সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিলো স্ত্রী!

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় মো. মনিরুজ্জামান নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।

৪ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এদিন সকালে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

আটকরা হলো- জামালপুরের বিল্লাল উদ্দিনের মেয়ে বিনা ওরফে ছোয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক তৌহিদ (৩০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান ও অভিযুক্ত ছোয়া ২০১৪ সাল থেকে সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ ছিলেন। ভুক্তভোগী স্বামী চাকরির সুবাদে বাইরে থাকতেন। এই সুযোগে তার স্ত্রী বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। তৌহিদের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জানতে পেরে গত ২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন মনিরুজ্জামান। সেদিন রাতে মনিরুজ্জামানকে চেতনানাশক খাইয়ে তার বিশেষ অঙ্গ কেটে স্ত্রী ছোয়া বাসায় থাকা অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয় যান।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, অভিযোগ পেয়ে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাই শুক্রবার সকালে অভিযোগ করতে এসেছেন।

লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী স্নানোৎসব চলছে। এতে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর ঢল নামে। ৫ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী বন্দরে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় ২০টি ঘাট দিয়ে এক যোগে স্নান উৎসব পালিত হয়েছে।

৪ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৮ মিনিট থেকে হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী স্নানোৎসব। পাপমোচনের এই স্নানোৎসব শেষ হবে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে। মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ‘এদিন ভোর থেকেই পুণ্যার্থীর ঢল নামে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। পাপমোচনের বাসনায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পুণ্যার্থীদের পদচারণনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পুরো এলাকাজুড়ে মেলার নানা দোকান বসেছে। দুপুরে লাঙ্গলবন্দের স্নানোৎসব পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্টরা পুরো এলাকা দফায় দফায় পরিদর্শন করেন ও নানা বিষয়ে খোাঁজখবর নেন।

বন্দরের বাবুপাড়া এলাকা থেকে স্নান উৎসবে অংশগ্রহণ করতে বাবার সাথে এসেছেন রাণী দাস। তিনি বলেন, বাবার সাথে স্নান উৎসবে এসেছি। সবার প্রথমে স্নান করেছি। এরপর মেলা ঘুরে ঘুরে নানা জিনিসপত্র কিনেছি। সারা দিন অনেক মজা করেছি।

ফতুল্লা থেকে স্নান উৎসবে বন্ধুদের সাথে এসেছেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে স্নান করতে এসেছি। স্নান শেষে ধর্মীয় নানা রীতি পালন করে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে যাবো।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন বলেন, পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পুণ্যার্থীরা স্নানোৎসবে অংশগ্রহণ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য দুটি ড্রোন, মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে। পুলিশ ও নৌ-পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ জন, কোস্টগার্ড টিম, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএ’র একটি ডুবুটি টিম, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর টিম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। সাদা পোশাকের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছে। ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ৭টি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ৪৭১ জন আনসার সদস্য সহ স্বেচ্ছাসেবক টিম রয়েছে।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি খাবারের জন্য সেবা ক্যাম্প, সুপেয় পানি, চিকিৎসা ক্যাম্প, বাথরুম সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা বিষয়ে নজরদারি করছেন। আশা করি, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসব সম্পন্ন হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, লাখ লাখ পুণ্যার্থী স্নানোৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালিত হচ্ছে। রাতে স্নানোৎসবের লগ্ন শেষ হবে।

সত্য সংবাদ দিয়ে মিথ্যাকে কাউন্টার করবেন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সান নারায়ণগঞ্জ

মিথ্যা সংবাদকে সত্য সংবাদ দিয়ে কাউন্টার করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন বলেছেন, আপনারা সত্য ও সঠিক সংবাদ প্রকাশ করুন। সঠিক সংবাদ প্রকাশ করলে কেউ যদি মিথ্যা নিউজ করে তা স্বাভাবিকভাবে অকোজো হয়ে যাবে। অনেকে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে বেশি পয়সা আয় করে। আমাদের দেশের মিডিয়ার সাথে অনেক বিদেশি মিডিয়ার ভালো সম্পর্ক রয়েছে, তারাও অনেক সময় মিথ্যা সংবাদ দিতে চায়। কিন্তু আপনারা সত্যি সংবাদ দিয়ে মিথ্যাকে কাউন্টার করবেন। এতে করে তাদের মুখে চুনকালি পড়বে। আমাদের যদি কোন ভুল থাকে সেটা আপনারা প্রকাশ করেন। তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবেন না।

৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

লাঙ্গলবন্দের তীর্থস্থানকে পর্যটন কেন্দ্র করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে এই স্থানকে কিভাবে পর্যটন কেন্দ্র করা যায় সে বিষয়ে আমরা দেখবো। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র থেকে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে এটা একটা পূণ্যভূমি। এটা ধর্মীয় বিষয়। পর্যটকরা এখানে আসলে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

স্নান উৎসবে এবার পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেশি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার নদীর পানি ভালো রয়েছে। এবার পুণ্যাথীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। গতকাল রাত থেকে আজ রাত ১২ টা পর্যন্ত লগ্নের সময় অনুযায়ী আপনার পুণ্যস্নান করে নেবেন। এখানে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার, ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসন সহ সবাই কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে কোন ধরনের ভেদাভেদ নেই। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কারও কোন ভেদাভেদ নেই। এখানে আমরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি হিসেবে আমরা এখানে এসেছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্যস্নান। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২টা ৪৫ পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো পূণ্যার্থী। এবারের স্নানোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ প্রশাসন, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী নিয়মিত লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

জামপুরে কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ

মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতি স্মরণে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ এপ্রিল শনিবার বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া ব্রাক্ষ্মনগাঁও যুব সমাজের উদ্যোগে জামপুর মালিপাড়া স্কুল মাঠে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর সিজন-১ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিকের সভাপতিত্বে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজহারুল ইসলাম সানোয়ারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহজাহান মেম্বার, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব কমিশনার, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম বিডিআর, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, উপজেলা বিএনপির নেতা মাসুম রানা, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন দিপু, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রোবেল হোসাইন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফজলু মেম্বার, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা ওমর ফারুক।

এ ছাড়াও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সহ-সভাপতি আনোয়ার সাদাত সুমন, ওসমান মেম্বার, মামুন ভূইয়া, হাফিজ আহম্মেদ, আনসর, মামুন, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক, শাহিন সিকদার, রফিক, সোনারগাঁও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোরশেদ মোল্লা, সামিম, রিপন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও আয়োজনে সোনারগাঁও উপজেলা জাসাসের সভাপতি আমির হোসেন।

সোনারগাঁও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে বাসন্তী পূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে সজীব

সান নারায়ণগঞ্জ

সোনাময়ী মহামায়া যুব সংঘের উদ্যোগে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা-১৪৩১ বাংলা বাসন্তী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ঠাকুর দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব।

৪ এপ্রিল শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাইজুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশাররফ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন দিপু, সোনারগাঁও উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সোহাগ, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহম্মেদ।

এ ছাড়াও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা রাকিব হাসান, সোনারগাঁও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সালে মুছা, আল আমিন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা আমিনুল, ইমরান ফারুক, আরিফুল ইসলাম, ইব্রাহিম সরকার পূজা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ কুন্ডু, সুমন পাল, সুমন পাল, শংকর দত্ত, অজিত দত্ত, শুভ দত্ত সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঐতিহ্য হারাতে বসেছে খসরু পরিবার: ব্যাকফুটে চাচা ভাতিজা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার বলতে একমাত্র প্রয়াত নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর পরিবারকেই বুঝানো হতো। সেই পরিবারের উত্তরসূরী মাহমুদুর রহমান সুমন রাজনীতিতে এখন কোণঠাসা। তারও পেছনে পড়ে আছেন একাধিকবারের সাবেক এমপি এম আতাউর রহমান খান আঙ্গুর যিনি প্রয়াত খসরুর ভাই। বর্তমানে প্রয়াত নেতা খসরু, আঙ্গুর ও সুমনের অনুগামী নেতাকর্মীরা ভীড়েছে নজরুল ইসলাম আজাদের ডেরায়। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে চাচা ভাতিজা এতটাই ব্যাকফুটে যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পান নজরুল ইসলাম আজাদ।

স্থানীয়দের সূত্রে, প্রয়াত নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু তার মৃত্যুকালেও ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তার মৃত্যুর পর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব নেন তারই ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন। সুমন পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হোন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন। অনেকটা জোর করেই আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়ে দায়িত্ব নিলেও নেতাকর্মীরা তার আচার আচরণে তার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেননি। যে কারনে দিনকে দিন নেতাকর্মীরা খসরুর পরিবারের রাজনীতি থেকে নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে ভীড়তে থাকেন। আজাদ বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, আড়াইহাজারে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন খসরু। একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদধারী আতাউর রহমান খান আঙ্গুরকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে দলের মনোনয়ন পাইতে দেন খসরু। আঙ্গুর এমপি হওয়ার পর ভাই খসরুর সঙ্গেই পল্টি দিতে থাকেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আড়াইহাজারে খসরু ও আঙ্গুরের নামে দুটি বলয়ে বিভক্ত ছিল আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি।

হাবিবুর রহমান হাবুকেও অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড থেকে এনে বিএনপি নেতা বানিয়েছেন খসরু। এমনকি আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানানো হয় তাকে। কিন্তু পরে খসরুর সঙ্গে পল্টি দিলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে আবুল কাশেম ফকিরকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও করা হয়েছিল সেই সময়। সেই সময় আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে আজাদ কিংবা সুমনের ছায়াও ছিল না। আজাদের উত্থান ঘটে জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারের আশীর্বাদে আড়াইহাজারে প্রবেশ করানোর সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে।

বর্তমানে সেই আজাদ এখন আড়াইহাজার ছাড়িয়ে জেলা বিএনপি নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে একজন। আজাদের মুঠোবন্ধি আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি। তার ঘনিষ্ঠজন ইউসুফ আলী ভুঁইয়াকে সভাপতি ও জুয়েল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে নিজের মুঠোবন্ধি করেছেন আজাদ। এর আগে ২০০৯ সালে আড়াইহাজার ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে ব্যবসা বানিজ্যে ব্যস্ত ছিলেন ইউসুফ আলী। প্রায় এক যুগ পর ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য পদে আসার মাধ্যমে আবারো নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন ইউসুফ আলী।

অন্যদিকে খসরুর পরিবারের রাজনীতি আকড়ে ধরে বিপাকে পড়েছেন আবুল কামেশ ফকির, মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লার মত নেতারা। হাবিবুর রহমান হাবু কখনও আজাদ বলয়ে আবার কখনো সুমন বলয়ে রাজনীতিতে আসেন। কিন্তু সুমনের রাজনৈতিক অদক্ষতার কারনে দিনকে দিন আড়াইহাজারে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছেন আজাদ। যার দূরণ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে দলের মনোনয়ন পান আজাদ। আন্দোলন সংগ্রামে আজাদ যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে চাচা আঙ্গুর ও ভাতিজা সুমনের দেখাও মিলেনি রাজপথে। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার খসরুর পরিবারের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতেই আজাদের সামনে দূরহ হয়ে পড়েছেন আঙ্গুর ও সুমন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শাহআলমের নির্বাচনী ঘোষণায় বিএনপিতে ভিন্ন মেরুকরণ!

সান নারায়ণগঞ্জ

নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে এক সময়কার দাপটশালী নেতা শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর জেলা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির শীর্ষ থেকে পদত্যাগ করে সক্রিয় রাজনীতি থেকে চুপসে থাকলেও তিনিই নির্বাচনকালীন সময়ে মাঠের রাজনীতিতে ফিরবেন এমন আলোচনা ছিল সব সময়ই। পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন শাহআলম। সেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি এও বলেছেন, আমি যদি নির্বাচন করি তাহলে আমিই দলের মনোনয়ন পাবো। আমি নির্বাচন করবো। কিছু নেতাকর্মী এদিক সেদিক চলে গেলেও ফতুল্লার নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গেই আছেন। তিনি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি দখলবাজির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তার নেতাকর্মীরা এসব থেকে দূরে থাকায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রাজনীতি মানুষের উপকারের জন্য। উপকার করতে এসেছি, মানুষকে কিছু দিতে এসেছি, নিতে আসিনি। কখনও রাজনীতি করে দল থেকে কিছু নিবো সেই আশা করিনি। জনগণের কল্যাণেই হবে আমার ও আমাদের রাজনীতি।

৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফতুল্লা থানাধীন তার নিজ বাসভবনে শাহআলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যান তার অনুগামী বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে তিনি এসব কথা বলেছেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লৎফুর রহমান খোকা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ আকবর, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান রুবেল সহ অন্যান্যরা। তবে বেশকদিন যাবত শাহআলমের হয়ে এসব নেতাকর্মীরাসহ জাহিদ হাসান রুবেল ও বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী কাজ করে আসছেন। তারা দাবিও তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শাহআলমকে এমপি হিসেবে দেখতে চান।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে গঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনটি। ওই নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে নৌকার প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর সঙ্গে পরাজিত হোন শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। সামান্য কিছু ভোটে শাহআলমকে ফেল দেখানো হয়েছিল বলে সে সময় তিনি দাবি করেন। বিএনপি দাবি করে আসতো সেই নির্বাচনে ভোটে শাহআলম জয়ী হোন।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হোন শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহ আলম। একই সঙ্গে মাস দুয়েক পর ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠন করা হলে সেখানে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হোন। ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। আজাদ বিশ্বাসও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পরের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পান জমিয়েত ওলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

নির্বাচনের পর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন শাহআলম। তবে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে বহাল থাকেন। পদত্যাগের এক দিনের মাথায় শাহআলমের অনুগামীদের দিয়েই ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহামুদ। ওই কমিটিতে শাহআলমের ঘনিষ্ঠজন আজাদ বিশ্বাসকে আহ্বায়ক ও নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লাকে সদস্য সচিব পদে রাখা হয়।

সেই থেকে শাহআলম রাজপথের রাজনীতি থেকে নীরব হয়ে যান। তবে নেতাকর্মীদের দিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করিয়েছেন। তার অনুগামী নেতাকর্মীরা শাহআলমের ব্যানারে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটিও শাহআলমের হাতছাড়া হয়ে যায়। গত ৫ আগস্টের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন শাহআলম আবারো রাজনীতির মাঠে থাকবেন। তিনি তার শুভাকাঙ্খী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সর্বত্র যোগাযোগ রেখেছেন এবং জানিয়েছেন তিনি নির্বাচনী মাঠে নামবেন। এমনটা আচ করতে পেরে ইতিপূর্বে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ফতুল্লার এক সমাবেশে শাহআলমকে নিয়ে কটাঙ্খ করে বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। তবে এবার শাহআলম নির্বাচনী মাঠে নামায় গিয়াসউদ্দীনের সম্ভাবনা একেবারেই ফিকে হওয়ার পথে।

ভিন্নসূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর গিয়াসউদ্দীন ও গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পেছনে শাহআলম ও কাজী মনিরুজ্জামানের হাত রয়েছে। মুলত পরিকল্পনা করেই জেলা বিএনপির কমিটি ভাঙ্গানো হয়েছে। জেলা বিএনপির দুই নেতার কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড খোদ তারেক রহমানের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থাও করেছেন শাহআলম ও কাজী মনির। বর্তমান জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পেছনে শাহআলম ও কাজী মনিরের একচ্ছত্র হাত রয়েছে সেটা প্রায় নিশ্চিত। সুতরাং পেছন থেকে শাহআলম ও কাজী মনির ছড়ি ঘুরাচ্ছেন জেলা বিএনপির ঘাড়ে। সেক্ষেত্রে সামনের জাতীয় নির্বাচনে কাজী মনির ও শাহআলম তাদের নিজ নিজ আসনে মনোনয়ন পেতে সহায়ক হয়ে ওঠবে জেলা বিএনপি। ফলে গিয়াসের সম্ভাবনা একেবারেই শেষ বলা চলে। এরি মাঝে অভিযোগ তদন্ত কমিটি ও তদন্ত কমিটির সুপারিশে গিয়াসের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করায় গিয়াস ক্ষিপ্ত হয়ে দলের বিরুদ্ধে পাল্টা নানা অভিযোগ তুলে বলেন, নমিনেশন নির্বাচনে কেনা বেচা হয়।

 

আল্লাহর জমিনে আল্লাহরই আইন চলবে: জামায়েত নেতা ইকবাল

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরাহ সদস্য ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভুইয়া বলেছেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহরই আইন চলবে। আমরা চাই অথবা না চাই, আল্লাহতায়ালার ওয়াদা হলো এই জমিনে তিনি তার বিধানকে জয়ী করবেন। এজন্য মানুষকে দায়িত্ব দিয়ে প্রতিনিধি হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। মানুষ তথাকথিত নেতাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারাও আগামি দিনে ইসলামী দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।

৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারাগাঁও আনন্দবাজারে মেঘনা নদীতে সাদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূণর্মিলনী ও নৌ-ভ্রমনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ড. ইকবাল হোসাইন।

তিনি আরো বলেন, যারা ইসলামের বিরোধীতা করেন, সংসদে কোরআনের আইন হোক এটার বিরোধীতা করে তারা পরাজিত হবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন থেকে সংসদ পর্যন্ত সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটাই ফাইনাল। এজন্য আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের নিষ্ঠার সহিত কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।

সাদিপুর ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফারাহ জোবায়েরের সঞ্চালনায় ও সাদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আজগর আলী, ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা আবু সাঈদ, জামায়াতে ইসলামীর সোনারগাঁ উত্তরের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সেক্রেটারী মাওলানা ইব্রাহীম হাসানসহ দায়িত্বশীলরা বক্তব্য রাখেন।

সোনারগাঁও জামপুরে কৃষকদলের উদ্যোগে সাড়ে ৪’শ পরিবারে ঈদ সামগ্রী ও অর্থ বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ

সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যােগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে নিম্ম আয়ের ৪’শ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ৫০টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

৩০ মার্চ রবিবার সকালে পাকুন্ডা এলাকায় ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ মিলন ভুঁইয়া এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ডাক্তার মোঃ শাহিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুলর রহমান, সহ সভাপতি সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি মুজিবুর, কৃষক দলের নেতা আসাদুল্লা, সঞ্চালনায় ছিলেন যুবদল নেতা সামির হোসেন, সহ অন্যান্য গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নিম্ম আয়ের মানুষের ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এবং সাধারণ জনগণের পাশে থেকে আপনাদের কে সাথে নিয়ে কাজ করে যাব ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সকলের নিকট দোয়া কামনা করি।

ফতুল্লার উন্নয়নের নামে টাকা এনে বিদেশে পাচার করেছে: অধ্যাপক মামুন

ডেস্ক রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। তাঁর নির্দেশে আজ আমরা আপনাদের পাশে এসেছি। আমরা তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। বিগত দিনে উন্নয়নের নাম দিয়ে টাকা এনে জনগণের উন্নয়নে কাজ করেনি, তারা উন্নয়নের নামে টাকা এনে বিদেশে পাচার করেছে।”

২৯ মার্চ শনিবার বিকেলে ফতুল্লার চৌধুরী বাড়ী পারিবারিক মিলনায়তন মাঠে থানা স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন এর সভাপতিত্বে এবং ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক।

মামুন মাহমুদ আরো বলেন, “বিগত দিনে ফতুল্লায় কোন উন্নয়ন হয়নি। ১ ঘণ্টা বৃষ্টি হলে বাড়ি-ঘর পানির নিচে চলে যায়। সঠিক কাজ হলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ফতুল্লাবাসীর এ দু:খ আমরা লাঘবের চেষ্টা করবো।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হতে পারে। কারণ ৮ মাসেও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে হলে নির্বাচনের প্রয়োজন। প্রতিটি জায়গায় নির্বাচন হতে হবে। আজকে চেয়ারম্যান, মেম্বার নাই। কার কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলবো? এ জন্যই নির্বাচন দরকার। জনগণকে নিয়ে বিএনপি কাজ করছে, অন্যদলগুলো নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে। বিএনপি জনগণের জন্য কাজ করেছে, জীবন দিয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবারও জীবন দিবো।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আল আমিন, ফতুল্লা থানা তাঁতী দলের আহবায়ক ইউনুস মাস্টার, সদস্য সচিব ইমন প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ