বন্দরে কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে নারীর অনৈতিক ভিডিও ফাঁস, শুরু হলো তদন্ত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রত্যাহার হওয়া সেই উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নালের নারী কর্মচারীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসে এসে তদন্তের কাজ শুরু করেন।

এ সময় অভিযুক্ত সেই জয়নাল ও নারী কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. গোলাম মোস্তফা, সদস্য অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মুরাদুল হাসান ও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল গাফ্ফার।

তদন্ত কমিটির প্রধান ড. গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি তদন্ত করছি। আমরা ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করব। তবে তদন্তের স্বার্থে সময় বাড়তে পারে। তদন্ত কমিটি ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং দুই জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিে কৃষি অফিসের মহিলা কর্মচারী জয়নালের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে ওই নারীর স্বামী বলেন, উপ-সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জয়নাল আবেদীন অনেক খারাপ লোক। আমি যখন এ অফিসে ছিলাম তখন একদিন আমি তার দুর্নীতির জন্য তাকে মারধর করেছিলাম।

কমিটি গঠনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে: সাইফউল্লাহ বাদল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেছেন, কমিটি গঠনে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। তাদেরকে কমিটির সম্মান স্থানে রাখা হবে। দীর্ঘদিন ধরে যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তারা মূল্যায়িত হবে এটাই স্বাভাবিক। আর নতুন করে আওয়ামীলীগের ঢুকেছেন তারা আওয়ামীলীগের কমিটিতে পদ পদবী পাবে না। কোন ভাবে বা কোন ভুলক্রমে নতুন আওয়ামীলীগের লোকজন কমিটিতে ঢুকে যায় তাদেরকে বাদ দেয়া হবে।

৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লার দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাশিপুর ইউনিয়ন ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যারা নতুন করে আওয়ামীলীগের ঢুকেছে তারাই দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করছে। তাই সেই সব আওয়ামীলীগের লোকদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন আওয়ামীলীগের নাম ভেঙ্গে অপরাধ কর্মকান্ড করে দলের সুনাম নষ্ট করতে না পারে। আর দেশে শুদ্ধি অভিযানে এবং কেসিনো কর্মকান্ডে যারাই জড়িত রয়েছে এবং অপরাধ কর্মকান্ড করেছে তারা সবাই অন্য দল থেকে এসে আওয়ামীলীগের এসে এসব অপরাধ কর্মকান্ড করেছে।

সাইফউল্লাহ বাদল আরও বলেন, কাশিপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার পরও খুব শিগ্রই ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হবে। যাদেরকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে আমি মনে করি যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হবে। আমরা নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ শক্তিশালী একটি দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এমএ সাত্তারের সঞ্চালনায়ে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জাহেদুল হক খোকন, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, হুমায়ন কবির রতন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব সৌরভ, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক খোকা, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শামীম আহম্মেদ, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য মরিয়ম আক্তার, আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশীদ, কাশিপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, কাশিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন প্রমূখ।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে মহানগর যুবদলের শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু মহানগর যুবদলের পক্ষে এই শোক প্রকাশ করেন।

শোক বার্তায় মহানগর যুবদল জানায়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গেরিলা যোদ্ধা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুর রহমান রশু।

শোক বার্তায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতারা বলেন, সাদেক হোসেন খোকা দলমত নির্বিশেষে সারা দেশে একজন সার্বজনীন নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি দেশের উন্নয়নে সাড়া জীবন মনোনিবেশ করেছিলেন। তার মত অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধার পাসপোর্ট আটকে রেখে সরকার চরম হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। খোকার প্রতি অবমাননা সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি অবমাননার শামিল।

ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া যারা রাজনীতি করে দুর্নীতিই তাদের ভরসা: এমএ মাজেদ খাঁন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া রাজনীতি করলে দুর্নীতিই তাদের অর্থ আয়ের জায়গা বা ভরসা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমএ মাজেদ খাঁন। সকালে প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মাজেদ খাঁন বলেন, আপনি সংসারের খরচ মিটাবেন টাকা দিয়ে। আর সেই টাকা আয়ের বৈধ উৎস যদি না থাকে তাহলেই কিন্তু আপনি অন্য কিছু চিন্তা করবেন। সে যেভাবেই হোক আপনার প্রয়োজনে আপনি কিন্তু সেই এবং সহজ পথই বেঁছে নিবেন। এটাই বাস্তবতা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি তুলে ধরেন তার আয়ের উৎস। তিনি জানান, মাজেদ খাঁন ১৮ বছর বয়সে ১৯৮১ সালে সিঙ্গাপুর যান, সেখানে ২ বছর উচ্চ মানের বেতনে চাকুরি করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে যান সৌদি আরবে। সেখানে দীর্ঘ ১০বছরের প্রবাসী জীবনের এক পর্যায় ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়েন। সৌদিতে তার নিজস্ব ২টি দোকান ছিল। তার দোকানে অনেক প্রবাসী বাঙালীও কাজ করতেন। প্রবাস জীবনের আয় দিয়ে তিনি গাজীপুর ও উত্তরায় কিছু জমি কিনেন। পাশাপাশি সেখানে অবস্থানের সময় ১৯৯২ সাল থেকে তিনি শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে লোক দিয়ে রেন্টে কার এর ব্যবসা শুরু করেন। ২০০১ সালে সৌদি প্রবাসী চিনা বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় প্রবাসী আয়ের বড় একটি অংশ বিনিয়োগ করেন বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের পার্টস আমদানীর ব্যবসায়। তার মতে তৎকালীন বাংলাদেশে গুটি কয়েক ব্যক্তি এ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।

এক সময় দক্ষিণখানের আশকোনায় মাজেদ খান গড়ে তোলেন থ্রি স্টার মানের আবাসিক হোটেল। যা বর্তমান মক্কা আবাসিক হোটেল নামে পরিচিত। তিনি জানান, মক্কা হোটেলের জায়গা ক্রয় ও এর নির্মাণকালীন সময় তিনি বিদেশে অবস্থান করেন।

তাছাড়া, ১৯৮৭সাল থেকে আশকোনায় রয়েছে মাজেদ খাঁনের পৈতৃক পারিবারিক একটি আবাসিক হোটেল। যেটির মালিক ছিলেন মাজেদ খানের বাবা মৃত নাছির উল্লাহ। তবে, আশকোনার নির্মানাধীন তার ৭ তলা একটি ভবন রয়েছে বলে চাউর আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ভবনটি আমাদের এক নিকটাত্মীয়ের।

মাজেদ খাঁন আরও জানান, তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে শ্রীপুরের এমপি অ্যাডভোকেট রহমত আলীর সাথে ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে যখন ক্রসফায়ারের নামে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হতো, তখন দুঃসময়ে যুবলীগে যোগ দেন। পাশে দাড়ান ভীতস্থ থাকা উত্তরার যুব নেতাদের। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি বিরোধী তীব্র আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অন্যন্যা নেতাদের মতো তিনিও রাজপথে ছিলেন কেন্দ্রীয় সকল কর্মকান্ডে। অংশ নিয়েছেন মিছিল, মিটিং ও সমাবেশে। হাত বাড়িয়েছেন প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহযোগিতার।

মাজেদ খাঁন আরো বলেন, উত্তরায় বিএনপি নেতাদের কোনঠাসা করে রাজপথ দখলের মূখ্য ভূমিকা পালনের কারনে তার নাম সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি জানান, উত্তরার আওয়ামীলীগে তৎকালীন সময়ে তার তেমন কোন দলীয় পদবী না থাকলেও বিএনপি বিরোধী আন্দলনে দীর্ঘ ত্যাগ স্বীকার করায় তাকে দলীয় ত্যাগী নেতার পাশাপাশি উত্তরাবাসীর কাছে হয়েছেন শ্রদ্ধাভাজন। ফলে, উত্তরার স্থানীয় রাজনীতিতে মাজেদ খাঁন এক সর্বত্র পরিচিত মুখ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এমএ মাজেদ খান জানান, তার যে ব্যবসা রয়েছে সেখানে রাজনীতি ঢুকিয়ে কোন লাভ নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া যারা রাজনীতি করে দুর্নীতি ছাড়া তাদের কোন গন্তব্য থাকে না। আর তার এমন কোন ব্যবসা নেই যেখানে মানুষের সাথে প্রতারণা করার সুযোগ রয়েছে।

মাজেদ খাঁনের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে উত্তরা আজমপুরের রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটের ৫ম তলার মোবাইল মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ২০০৭ সালের দিকে যখন রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটটি আংশিক চালু হয় তখন তিনি তাদের সাথেই রাজউকের নির্ধারিত মূল্যে মার্কেটে একটি দোকান লিজ নেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মোবাইল মার্কেটের পূর্ব পাশের অংশ রাজউকের নির্ধারিত মূল্যে লিজ নেন। মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ জানান, ২০০৭-৮ সালে গ্রাহক তেমন না থাকায় এই মার্কেটে তেমন কেউ দোকান লিজ নিতনা। তবে মাজেদ খান ভবিষৎ পরিকল্পনায় হয়ত এখানে একটি রেষ্টুরেন্ট নিয়েছেন। পরপর তিনি আরো ২টি দোকানও লিজ নেন। আর তিনি যে রাজনীতি করেন আমরা কখনও দেখিনি রাজনৈতিক কোন প্রভাব কিছুতে দেখাতে। তিনি রাজনীতিকে রাজনীতির জায়গায় আর ব্যবসাকে ব্যবসার জায়গায় সব সময়ই রাখেন।

এলাকায় চাউর আছে, তুরাগ থানার দলিপাড়া এলাকায় আপনার ৫ তলার একটি বাড়ি আছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার শশুর সরকারি চাকুরি করতেন। তার শশুড়ের ১ ছেলে ও ২ মেয়ে। তার স্ত্রী মায়ের ওয়ারিশ হিসেবে তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লার সম্পত্তি বিক্রি করে এবং তিনি (মাজেদ খাঁন) প্রবাসে থাকাকালীন তার বাবা গাজীপুরে কিছু সম্পত্তি রাখেন তা বিক্রি এবং আশকোনার বাড়ীকে আবাসিক হোটেল করে ভাড়া দিলে জামানত হিসেবে পাওয়া ৩০ লাখ টাকা এবং তার জমানো মাসিক ভাড়া দিয়ে ২০১৩ সালের দিকে বাড়ীটি করেন। ২০১৬ সালে বাড়ীটি বিক্রি করে আমরা ৫নং সেক্টরের আবাসিক এলাকায় বাড়ী করি। ২০১৮ সালে প্রাইম ব্যাংকে আমাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির কাগজপত্র জমা রেখে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যাংক লোন নেন। ব্যাংক লোন এবং আমাদের মাসিক জমানো টাকা দিয়ে উত্তরা ১০নং সেক্টরে ৮তলার একটি বাড়ী নির্মাণাধীন।

তিনি বলেন, ব্যবসা হালাল। এখানে রাজনীতি টেনে আনার কোন প্রশ্নই আসেনা। তার বা তার পরিবারের উপার্জিত সম্পদ শ্রম ও মেধায় তৈরি। তার বা তাদের কোন ডেভোলোপার ব্যবসা নেই। শুধু তাই নয়, রাজনীতি সাথে থাকলে ফায়দা নেয়া যায় এমন কোন ব্যবসার সাথে তার পরিবার জড়িত নয় বলে দাবি করেন।

তিনি আরও জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে রাজনীতি করে আসছে। কোন সু-সময়ে রাজনীতিতে যোগদান করেননি যে তিনি দুর্নীতির ঘটনা ঘটবেন। তাছাড়া তিনি কোন অনুপ্রবেশকারীও নয়। তিনি ঢাকা ১৮ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের একনিষ্ঠ তৃনমূল কর্মী হিসেবেই কাজ করে আসছেন। তারই (সাহার খাতুন) অনুপ্রেরনায় ২০১৬ সালে শ্রমিকলীগে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানায় এমনকি স্থানীয়ভাবে কোন কারণে কোন দিন দেন-দরবারেরও কোন অভিযোগ নেই।

২০০৪ সালে যুবদলের এক নেতা হত্যা মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাজেদ খাঁন বলেন, বিএনপি-যুবদলের নেতা তাদের কোন্দলে খুন হয় মহিউদ্দিন বাদল। ওই মামলার এক আসামী ১বছর পর গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ওই মামলায় মাজেদ খান জড়িত আছে বলে অপচেষ্টা করে স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক স্বার্থলোভী ব্যক্তি। এমনটাই দাবি করেন মাজেদ খাঁন।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে রুহুল আমিন শিকদারের শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক রুহুল আমিন শিকদার।

৪ নভেম্বর সোমবার এক শোকবার্তায় রুহুল আমিন শিকদার বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি-আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী মরহুম সাদেক হোসেন খোকা বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তা নেতাকর্মীদের নিকট চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মতো একজন আদর্শবান রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।

রুহুল আমিন শিকদার শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জানাগেছে, সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে সাদেক হোসেন খোকা মৃত্যুবরণ করেন।

সুমনকে সভাপতি পদে চান সেক্রেটারি প্রত্যাশিরা, অনুর কমিটি জমা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে জোড় আলোচনা শুরু হয়েছে। যেখানে সভাপতি পদে মাহমুদুর রহমান সুমনকেই দেখতে চান অধিকাংশ সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি নেতারা।

তবে সুমনের আগেই আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির একটি খসড়া কমিটি জেলা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু। অনু নিজেকে সভাপতি পদে রেখে কমিটি জমা দিলেও তিনি কৌশলে সুমনের পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, আমাকে সভাপতি পদে দায়িত্ব না দিলে দল যদি সুমন কিংবা অন্য কাউকে যোগ্য মনে করে দায়িত্ব দেয় তাহলে আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিব।

এ বিষয়ে বিআরডিপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু জানান, তিনি নিজেকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টুকে সেক্রেটারি করে মোট ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রস্তাবিত কমিটি জেলা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছেন।

তবে তার এই কমিটিতে নেই আড়াইহাজার বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আজিজুল হক হান্টু আড়াইহাজারের সক্রিয় রাজনীতিতে নেই অনেক আগে থেকেই।

অনু এ বিষয়ে বলেন, বেশ কয়েকদিন হয়েছে আমি নিজে সভাপতি প্রার্থী ও অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টুকে সেক্রেটারি করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের কাছে জমা দিয়েছি। তবে দলের স্বার্থে যদি সুমন বা অন্য কোন যোগ্য লোককে সভাপতি করা হয় তাহলে আমি সহ সকল নেতাকর্মী তার পাশে থাকবো।

অপর সভাপতি প্রত্যাশি মাহমুদুর রহমান সুমন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা অনু বলেন, প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু একজন নি:সন্দেহে বড় মাপের নেতা ছিলেন। তিনি আতাউর রহমান খান আঙ্গুরকে এমপি বানিয়েছেন। প্রয়াত খসরুর সন্তান মাহমুদুর রহমান সুমন একজন ক্লিন ইমেজধারী লোক। দল তাকে সভাপতি করা হলে আমরা বিরোধীতা করব না।

এদিকে আনোয়ার হোসেন অনুর কমিটি জমা দেয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা প্রতিটি থানা/উপজেলায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখন যে যার মত করে কমিটি তৈরি করে আমাদের কাছে দিচ্ছে। আমরা সেগুলো রাখছি। যাচাই বাছাই হবে। তারপর কমিটি গঠন করা হবে। আড়াইহাজার থেকেও জমা দিয়েছে আমরা রেখেছি। তবে বিষয়টি অফিসিয়ালি নয়। সবাই যে যার মত করে কেউ নাম জমা দিচ্ছে, কেউবা কমিটি জমা দিচ্ছে। প্রতিটি এলাকা থেকে এসব নাম আমরা পাচ্ছি। আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দিব সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

অন্যদিকে আড়াইহাজার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি বেশকজন নেতা সভাপতি পদে মাহমুদুর রহমান সুমনকেই যোগ্য মনে করছেন। তাদের একজন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ফকির বলেন, বিএনপির অতীত নেতৃত্বের মত নেতৃত্ব আসলে এই উপজেলায় বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তাছাড়া অতীতে প্রয়াত খসরু আড়াইহাজার বিএনপির অভিভাবক হিসেবে দীর্ঘদিন শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তারই ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন। আমরা চাই আড়াইহাজার বিএনপির দায়িত্ব সুমনকে দেয়া হোক। নতুবা এখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে মেনে নেবে না।

অপর সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশি মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা বলেন, আড়াইহাজার বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি একজন ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নেই তার কোন প্রকার বদনাম। তাছাড়া তিনি আড়াইহাজারে শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছেও একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাই আমি মনে করি তাকে সভাপতি দিলে দল সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে যাবে। তার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।

সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত বলেন, মাহমুদুর রহমান সুমন একজন শিক্ষিত, সাহসী ও সাংগঠনিক ব্যক্তি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সর্বদা পাশে থাকেন। বিপদে আপদে আমরা তাকেই পাই। তার হাতে বিএনপির দায়িত্ব দেয়াটা এখন সময়ের দাবী।

বিএনপির এসব শীর্ষ নেতারা ছাড়াও বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাহমুদুর রহমান সুমনকে যোগ্য দাবি করে তাকেই সভাপতি পদে দেখতে চান বলে মনে করেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুজ্জামান খসরুর মৃত্যুর পর কিছু দুষ্ট লোক আড়াইহাজার বিএনপিকে বিভক্ত করতে চেষ্টা করে। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গা বাঁচিয়ে চলেছেন। উপজেলায় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। অন্যরা দলের দুর্দিনে চোরা বালির ওপর নেতাকর্মীদের ফেলে চলে গেছেন। সেই সময় সুমন নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। তাকে দলের দায়িত্ব দেয়া হলে নেতাকর্মীরা উৎসাহের মধ্যে দিয়ে দলের জন্য কাজ করবেন। আমরা চাই তাকে দলের সভাপতি করা হোক।

সুমনের বিষয়ে জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন মেম্বার বলেন, আড়াইহাজার বিএনপিকে এক সূতায় বাঁধতে মাহমুদুর রহমান সুমনের কোনো বিকল্প আলোচনায় মাহমুদুর রহমান সুমন। তাকেই আমরা নেতাকর্মীরা যোগ্য মনে করি।

আড়াইহাজার ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, আড়াইহাজার বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে সক্ষম এমন ব্যক্তি যিনি সকল নেতা কর্মীদের একত্রিত করে দলীয় কার্যক্রমকে বেগবান করতে পারেন। এমন কাউকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হোক। আর এদিক থেকে বিবেচনা করলে মাহমুদুর রহমান সুমনের নামই আসবে সবার আগে। কারন তিনি দলের দু:সময়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ছাত্রদলের এই নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অবশ্যই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। ভুল সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই দলকে এর ক্ষতি ভোগ করতে হবে। তাই আমরা সুমনকেই সভাপতি পদে দেখতে চাই।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে তৈমূর আলমের গভীর শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

৪ নভেম্বর সোমবার তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, রাজধানীতে পরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসাবে সাদেক হোসেন খোকার সাথে একযোগে কাজ করার সূযোগ পেয়েছি, তিনি একজন কর্মঠ এবং গণভিক্তি সম্পর্ক নেতার পরিচয় পেয়েছি।

তৈমূর আলম খন্দকার সাদেক হোসেন খোকার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা সহ মরহুমের পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দেয়ার জন্য আল্লাহপাকের দরবারে দোয়া করেন।

বাবার লাশ রেখে হাসপাতালে জেএসসি পরীক্ষা দিল সন্তান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৪ নভেম্বর সোমবার বাবার লাশ বাড়িতে রেখে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে নাফিল (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী। তার বাবা ইসলাম (৪০) সোমবার সকালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মারা যান। তিনি স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের বগাদী এলাকার আব্দুল ছামাদের ছেলে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খালেদা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আড়াইহাজার-গোপালদী সড়কের মার্কাজ মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাবার মৃত্যুর শোকে ছেলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল। ইউএনও সোহাগ হোসেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে যথা সময়ে তাকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ারও সুযোগ করে দেন। পরে তাকে একটি কেবিনে পরীক্ষার গ্রহণ করানো হয়। টিএইচও ডাক্তার হাবিব ইসমাইল ভূঁইয়া কেবিনের ভাড়া ছাড় দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ হোসেন বলেন, নাফিজের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে শান্তনা দিয়ে অসুস্থ্য নাফিজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পাশে একজন শিক্ষক ও পুলিশ গার্ড দেয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের উৎসব পরিবহনে কামাল মৃধা ভুয়া চেয়ারম্যান!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে বিএনপিতে, পরবর্তীতে বিএনপি ছেড়ে আবার আওয়ামীলীগে আসা কামাল মৃধা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলাচলরত উৎসব পরিবহনের চেয়ারম্যান নয় বলে দাবি করেছেন পরিবহন ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ। এর আগে কামাল মৃধা সাংবাদিক সম্মেলন করে উৎসব পরিবহনের চেয়ারম্যান দাবি করেছিলেন। ওই বিষয়ে শহিদুল্লাহ দাবি করেছেন- কামাল মৃধা ভুয়া চেয়ারম্যান। এই পরিবহনের বৈধ চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ দাবি করেন।

৪ নভেম্বর সোমবার এক লিখিত বক্তব্যে উৎসব পরিবহনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ বলেন, বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়। আমরা উৎসব পরিবহনের সকল মালিকগণ পেশাদার পরিবহন ব্যবসায়ী যাত্রীদের সেবার মান আরও বাড়িয়ে আমাদের ব্যবসায়িক সুনাম ধরে রাখবো।

তিনি আরও বলেন, কোন ফটকাবাজ, টাউট যাতে পরিবহন ব্যবসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এখন থেকে সজাগ দৃষ্টি রাখবো। আমরা ব্যবসা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনায় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন সর্বোপরি নারায়ণগঞ্জবাসীর সহযোগীতা চাই।

এদিকে লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী এন্ড ফার্মস্ কর্তৃক চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর উৎসব পরিবহন লিমিডেট নিবন্ধন সনদ প্রদান করে। যার নিবন্ধন নং-সি-১৫৬৬২৪/২০১৯।

এ ছাড়াও তিনি আরও উল্লেখ করা হয়, উৎসব পরিবহনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ এবং এমডি কাজল মৃধা। এ ছাড়াও আর কেউ দাবি করলে সেটা ভুয়া।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে ছাত্রদল নেতা আসাদের শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। ৪ নভেম্বর সোমবার তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোক বার্তায় ছাত্রদল নেতা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাদেক হোসেন খোকার অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন। দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজধানীর উন্নয়নে তার অবদানকে জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

জানাগেছে, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ নভেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:৫০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহির রাজিউন)।

সর্বশেষ সংবাদ