সোনারগাঁয়ে যুবদলের কমিটি গঠনে বিতর্কিত সাংগঠনিক টিম!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠনের লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাংগঠনিক টিম গঠন করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন। ১১ আগস্ট মঙ্গলবার এই টিমের অনুমোদন দেন তারা। তবে টিমের অনুমোদনের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর নানা প্রশ্ন তুলেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সাংগঠনিক টিমে রয়েছেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ মিঠু, আফজাল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রিন্স ও প্রচার সম্পাদক রাজিব ভূঁইয়া।

এই সাংগঠনিক টিমের প্রধান করা হয়েছে যুবদলের রাজনীতিতেই নেই সেই হারুন অর রশিদ মিঠুকে। যিনি জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি। জেলা যুবদলের কমিটি গঠনের পর জেলা যুবদলের সঙ্গে কটি কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন সেটার সংখ্যাও নেই। কেউ কেউ জানিয়েছেন তিনি জেলা যুবদলের কোন একটি কর্মসূচিতেও ছিলেন না।

এ ছাড়াও মিঠুর আপন ভাই একসময়কার ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক টিটু এখন জাতীয়পার্টির অন্যতম নেতা। তিনি পৌর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে সরকারি দলের রসদ নিচ্ছেন। ফলে মিঠুর হাতে এমন একটি স্পর্শকাতর দায়িত্ব দেয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যিনি নিজেই যুবদলের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় তিনি কিভাবে সক্রিয় নেতাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়ার জন্য সম্মেলনের প্রস্তুতি করবেন? টিমের আরেক সদস্য আফজাল কবির রূপগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি জেলা বিএনপির সঙ্গে রাজনীতির চেয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা দিপু ভুঁইয়ার রাজনীতি করেন বেশি। অথচ তাকে রাখা হয়েছে সোনারগাঁয়ের কমিটির সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য!

নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, ১১ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে এই সাংগঠনিক টিম ২২ আগস্ট পর্যন্ত দুটি কমিটির সম্মেলন বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে দায়িত্ব দেয়া হয়। এই সাংগঠনিক টিমের কাজ তদারকি করবেন জেলা যুবদলের সভাপতি টিটু ও সেক্রেটারি খোকন।

অন্যদিকে জানাগেছে, ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকা থেকে নেতৃত্ব প্রত্যাশি নেতাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি। একইভাবে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে যুবদল নেতাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে পৌর কমিটি।

নেতারা বলছেন- একটি ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলে সেখানে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যেই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি না করা হলে সেখানে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও গঠন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আহ্বায়ক কমিটি থাকা সত্ত্বেও সাংগঠনিক টিম গঠনের কোন যৌক্তিকতা দেখছেন না নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে যাদেরকে দিয়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে তারাই নিজেরাই রাজপথে ততটা সক্রিয় নয়। কারো কারো সঙ্গে সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজোস রয়েছে। কারো কারো ঘরেই সরকারি দল।