নাছোড়বান্দা তৈমূর আলম খন্দকার!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পিছু হটবার নেতা নন মজলুম জননেতা তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ২নং রেলগেইট এলাকায় পুলিশের বেদম লাঠিপেটায় আহত হয়েছিলেন তিনি। তার পিঠে পুলিশের লাঠির আঘাত আজো স্মৃতি হয়ে আছে। ১৯৯৮ সালে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের গুলির শিকার হয়েছিলেন তিনি। চাষাড়া বোমা হামলা মামলায় তাকে প্রধান আসামীও করা হয়েছিলো।

১/১১ এর সময় ২৬ মাস কারাভোগ করেছেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে একাধিকবার পুলিশি লাঠিপেটার শিকার হলেও তিনি দলের ব্যানার ছাড়েননি। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে শক্ত দলে পরিনত করেছেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।

সেই তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি যখন বহিষ্কার করে দেয় তখন তিনি বিএনপিকে থাকার জন্য দেড় বছর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হোন। তাকে বিএনপি তার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারেনি। বহিস্কৃত হয়েই তিনি বিএনপির সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু তার পরেও তিনি উপেক্ষিত হয়েছেন বিএনপিতে। সবশেষ তিনি প্রয়াত জননেতা ব্যারিস্টা নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দল তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

জাতীয় নির্বাচনে তিনি তৃণমুল বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে সারাদেশে আলোচিত দলে তৃণমুল বিএনপিকে পরিচিত করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। একই সাথে তৃণমুল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকটিও সারাদেশের সকল মানুষের মাঝে পরিচিত করেছেন তিনি। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রধান বিরোধী দলে পরিনত হয়ে ওঠে তৃণমুল বিএনপি। নির্বাচনে কৌশলে তৃণমুল বিএনপির কেউ নির্বাচিত হতে না পারলেও দলটি এখন দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলে পরিনত করেছেন তৈমূর।

নির্বাচনের পর প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেব কষে প্রাপ্তিগুলোকে সামনে রেখেই তৃণমুল বিএনপিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় কাজ করে চলেছেন তৈমূর আলম। প্রতিদিন তিনি সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সারাদেশে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তিনি নিয়মিত বৈঠক করছেন। দলটিকে বড় রাজনৈতিক দলে পরিনত করতে তিনি কাজ করে চলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে কমিটিও ঘোষণা করেছেন।

পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তিনি কমিটি গঠন করবেন। তৃণমুল বিএনপির আইনজীবী ফোরাম গঠনের লক্ষেও তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সম্প্রতি তার কার্যালয়ে তৃণমূল বিএনপি আইনজীবী ফোরামএর নেতৃবৃন্দের সাথে প্রাথমিক আলোচনা করেন মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। বৈঠকে অ্যাডভোকেট এসএমএস খালেকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মরিয়ম সুলতানা, মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।