‘শামীম ওসমান হোক, আজমীর ওসমান হোক, আইনের আওতায় আসতে হবে’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার দাবি করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেছেন, ওসমান পবিরার হোক, কিংবা শামীম ওসমান হোক, আজমীর ওসমান হোক, তাদেরকে আইনের আওতায় আসতে হবে।’ এই হত্যার বিচার দাবি করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আগে অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি আজও করছি। আগামীতে কি করবো জানিনা। তবে একটা কথা বলতে পারি- ত্বকী হত্যা এই বাংলার মাটিতেই হতেই হবে। ওসমান পরিবার হোক, শামীম ওসমান হোক আর আজমীর ওসামন যেই হোক। তাদেরকে আইনের আওতায় আসতে হবে। একটা হত্যাকান্ডের পরে বিচার হয়না। আইনের শাসন কথায়? এই আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ। হত্যার বদলে হত্যা নয়, হিংসার বদলে হিংসা নয়। আমরা খুনীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজের এই ব্যক্তি আরও বলেন, ছয় বছর হয়ে গেলো জানিনা আর কত বছর এভাবে মাইকের সামনে দাড়িয়ে বলতে হবে ‘ত্বকীর হত্যার বিচার চাই’। একটা স্কুল ছাত্র কেন সে নিহত হল? কেন আমরা আজও বিচার পেলামনা? সারা নারায়ণগঞ্জবাসী ত্বকী হত্যার বিচার চাইলো, আজও চাইছে, কিন্তু আইন কেন চোখ বন্ধ করে রইলো? কেননা আইন চলে ওসমান পরিবারে পক্ষে। আইন কি ওসমান পরিবারকে উপেক্ষা করতে পারেনা? আজকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ত্বকী হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ আছে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী যাই বলুক না, এর জন্য আইন বন্ধ হয়ে যাবে? এটা হতে পারেনা। তাই ত্বকী হত্যার বিচার চাই।’

৬ মার্চ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ এলাকায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৬ বছর উপলক্ষে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে শিশু সমাবেশ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মাহাবুবুর রহমান মাসুম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা ও শিল্পী অশোক কর্মকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন প্রমুখ।