এক হাজার ব্যক্তিকে চাকুরী দেয়ার অভিযোগে মামলায় অব্যাহতি পেলেন তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিশেষ করে রূপগঞ্জ উপজেলার প্রায় এক হাজার লোককে বিআরটিসিতে চাকুরী দেয়ার অভিযোগে ১/১১ সরকারের গুরুতর অপরাধ দমনের ট্রাক্স ফোর্স বিআরটিসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে একমাত্র আসামী করে পল্টন থানায় ১৮/০৪/২০০৭ ইং তারিখে মামলা দায়ের করা হয়।

ওই মামলায় দুদক তদন্ত করে ১৫/০৬/২০০৮ ইং তারিখে উক্ত মামলায় চার্জশীট প্রদান করলে কারাবন্দী অবস্থায় তৈমূর আলম খন্দকার মামলাটি কার্যবিধির ৫৬১ক ধারা মোতাবেক কোয়াশ (বাতিল) করার জন্য হাই কোর্টে মোশন পিটিশন দায়ের করলে বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চাক্লাদার এবং বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক আজাদ সমন্বয়ে হাই কোর্ট ডিভিশন ব্যাঞ্চ মোকদ্দমাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন।

হাই কোর্টে উক্ত মোকদ্দমায় দুদকের চেয়ারম্যান কনটেষ্ট করেন। বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট ডিভিশন ব্যাঞ্চ ২০/০৭/২০১৭ ইং তারিখে প্রদত্ব একটি রায়ে বিআরটিসিসি’তে প্রায় ১ হাজার লোকের চাকুরী প্রদানে তৈমূর আলম খন্দকারের কোন প্রকার দূর্নীতির সম্পৃক্ততা না থাকায় মোকদ্দমাটি কোয়াশ করে তৈমূর আলম খন্দকারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের চেয়ারম্যান এ্যাপিলেট ডিভিশনে আপীল করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এ্যাপিলেট ডিভিশন দুদক চেয়ারম্যান দায়েরকৃত আপীল খারিজ করেন।

এ সম্পর্কে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ১/১১ এর অবৈধ সরকার আমাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ১ হাজার লোককে চাকুরী দেয়ার অভিযোগে মামলা দিয়েছে, উক্ত নিয়োগে কোন প্রকার দূর্নীতি হয় নাই।

তিনি আরো বলেন যে, বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে ভমিদস্যুরা তাদের মালিকানাধীন পত্রিকায় বধির ও অন্ধদের জমি ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে সিরিজ সংবাদ প্রকাশ করেছে, পত্রিকায় প্রকাশিত দূর্নীতির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ টীম সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ শহীদুল্ল্যাহর নেতৃত্বে তদন্ত করে দূর্নীতির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা পায় নাই।

তৈমূর আলম খন্দকার দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমার বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ অনেক অপবাদ দেয়া যাবে, কিন্তু তা প্রমানিত হবে না, ইনশাআল্লাহ। সি.এন.জি বেবী ট্যাক্সি বিতরণে আমার বিরুদ্ধে দুদক যে মিথ্যা মামলা রুজু করেছিল এ্যাপিলেট ডিভিশন উহাও খারিজ করে দিয়েছেন। সৎ ব্যক্তিদের নির্যাতনের জন্য “মামলা” একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার অসৎ ব্যবহার করছে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।