সারাবছর রাজপথে তবুও অপূর্ণতা: রাজীবে কর্মীদের খুশি অখুশি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২০০৮ সাল থেকে পুরোদস্তর বিএনপির রাজনীতিতে রাজপথে সক্রিয় এই তিন নেতা। ডজন ডজন মামলার আসামিও হয়েছেন তারা। প্রত্যেকেই জেলও খেটেছেন বেশকবার করেও। হামলা মামলা নির্যাতন তাদের ঘাড়ের উপর বোঝাই। নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা করেছেন বারংবার। কিন্তু নেতৃত্ব নামক সেই চেয়ারের দেখা পাচ্ছেন না তারা। এমনি পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের রাজনীতি। যদিও রাজীব ইতিপূর্বে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বের স্বাদ পেলেও সাদেক ও সাগরের ভাগ্যে মিলছেনা তাও। তবে তারাও দমে যাওয়ার নেতা নন, নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় লড়ছেন যুগ ধরে।

গত ১৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষিত হয়। কমিটিতে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দীনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা বিএনপির হেভিওয়েট সদস্য সচিব প্রত্যাশি ছিলেন রাজীব। তার বিশাল নেতাকর্মী সমর্থকও আশা দেখছিলেন এবার রাজীবকে সদস্য সচিব পদে রাখা হবে। গত কমিটিতে প্রথমে তাকে সদস্য পদেও রাখা হয়নি। পরবর্তীতে তাকে কো-অপ্ট করে সদস্য করা হয়। অথচ এর আগের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু তাকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখায় তার কর্মী সমর্থকরা বেশ খুশি হতে পারেনি। তবে আবারো কর্মীরা আশা দেখছেন পরবর্তী কমিটিতে হয়তো রাজীবকে কাঙ্খিত পতে দেখা যেতে পারে।

সাগর প্রধান সেই এক যুগ পূর্বে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছিলেন। সেই থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে যেমন দূর্বার আন্দোলন করে আসছেন, ঠিক তেমনি মহানগর যুবদলের শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে নিজ দলের নেতাদের সঙ্গেও প্রতিযোগীতা করে আসছেন। কিন্তু কাটায় কাটায় মিলছেনা তার নেতৃত্বের হাতছানি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে পরে যখন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মমতাজ উদ্দীন মন্তু নিষ্ক্রিয় হয়ে যান, তখন সাগর প্রধানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব দেয় মহানগর যুবদল, অনেকটা বিপদের সময় আপাতকালীন সভাপতি হিসেবে। বর্তমান কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে থাকলেও বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন তিনি। ফলে আবারো শীর্ষ পদে আসার লড়াই ছাড়া গতি নাই তার।

এক যুগ আগেই কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য হয়েছিলেন সাদেকুর রহমান সাদেক। সেই থেকেই জেলা যুবদলের শীর্ষ পদে আসার লড়াই করে আসছেন তিনি। সমানতালে রাজপথেও সক্রিয় ভুমিকা রাখছেন সাদেক। গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন নগরীতে পুলিশের গুলিতে তার নিকটস্থ কর্মী শাওন প্রধান নিহত হন। মিছিলে পাশের কর্মীটি যখন গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তখনও রাজপথ ছাড়ছেন না সাদেক। নিজের জীবন বাজি রেখেই জেলা যুবদলের শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে তিনি। এক যুগ ধরে নেতৃত্বের লড়াই করে আসলেও অধরা রয়েই যাচ্ছে নেতৃত্ব। হামলা মামলা নির্যাতন কারাভোগ করেছেন বেশকবার। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকন যখন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হয়েছেন, তখন আবারো জেলা যুবদলের শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে সাদেকুর রহমান।