বিতর্কে জড়িয়েছে সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বহুল আলোচিত সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামে ফাটল ধরেছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ আলোচিত ছিল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সংগঠনটি। কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এসে সংগঠনটি বিতর্কে জড়িয়েছে। সংগঠনের একটি পক্ষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া নিয়ে আরেকটি পক্ষ ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেছে। ফলে এই সংগঠনটি ভবিষৎ কার্যকারিতা নিয়েও ওঠেছে প্রশ্ন। সংগঠনটির বেশির ভাগ চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানেরাই এবার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। ফলে বিতর্ক আরও বেড়ে গেল।

স্থানীয়রা বলছেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানদের সমর্থনকে কেন্দ্র করে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম ভেঙে যেতে পারে। এতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলেও ধারণা অনেকের। তবে জাতীয় নির্বাচনের মত এই নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি ঐক্যফোরামের পজিটিভ প্রভাব তেমন একটা দেখা যাবে না। কারন নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কজন রহস্যজনকভাবে হুট করে তিন জন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। যা অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই জানেন না। এই সংগঠনটির সভাপতি পদে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

সূত্র জানায়, সোনারগাঁ উপজেলা জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের নেতৃত্বে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, বৈদ্যেরবাজার ইউপির চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ ও জামপুর ইউপির চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শীপলুর সমন্বয়ে একটি কোরাম সম্প্রতি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলরদের মতামত না নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাবু ওমর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদা আক্তার ফেন্সীকে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে সমর্থন জানিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়নের মেম্বারগণ ও পৌর কাউন্সিলরদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।