সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মুজাহিদ মল্লিকের কথিত ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এর বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে এলাকাবাসী আটক করার পর পুলিশ হেফাজতে তাকে ছেঁড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সোনারগাঁও উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক হান্নান। ৮ আগস্ট শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের জামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এনামুল হক হান্নান দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর থেকে উপজেলা জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মুজাহিদ মল্লিকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে পরিচিত চিহ্নিত সন্ত্রাসী রহিম মিয়া একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এলাকায় সে মুজাহিদ মল্লিকের পেটুয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী হান্নানের প্রতিষ্ঠান থেকে মুজাহিদ মল্লিকের নামে প্রতিমাসে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার রাতে মুজাহিদ মল্লিকের নির্দেশনায় তার পিএস এর নেতৃত্বে দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসী রহিম মিয়াকে আটক করলে পুলিশ বিষয়টি দেখবে বলে হেফাজতে নেয়ার পর ছেড়ে দেন। এ ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবী ও ‘মুজাহিদের দুইগালে জুতা মারো তালে তালে’ স্লোগান দিতে থাকে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। বর্তমানে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিক্ষোভ মিছিলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা মুজাহিদ মল্লিকের একচ্ছত্র বিস্তার করতে রহিম মিয়া ৫ আগষ্টের পর থেকেই নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। বিভিন্ন সময় তার নেতৃত্বে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ওই এলাকায় গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। কেউ দিতে না চাইলেই রহিম তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। জামপুরবাসী মুজাহিদ মল্লিকের পিএস এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট। তারা এই নেতা আর তার পিএস এর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায়।
আল-মুজাহিদ ও তার পিএস এর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেনি।