সাবেক আইনমন্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে চড় থাপ্পড়, ৪ দিনের রিমাণ্ড

সান নারায়ণগঞ্জ

গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের মাদরাসা ছাত্র সোলাইমান (১৯) হত্যার ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চারদিনের রিমাণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রিমাণ্ড শেষে আদালতপাড়ায় তাকে চড়-থাপ্পড় মারে উত্তেজিত আইনজীবীরা। এ সময় ধাওয়া দিলে

২৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন কাদিরের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মাদরাসা ছাত্র হাফেজ সোলাইমান হত্যার ঘটনায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদলন করলে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। তবে তাকে কেউ চড়-থাপ্পড় মারেনি। পেছন থেকে আইনজীবীরা তাকে দেখে হইহুল্লো করেছে ও তার বিচার দাবি করেছে। পরে তাকে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মামলার রিমান্ড শুনানী শেষে আদালতের কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন আইনজীবী সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাথার হেলমেটে ও পিঠে চড়- থাপ্পড় মারে। এ সময় পুলিশ তাকে নিয়ে দৌড়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে উত্তেজিত আইনজীবীরা সাবেক আইনমন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে আদালতপাড়ায় মিছিল করেছে।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রীকে কেউ মারধর বা চড়-থাপ্পড় মারেনি। এমন কোন তথ্য আমরা পাইনি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ঘটনার সময় আমি আদালতে ছিলাম না। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ অগাস্ট দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী হাফেজ সোলাইমান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ অগাস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহত সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রী দিপু মনি, আনিসুল হক, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁয়ে কৃষকদের নিয়ে ব্যতিক্রমী কর্মশালা

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলাধীন বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এক ব্যতিক্রমী কৃষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ এপ্রিল সোমবার কর্মশালায় নুনেরটেকের কৃষকদের অংশগ্রহণে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তারেক রহমানের ঘোষিত দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কৃষকরা রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং কৃষি খাতের উন্নয়নে দলীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম হোসেন দিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, বিএনপি নেতা মাসুম রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রোবেল হোসাইন, সোনারগাঁ পৌরসভা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবুল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সদস্য জামাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা জাসাসের সভাপতি আমির হোসেন, বারদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, সহ সভাপতি ফজলুল, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুমন মোল্লা, রোকন মিয়া, বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি তোফায়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, কাঁচপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাচ্চু মিয়া, জামপুর ইউনিয়ন জাসাসের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি সোলমান, বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলনেতা বিল্লাল হোসেন, আক্তার, ইউসুফ, আলমগীর, সোলেমান, সালাউদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

‘রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে শামীম ওসমানের দোসরদের ষড়যন্ত্র’

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।

২৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে করা মানববন্ধন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। রইসউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। অথচ মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।”

তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি ফতুল্লার হোসেন টেক্সটাইল মিলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামির তালিকায় আমি নেই। বরং আওয়ামী লীগপন্থী সন্ত্রাসীরা ওই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী দাবি করেন, “আমি ব্যবসায়ী এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার রাজনীতি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও সংগঠনের নিয়ম মেনে পরিচালিত। যারা ষড়যন্ত্র করে আমাকে বিতর্কিত করতে চায়, তারা আসলে আওয়ামী লীগের এজেন্ট।”

তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস বলে, যখনই বিএনপি শক্তিশালী হয়েছে, তখনই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমাদের লক্ষ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন: ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সহ-সভাপতি হানিফ কবির, সুমন আকবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিস রহমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, সহ-প্রচার সম্পাদক কামাল আহমেদ, মিলন টালি, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল খালেক টিপু, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রানা, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আল আমিন, তাতীদলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ইমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আল আমিন ও রূপম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন প্রমূখ।

সাত খুন মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করতে আইনজীবী ও স্বজনদের মানববন্ধন

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা কোর্টের আইনজীবী ও নিহতদের স্বজনরা। ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা আদালত প্রাঙ্গণে হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পার হলেও রায় কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। তিনি বলেন, “আমরা হত্যাকাণ্ডের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। সাতটি পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোকে তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। অন্তত এতটুকু স্বস্তি চাই যে, হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকর হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি—রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।”

মানববন্ধনে সাত খুন মামলার আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের সাত খুন একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। সে সময় গডফাদারের রাজত্বে নারায়ণগঞ্জে আইনের শাসন ছিল না। আজও সেই ঘটনা মনে করে গা শিউরে ওঠে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “তৎকালীন এমপি শামীম ওসমান ও তার দোসর নূর হোসেন দেশের একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী ভাড়া করে সাতজনকে অপহরণ করে। হাজার হাজার মানুষের সামনে থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে মরদেহগুলো ভেসে ওঠে। প্রত্যেকের বুকে বাঁধা ছিল ২৪টি করে ইট।”

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত আরও বলেন, “আসামিরা প্রভাবশালী। তারা আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট ছিল বলেই এত বছর ধরে মামলাটি ঝুলে আছে। আমরা চাই দ্রুত এই রায় কার্যকর হোক।”

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। এতে কয়েকশ আইনজীবী ও নিহতদের পরিবারের স্বজন সহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সোনারগাঁয়ে সম্পত্তির জন্য সন্তানের হাতে বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন বাবাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে। ২৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়াচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আষাঢ়িয়াচর গ্রামের আব্দুর রহিম (৭০) বাড়ির সামনে রাস্তায় থাকা অবস্থায় তার ছেলে জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও মেয়ে হালিমা আক্তার প্রকাশ্যে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত হন।

আহত আব্দুর রহিমের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা বাধা দিয়েও সন্তানদের হাত থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে অভিযুক্তরা সরে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সন্তানদের বিরুদ্ধে আপন বাবাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামানকে শুভেচ্ছা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি হওয়ার মনিরুজ্জামান লিটনকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

২৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষক বাতেন, মোখলেসুর রহমান, রেশমা হক, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আল আমিন শাহ, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ প্রধান, নজরুল ইসলাম, মোজ্জামেল হক প্রমুখ।

এ সময় মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক মনোনীত হয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছি। আজ আমি অত্র বিদ্যালয়ে সকলের সাথে প্রথম সভা করি, আর এই সভার মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ের কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে ব্যাপারে শিক্ষকদের ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবো। লেখাপড়ার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাবো। যেন শিক্ষার্থীরা ভালো পড়াশোনার মাধ্যমে ভালো একটি রেজাল্ট করতে পারে সে ব্যাপারে আমি লক্ষ রাখব ও সকলের নিকট দোয়া কামনা করি।

জামপুরের গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে আশরাফ ভুঁইয়ার মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কথিত প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি ঘেষা গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভুঁইয়া।

২৭ এপ্রিল রবিবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রূপগঞ্জ আমলী আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন আশরাফ ভুঁইয়া। মামলায় দুই বছরের সাজা সহ বাদীর রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও সামাজিকভাবে ক্ষুন্ন করে মানহানির দায়ে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ তোলা হয়।

মামলায় গোলজার হোসেনকে একমাত্র আসামী করা হয়। আদালত শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ প্রদাণ করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়- বাদী ওয়াশিপ ডাইনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ মাসাবো এলাকায় সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতাছেন। কিন্তু আসামী গোলজার হোসেন বিভিন্ন ফন্দি ফিকির আটিয়া বাদীর সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য পায়তারা করিয়া আসিতাছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ এপ্রিল জাতীয় বেশকটি পত্রিকায় গোলজার হোসেন বিবৃতি দেন যে, আসামীকে বাদী গুলি করে হত্যার হুমকি ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টা করিয়াছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আসামী বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়া সংবাদ পরিবেশন করায় বাদীর মানহানি ঘটে।

মে দিবস পালন উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা

সান নারায়ণগঞ্জ

আগামী পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে নয়াপল্টনে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা ব্যাপারী ভবনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেন।

এ ছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহজাহান মেম্বার, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাফির উদ্দিন মজনু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ, উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন দিপু, উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক করিম রহমান, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা ওমর ফারুক, সোনারগাঁও উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি ফজলু মেম্বার, সোনারগাঁও উপজেলা জাসাসের সভাপতি আমির হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানা, সোনারগাঁও পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মফিজর রহমান সোহেল, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল রানা।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাহের আলী, রানা, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন, আলমাছ, আমিনুল, নোবেল মীর, সোনারগাঁও উপজেলা শ্রমিক দল নেতা হাজী কিসমত, বিল্লাল মুন্সি, হান্নান, আবু সাঈদ, রাজ্জাক, সোনারগাঁও পৌর শ্রমিক আহবায়ক আবুল হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা আওলাদ, ইমরান ফারুক সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পিরোজপুরে কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দী যুব সমাজের উদ্যোগে মরহুম আরাফাত রহমান কোকা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ সিজন -১ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোরহাব প্রধানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মাসুম রানা।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম হোসেন দিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সুমন, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ফারুক, জামানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। টুর্নামেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিরাজ হোসেন।

আব্দুর রউফ ও মমিনের নেতৃত্বে বন্দর থানা জাসাসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ থেকে ২৭নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বন্দর থানায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘোষিত এ কমিটিতে মোঃ আবদুর রউফকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মমিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

কমিটি গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল ইসলাম সানি। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের সভাপতি মো. স্বপন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন এই কমিটির অনুমোদন দেন।

এ ছাড়াও কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, খন্দকার মো. মাহামুদুল হাসান, এড. মাহমুদা আক্তার, লুৎফা কবির লিপি, মো. বাক্কী বিল্লাহ, মো. মাহাবুবুর রহমান শ্যামল, মো. মেজবাহ উদ্দিন, শেখ ফরিদ, মো. আশরাফ আলী, মো. কবির হোসেন, এড. মো. রমজান আলী, মো. শরিফুল ইসলাম স্বপন ও আবুবকর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মোল্লা, মো. নাজিম উদ্দিন, এস.এম জামান, মো. নাছির উদ্দিন, মো. সুজন, মো. হুমায়ুন কবির ও মো. মাইনউদ্দিন (মঈন), সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খান ইমন, খন্দকার শাহিদুজ্জামান মিন্টু রানা, জিয়াউর রহমান টিটু, মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. ইমরান হোসেন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান খুকুমনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল হক রোমান ও মো. জাকির খান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার, সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. রতন ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক মো. রাসেল, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. বাবর আলী, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (রাজন), সহ-প্রচার সম্পাদক মো. আবুল কালাম, সংগীত বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী খুকু, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, সহ-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ মাঝি, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক রেজওয়ানা হক, সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. হেফাজ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আফরিন নাহার চৈতী, তথ্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. আজাদ মিয়া, ক্রীড়া ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. মোজাহিদুল হক, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসা. ইয়াসমিন খানম, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন নাহার ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমকে নির্বাচিত করা হয়।

কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- এস.এম রায়হান হক, মো. এরশাদুল হক, ইউনুছ মিয়া, খুশি, মো. রায়হান বারী, মো. রিপন হাওলাদার, জিয়াসমিন, মো. সানু খান, মো. মনছুর সাদেক, মো. কামরুজ্জামান, মো. নাবিল মাহামুদ, মো. রাশেদুল হক, মো. রুবেল, মফিজুল ইসলাম রাসেল, মো. শাওন, মো. আজিজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মো. মোহর চাঁন, মো. নাছির উদ্দিন, মো. সুমন ও মো. মামুন।

সর্বশেষ সংবাদ