কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের শহীদ স্মরণে সোনারগাঁয়ে প্রচারাভিযান

সান নারায়ণগঞ্জ

জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার দাবিতে ESADS, CLEAN এবং BWGED-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা আইয়ুব প্লাজার সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূচিটি বাঁশখালী আন্দোলনের স্মরণে আয়োজন করা হয়, যেখানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে ছয়জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

অংশগ্রহণকারীরা “নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি চাই” স্লোগান এবং নবায়নযোগ্য শক্তির বিনিয়োগ দ্রুততর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ESADS-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের ফলে জ্বালানি ব্যয় বেড়েছে এবং পরিবেশের বিপর্যয় ত্বরান্বিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন যে বাংলাদেশকে সৌর ও বায়ু শক্তির দিকে যেতে হবে, যাতে ব্যয়বহুল ও ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়।

ESADS-এর মহাসচিব মীযানুর রহমান বলেন, “আমরা বাঁশখালীর ভুলগুলো আবারও ঘটতে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জ্বালানির ভবিষ্যৎ পরিচ্ছন্ন ও টেকসই হতে হবে। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কৃষিজমি ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে যেসব মানুষ জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজকের কর্মসূচি ছিল এক প্রতিজ্ঞা- “উন্নয়নের নামে আর যেন সাধারণ জনগণের প্রাণ না ঝরে।”

মানববন্ধনের সমাপ্তিতে আয়োজকরা নবায়নযোগ্য শক্তির পক্ষে নীতি সংস্কারের জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন ESADS-এর সিনিয়র সহসভাপতি ফজলুর হক ভূঁইয়া, মোক্তার,ময়নাল, মালেক সহ প্রমুখ।

না’গঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী, প্রধান অতিথি জামায়াত নেতা

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী ও নৌ- ভ্রমণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ এপ্রিল রবিবার সোনারগাঁ উপজেলার নুনেরটেক মায়াদ্বীপ ও আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় দিনব্যাপী এ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, সকাল ৯ টায় বৈদ্যার বাজার ঘাট থেকে নৌ ভ্রমনের টলার ছেড়ে মায়াদ্বীপ পৌছায়। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের খাবারের পর আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকার মধ্যার চর এলাকায় আলোচনা সভা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির বিবেক। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আমরা যাতে সত্যের পক্ষে থেকে সাংবাদিকতা করতে পারি। সত্য কে সত্য বলতে হবে। সাংবাদিকতায় থেকে ইসলামের প্রচারের কাজ করতে হবে।

সাংবাদিক ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ও দেশ টিভির সিনিয়র সাব এডিটর মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না।

মো. জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্যা নিউ নেশনের সিনিয়র সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র সাংবাদিক আক্তার হাবিব, দৈনিক সংবাদের মফস্বল সম্পাদক মো. আলম হোসেন।

এ সময় রূপগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি নাজমুল হুদা, সোনারগা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি মো. শাহ জালাল, এশিয়ান টিভি ও দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাশেদুল ইসলাম সহ অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

রূপগঞ্জে পিস্তল ও ম্যাগজিন উদ্ধার, কিশোর গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার কর্ণগোপ-গন্ধর্বপুর সড়কের গাজী পাইপ কারখানা এলাকা থেকে দেশীয় একটি পিস্তল ও ম্যাগজিনসহ বায়েজিদ হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ৫ এপ্রিল শনিবার রাতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের টহলের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। সে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার মানিকপুর এলাকার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। বায়েজিদ হোসেন রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলো বলে জানা গেছে।

রূপগঞ্জ থানা ওসি লিয়াকত আলী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বায়েজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৬এপ্রিল রবিবার তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোনারগাঁয়ে যৌতুক দাবিতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় যৌতুক দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যারচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। ৬ এপ্রিল রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়নের চরগোয়ালদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর পাঁচানী এলাকার মৃত মোস্তফার মেয়ে নিলুফা -এর সঙ্গে একই ইউনিয়নের চরগোয়ালদী মৃত সমর আলীর ছেলে শাহ জালালের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবার ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে আসছিল।

সম্প্রতি আরও ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক চাওয়া হয়। কিন্তু গৃহবধূর পরিবার এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রবিবার সকালে ১১ টায় শাহজালালের পরিবারের সদস্যরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গৃহবধূর ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়।

তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী নিলুফা বলেন, আমার বাবা মারা গেছেন, আমার বাবা থাকতে বিভিন্ন সময় ত্রিশ লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়েছি। এখন আমার বাবা নেই। এখন আমি যৌতুক দিবো কোথা থেকে? না দিতে পারায় তারা আমাকে মারধর করলো।

এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আজাদ পন্থীদের বিরুদ্ধে পারভীনের তোরণ, ব্যানার ফ্যাস্টুন ভাংচুরের অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারের ছবি সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার ও ফ্যাস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ৭ এপ্রিল সোমবার আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬ এপ্রিল রবিবার ও ৭ এপ্রিল সোমবার বিকেলে উপজেলার উচিৎপুরা বাজার এলাকায় ‘পারভীন আক্তারকে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই’ এ শ্লোগান দিয়ে একটি তোরন নির্মাণকালীন অবস্থায় মরদাসাদী এলাকার বাসিন্দা শওকত আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, হাসেন আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া, গাফফার মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, হাবিবুল্লাহর ছেলে জয়নাল মিয়াসহ ১০/১৫ জনের একদল বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তোরন নির্মাণের শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এসময় ওই শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে ‘যদি এখানে তোরন নির্মাণ করলে তোদের হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে’। এতে ওই এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী এসহাক মিয়া জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পারভীন আক্তারের ছবি সম্বলিত পোষ্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ছিড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ সকল সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় চাঁদাবাজি ও রাতের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থক বলেও জানান তিনি।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগের প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছি।

ইন্টার পাসের আগে সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন দিবেন না: আল মুজাহিদ মল্লিক

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে জামপুর মাঝেরচর মধুসূদন গৌর কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ এপ্রিল সোমবার সকালে অত্র বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জামপুর মাঝেরচর মধুসূদন গৌর কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সানোয়ার, পদ্মা লাইফ ইনসুরেন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ, মাঝেরচর মধুসূদন গৌর কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রওফ, সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক, উপজেলা জাসাস এর সভাপতি আমির হোসেন, জামপুর ইউনিয়ন জাসাসের সভাপতি আলমগীর, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এলি, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকরামুল হাসান মিল্টন, সোনারগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রহিম মিয়া, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আল মুজাহিদ মল্লিক বলেন, শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাই হল একটি জাতির মেরুদণ্ড। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আরো কঠোর হতে হবে, যাতে করে লেখাপড়ার মান ভালো হয় এবং বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থীর হাতে যেন কোনো স্মার্টফোন থাকে অন্তত ইন্টার পাস করার পর। এর আগে না। সকল অভিভাবকের প্রতি এই আহবান করছি। যারা এস এস সি পরীক্ষারয় অংশগ্রহণ করবে তাদের সকলের জন্য দোয়া ও রইলো। তোমরা ভালো পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে অত্র বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনবে।

তিনি আরো বলেন, স্কুলের আশেপাশে যেন কোনো বখাটে ঘুরাফেরা করতে না পারে, যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে আমাদের জানালে সাথে সাথে প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোকোর শ্বাশুড়ির মৃত্যুতে বিএনপি নেতা মান্নানের শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ

মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর শ্বাশুড়ির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। ৬ এপ্রিল রবিবার এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

জানাগেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট সন্তান মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর শ্বাশুড়ি ও তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির মমতাময়ী মা এসইউএফ মুকরেমা রেজা (৭১) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মরহুমার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। এক শোক বার্তায় মান্নান এই শোক প্রকাশ করেন এবং তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, দোয়া করি আল্লাহ যেন তার জীবনের সকল ভুলত্রুটি ও গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন, আমিন।

উল্লেখ্য যে, শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রবিবার বাদ আসর রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস মাঠে মরহুমার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। মরহুমার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছিলেন।

অনেকে মনে করেন তাদের বেতনভুক্ত লোক দিয়ে রাজনীতি করাবেন: রিয়াদ চৌধুরী

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে করে বলেন, এ দেশের মানুষ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ৫ আগষ্ট সৃষ্টি করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সৈরাচার হাসিনাকে পতন ঘটিয়েছে। আর দেশের মানুষের আন্দোলনের কাছে পরাজিত হয়ে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাই জনগনের চাওয়া একটাই সঠিক সময়ে নির্বাচন দেওয়া। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়ার আহবান করেন।

৫ এপ্রিল শনিবার ফতুল্লার লালপুরে আগামী ১২ এপ্রিল ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা চলছে। এই সরকার দীর্ঘ মেয়াদী থাকার জন্য সেই সৈরাচারের পেতাত্মা হিসেবে এই সরকার উপর ভর করেছে। তাই আমাদের আন্দোলন চলমান রাখতে হবে। জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেভাবে আন্দোলন করেছি সেই ভাবে আমাদের মাঠে থাকতে হবে। যেই পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করবে হয়তো আবারও আন্দোলন করতে হতে পারে। আমাদের আন্দোলনের সব সময় চলবে।

তিনি আরও বলেন, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দদের আগামী ১২ তারিখে সমাবেশের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে ফতুল্লা থানা বিএনপি জেলার মধ্যে অন্যতম। তারা আন্দোলন সংগ্রামে যেমন সেরা সভা সমাবেশেও সেরা। তাই আগামী ১২ তারিখ ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ যেন কানায় কানায় ভরে যায়।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতি কখনো একা করা সম্ভব নয়। রাজনীতি করতে হয় সবাইকে নিয়ে। কিছু সময় কিছু শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা ভুলে যায়। তারা মনে করেন তাদের বেতনভুক্ত লোক দিয়ে রাজনীতি করাবেন। আপনারা সবাই মনে করবেন যারা বিগত সময়ে এ ধরনের চিন্তা করেছেন তারা অনেকে হারিয়ে গেছে এবং অনেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে। যারা অনেকে এমপি মন্ত্রী হতে আসছেন এবং হতে চান তাদের সাথে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কারণ আপনারা হবেন এমপি মন্ত্রী আর তারা সাধারণ মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করবে। মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীরা সামাজিক পর্যাদা পাওয়ার আসায় রাজনীতি করেন। আপনাদের প্রতি যাদের দ্বিমত থাকবে তাদেরকে আপনাদের পক্ষে নিয়ে রাজনীতি করাটাই হলো রাজনৈতিক নেতার কাজ।

প্রস্তুতি সভায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, মাজহারুল ইসলাম মিথুন, জেলা বিএনপির সদস্য একরামুল কবির মামুন, নাদিম হাসান মিঠু, ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবর, সহসভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম হিমেল, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আকবর আলী সুমন, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধান, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, ফতুল্লা থানা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল আহমেদ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা এড: মশিউর রহমান শাহিন, বিএনপি সিরাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম নান্নু, বাবুল সরদার, আমিনুল ইসলাম লিটন, মুসলিম, আহমেদ হোসেন খোকা সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিলো স্ত্রী!

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় মো. মনিরুজ্জামান নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।

৪ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এদিন সকালে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

আটকরা হলো- জামালপুরের বিল্লাল উদ্দিনের মেয়ে বিনা ওরফে ছোয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক তৌহিদ (৩০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান ও অভিযুক্ত ছোয়া ২০১৪ সাল থেকে সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ ছিলেন। ভুক্তভোগী স্বামী চাকরির সুবাদে বাইরে থাকতেন। এই সুযোগে তার স্ত্রী বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। তৌহিদের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জানতে পেরে গত ২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন মনিরুজ্জামান। সেদিন রাতে মনিরুজ্জামানকে চেতনানাশক খাইয়ে তার বিশেষ অঙ্গ কেটে স্ত্রী ছোয়া বাসায় থাকা অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয় যান।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, অভিযোগ পেয়ে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাই শুক্রবার সকালে অভিযোগ করতে এসেছেন।

লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী স্নানোৎসব চলছে। এতে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর ঢল নামে। ৫ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী বন্দরে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় ২০টি ঘাট দিয়ে এক যোগে স্নান উৎসব পালিত হয়েছে।

৪ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৮ মিনিট থেকে হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী স্নানোৎসব। পাপমোচনের এই স্নানোৎসব শেষ হবে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে। মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ‘এদিন ভোর থেকেই পুণ্যার্থীর ঢল নামে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। পাপমোচনের বাসনায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পুণ্যার্থীদের পদচারণনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পুরো এলাকাজুড়ে মেলার নানা দোকান বসেছে। দুপুরে লাঙ্গলবন্দের স্নানোৎসব পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্টরা পুরো এলাকা দফায় দফায় পরিদর্শন করেন ও নানা বিষয়ে খোাঁজখবর নেন।

বন্দরের বাবুপাড়া এলাকা থেকে স্নান উৎসবে অংশগ্রহণ করতে বাবার সাথে এসেছেন রাণী দাস। তিনি বলেন, বাবার সাথে স্নান উৎসবে এসেছি। সবার প্রথমে স্নান করেছি। এরপর মেলা ঘুরে ঘুরে নানা জিনিসপত্র কিনেছি। সারা দিন অনেক মজা করেছি।

ফতুল্লা থেকে স্নান উৎসবে বন্ধুদের সাথে এসেছেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে স্নান করতে এসেছি। স্নান শেষে ধর্মীয় নানা রীতি পালন করে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে যাবো।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন বলেন, পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পুণ্যার্থীরা স্নানোৎসবে অংশগ্রহণ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য দুটি ড্রোন, মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে। পুলিশ ও নৌ-পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ জন, কোস্টগার্ড টিম, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএ’র একটি ডুবুটি টিম, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর টিম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। সাদা পোশাকের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছে। ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ৭টি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ৪৭১ জন আনসার সদস্য সহ স্বেচ্ছাসেবক টিম রয়েছে।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি খাবারের জন্য সেবা ক্যাম্প, সুপেয় পানি, চিকিৎসা ক্যাম্প, বাথরুম সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা বিষয়ে নজরদারি করছেন। আশা করি, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসব সম্পন্ন হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, লাখ লাখ পুণ্যার্থী স্নানোৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালিত হচ্ছে। রাতে স্নানোৎসবের লগ্ন শেষ হবে।

সর্বশেষ সংবাদ