের চাটুকারিতায় ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে ভবিষৎে নেতৃত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রেজাউল করিম। তিনি নামের আগে অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটি ব্যবহার করেন। যদিও দুটি শব্দ নিয়েই রয়েছে নানা বিতর্ক। রেজাউল করিম মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন অভিযোগ তুলে সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধারা জোড়ালো প্রতিবাদ ও অভিযোগ তুলেছিলেন। তাকে ‘ভূয়া’ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সেই বিষয়টির সূরাহ করতে পারেননি রেজাউল করিম।

এছাড়াও তিনি নিজেকে দাবি করেন তিনি একজন অধ্যাপক যা তার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান নিজেই অভিযোগ তুলেছেন- রেজাউল করিম অধ্যাপক নয়। নারায়ণগঞ্জে মহিলা দলের একটি অনুষ্ঠানে মান্নান বলেছিলেন, ‘রেজাউল করিম ভূয়া অধ্যাপক। আরেকবার সে অধ্যাপক দাবি করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও অভিযোগ তুলেছেন- রেজাউল করিম ভূয়া অধ্যাপক ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।

কিন্তু এই রেজাউল করিম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়নের প্রতিমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে এশাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এক এগারোর সময় দলের বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন। হয়েছিলেন সংস্কারবাদীদের অন্যতম একজন। এমন তকমা নিয়েই ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পান তিনি এবং তরুণ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

তারপর রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন রেজাউল করিম। দলের ব্যানারে নিজের আখের গুছালেও রেজাউল করিম বিএনপির নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে থাকেননি। তার এমন শূন্যস্থানে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি রেজাউল করিম। এখানে মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান। বয়সের কারনেও রাজনীতিতে নেই রেজাউল করিম। বর্তমানে সোনারগাঁয়ের বিএনপির রাজনীতি পুরোদস্তর মান্নানের নিয়ন্ত্রণে। রেজাউল করিম দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী সংস্কারবাদীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর:
আতাউর রহমান খান আঙ্গুর বিএনপির সাবেক তিন বারের এমপি। তিনি নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে এমপি নির্বাচিত হন সেই ১৯৯১ সাল থেকে। আড়াইহাজারের একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। তার ভাই কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রয়াত ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে নিয়ে আসেন আঙ্গুুরকে। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন খসরু। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপির টিকেট এনে দেন আঙ্গুরকে। পরবর্তীতে আপন ভাই খসরুর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন আঙ্গুুর। তবে আঙ্গুর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আড়াইহাজারের অবকাঠামোগত বেশ উন্নয়ন হয়েছে। যদিও তিনি এক এগারোর সময় দলের বিরোধীতা করে সংস্কারবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। এ আসনে গত নির্বাচনে মনোয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ। ইতিমধ্যে এ আসনে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আঙ্গুরের ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন।

সাবেক এমপি আবুল কালাম:
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার একটি ওয়ার্ড নির্বাচনে নিজের মনোনয়ন বাজেয়াপ্ত হওয়া এই বিএনপি পরবর্তীতে তিন বার এমপি নির্বাচিত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। বর্তমানে তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল কালাম দলের মনোনয়ন পাননি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম। ইতিমধ্যে মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে আলোচনায় আসছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গত নির্বাচনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পান আবুল কালাম ও খোরশেদ। কিন্তু চূড়ান্তভাবে এখানে প্রার্থীতা পান এসএম আকরাম। ইতিমধ্যে কালামের এলাকায় ভাগ বসিয়েছেন সাখাওয়াত ও খোরশেদ। তাদের ধাক্কায় সামনে আবারো দলের মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে। তিনিও এক এগারোর সময় দলের বিরোধীতাকারী সংস্কারবাদীদের সঙ্গে ছিলেন।

সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দীন:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির গত কমিটি গঠনের পূর্বে আলোচনায় ছিলেন গিয়াসউদ্দীনই হচ্ছে জেলা বিএনপির কর্ণধার। তিনি ওই সময় নেতাকর্মীদের চিঠির মাধ্যমে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করেই ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি শামীম ওসমানকে পরাজিত করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের কমিটিতে তিনি রয়েছেন। এমপি হওয়ার পর তিনি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমূর আলম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। গত কমিটি গঠনে তাকে রাখা হয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয় মাঠে নামেন। গত নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চান। প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পেলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এখানে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। ২০০৬ সালে নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় তৈমূর এ আসনে মনোনয়ন পেলেও এক এগারোর কারনে তিনি গ্রেপ্তার হলে কারাবন্ধি হন। ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি দলের সমর্থন পেলেও ভোট গ্রহণের সাত ঘন্টা আগে তাকে বসিয়ে দেয় বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের বিএনপির এক সময়কার নিয়ন্ত্রক এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয়।

খন্দকার আবু জাফর:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদে রয়েছেন খন্দকার আবু জাফর। ২০০১ সাল থেকে দলের মনোনয়ন চেয়ে আসলেও কোন নির্বাচনেই তিনি মনোনয়ন পাননি। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে গত নির্বাচনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি গিয়াসউদ্দীনকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে রাজনীতিতে নামেন। গত নির্বাচনে জাফর প্রাথমিক পর্যায়ে মনোনয়ন পেলেও তিনি দলের মনোনয়ন পত্র দাখিলই করেননি। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় মান্নান। এক এগারোর সময় জেলা বিএনপির হাল ধরে থাকলেও পরবর্তীতে মুল্যায়ন পাননি তিনি। রেজাউল করিম অধ্যায় শেষে এখন মান্নানের নিয়ন্ত্রনে বিএনপি। আগের মত জাফর রাজনীতিতেও নেই।

সফর আলী ভুইয়া:
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়কের পদে রয়েছেন সফর আলী ভূঁইয়া। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে নেই একেবারেই। ২০১৩ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় তাকে। কিছুদিন পর তিনি বিদেশে চলে গেলে সেখানে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় আলী হোসেন প্রধানকে। কিন্তু সফর আলী ভূঁইয়া দেশে ফিরে আসলেও তাকে আর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে ধস্তাধস্তিও হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পান তিনি। কিন্তু গিয়াসউদ্দীন বিএনপিতে যোগদান করলেও সফর আলীর মনোনয়ন বাতিল করে সেখানে গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তারপর থেকে সফর আলী ভূঁইয়া আর রাজনীতিতে ঘুরে দাড়াতে পারেনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আহ্বায়ক হলেও তিনি এখন আর রাজনীতিতে নেই।

মুহাম্মদ শাহআলম:
শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। কল্যাণপার্টির কোষাধ্যক্ষ থেকে বিএনপিতে যোগদান করেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। এরপর তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিএনপির পাশাপাশি জেলা বিএনপির দাপুটে নেতা বনে যান। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেন। যদিও কোনটাতেই তিনি সম্মেলনে করে পদ পাননি। দ্বিতীয় দফার কমিটিতেও তিনি একই পদে বহাল থাকেন। গত নির্বাচনে তিনি তার আসন থেকে দলের মনোনয়ন পাননি। নির্বাচনের পর তিনি নারায়ণগঞ্জের জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি কেন্দ্রীয় সদস্য পদে বহাল রয়েছেন। নিজের পিঠ বাঁচাতেই তিনি দুটি পদ ছেড়ে দেন এবং তার অনুগত নেতাদের দিয়েই ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। গত নির্বাচনে তার আসনে মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

সোনারগাঁয়ে গৃহকর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া এলাকায় এক গৃহকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মীর অভিযোগ- তিনি দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের হাবিবুরের বাড়ীতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন লোকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ভাড়া থেকে গৃহকর্মীর কাজ করেন। হাবিবুরের বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় হাবিবুর ও সেই গৃহকর্মীর মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাবিবুর স্বপন ও শাহিনুরকে দিয়ে ফোন করে গত ২৮ অক্টোবর সোমবার রাতে গৃহকর্মী সালমাকে তার বাড়ীতে আসতে বলে। গৃহকর্মী সালমা হাবিবুরের বাসায় আসলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ৪ ধর্ষণকারী তাকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ধর্ষিতার জ্ঞান ফিরে আসলে তার স্বজনদের সহায়তায় তালতলা পুলিশ ফাঁড়িতে এসে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে অভিযোগ করেন। অভিযোগ দায়েরের পর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলো- উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন তালতলা বাগবাড়িয়া গ্রামের মৃত সুবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর ও অপরজন নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রমানীকের ছেলে শাহীনুর ইসলাম।

তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ বলেন, গৃহকর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

কাউন্সিলরের বিচার: কবুতর চুরির অভিযোগে জরিমানা ২৫ হাজার টাকা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদি এলাকার হাইয়াতুল ইসলামের বিরুদ্ধে কবুতর চুরির অভিযোগ তুলে হাইয়াতুলের বাবা নাসিরউদ্দীনকে মারধর করেছেন কাউন্সিলর নাঈম আহম্মেদ রিপন। রিপন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

আহত নাসির উদ্দীনের স্ত্রী রহিমা বেগম রিপনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। পরে স্থানীয় মারাত্মক আহত অবস্থায় নাসির উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাসির উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, নাসির উদ্দীন সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের বাসিন্দা। তার ছোট ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র হাইয়াতুল ইসলামকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে কাউন্সিলর নাইম আহাম্মেদ রিপন ও তার লোকজন তাদের খানবাজার কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে তার বাবা নাসির উদ্দিন ও আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বলে আপনাদের ছেলে কবুতর চুরি করে বিক্রি করেছে। তাই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, আমার ছেলের কোনো কবুতর চুরি করেনি। এমনকি তার কাছে কোনো কবুতর পাওয়া যায়নি। পরে আমরা কাউন্সিলরকে ২৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার সামনেই আমার স্বামী নাসির উদ্দিনকে হাত পা চোখ বেঁধে লাইট বন্ধ করে কাউন্সিলর ও তার সহযোগী মামুন মিয়া দুই দফা পিটিয়ে বেধরক মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে।

আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে এবং থানায় অভিযোগ করলে এলাকা ছাড়া ও বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় কাউন্সিলর রিপন। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় তার স্বামীকে সোনারগাঁ উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপন বিষয়টি অসত্য দাবি মুঠোফোনে বলেন, আমার কার্যালয়ে কাউকে মারধর করা হয়নি। শুধু মাত্র নাসির উদ্দিনের ছেলে কবুতর চুরির ঘটনায় তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। আমার কোনো লোকজন তাদের এলাকা ছাড়া করার কোনো হুমকি দেয়নি।

এদিকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, বিচারের নামে কাউকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো যায়না। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহানগর যুবদলের রাজনীতি: সাগর প্রধানে নাস্তানাবুদ খোরশেদ মন্তু!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে এক সাগর প্রধানেই নাস্তানাবুদ সংগঠনটির সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নেতাকর্মীদের নিয়ে রীতিমত শহরে শোডাউন করেছেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান। যার সঙ্গ দিয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন।

এর আগে তাদের সঙ্গেই ছিলেন সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন যিনি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠলেও কিছুদিন পরেই ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় তিনি ঝিমিয়ে যান। তবে হাল ছাড়ছেন না সাগর প্রধান। তিনি একাই মহানগর যুবদলের ব্যানার নিয়ে ঠাঁয় লড়ছেন রাজপথে, তেমনি সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির বিরুদ্ধে ‘অরাজনৈতিক’ কর্মকান্ডের প্রতিবাদে। সাগর প্রধান নিজেই অভিযোগ তুলেছিলেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে শীর্ষ দুই নেতার ‘অরাজনৈতিক’ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করছেন তিনি। তিনি তার নিজের পদের জন্য প্রতিবাদ করছেন। তিনি কর্মীদের মুল্যায়নের জন্য প্রতিবাদ করছেন।

ছবি- সাগর প্রধানের নেতৃত্বে মহানগর ‍যুবদলের পৃথক কর্মসূচি।

নেতাকর্মীদের দাবির মতে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি রাজপথে ভুমিকা মহানগর যুবদলের। যে সংগঠনের প্রায় সকলেই একাধিক মামলার আসামি। জেল খেটেছেন যুবদলের কয়েকশ নেতাকর্মী। যে কারনে মহানগর যুবদলের দিকে দৃষ্টি সবার। কিন্তু এমন একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দেখা গেল একই দিন মহানগর যুবদলের ব্যানার দুটি। একদিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন সকালে সভাপতি খোরশেদ ও সেক্রেটারি মন্তু কর্মসূচি পালন করেছেন। আবার একই দিন বিকেলে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পৃথকভাবে একই ব্যানারে কর্মসূচি পালন করেছেন।

তবে সাগর প্রধান নিয়মিত দাবি করে আসছেন, তিনি সকলকে নিয়ে বসে মত দ্বিমতের সুরাহ করার জন্য সভাপতি ও সেক্রেটারির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এমনকি তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য সাত দিনের আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন। কিন্তু সভাপতি ও সেক্রেটারি দীর্ঘ সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোন কর্ণপাত করেননি। যে কারনে তিনি বাধ্য হয়েই পৃৃথকভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে সভাপতি ও সেক্রেটারিকে সমাধানের জন্য আল্টিমেটাম দেন। তাদের দাবি ছিল সকলকে নিয়ে বসে তাদের মতামত শোনা এবং তার সমাধান করার। সেই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর কমিটি গঠনের বিষয়েও তারা বিরোধীতা করেন। কিন্তু এসবের সমাধান না হওয়ার কারনে সাগর প্রধান এখন মহানগর যুবদলের ব্যানার নিয়ে পৃথকভবে কর্মসূচি পালনে মাঠে নেমেছেন। যদিও বন্দরের ওই অনুষ্ঠানে মনোয়ার হোসেন শোখন, সানোয়ার হোসেন ও আহাম্মদ আলীও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাদের আল্টিমেটাম আমলে না নিলেও সানোয়ার হোসেনকে ম্যানেজ করেছেন সভাপতি ও সেক্রেটারি।

ছবি- খোরশেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের কর্মসূচি পালন।

আরও জানাগেছে, মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটিতে সভাপতি হন মাকসুুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু। ওই সময় মনক্ষুন্ন ছিলেন সানোয়ার হোসেন। কারন এর আগের আহ্বায়ক কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকলেও সুপার ফাইভ কমিটিতে তিনি ছিলেন না। তবে সুপার ফাইভ কমিটি গঠনের পর এই ৫ জন নেতাকে ঐক্যবদ্ধ দেখা যায়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরপরই তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যেখানে কমিটির অধিকাংশ নেতারা রয়েছেন সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে সেখানে সাগর প্রধান এখন শোখনকে নিয়েই পৃথকভাবে মাঠে নেমেছেন। যদিও সাগর প্রধান বারবার দাবি করছেন তিনি বিরোধ চান না। তিনি চান সকলকে নিয়ে বসে মত দ্বিমতের কথাগুলো শোনা এবং তার সমাধান করা।

সর্বশেষ সংবাদ