আড়াইহাজারে সাব রেজিস্টারের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ, ৬জন দলিল লেখক বহিস্কার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারয়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা দলিল লিখক সমিতির ভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় আড়াইহাজার উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: কাউছার খান তাদের হাতে চিঠি তুলে দেন।

বহিষ্কৃতরা হলো- উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, দলিল লেখক মো: সাজ্জাদ পারভেজ, মোঃ জাকারিয়া জাকির, মো: কাজল ঢালী ও আশরাফুল কবির মানিক।

জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার সফিউল বারী কর্মরত থাকাকালীন সময়ে একটি হেবা বেল এওয়াজ দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এতে ৬ লাখ টাকা সরকার রাজস্ব হারায়। এই ঘটনায় তখন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে আসে। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন আইজিআরকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আইজিআর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২৬ সেপেটম্বর নিবন্ধন অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগ এর রেজিস্ট্র অফিস সমুহের পরিদর্শক শেখ মো: আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেন এবং চিঠি প্রাপ্তর ১৫ দিনের মধ্যে জবাব জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আড়াইহাজারের সাব রেজ্রিস্ট্রার মো: কাউছার খান বলেন, বুধবার সকাল ১১টায় আমি কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করে অভিযুক্তদের হাতে চিঠি পৌঁছে দেই। এতে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই ঘটনা আমি যোগদানের অনেক আগে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বহিষ্কারের চিঠি হাতে পেয়ে দলিল লিখকরা সাব রেজিস্ট্রারের প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল বের করে।

আড়াইহাজার উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ সাব রেজিষ্ট্রার কোন দলিল করতে গেলে মোটা অংকের টাকা ঘুষ চায়। আমরা তা না দিতে চাওয়ার কারনে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।

দলিল লিখক নাসির জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর একটি হেবা দািলল করার সময় সাব রেজিস্ট্রার তার সহকারী রাশেদকে দিয়ে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এভাবে তিনি দলিল লিখকদের হয়রানী করে আসছেন। তার অপসারনের দাবীতে সকল দলিল লিখক কর্মবিরতি পালন করছেন।

তারা বলেন, যতদিন তার অপসারন না হবে এবং বহিস্কৃত দলিল লিখকদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না হবে ততদিন আমাদের কর্মবীরতি চলবে। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছেন উপজেলার জমি ক্রেতা ও বিক্রেতারা।