নারায়ণগঞ্জে আনন্দধামের উদ্যোগে বিশ্ব প্রবীণ দিবস উৎযাপন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আনন্দধামের উদ্যোগে ১ অক্টোবর শনিবার বিশ্ব প্রবীণ দিবস-২০২২ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিবিরোডে অবস্থিত ইডেন থাই এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে “পরিবর্তনশীল বিশ্বে বয়স্ক ব্যক্তিদের স্থিতিস্থাপকতা” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ও আনন্দধাম সিনিয়র সিটিজেন এওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হয়।

আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ৩ জন প্রবীণ নাগরিককে আনন্দধাম সিনিয়র সিটিজেন এওয়ার্ড-২০২২ এ ভূষিত করা হয়। প্রবীণ নাগরিক বৃন্দ হলেন মোঃ শাহ আলম, আজিজুল ইসলাম বাবু ও আবদুর রহমান বাচ্চু।

আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় আনন্দধাম প্রবীণ সংঘের সভাপতি আবদুর রহমান বাচ্চুর সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবু, মোঃ খোকন, মোঃ মতালেব সানি, মোঃ সেলিম, মোসাম্মত মেহেরুন নেসা প্রমুখ।

সভার সভাপতি হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, এই দিনে প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান জানানো উচিত, তাঁদের আত্মত্যাগ, উৎসর্গ, কৃতিত্ব এবং তাঁরা সারা জীবন যে পরিষেবা দিয়েছেন, তার জন্য। এই দিনটিতে তাঁদের প্রশংসা করতে হবে। যে কোনও সমাজের জন্য অবশ্যই প্রবীণ নাগরিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে কোনও সমাজ তার প্রবীণ নাগরিকদের থেকে জ্ঞান অর্জন করে এবং এগিয়ে চলে। আমরা যে বিশ্বে বাস করি, তা নির্মাণে প্রবীণ মানুষের অবদান অনস্বীকার্য।তাঁদের সেই অবদানকে সম্মান করতে শিখতে হবে।

প্রবিন নাগরিকদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম বাবু তার বক্তব্যে বলেন, নাগরিক নিরাপত্তা প্রাপ্তি প্রবীণদের রাস্ট্রীয় অধিকার, সেহেতু আমাদের সবাই মিলিত ভাবে কাজ করে প্রবীণ নাগরিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।

আনন্দধাম প্রবীণ সংঘের সভাপতি আবদুর রহমান বাচ্চু উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকে আনন্দধামের পক্ষ থেকে যে তিনজন নাগরিকদের আনন্দধাম সিনিয়র সিটিজেন এওয়ার্ড এ ভূষিত করা হয়েছে, তার মাধ্যমে পুরো প্রবীন সমাজকেই সম্মানিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে আনন্দধামের পক্ষ থেকে প্রবীনদের সম্মানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ আন্তর্জাতিকভাবে প্রবীন দিবসটি প্রতিবছর ১ অক্টোবর পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ১৯৯০ সালে। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয়। আনন্দধাম প্রতি বৎসর এই দিবসটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে থাকে।