‘আমাকে দিয়ে কোন ব্যক্তির রাজনীতি করানো যাবেনা, আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশি অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ বলেছেন, আমি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনীতি করি না। আমি দলের রাজনীতি করি। কোন ব্যক্তির তপস্যাও করিনা। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমাকে যদি সেক্রেটারি পদে দল আসীন করে তাহলে আমি ঠিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই রাজনীতি করব। কিন্তু আমাকে কোন ব্যক্তির তোষামোদের রাজনীতি করানো যাবেনা, কোন ব্যক্তির রাজনীতি করানো যাবেনা এবং আমি করবও না।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তরুণ এই আওয়ামীলীগ নেতা। বন্দর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে আপনিও আলোচনায় রয়েছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

এর আগে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই শুদ্ধি অভিযান কার্যকর হলে বন্দরে যারা নিজেদের সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশা করছেন আমি মনে করি শুদ্ধি অভিযানে অনেকের চেয়ে বিবেচনায় আমিই এগিয়ে থাকবো। এখন যারা বন্দরে কমিটি গঠন করবেন তারা যদি নেত্রীর শুদ্ধি অভিযানটিকে গুরুত্ব দেন তাহলে আমি আশাবাদী। কারন কার কতটুকু দলে ভুমিকা রয়েছে সেই দিকটি বিবেচনা করলে আমিও একজন সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি এবং আশা রাখি আমাকে দলের জন্য কাজ করতে দল আমাকে দায়িত্ব দিবে। দল যদি মনে করে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিলে দলের উপকার হবে তাহলে আমি প্রস্তুত আছি দায়িত্ব পালনে।

স্পষ্টভাষী এই তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, আমি দায়িত্ব পেলে প্রতিটা ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটিগুলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দিয়েই গঠন করব। প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরই মূল্যায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর যেই শুদ্ধি অভিযান সেটা বাস্তবায়নে কাজ করব। কোন হাইব্রীড কাউয়াকে পদে রাখবো না।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, আমি সব সময় বন্দরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি এবং নেতাকর্মীরা আমাকে ডাকলে যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে ছুটে যাই। এখন আরো যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখেছি। তাদের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু হাইব্রীড কিংবা কোন ব্যক্তিকেন্দ্রীক রাজনীতি করে এমন ব্যক্তিরা আমার কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারবে না। প্রকৃত কর্মীরাই আমার কাছে মুল্যায়িত হবে।

নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী দাবি করে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা আরও বলেন, আমিও নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী মনে করি। নেতৃত্ব দিতে হলে আমি কর্মীদের সুখে দুঃখে কতটুকু ভুমিকা পালন করতে পারি সেটাই দেখার বিষয়। আমি বিশ্বাস করি যদি কোন কর্মীর সমস্যা হয় আমি কর্মীর পাশে দাড়াবো, দলীয়ভাবে হোক বা ব্যক্তিগতভাবে হোক তাদের পাশে দাড়াবো। কর্মীদের পাশে সব সময় থাকবো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। আমি জনগণের কল্যাণে কাজ করব। আামি সামাজিকভাবেও কাজ করে থাকি। এলাকার মসজিদ কমিটিতে রয়েছি। এলাকায় পাঠাগার করেছি। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ সব সময় আমাকে তাদের পাশে তারা পায়। তরুণ সমাজ আমাকে ডাকলেই তাদের পাশে পায়। তাদের সমস্যার কথা শুনি এবং যতটুকু পারি তাদের পাশে থাকি।

দল যদি আপনাকে নেতৃত্ব দেয় তাহলে বন্দরে আওয়ামীলীগের প্রথম কাজ কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান বাস্তবায়নে কাজ করব। কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটি গঠনে ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামীলীগ কর্মীদের মূল্যায়ন করব। কাউকে কোন সংগঠনের দায়িত্ব দেয়ার আগে তার পরিবার স্বাধীনতা বিরোধ কিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক কিনা এগুলো খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব দিব। যাদেরকে এলাকার মানুষ পছন্দ করে, সমাজে সমাদৃত এবং যাদের কথায় আওয়ামীলীগের ভোট বাড়বে তাদেরকেই পদে রাখবো। সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো মানুষকে বুঝাতে পারবে এমন ব্যক্তিদেরকেই দায়িত্ব দিব।

দলের প্রতি আপনার আহ্বান কি জানতে চাইলে তিনি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নেত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, আমি মনে করি, তাতে সঠিক নেতৃত্ব আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতেই বাংলাদেশ বিশে^র দরবারে সমাদৃত হবে। নেত্রীর হাতেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে ওঠবে। তার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের হাতেই বন্দরের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার দাবি জানাই। যারা বন্দর থানায় কমিটি দিবেন তারা যেনো বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের বাছাই করে কমিটি দেন সেই আহ্বান জানাই। এক্ষেত্রে যেনো কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে কমিটি গঠন করেন। কোন ব্যক্তির রাজনীতিকে যেনো তারা কোন মূল্যয়ান না করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর থিম অনুযায়ী যেনো কমিটি গঠন করেন সেই প্রত্যাশাই নেতৃবৃন্দের কাছে করি।

এদিকে ইতিমধ্যে বন্দরে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে যে ক’জন প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন তাদের চেয়ে সবদিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা এই আইনজীবী নেতার। তার রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস। সেই সঙ্গে বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করেছিলেন। এক এগারোর সময় যখন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি পুুরোদস্তর রাজপথে ঝাপিয়ে পড়েন। নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছেন। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অনেকবার আহত হয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত তার পরিবারটিও। এবার তিনি বন্দর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক। তিনি দাবি করেন তিনি নেত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান সেই অভিযান বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন। কোন সুবিধাবাদী ও হাইব্রীডদের তিনি কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন কমিটির নেতৃত্বে রাখবেন না। যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করবেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করবেন সেই সব প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়েই প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠন করবেন।

জানাগেছে, বর্তমানে অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে সৈনিকলীগের রাজনীতিতে করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের তিনি প্রাথমিক সদস্য। তিনি রয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদেও। বন্দরে ছাত্রলীগ যুবলীগের কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রিতার কারনে ওইসব সংগঠনের নেতৃত্বে আসা তার সম্ভব হয়নি।

আরও জানা গেছে, ২০১২-১৩ সালে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়তা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন।

 

রাজনীতিতে আসার শুরুর ইতিহাস জানতে চাইলে আইনজীবী মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করি। ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন কামরুল ইসলাম। আমি ওই সময় তেমন একটা না বুঝলেও ওই সময় থেকেই ছাত্রলীগের মিছিল মিটিং যাই। ছোট ছিলাম তখনই আমি মিছিলে যাই। পরবর্তীতে স্কুল জীবন শেষ করে যখন সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি হই তখন ক্লাস কমিটি গঠন করা হয়। তখন আমার ভাই কামরুল ইসলাম মিলন ক্লাস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। আমি বিজ্ঞান শাখায় প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু বিজ্ঞান শাখার নির্বাচনটি হয়নি। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হই।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, এরপর যখন ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে ভর্তি হই, তখন ২০০৩ সালে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের এজিএস পদে দায়িত্ব পালন করি। ২০০৪ সালে আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হই। তখন থেকেই বিএনপি জামাত জোট সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পুরোদমে মাঠে নামি। জেলা সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচিগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। তখন আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটা ও টিয়ারসেলে একাধিকবার আহত হই। তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে রাজপথে মিছিল মিটিং করেছি। সাহারা খাতুনের যিনি জুনিয়র ছিলেন জগলুল কবির তিনি আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, তার নির্দেশে আমরা ঢাকায় আন্দোলন সংগ্রামে যোগদান করি। আন্দোলন করতে গেলে একবার আমি সহ বেশকজনকে পুলিশ আটকও করেছিল। আমরা কৌশলে ছাড়া পাই।

ওই সময়ের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে যখন জঙ্গীদের বোমা হামলা হয়, তখন আমরা আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করি। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছিলাম। ঠিক ওইদিনই গাজীপুর কোর্টে বোমা হামলা হয়। সেখানে অনেক আইনজীবী মারা যান। সেই ঘটনায়ও আমরা আন্দোলন করি।

বিএনপি জামাত সরকার আসলে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে গিয়ে নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অনেকবার আহত হয়েছি। বিএনপির আমলে আমার পরিবার ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়। আমার বাবা (বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য আলাউদ্দীন আহমেদ) মামলার শিকার হন। বিএনপির ক্লাব ভাংচুর অগ্নিসংযোগ মামলায় আমার চাচাতো ভাইকেও আসামি করা হয়। চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান সৈনিকলীগের সেক্রেটারি ছিলেন। আবার বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমাদের পুরো পরিবারই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমার চাচা আছেন মুলদলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি পদে। আরেক চাচাতো ভাই যুবলীগের রাজনীতিতে। আমার মামা সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক পদে রয়েছেন। মামাতো ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছেন।

ওই সময়কার কথা টেনে তিনি আরও বলেন, ওই সময় আমার বাবা মামলার শিকার হন এবং চাচাতো ভাই কারাভোগও করেন, তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়। বিএনপির আমলে জননিরাপত্তা আইন করা হয়, যেখানে সিডিউল ননসিডিউল দুটি মামলায় আসামি করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আমার বাবা ও চাচাতো ভাই মামলা থেকে খালাস পান। যখন প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু ছিল না, ঠিক সেই সময়ে আমার চাচাতো ভাই, আমার বাবা মামলার শিকার হন।

আইনজীবী নেতা আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর তখন আমরা কঠোর আন্দোলন করি। তখন ঢাকা থেকে আমাদের নির্দেশনা দিতো, আমরা সেই নির্দেশনা মতে রাজপথে আন্দোলন করতাম। ঢাকায় যোগদান করতাম। এমনও ঘটনা হয়েছে আমরা আইন কলেজের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় মিছিল করতে গিয়েছি। তখন ঢাকার কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। নেত্রী যখন বিশেষ কারাগারে আটক তখনও আমরা আন্দোলন করেছি। রাজপথে মিছিল করেছি। ওই সময় ঢাকায় মুক্তাঙ্গনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকাবস্থাতেও আমরা ঢাকায় মিছিল করেছি।