মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতদের শোকাহত পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে বুকফাটা আর্তনাদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত-আহতদের স্বজনরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হিসেবে সরকারের কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন।

৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার তল্লা বোমার মাঠে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দুঃখ-দুর্দশা এবং চাওয়া-পাওয়ার কথা প্রকাশ করেন।

এসময় পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিকে হারিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে নিজেদের নিঃস্ব হওয়ার কথাও তুলে ধরেন স্বজনরা। মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস অফিস দায়ী থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবার খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান ও জেলা প্রশাসকসহ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও স্থানীয় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলেন নিহত ও আহত স্বজনদের পক্ষে অগ্নিদগ্ধে নিহত মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের বড় ছেলে ফাহিদ ইসলাম কথা বলেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। স্বজন হারানোর বেদনায় আমাদের বুক ভারী হয়ে আছে। ভাষা হারিয়ে ফেলেছে অনেকে। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে নিহতদের স্বজনদের বেশিরভাগ সদস্য। উপার্জনশীল পরিবারের সদস্যকে হারিয়ে এমন ঘর আছে যার বাড়িতে এখন চুলা পর্যন্ত জ্বলছে না। অভাবে রয়েছে। কারও দুই সন্তান হারিয়েছে। কারও বাবা ও সন্তান দুজনই মারা গেছেন।

স্বজনদের পক্ষ থেকে তিনি দাবি করেন, স্বজনরা যা হারিয়েছে তা আর ফিরে পাবে না। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারের সদস্যরা উপার্জনশীল ব্যক্তিকে হারিয়েছে। সাত বছরের যুবায়ের ও তার বাবা জুলহাস মারা গেছে। যুবায়েরের মা রহিমা বেগম আজ একা। দুই সন্তানকে হারিয়ে পারুল বিবি অসহায় হয়ে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের তল্লা মসজিদে গত শুক্রবার এশার নামাজের পর গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৩৭ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এতে ২৮ জন নিহত ও বাকি ৯ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ছটফট করছেন। আহতদের চিকিৎসা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে এখনও চলছে।