দাদীর কবর জিয়ারতে গিয়ে দু’হাত তুলে কাঁদলেন অয়ন ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ভাষা সৈনিক রত্নগর্ভা মরহুমা নাগিনা জোহার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দু’হাত তুলে কাঁদলেন নাতি অয়ন ওসমান। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দু’হাত তুলে দাদীর জান্নাত কামনা করে দোয়া করেছেন অয়ন ওসমান। ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মাসদাইরে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাদী নাগিনা জোহার কবর জিয়ারতে যান অয়ন ওসমান। ওই সময় ছাত্র সমাজের শত শত নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। দোয়া করতে গিয়ে অয়ন ওসমানের চোঁখে অশ্রু চলে আসে। ওই সময় উপস্থিতিরাও আবেগআপ্লুত হয়ে যান।

উল্লেখ্যযে, গত ২০১৬ সালের ১ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা। ওই বছরের ৬ মার্চ থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৭মার্চ দুপুর ১টায় ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মরহুম একেএম সামসুজ্জোহার সহধর্মিনী নাগিনা জোহা একজন রতœগর্ভা মা। তিনি ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। মরহুমা নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন।

১৯৫১ সালে একেএম সামসুজ্জোহার সাথে তার বিয়ে হয় নাগিনা জোহার। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। মরহুম একেএম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী মরহুমা নাগিনা জোহা ছিলেন ভাষা সৈনিক। তিনি রতœগর্ভা মা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে প্রয়াত বীর মুক্তিযুদ্ধা নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে ৪ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, অপর ছেলে বীর মুক্তিযুদ্ধা সেলিম ওসমান একই আসনে ২য় মেয়াদে জাতীয় সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট ছেলে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ৩য় মেয়াদে জাতীয় সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।