সোনারগাঁয়ে ডিবি পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতি

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৫ মার্চ শনিবার দুপুরে উপজেলার দড়িকান্দি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিবা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কোম্পানির গাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন বাদী সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ভাটারা এলাকার দিবা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন ও কোম্পানির মাইক্রোবাস চালক মামুন শেখ শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে মতিঝিল সিটি ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে কোম্পানির চাঁদপুর শাখায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনের সোনারগাঁ উপজেলার দড়িকান্দি ব্রিজ পার হলে পেছনে থাকা সিলভার রঙের একটি এক্সজিও ফিল্ডারযোগে ৬ সদস্যের একটি গ্রুপ তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী ব্যবস্থাপককে গাড়িটি তল্লাশির কথা বলেন। একপর্যায়ে ডাকাত সদস্যরা ভুক্তভোগীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে মাইক্রোবাসে বিভিন্ন স্থানে ঘোরায়। পরে অপরিচিত একটি স্থানে থেমে কোম্পানির মাইক্রোবাসে দুটি ব্যাগে থাকা এক কোটি ১০ লাখ টাকা ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে থাকা মূল্যবান পণ্য নিয়ে যায়।

সাপ্তাসিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংক হতে কোটি টাকা উত্তোলনের বিষয়টি জানতে অভিযোগের বাদী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানিতে বিকাশে লেনদেন করা যায়। এটা শুধু সিটি ব্যাংকই করে। আমাদের মালিক দেশের বাইরে থাকায় উনার সই করা চেকের মাধ্যমে আমরা টাকা তুলেছি। এটা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, ৬ ডাকাতের একজন আমাদের গাড়িটি চালিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘুরিয়ে তারপর সব নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার এ সম্পর্কে জানা নেই, কিছু শুনিনি। খোঁজ নিতে হবে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রযুক্তির সহায়তায় নিয়ে তদন্তের চেষ্টা করছি।

সিদ্ধিরগঞ্জে বাস রাখাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পরিবহনের বাস রাখাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আট জন আহত হয়েছে।

১৫ মার্চ শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব পাপ্পু, ফিরোজ, সজীব, ইসমাইল ও নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা আবুল হাশেম, হাসান মাহমুদ, আবু সিদ্দিক, বিল্লাল হোসেন। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে নীলাচল পরিবহনের প্রায় ৩৫টি বাস মৌচাকের চিশতিয়া বেকারি সংলগ্ন একটি খালি মাঠে ভাড়ায় রাখা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে ওই পরিবহনের একটি বাস রাখার সময় এলাকার একটি মসজিদের কার্নিশের দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ওই এলাকার বাসিন্দা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান বাবু ও এলাকাবাসী নীলাচল বাসের কর্তৃপক্ষকে ওই স্থান হতে বাস ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

আরও জানা গেছে, এসব ঘটনার একপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বাস কর্তৃপক্ষ ও সেচ্ছাসেবক দল নেতাদের মধ্যে এক মাসের ভেতর বাস গুলো ডিপোতে সরিয়ে নেওয়া হবে মর্মে সমঝোতা হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মাধ্যমে নীলাচল পরিবহন বাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বসে সমাধানের আশ্বাস দেন। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে উভয় পক্ষ আবারও বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। সেখানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান বাবুর অনুসারীদের (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু ও তার লোকজনের) সাথে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবালের অনুসারীদের সঙ্গে) বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত সাড়ে সাতটা থেকে এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা ও ইট পাটকেল ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু বলেন, সম্প্রতি নীলাচল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকার একটি মসজিদের কার্নিশের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনিয়ে এলাকাবাসী ও আমরা প্রতিবাদ জানাই এবং তাদেরকে বাস ডিপোতে সরিয়ে নিতে বলি। বাস কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে সমঝোতা করে দুই মাসের সময় নেয়। এরপর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল হোসেনের (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) অনুসারী ও ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ফিরোজ নামে আমাদের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে এবং ইসমাইল নামে আরেক জনকে মারধর করে। তারা দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া আরো ৩-৪ জন আহত হয়েছেন।

বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল চাঁদাবাজি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল এই পরিবহনের ডিপো থেকে প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন। আমরা এই পরিবহনের বাস সরাতে বলায় তার বাহিনীর লোকজন ও অনুসারী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান বাবুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিদ্ধিগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমি গতকাল থেকে অসুস্থ। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।তবে আমার লোকজন কাউকে হামলা করেনি। শুনেছি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা নীলাচল বাসের কর্তৃপক্ষের কাছে মসজিদের ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা চেয়েছে।

নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, আমাদের একটি বাস আসার সময় পাশের মসজিদের লাইট ও কার্নিশ ভেঙে যায়। আমরা মিস্ত্রি নিয়ে সেসব মেরামত করতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান পাটোয়ারীর সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তার পক্ষ হয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবুর লোকজন আমাদের উপর অতির্কত হামলা করে। এসময় আমি সহ হাসান মাহমুদ, আবু সিদ্দিক, বিল্লাল হোসেন নামে চার জন আহত হই। তবে আমরা কাউকে মারধর করিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ শাহীনুর আলম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন, নীলাচল পরিবহনের বাস কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছে। এলাকাবাসীর ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেখ হাসিনার আমলে ধর্ষণের কোনো বিচার হয়নি: আফরোজা আব্বাস

সান নারায়ণগঞ্জ

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে আট বছরের এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখেই ফোন দিয়ে তার পাশে দাঁড়াতে বলেন। তাই আমরা শিশুটির পরিবারকে জানাতে এসেছি- তারেক রহমান আপনাদের পাশে আছেন। আমরা শিশুটির ন্যায়বিচারের পক্ষে মাঠে রয়েছি। এই নরপশুদের বিচার না হলে এরা মানুষ হবে না। মাগুরার শিশুটি যেভাবে মারা গেল, এর আগে যদি ধর্ষকদের কঠোর বিচার হতো তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না।

১৬ মার্চ রবিবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকায় ধর্ষণচেষ্টার শিকার শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আফরোজা আব্বাস বলেন, এর জন্য দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনার প্রশাসন। কারণ এর আগেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, শেখ হাসিনার ১৬ বছরে অনেক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। বরং যারা গণধর্ষণ করতো তাদের পুরস্কৃত করা হতো। সে কারণেই এসব ঘটনা এখন বেড়ে গিয়েছে। এই নারায়ণগঞ্জের একটি মেয়ে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়। তখন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জড়িত ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন সরকারকে বলবো সময়ক্ষেপন না করে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন। এখানে তো প্রমাণের দরকার নেই। জনসম্মুখে এদের বিচার হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা আরও কঠিন হওয়া উচিত। যদি আইন না থাকে তাহলে আইন বানাবেন। কারণ জনগণ যেটা ঠিক করবে সেটাই আইন। ইসলামিক আইনেও বিচার করুক। ইসলামি আইনে আছে, ধর্ষককে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করা। অতিদ্রুত ২-১টা বিচার করা হলে ভবিষ্যতে কেউ এসব ঘটনা ঘটানোর আগে ১০-১২ বার চিন্তা করবে।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর নারী ও শিশু আইনি সহায়তা সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট সামসুন নূর বাঁধন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ আটিগ্রাম এলাকায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক দোকানিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত দোকানির নাম সেলিম উদ্দিন (৫০)। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রামের নূর হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং সিলেটের জামালগঞ্জের আজগর আলী তালুকদারের ছেলে।

রূপগঞ্জে শ্রমিক হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাব্বির রহমান নামে এক শ্রমিক হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

১৬ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আনিসুর রহমান ও ইব্রাহীম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, সাব্বির রহমান হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকারী তিনজন ও ভুক্তভোগী মো. সাব্বির রহমান একসঙ্গে দীর্ঘদিন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ টেনে নিয়ে একটি নির্মাণ ভবনের ৭ম তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শিট দিয়ে ঢেকে রাখেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে মামলার বিচারকার্য শেষে আদালত এই রায় দেন।

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নগর সম্মেলন ও ইফতার

সান নারায়ণগঞ্জ

১৪ মার্চ ‘২৫ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় চাঁদের পাহাড় রেস্টুরেন্টে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নগর সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নগর সভাপতি হাফেজ মুহাম্মাদ আলতাফ হোসেন গাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আমীর হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষফ ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন।

প্রধান অতিথি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের কিংবদন্তিতুল্য আখ্যান। যুগান্তকারী এই ইতিহাস বিনির্মাণে অংশ নিয়েছে জাতি-ধর্ম-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলেম-উলামা এবং যুব সমাজ শিক্ষক সমাজ । জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শিক্ষক সমাজের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।দেড় হাজারের অধিক নিহত এবং ৩০ হাজারের অধিক আহত ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে সৃষ্টি হয়েছে নতুন ইতিহাসের। জুলাই অভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাত্রদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বলিষ্ঠ নেতৃত্বে হাজার আলেম সমাজ, ছাত্রসহ সবস্তরের মানুষ অংশগ্ৰহণ করেছিলেন।এ দেশের মানুষ ভালো নেতার নেতৃত্ব দেখতে চায়। তরুন শিক্ষক মাধ্যমে সমাজ গঠন করতে চায়। এজন্য যুব সমাজকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

প্রধান বক্তা জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সহ-সভাপতি এ. বি. এম জাকারিয়া বলেন, ঐক্যবদ্ধ ও পরিশুদ্ধ গড়তে,বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে শিক্ষল সমাজের বিকল্প নাই,শিক্ষক রা জাগ্রত হলেই জাগ্রত হবে বাংলাদেশ, তাই শিক্ষক ভাইয়েরা আসুন আগামী নির্বাচনে পীর সাহেব চরমোনাই এর হাত কে শক্তিশালী করতে এখন থেকে মাঠে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ি,কাজ শুরু করি ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল সুলতান মাহমুদ।

সভাপতি মুহাম্মাদ গাজী আলতাফ হোসেন বলেন, আজকে যারা উপস্থিত হয়ে নগর সম্মেলনকে সফল করেছেন, সকলকে মোবারকবাদ জানাই,আগামীতে ইসলাম দেশ ও মানবতার জন্য কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে ভুমিকা রাখবেন এই প্রত্যাশা রাখি ইনশাআল্লাহ।

প্রধান অতিথি সম্মেলনে তার বক্তব্য শেষে ২০-২৪ সেশনে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০২৫- সেশনের জন্য কমিটি ঘোষণা করেন।

এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সহ অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত আছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর প্রধান শিক্ষক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ

আড়াইহাজারে এসআই মাহাবুবসহ পুলিশের ৬ সদস্য মারাত্মক আহত

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-বিশনন্দী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগাদী এলাকায় টহল থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খূঁটির সাথে নিয়ন্ত্রণহীন লেগুনার ধাক্কা লেগে থানা পুলিশের এসআই ও লেগুনার চালক এবং অপর ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোর ৪টায়।

আহত পুলিশ সদস্যদের ৩ জনকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তারা ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে আছেন। অপর ৩ জনকে রাজারাবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং লেগুনা চালক আরাফাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, এসআই মাহবুবুর রহমান মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল বগাদী এলাকায় ডিউটি শেষে থানার দিকে ফিরছিলেন।

এ সময় তাদেরকে বহনকারী লেগুনা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের বৈদ্যুতিক খূঁটির সাথে ধাক্কা লেগে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, এস আই মামহবুবুর রহমান মামুন, কনষ্টেবল সাইফুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, আল আমিন (১), আল আমিন (২) এবং আজিজ। তা ছাড়া লেগুনা চালক আরাফাত ও এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

তারেক রহমান সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন: টিটু

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আদর্শনগর যুব সমাজের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ মার্চ শুক্রবার ফতুল্লা থানাধীন আদর্শনগর বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলী আহম্মেদের সভাপতিত্বে যুবদল নেতা শামীম আহমেদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মিথুন, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মাদবর, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবুল আহমেদ, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা দুলাল ভূইয়া, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাসুম আহমেদ রাজ, যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম তেলা, যুবদল নেতা মাকসুদুল ইসলাম লিখন, ইমরান, ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় ধরনের আয়োজন না করে স্বল্প পরিসরে ইফতার আয়োজন করে সাধারণ মানুষের পাশে আহবান করা হয়। তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করে দলীয় কার্যক্রম চালানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যতকে হত্যা করা: মোহাম্মদ হোসাইন

২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি রায়ে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা (লিভিং এনটিটি)’ বলে আদেশ জারি করেন। এর অর্থ মানুষের মতো নদীরও সুস্থ-সুন্দর থাকার অধিকার রয়েছে। রায়ে রাষ্ট্রকে এই অধিকার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নদী দখল, দূষণ ও ভরাটের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশনা কার্যকর হয়নি।

২০১৯ ও ২০২০ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রায় ৬৬ হাজার নদী দখলদারকে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেও সেই উচ্ছেদ সফল হয়নি। ফলে জীবন্ত সত্তা নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন বলেন, বাঙালির সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে নদীকেই কেন্দ্র করে। মিশরকে নীল নদের দান বলা হয়; তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশকে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদ-নদীর দান বলা যায়। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অভিন্ন ৫৭টি নদী।নদী বিধৌত এ’দেশে ছোট-বড় মোট ২৩০টি নদী আছে আর শাখা-প্রশাখাসহ নদীর সংখ্যা প্রায় ৮০০টি। এ নদীগুলো সারাদেশে রক্তের শিরা-উপশিরার মতো বহমান। মেঘনা ব্রহ্মপুত্র শীতলক্ষ্যা ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গা আর বালু নদী পরিবেষ্টিত নারায়ণগঞ্জ জেলা। এই নদীগুলো নারায়ণগঞ্জের পরিবেশের বিচিত্র অনুষঙ্গ। আমাদের দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠির জীবন ও জীবিকার সম্পর্ক রয়েছে নদীর সাথে। খরস্রোতা নদীগুলোতে জেলেরা মাছ ধরত, নৌকাবাইচ হতো, উৎসবের আমেজে মেতে উঠত নদীর পাড়ের মানুষগুলো। কৃষি, মৎস্য, জেলেদের পেশা এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি মানুষের নিত্যদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সবকিছুর একমাত্র উৎস ছিল এই নদীগুলো। বাংলাদেশের নদীগুলো মিঠা পানির প্রধান উৎস্য এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কিন্তু আমাদের দায়িত্বহীনতায় নদীগুলো দখল ও দূষণের শিকার। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্রই ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলছি। এ নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যতকে হত্যা করা।

কিন্তু সেই নদী আজ দখল, দূষণ আর ভরাটের প্রতিযোগিতায় বিপন্ন; অনেকাংশে বিলুপ্ত। নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর নানাবিধ কারণের মধ্যে অবৈধ দখলদারিত্ব, অপরিকল্পিত নদীশাসন, দূষণ, ভরাট, অপরিকল্পিত ড্রেজিং, ইচ্ছামতো বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি অন্যতম। সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠছে বড় বড় কলকারখানা, শত শত বাঁধ। দূষণ-দখলের কবল থেকে কিছুতেই বাঁচানো যাচ্ছে না শীতলক্ষ্যা নদীকে। প্রতিদিনই বাড়ছে দূষণ; বাড়ছে দখলদারদের সংখ্যাও। প্রভাবশালীরা নদী ভরাট করে দখলের উৎসবে মেতেছে। খাল, নদ-নদী, নর্দমা হয়ে অপরিশোধিত অবস্থায় নদীগুলোতে জমা হচ্ছে। নদীগুলোকে গিলে খাচ্ছে পলিথিনসহ শিল্প-কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য, হাসপাতাল-ক্লিনিকের পরিত্যক্ত কেমিক্যাল, লঞ্চ-জাহাজের পোড়া তেল, মবিল, ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য ও নদীর পাড়ে।

তিনি আরো বলেন, মিঠা পানির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে বহু আগে। জীব বৈচিত্রও নেই। এ নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোঠায়। আদালতের রায় অনুযায়ী নদীগুলো এখন ‘জুরিসটিক পারসন’ বা ‘লিগ্যাল পারসন’। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মতো নদীরও মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। সুতরাং নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করা। আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের সব নদীই মূল্যবান এবং সংবিধান, বিধিবদ্ধ আইন ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ দ্বারা সংরক্ষিত। বাংলাদেশকে ‘নদীমাতৃক’ বলা হয়। নদী মায়ের মতো; নদী মা হিসেবে স্বীকৃত। নদী দূষনও মাকে হত্যা করার সামিল।

এই নদী দূষণ ও দখলে জারা জড়িত তাদের সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ সকল অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান নদী দূষণে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেগুলো প্রয়োজনে বন্ধ করে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের জন্য উন্নয়ন। নদী দখল দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ কোটি মানুষের জীবনের হুমকি। তাই উন্নয়নের নামে অসাধু ও শিল্প প্রতিষ্ঠান অপ্রয়োজনীয় বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। যারা নদী দখল করে নদীর নাব্যতা ভিন্ন করছে তাদের কেউ শাস্তির আওতায় আনার জন্য উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা দাবি জানান। পরিশেষে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ শীতলক্ষ্যা নদী দূষণমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করলে নদীপাড়ের লাখো মানুষের সমন্বয়ে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সনমান্দি ইউনিয়নে এতিম শিশু ও সর্বস্তরের অংশগ্রহণে বিএনপির ইফতার

সান নারায়ণগঞ্জ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শতভাগ সাফল্য প্রত্যাশায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ঈমানেরকান্দী মাদ্রাসায় এতিম শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল করেছে ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।

১৪ মার্চ শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাফির উদ্দিন মজনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহজাহান মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর, যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোহাম্মদ সুমন মিয়া, সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ সহ নেতৃবৃন্দ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৫ জন আহত, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইছবগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদেরও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছবগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকার কৃঞ্চ চন্দ্র বাড়ৈ, সমির চন্দ্র, সাজু চন্দ্রের এর উপর দেশীয় ধারালো দা ছেনদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। একই এলাকার সন্ত্রাসী তপু দাস, বিজয় চন্দ্র দাস, মানিক চন্দ্র দাস, বন্যা রানী দাস, বেবী রানী দাস সহ আরো ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আহতদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে মালামাল নিয়ে যায়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধায় ইছবগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসী হামলার শিকার কৃঞ্চ চন্দ্র অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর আমার ফার্নিচারের দোকানে এসে তপু দাস টুল বানিয়ে সেখানে বসে মাদক সেবন করার জন্য কাঠ চাইলে আমি না দিলে তার সাথে থাকা আরো ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধভাবে গালমন্দ করে পুর্বপরিকল্পিতভাবে আমার উপরে দা ছেনদা দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমার মাথায় কুপ দিয়ে জখম করলে সেখানে ১৫টি সেলাই লাগে।

তিনি আরো বলেন, আমার ডাক চিৎকার শুনে বড় ছেলে সমির ও ছোট ছেলে সাজু, আমার স্ত্রী ছুটে আসলে তাদের উপরে ও লাঠিসোঠা লোহার রড দিয়ে হামলা করে। এতে আমরা গুরুতর আহত হই এবং বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এতে স্বর্ণ সহ ২ লাখ ১০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ও ফার্নিচারের ক্যাশে থাকা নদগ ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকার আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে, মাদক সেবন থেকে শুরু করে সব ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে তারা।

এ বিষয়ে মায়া রানী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করি আসামীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয় সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ