আনন্দধামের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ

মঙ্গলবার ৯ই রমজান, আনন্দধামের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর স্থানীয় ইডেন থাই এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক ইফতার মাহফিল ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মো: মারুফ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল কাইয়ুম আল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু শ্যামল দত্ত।

ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন আনন্দধাম আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রেসিডেন্ট আজিজুল ইসলাম বাবু।

সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক প্রিন্সের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন, ইকবাল আহমেদ, পরিচালক মো: খোকন গাজী, আবদুর রহমান বাচ্চু, ইলিয়াস মামুন, বাবু শিকদার, মোতালেব সানি, মো: শফিউদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, মো: মুজাহিদ, ডা: অমল মন্ডল, মো: রাইহান আহমেদ ভুইয়া, তাজুল ইসলাম, মো: রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

মুক্ত আলোচনা বক্তারা বলেন, মানবতা রক্ষার জন্যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরাম আত্মত্যাগের যে নজির স্থাপন করে গেছেন, সেই ত্যাগের আদর্শ গ্রহণের মধ্যেই পবিত্র রমজানের চেতনা নিহিত।

সভার সভাপতি হাসিনা রহমান সিমু বলেন, পবিত্র রমজানের সংযম সাধনা আমাদের সারা বৎসরে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আর রমজান উপলক্ষে মহাসমারোহে ইফতারের আয়োজন বাঙ্গালী জাতির ধর্মীয় ঐতিহ্য। এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। রমজানের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অর্জিত সংযম ক্ষমতাই মানুষকে সৎ পথে চলতে শক্তি জোগাবে।

হাজারো ত্যাগ: রক্ত ঘাম ঝরানো খোরশেদ, নেতাকর্মীদের নতুন স্বপ্ন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২৭ ফেব্রুয়ারী হয়ে গেল বিএনপির জাতীয় বর্ধিত সভা। ওই সভায় বক্তব্য রেখেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ওই বর্ধিত সভায় ডাক পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। নারায়ণগঞ্জে সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ কাঁপানো এই নেতাকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।

করোনাকালে করোনা বীর হিসেবে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। একজন কাউন্সিলর হিসেবে সিটি কর্পোরেশনে সর্বোচ্চ ভোটের ওয়ার্ডে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। একইভাবে মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে একমাত্র খোরশেদ, যার প্রতিটা ওয়ার্ডে নিজস্ব কর্মী রয়েছে তার। মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনকালে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের বাহিরেও বন্দরের আরো ৫টি ইউনিয়নে যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী সৃষ্টি করেছেন তিনি। যার নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে রাজপথে নেতাকর্মীরা ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মত সাংগঠনিক নেতা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে বিকল্প কেউ নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারনে খোরশেদকে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখা হয়েছে। নতুবা মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে একমাত্র খোরশেদই ছিলেন যোগ্য নেতৃত্ব। খোরশেদের অনুগামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি। খোরশেদ নেতৃত্ব না থাকায় তার কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী এদিক সেদিক ছড়িয় ছিটিয়ে থাকলেও নেতৃত্ব পেলে সকলে একযোগে খোরশেদের নেতৃত্বে এককাতারে দাঁড়াবেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির জাতীয় বর্ধিত সভায় খোরশেদ ডাক পাওয়ায় তার অনুগামী নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে ওঠেছেন। মহানগর বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা খোরশেদকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। নেতাকর্মীরা মনে করছেন মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে গেলে পরবর্তী নেতৃত্বে আসবেন খোরশেদ। কারন খোরশেদের বিকল্প নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রাজনীতিতে আর কেউ নেই। ব্যাপক নেতাকর্মী সমর্থক ও জনপ্রিয়তার কারনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান তিনি।

প্রায় ৬০টির বেশি রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজপথে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম করে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। একাধিকবার রাজপথ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। জেল খেটেছেন একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে। বছরের পর বছর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন বনজঙ্গনে কাটিয়েছেন। সকালে দলের হরতাল অবরোধ পালন করতে গিয়ে রাতে ঝোপ ঝাড়ে দিন যাবত করেছেন খোরশেদ। রাজপথে হরতাল অবরোধ পালন করতে গিয়ে পুলিশি লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন একাধিকবার।

এদিকে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর ৪জন যুগ্ম আহ্বায়ক সহ ১৫জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা করেন। বর্তমানে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মহানগর বিএনপির কমিটির নেতাদের মাঝে। নানা কারণে মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে যেতে পারে বলে অনেকের আশংকা। যে কারনে কেউ কেউ বলছেন- মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি যখনই ভেঙ্গে দেয়া হোক, তখনি পরবর্তী নেতৃত্বে খোরশেদের মত নেতৃত্ব আসতে পারে। কারন খোরশেদ কেন্দ্রীয় বিএনপির নজরে রয়েছে এটা প্রমানিত হয়েছে জাতীয় বর্ধিত সভায় খোরশেদকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে নিমন্ত্রন জানানোয়।

নেতাকর্মীরা বলছেন, ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি আক্তার হোসেন যিনি আওয়ামীলীগের একজন এমপির মেয়ে জামাতা, সেই ওসি আক্তার জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মামুন মাহামুদ ও মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ বিএনপির বেশকজন নেতাকর্মীকে ডিআইটি রাজপথ থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে শীর্ষ দুই বিএনপির নেতার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন ওসি আক্তার হোসেন। সেই মামুন মাহামুদ আজকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, কিন্তু মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঝাল বেধ করে এগিয়ে যেতে না পাড়ায় ত্যাগের বিনিময়ে আছেন অবমুল্যায়িত।

রূপগঞ্জের প্রগতি হাইস্কুলের সভাপতি অ্যাড. আজিজুর রহমান মোল্লা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে অবস্থিত প্রগতি হাই স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা। তিনি জেলা আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করছেন।

৯ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লাকে রূপগঞ্জ প্রগতি হাইস্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

এডহক কমিটিতে সাধারণ শিক্ষক সদস্য পদে রোকসানা আক্তার, অভিভাবক সদস্য পদে মোশারফ হোসেন মোল্লা ও সদস্য সচিব পদে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় ওই প্রজ্ঞাপনে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সদস্যবৃন্দ সমন্বয়ে গঠিত প্রগতি হাই স্কুলের এডহক কমিটির পত্র ইস্যুুর তারিখ হতে ৬ মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং এ মেয়াদকালের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটির মেয়াদকালের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হলে বিদ্যালয়ের অনুমতি/স্বীকৃতি বাতিলসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করা হবে।

চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপি নেতা টিপুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের পরে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্যবসায়ীরা।

৯ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর মীর জুমলা সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ মিছিল করে দিগু বাবুর বাজারের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত শনিবার বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ীদের মারধরের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করে বাজারের ব্যবসায়ীরা। এর জের ধরে দিগুবাবুর বাজার কমিটির সভাপতিকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি সহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে রবিবার দুপুর ২টা থেকে বাজারের মীর জুমলা সড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করে ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

সড়ক অবরোধ করে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা স্লোগান দেন, ‘টিপুর চাঁদাবাজি চলবে না, চলবে না। টিপুর কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও। বিএনপির নামে চাঁদাবাজি চলবে না, চলবে না। সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও।’

এ বিষয়ে দিগু বাবুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিএনপি নেতা টিপু সহ তার লোকজন কিছুদিন ধরে নিরীহ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। এই চাঁদার জন্য তারা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে। গতকাল (শনিবার) তারা কিছু ব্যবসায়ীদের গায়ে হাত তুলেছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গতকাল রাতে আমার বাবাকে (দিগু বাবুর বাজার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রুহুল আমিন) হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা টিপু আমার বাবার নামে ৫৩টি মামলা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় টিপু সহ তার চক্রের লোকজনদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

ব্যবসায়ী মনোয়ার খান রাজিব বলেন, এই বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে নিরীহ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেনা। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ ব্যবসায়ীদের ভয়ভীত প্রদর্শন করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। গতরাতে আমাদের বাজার সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন কাকাকে ওই সন্ত্রাসীরা ফোন করে হুমকি সহ মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়েছে। এই চাঁদাবাজের কারণে আমাদের ব্যবসা করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। তাদের বিচার দাবি করছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে থেকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকবো। কেউ চাঁদা চাইলে একটি টাকাও চাঁদা দেবেন না। প্রয়োজনে আমরা সবাই এক হয়ে তাদের প্রতিহত করবো। সে যেই দলের লোক হোক না কেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দিগু বাবুর বাজারের ব্যবসায়ী সুভাষ, জগা বাবু, হালিম, মনির, মিজান, মাসুম, সুমন, আশরাফুল, হাকিম, রাসেল, মহাসিন, সোহাগ, জাহাঙ্গীর, নূর নবী, ইমরান, মহরম, পেদা, মিলন, হরাদন, বুলু বাবু, জাহিদ, ইকবাল, ফারুক সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে শহরের দিগু বাবুর বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী ইয়াসিন, ইয়াকুব, রফিকুল সহ আরও বেশ কয়েকজনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। সেদিন বিএনপি নেতা টিপু ও তার লোকজন লাঠি হাতে বাজারে প্রবেশ করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক গ্রেপ্তার, ইয়াবা ‍উদ্ধার, পরে বহিষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ নগরীতে অবস্থিত ৩শ শয্যাবিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জিদান সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য ও চাকু উদ্ধার করা হয়। ৯ মার্চ রবিবার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল চক্রের সদস্য ইকবাল হোসেন। তাদের কাছ থেকে ৪ পিছ ইয়াবা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর খানপুর ৩শ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে মো. জিদান নামের এক যুবক হাসপাতালের স্টাফদের প্রায় সময় হুমকি-ধমকী দিয়ে আসছিল। এর পাশাপাশি সে হাসপাতালের ভেতরে ইয়াবা সেবনসহ বিক্রিও করতো। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাসপাতালের ভেতর থেকে জিদান ও তার সহযোগি দালাল ইকবালকে আটক করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক নিরব রায়হান বলেন, আটককৃত মো. জিদান জেলা কমিটির সংগঠক ছিল। এই ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কোন ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল নেবে না।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. এমএ বাশার বলেন, আটকদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ও অপরজন হাসপাতালের কোন এক স্টাফের আত্মীয়। তবে তারা কেউ হাসপাতালের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। তারা কেন হাসপাতালে এসেছিল তা জানা নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সংগঠক মো. জিদান ও হাসপতালের দালাল ইকবালকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৪ পিছ ইয়াবা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

আওয়ামীলীগ নেতা টিটুকে নিয়ে রূপগঞ্জে বিএনপির দোয়া মাহফিল!

সান নারায়ণগঞ্জ

কারাগারে আছেন নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর। সেই গাজীর হাতে ফুল দিয়ে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শ্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছিলেন ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু। সেই টিটুকে নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছে বিএনপি।

এরপরেও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আলমগীর হেসেন টিটুকে সহ-সভাপতি করা হয়। কিন্তু তারপরেও আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়তে পারেননি তিনি। নৌকার পক্ষে কাজ করার কারনে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারী আলমগীর হোসেন টিটুকে বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সেই টিটু গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছেন উপজেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে ম্যানেজ করে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ সোমবার বিকেলে উপজেলার আতলাপুর বাজার এলাকার গণবাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের আয়োজনে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন।

অনুষ্ঠানে ভোলাব ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলজার হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু, ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সানাউল্লাহ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মেম্বার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ প্রমুখ।

এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি সহ সারাদেশের মানুষের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রূপগঞ্জ শাখার নেতৃবৃন্দ। ৮ মার্চ শনিবার বিকেলে রূপগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত উপজেলার ভুলতা রয়েল মুন রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ নাজমুল হুদা। সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী হাফিজুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারী আবু সাঈদ মুন্না, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসরাফিল হোসাইন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের জামায়াত ইসলামীর মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, রূপগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের দক্ষিণ থানা আমীর সাইফুল ইসলাম সিরাজী, সেক্রেটারী আনিসুর রহমান, রূপগঞ্জ উত্তর থানা আমীর আব্দুল মজিদ, সেক্রেটারী খায়রুল ইসলাম, রূপগঞ্জ পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা ওমর ফারুক ও সেক্রেটারী হানিফ ভুঁইয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জন হয়েছে, তা ধরে রাখার জন্য জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের ভূমিকা না থাকলে জুলাই বিপ্লব সফল হতো না। জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সহিংসতা, মারামারি, গোলাগুলিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা কাজ করছেন। সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকরা কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তাই সাংবাদিকদের কল্যাণে রাষ্ট্রে আলাদা বরাদ্দ ও পলিসি থাকতে হবে। তবেই নিরপেক্ষভাবে সাংবাদিকরা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন।

পরে সাংবাদিকদের মধ্যে তাফহীমুল কুরআন বিতরণ, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রচারাভিযান

সান নারায়ণগঞ্জ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীর ভূমিকা মূল্যায়নের দাবিতে এক ব্যতিক্রমী প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৮ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির (ইএসএডিএস), ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) এবং বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট)-এর যৌথ উদ্যোগে প্রচারাভিযান আয়োজিত হয়।

এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।

প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন। তারা জোর দিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

ইএসএডিএস-এর মহাসচিব মীযানুর রহমান বলেন, “দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত হয়, যার প্রধান ব্যবহারকারী নারীরা। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানি নির্ভরতা এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে নারীরাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন।” তিনি আরও জানান, নারীরা জ্বালানি খাতে পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, উৎপাদন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা পরিবর্তন করা জরুরি।

প্রচারাভিযানে আরও বলা হয়, ফসিল ফুয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কারণে নারীরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশেষ করে, স্থানীয় এলাকায় বহিরাগতদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় নারীরা চলাচল, স্বাস্থ্যসেবা ও মৌলিক চাহিদা পূরণে সমস্যার সম্মুখীন হন। পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (EIA) প্রক্রিয়ায় তাদের নামমাত্র পরামর্শের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তৎপরতা খুবই কম।

প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারী আকলিমা আক্তার বলেন, “বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে নারীদের বিশেষ প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত ধাতু নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। তবুও নারীরা ক্ষতিপূরণের অধিকার পান না, কারণ তাদের নামে জমির মালিকানা থাকে না।”

প্রচারাভিযান কর্মীরা নারীদের জন্য সহজে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় প্রচারাভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফারজানা, আফসানা, রুমি, নাসরিন, জহিরুল ইসলাম জহির, জান্নাতুল ভূঁইয়া, মীমরাজ হোসেন, ইমরানসহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারী।

সর্বস্তরের অংশগ্রহণে বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শান্তিরবাজার এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মার্চ শনিবার বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রোগমুক্তি কামনায় এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আলী আজগর আজগর, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুম রানা, উপজেলা বিএনপির সদস্য বি.এম ডালিম, আবুল কাসেম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হোসাইন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা ওমর ফারুক, সোনারগাঁও উপজেলা জাসাসের সভাপতি আমির হোসেন, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হালিম মেম্বার, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা করিম রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আয়নাল হক, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেব দলের সদস্য জামাল হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দরের সদস্য শাহ আলম, সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলনেতা ইয়ানুস, কবির হোসেন, বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি পনির মুন্সি, রাজ্জাক মেম্বার, আইয়ুব, ফরিদ, দাইয়ান, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সিদ্দিক, বারদী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, হারুন, কাশেম, বিএনপি নেতা আনু, রফিকুল, ইউসুফ, রবিউল প্রমূখ।

এ সময় স্থানীয় মুসুল্লী সহ বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন।

সোনারগাঁয়ে গোয়ালদী শাহী মসজিদ সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবীতে মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে ৫০৬ বছরের পুরনো সুলতানী শাসনামলের অনন্য মুসলিম নিদর্শন গোয়ালদী শাহী মসজিদ যথাযথ ভাবে সংরক্ষণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ‘সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’। ৭ মার্চ শুক্রবার সকালে গোয়ালদী এলাকায় শাহী মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়াক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, উদীচী’র সোনারগাঁ শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশ, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাখখার সাগর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হক, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম খোকন, কবি ও সাংবাদিক এরশাদ হুসাইন অন্য ও সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের নির্বাহী সদস্য রোকেয়া আক্তার বেবী ও শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধান, সংগঠক খাদিজা আক্তার, ইস্কান্দার আলী আলভী ও মোমেন মিয়া প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোনারগাঁয়ে স্বাধীন সুলতানদের শাসনামলে ১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেনশাহের আমলে গোয়ালদী শাহী মসজিদটি নিমার্ণ করা হয়। এ মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন থাকলেও মসজিদটির বিভিন্ন অংশ বর্তমানে ঝঁকির মুখে রয়েছে। বিশেষ করে মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনের স্তম্ভটি হেলে পড়েছে। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

এছাড়া চার কোনার চারটি স্তম্ভের উপরের মাথার গোলাকার গম্বুজ ইতমধ্যে ধসে গেছে। এ ঐতিহাসিক মসজিদটি দ্রুত সংস্কার করে যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দাবী করা হয় মানববন্ধনে।

বক্তারা আরো বলেন, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের প্রবেশ মুখগুলোতে যদি সোনারগাঁ অঞ্চলের প্রতিটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সিটিজের চার্টার স্থাপন করা হয় তাহলে পর্যটকরা সহজেই এ স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেন সেজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে জোড় দাবী জানানো হয়। উল্লেখ্য সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম সেতু সংরক্ষণের জন্য এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ‘সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’ একটি মানববন্ধন করে।

পরে এ সেতু সংরক্ষণের জন্য গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কৃতি উপদেষ্টা, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা কাসটোডিয়ান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ