আইনজীবীদের মাঝে গাছের চারা হস্তান্তর করলেন তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩০ হাজার বৃক্ষ রোপন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮ জুলাই মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপির আইনজীবীদের মাঝে গাছের চারা হস্তান্তর করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট শহীদ সরোয়ার, অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন ও অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

এসব গাছের চারা আইনজীবীদের বাড়িতে রোপণ করা হবে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া ও এর আশপাশে বৃক্ষরোপণ করা হয়। এরপর অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বনবিভাগের চারা গাছ ক্রয় করতে সেখানে যান। সেখানে তার মতে মানসম্মত চারা না পাওয়ায় তিনি বনবিভাগকে জানিয়েছেন- যদি উন্নতমানের চারা সরবরাহ করতে পারে তাহলে তিনি বন বিভাগ থেকে আরো কয়েক হাজার চারা সংগ্রহ করবেন। এর আগেও তিনি বন বিভাগ থেকে চারা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু চারাগুলো সন্তোষজনক ছিল না।

এদিকে জানাগেছে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাল দিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের থিওরি ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার চারা গাছ রোপণ কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৮ হাজার বৃক্ষ রোপন শেষ পর্যায়ে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জানান, ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে উন্নত জাতের আমের চারা আনা হয়েছে যা রোপন করা হচ্ছে। ৩ হাজার আম গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপন করা হচ্ছে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন টিমের সদস্যরা। এই কাজে সহযোগীতা করবেন ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যারা সকলে টি-শার্ট পরিধান করে কাজ করবেন। সেজন্য ১ হাজার টি-শার্ট তৈরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব গাছ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা বিদ্যালয় সহ রাস্তার দুইপাশে রোপণ করা হবে। এ ছাড়াও যেখানে খালি থাকবে সেখানেই চারা রোপণ করা হবে। ১ হাজার কর্মীরাও এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করবে। মোট কথা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের যে খাদ্যের সংকট দেখা দিবে সেই সংকট মোকাবেলায় একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার থিওরি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।