খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর মত পরিস্থিতি হয়নি: না’গঞ্জে সেতু মন্ত্রী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দুর্নীতির দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার মতে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি।

২ নভেম্বর শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে বিআরটিএ’র কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় দ- নিয়ে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস সহ বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য গত ১এপ্রিল থেকে তাকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সেখানে সুষ্ঠু চিকিৎসা হচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপি প্রধানকে ঢাকার কোনো বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিএনপি নেতারা।

সম্প্রতি খালেদার বোন সেলিমা ইসলাম হাসপাতালে খালেদাকে দেখে এসে বলেন, খালেদা জিয়া পঙ্গু হওয়ার উপক্রম। তিনি নিজে খাইতে পারেন না। নিজের কাপড়ও পড়তে পারেন না। জামিন পেলে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন।

তাদের এমন দাবির মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক। মাহবুবুল হক বলেন, ‘ভর্তির সময় থেকে শুরু করে গত সাত মাসে উনার অবস্থার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু উনার অবস্থার কোনোভাবেই কোনো অবনতি ঘটেনি।’

নারায়ণগঞ্জে বিআরটিএ’র কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সঙ্গে দলীয় নেতাদের বক্তব্যের কোনও মিল নেই। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছেন। সেই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে এবং তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।’

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে গলাবাজি করছে বলেও মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরও জনগণ সাড়া না দেওয়ায় তারা আন্দোলনে ব্যর্থ। নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নালিশ করছে মানুষের কাছে। নালিশ করা বিএনপির একটি রোগে পরিণত হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, সুন্দর না হতো মির্জা ফখরুল সহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বর্তমান সংসদকে অবৈধ বলা হয়, তাহলে সংসদে যোগ দেওয়া বিএনপির সাত সংসদ সদস্যও অবৈধ।’

এ সময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, হাইওয়ে পুলিশের পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ সহ বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

না’গঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতাদের যে নির্দেশনা দিলেন মির্জা ফখরুল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমঙ্গীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা। ২ নভেম্বর শনিবার সকালে নেতৃবৃন্দ বিএনপি মহাসচিবের উত্তরা বাসভবনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বিএনপি মহাসচিব উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিয়ম বহির্ভূত কোন কর্ম কারোর জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারেনা। রাষ্ট্র সমাজ রাজনীতি সব কিছুই একটি নিয়মের মধ্যে চলবে এটাই স্বাভাবিক। সেই স¦াভাবিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে যারা সেচ্ছাচারিতা বা স্বৈরাচারি মনোভাব পোষণ করবে তারা বেশি দূর এগুতে পারবেনা। তাদের কর্মই তাদেরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্র বা কোন প্রতিষ্ঠানকে বেশি দিন পরিচালনা করা যায়না। নিয়মের বাইরে যারা চলবে তারা নিশ্চই একদিন হারিয়ে যাবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান।

মহাসচিব নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল, গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগবান করার নির্দেশনা দেন।

অনুমোদিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে আমন্ত্রণ করলে, তিনি তাতে সম্মতি জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৩০ অক্টোবর বুধবার ঘোষণা করা হয়।

বিকেএমইএ’র ডিজিটাল সভা: কার্যালয় হবে চট্টগ্রামে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদে দ্বিতীয় মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ীক কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে উক্ত সভায় অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করেছেন সংগঠনটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

২ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় প্লানেস টাওয়ারে বিকেএমইএ এর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উক্ত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে প্রথম মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে সেলিম ওসমান বিকেএমইএ এর কার্যক্রমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা এবং পর্যায়ক্রমে ঢাকা ও চট্রগ্রাম কার্যালয় মাসিক সভা করার ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় মাসিক সভায় যেটির বাস্তবায়ন করা হয়।

সভার শুরুতে বিকেএমইএ এর সভাপতি ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উনার উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার ফলেই ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে থেকেও তিনি উক্ত সভায় অংশ নিতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়াও উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চট্রগ্রামে বিকেএমইএ এর একটি নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদ করা হয়েছে যা পরবর্তী এজিএম’এ চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে। এছাড়াও আসন্ন এজিএম’এ বিকেএমইএ এর সাধারণ সকল সদস্য স্বপরিবারে এসে আনন্দ উৎসব করতে পারে সে জন্য আরো ১ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রথম সভায় গৃহিত সকল সিদ্ধান্তের অনুমোদন করা হয়।

বিকেএমইএ এর সভাপতি ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহ-সভাপতি অমল পোদ্দার, সহ-সভাপতি গহর সিরাজ জামিল, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, পরিচালক মঞ্জুরুল হক, আবু আহম্মেদ সিদ্দিক, মনসুর আহম্মেদ, ফজলে শামীম এহসান, জিএম ফারুক, মোস্তফা জামাল পাশা, আশিকুর রহমান, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, মোর্শেদ মনোয়ার ভূইয়া, তারিক আজিজ, শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, সেলিম মাহমুদ, নাসিমুল তারিক মঈন, রতন কুমার সাহা, নন্দ দুলাল সাহা, কবির হোসেন, মোহাম্মদ হাসান, মির্জা মোহাম্মদ আকবর আলী চৌধুরী, ইমরান কাদির তূর্য, মজিবুর রহমান।

বন্দরে মানবাধিকার কাউন্সিলের অভিষেক ও সংবর্ধনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল (বাবাকা) বন্দর থানা শাখার অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ নশে^র শনিবার বিকেলে মদনগঞ্জ প্রধাণ সড়কে এ অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল জেলা শাখার সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু বলেন, মানব সেবা পরম ধর্ম। মানুষ মানুষের জন্য এগিয়ে আসবে এটাই তার নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালণ করতে একটি সংগঠনের মাধ্যমে আবদ্ধ হতে হয়। যে সংগঠন সবসময় নির্যাতিত, অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে প্রতিবাদ করবে ও তার অধিকারটুকু তাকে পেতে সহায়তা করবে সে সংগঠনটির নাম মানবাধিকার সংগঠন।

তিনি আরো বলেন, আমি বন্দর থানা বামাকা’র কার্য্যক্রমে অভিভূত ও বিমোহিত হয়েছি। আপনারা সমাজের কল্যাণকর কাজে এগিয়ে যান। আমার পক্ষ থেকে আমি সর্বাত্বক সহায়তা করব ইনশাআল্লাহ। মানুষের জন্য কাজ করে যান আপনাদের সুনাম এমনিতেই চলে আসবে। এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা বামাকার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল বন্দর থানা শাখার সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা মানবাধিকার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হায়দার রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বামাকার শাহিনুল ইসলাম টিটু, বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, নাসিক ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, বন্দর থানা বামাকার সিনিয়র সহ-সভাপতি মঞ্জুর হাসান মঞ্জু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ ও বন্দর থানা যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুম।

বন্দর থানা বামাকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আউয়াল রবি ও সদস্য মতিন মাতবরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বামাকার নেতা মিজানুর হোসেন খোকন, সৈকত, বামাকা বন্দর থানা শাখার উপদেষ্টা আব্দুল আজিজ মিয়া, মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, সেলিম মিয়া, আলমগীর হোসেন, মফিজুল ইসলাম মফিজ, কফিল উদ্দিন, সহ-সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস, ফারুক আহমেদ মাসুম, মোঃ আবদুর জব্বার সরদার, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সোহেল প্রমূখ।

দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় জেলহত্যা: মাহামুদা মালা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা বলেছেন, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি। পনের আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করব।

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ছালেনগর এলাকায় তৈয়ব হোসেন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ২ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় ছালেনগর এলাকায় তৈয়ব হোসেন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন।

তৈয়ব হোসেন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দীল মোহাম্মদ পাঠানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর শ্রমিকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী হোসেন, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, বন্দর থানা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি নুর জাহিদ বাদল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লাবু, বন্দর ইউনিয়ণ ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোয়েব মোহাম্মদ লিটন, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল, মফিজুল ইসলাম, ইউসুফ মেম্বার, আজিজ ও শুক্কুর আলী প্রমূখ।

বন্দরে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে গেলেন খোকন সাহা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাস্টারকে দেখতে গেলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। ২ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বন্দরের শাহীমসজিদ এলাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাস্টারের বাস ভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে দেখতে যান তিনি।

অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন খোকন সাহা। তিনি বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধ না করলে এদেশ স্বাধীন হতোনা। আর দেশ স্বাধীন না হলে আমরা আজ রাজনীতি করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে পারতাম না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আমি অসুস্থ্য এ মুক্তিযোদ্ধার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

এ সময় বীরমুক্তযোদ্ধা নাজিম মাস্টারের শয্যাপাশে খোকন সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা সুজিত সরকার, বন্দর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল, শিক্ষকনেতা আব্দুর রব লাবু প্রমূখ।

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, ৪ জনকে পিটিয়ে জখম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামে ২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে, মামরকপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের সঙ্গে একই গ্রামের আলমগীরের দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বর্তমানে আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। শনিবার দুপুরে আবদুল মালেকের জমিতে আদালতের নিদের্শ অমান্য করে আলমগীরের পক্ষের আবু বক্কর, রুবেল, মিজান, মনির হোসেন, তানভীরের সহযোগীতায় জোরপূর্বক একটি ঘর নির্মাণ করতে যায়।

এ সময় মালেকের স্ত্রী মমতাজ বেগম, মেয়ে মাহমুদা আক্তার, ছেলে মনছুর এবং ছেলের স্ত্রী নিলা বাধা দিলে ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। মারধরে আহত গাজী আওলাদ সহ তার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেেেক্স ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত আব্দুল মালেকের মেয়ে মাহমুদা আক্তার বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আহত মালেক অভিযোগ করেন, বাড়ির জমি নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরেই ও তার সহযোগীরা আমার পরিবারের চার জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। অপরদিকে আলমগীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। সামান্য হাতাহাতি হয়েছে মাত্র।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত সাংবাদিক নয়নের পাশে অয়ন ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান নয়নের পাশে দাঁড়িয়েছেন একেএম অয়ন ওসমান।

গুরত্বর অসুস্থ্য সাংবাদিক নয়নের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে দুই লক্ষ টাকা সহায়তা দিয়েছেন অয়ন ওসমান। এছাড়াও সার্বিক সহযোগীতারও আশ্বাস নিয়েছেন তিনি।

২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে নয়নের সহধর্মিনীর হাতে অয়ন ওসমানের সহায়তা তুলে দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আহাম্মেদ কাউছার, সুমিত, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামন প্রমূখ।

‘২০০৮ সালের পর আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারীরা পদ পাবেনা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেছেন, আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে যারা ২০০৮ সালের পর আওয়ামীলীগের অনুপ্রবেশ করেছে তারা কিছুতেই পদ পদবী পাবেনা। তারা সাধারণ সদস্য হয়ে থাকতে পারবে। আর কোনভাবে যদি কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে যায় তাহলে তাকে বের করে দেয়া হবে।

এছাড়াও কমিটি গঠনে যদি কোন হাইব্রিড ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাকেও কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও হুশিয়ার দেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।

২ নভেম্বর শনিবার বিকেলে বক্তাবলী বাজারে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবীণ এই আওয়ামীলীগ নেতা আরও বলেন, শওকত আলীর (চেয়ারম্যান) আমলে বক্তাবলী উপ-শহরে পরিনত হয়েছে। কিন্তু আমি বলতে চাই বক্তাবলী উপ-শহর নয়, শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় পাকা রাস্তা হয়েছে। এই এলাকায় মানুষ গাড়ি দিয়ে চলাচল করছে। বক্তাবলীতে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হয়েছে। বক্তাবলীর উন্নয়নের জন্য শওকত আলী সব সময় চিন্তা করেন। শওকত আলীর নেতৃত্বে এই বক্তাবলীতে একটি ব্রীজ হবে সেটাই প্রত্যাশা করছি। নারায়ণগঞ্জ হতে বক্তাবলীর সাথে যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা করতে শওকত আলী এমপি শামীম ওসমানকে চাপ সৃষ্টি করে থাকেন।

নিজেদের রাজনীতিতে সামনে সময় অনেক কম রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় অনেক কম। খুব শীঘ্রই থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলন করতে হবে। তাই যদি পারেন আজকের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটিগুলো করে ফেলতে হবে। বক্তাবলী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের লোকজন রয়েছে সবাইকে বলছি সু-শৃংখলভাবে কমিটিগুলো করে ফেলেন। তাহলে আমাদের থানা কমিটি গঠন করতে সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, থানা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, থানা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাকিম চৌধুরী, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: বাবুল মিয়া, শফিক মাহমুদ, ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, সহ-সভাপতি শরীয়তউল্লাহ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক নাজির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাশফিকুর রহমান শিশির, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শাহিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ সামেদ আলী, থানা আওয়ামীলীগ নেতা মালেক খন্দকার, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান প্রধান, রাসেল চৌধুরী, আব্দুল জলিল গাজী, মনির হোসেন, আমজাদ হোসেন, ওমর ফারুক, আখিল উদ্দিন প্রমূখ।

সভাপতি পদে সুমন, সেক্রেটারি পদে আলোচনায় একাধিক প্রার্থী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন জরুরী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারাও সেই প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। কারন আড়াইহাজারে শীর্ষ দুটি পদে রয়েছেন ভারপ্রাপ্তরা। যদিও তা নিয়েও বেশ তর্ক বিতর্ক রয়েছে। সেই সঙ্গে আড়াইহাজার বিএনপির কমিটিতে সভাপতি পদে এককভাবে এখন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনায় রয়েছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। তবে সেক্রেটারি পদে আলোচনায় রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। যদিও পদ প্রত্যাশি নেতারা এখণও ঘোষণা না দিলেও নেতাকর্মীদের মুখে মুখে এসব পদ প্রত্যাশি নেতাদের নাম ওঠে আসছে। জেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন পদ প্রত্যাশিরা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সভাপতি পদে নেতাকর্মীদের মুখে জোড়ালো আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। একইভাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদেও কাশেম ফকির দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও তার এ পদটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারন হাবিবুর রহমান হাবু এখনও তিনি নিজেকে দাবি করেন তিনিই দলটির সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রয়েছেন।

যদিও ২০১২ সালে হাবুকে জেলা বিএনপি শোকজ করেছিল। সেই শোকজের জবাব না দেয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাশেম ফকিরকে দায়িত্ব দেন তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার। প্রায় এক বছর পূর্বে বিএনপির সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরু মৃত্যুবরণের পর নেতাকর্মীরা তার ছেলে সুমনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে নেতাকর্মীদের মুখে আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আবদু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাশেম ফকির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, বিআরডিপির সাবেক পরিচালক আনোয়ার হোসেন অনু, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত ও জেলা বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল হোসেন। তবে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে এদের মধ্যে কে কে প্রার্থী হবেন সেটা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে। আবার অনেকেই জানিয়েছেন এদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ সভাপতি পদেও প্রত্যাশা করতে পারেন। তবে প্রয়াত নেতা খসরুর বৌদলতে সভাপতি পদে সবার আগেই থাকছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। এখানকার রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ উপজেলার নেতৃত্বে আসতে অনাগ্রহী। তিনি পেছন থেকে তার অনুগত কাউকে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করবেন বলেও নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা থানা/উপজেলা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতিমধ্যে সাংগঠনিক মিটিংও শুরু করেছি। আড়াইহাজারের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক মিটিং ইতিমধ্যে আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সম্ভাবনা বেশি। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা উপজেলা/থানা কমিটিগুলো গঠন করব। কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

সর্বশেষ সংবাদ