জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য কি আলাদা ইসলামী ভাস্কর্য? মন্ত্রীর প্রশ্ন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের পূর্বে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। সে সময় তো সবাই মুখে কুলুপ এটেছিলেন। ইসলাম কারোর বিশ্বাসে আঘাত আনার কথা বলে নাই। এতকাল তো অন্যসব ভাস্কর্য ঢেকে রাখা হয় নাই। জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য কি আলাদা ইসলামী ভাস্কর্য নাকি। বিএনপি এ নিয়ে কোনো কথাই বলে না। কারণ তারা ধর্মীয় লেবাসটাকে ব্যবহার করবে।’

৫ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের চলতি বছরের কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা যায় না। বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্ত্বা, তাঁর মৃত্যু হয় না। শেখ মুজিবুর রহমান মহাকালের মহানায়ক। শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট। তাকে এভাবে নিঃশেষ করা যায় না। কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্ত নানা সময় উসকে দেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে। এতে কিচ্ছু যায় আসে না।’

মুক্ত গণমাধ্যমের উপর জোর দিয়ে শ.ম রেজাউল করিম বলেন, ‘গণমাধ্যম মুক্ত মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে না পারলে ত্রুটি ধরার কেউ থাকবে না। গণমাধ্যম শক্তিশালী থাকলে সুশাসন সমৃদ্ধ হবে, গণতন্ত্র এগিয়ে যাবে। প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সবচেয়ে বেশি টেলিভিশন ও পত্রিকার লাইসেন্স তিনি দিয়েছেন। কারণ গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে দিলেন। দুই টাকার স্ট্যাম্প দিয়ে যেকোনো তথ্য পাবেন। কেউ তথ্য না দিলে তাঁর শাস্তিও হতে পারে। আপিল করার জন্য তথ্য কমিশন আছে।’

সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর-বন্দর আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সেক্রেটারি আমির হুসাইন স্মিথ।